খাদের কিনারায় ঝুলছে শ্রীলঙ্কা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
মুখোমুখি আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা

মুখোমুখি আফগানিস্তান-শ্রীলঙ্কা

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের তৃতীয়দিন। এই তৃতীয়দিনই হয়ে যেতে পারে এই টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার শেষদিন! অথচ এই দলটি এবারের টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট। পাঁচবারের এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা এবারের টুর্নামেন্টের শুরুতেই এমন গর্তে পড়বে-কে ভেবেছিল?

প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ১৩৭ রানের বড় হার শ্রীলঙ্কাকে খাদের কিনারায় ফেলে দিয়েছে। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নামার আগে বড় টেনশনে পড়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে চোখ বুলালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা স্বস্তিতে থাকতে পারে। আগের দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতেছে শ্রীলঙ্কা। তবে এই আফগানিস্তান এখন অনেক বদলে যাওয়া দল। জিততে জানা দল। আর শ্রীলঙ্কার পেছনের একবছরের ওয়ানডে ইতিহাস জানাচ্ছে এই ফরমেটের অন্যতম দুর্বল দল হয়ে পড়েছে তারা। এমনকি জিম্বাবুয়ের কাছেও হারছে শ্রীলঙ্কা! সর্বশেষ তিনটি ওয়ানডে সিরিজে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শ্রীলঙ্কা হেরেছে।

বাংলাদেশের কাছে এবারের এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে হারে শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে ক্রিকেটের কঙ্কালটা বেরিয়ে পড়েছে।

শক্তি-অভিজ্ঞতা এবং সামগ্রিক সামর্থ্যরে কথা বিবেচনা করলে আফগানিস্তানের এই দলটি শ্রীলঙ্কার চেয়ে পিছিয়ে আছে। কিন্তু দুবাইয়ের উইকেটে ফিঙ্গার স্পিনাররা কিছুটা হলেও সুবিধা পাচ্ছেন। এই তথ্যটাই আফগানদের ম্যাচে আজ শ্রীলঙ্কার জন্য আতঙ্কের কারণ হতে পারে। লেগস্পিনার রশিদ খান, দুই অফস্পিনার মুজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ নবীকে এই ম্যাচে কিভাবে সামাল দিতে পারে শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা-তার ওপরই নির্ভর করছে ম্যাচের চালচিত্র এবং টুর্নামেন্টে শ্রীলঙ্কার ভবিষ্যত!

সার্বিক সমীকরণটা ক্রমশ শ্রীলঙ্কার জন্য কঠিন হয়ে দাড়াচ্ছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কা যদি এই ম্যাচে জিতেও তবুও সুপার ফোরে খেলার কোন গ্যারান্টি তাদের নেই। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচে তখন শ্রীলঙ্কার প্রার্থনা হবে একটাই-বাংলাদেশ যেন জিতে। তাহলেই শুধু শ্রীলঙ্কার সুপার ফোরের সম্ভাবনা টিকে থাকবে।

শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংয়ে শ্রীলঙ্কার একমাত্র লাসিথ মালিঙ্গা ছাড়া আর কোন বোলার তেমন প্রভাবী কোন পারফরমেন্স দেখাতে পারেননি প্রথম ম্যাচে। একগাদা অলরাউন্ডার নিয়ে একাদশ গড়া শ্রীলঙ্কার বড় সমস্যাটা হল ব্যাটিংয়ে। দলের ব্যাটিং সাম্প্রতিক সময়ে কখনোই শ্রীলঙ্কাকে ভরসা দিতে পারেনি। টপঅর্ডারে স্পেশালিষ্ট ব্যাটসম্যানের বড্ড অভাব। যারা আছেন স্পেশালিষ্ট হিসেবে তাদের আবার ফর্ম নেই।

চন্ডিকা হাতুড়েসিংহেকে সামনের লম্বা সময়ের জন্যই শ্রীলঙ্কা কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। তবে এশিয়া কাপ থেকে যদি শ্রীলঙ্কার আগেভাগে ছুট্টি হয়ে যায় তাহলে কোচের চাকরিটাও হয়তো বা বিপদে পড়ে যেতে পারে!

   

তাওহিদ হৃদয় আমার ফেভারিট ব্যাটার: তানজিম সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্দা উঠছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। এর ঠিক আগে বিসিবি থেকে প্রকাশিত হচ্ছে ‘গ্রিন রেড স্টোরি’ শিরোনামে ধারাবাহিক সাক্ষাৎকার। যেখানে বাংলাদেশ স্কোয়াডের ক্রিকেটাররা নিজেদের লক্ষ্য, ভাবনা ও উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেছেন। এবারের পর্বে কথা বলেছেন টাইগার পেসার তানজিম হাসান সাকিব।

বিশ্বকাপ স্কোয়াডে আছেন এটা সাকিবের কাছে স্বপ্নের মতো। এ কথা বলার পর তিনি বলেন, ‘যখন আন্ডার-১৯ ক্রিকেট খেলি তখন থেকেই আমার টার্গেট ছিল আমি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট খেলব, কখনো আমার কনফিডেন্স কম কাজ করেনাই। আমি নিজেকে সেভাবেই রেডি করসি যে আমার ইন্টারন্যাশনালে যেয়ে ডমিনেট করা লাগবে।‘

নিজের উচ্চতার প্রভাব তার বোলিংয়ে ফেলতে দেন না সাকিব, ‘পেস বোলার হিসেবে আমার হাইট ছয় ফিট না, ওই হিসাবে আমার আলাদা স্কিল অবশ্যই থাকা লাগবে। যেহেতু আমার ওরকম হাইটের এডভান্টেজ নাই তাই আমি চেষ্টা করি বলটা স্কিট এবং কাট করানোর জন্য।‘

সতীর্থদের মধ্যে পছন্দের ব্যাটার কে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘তাওহিদ হৃদয় আমার ফেভারিট ব্যাটার। তার ব্যাটিং এঞ্জয় করি। নেটে আমি যখন তাকে বোলিং করি তখন আমাদের মধ্যে একটা চ্যালেঞ্জিং ভাব কাজ করে। সবসময় তাকে বলি আমাকে ছয় মারেন ছয় মারেন। আমিও তাকে একটা চ্যালেঞ্জ দেই, সেও চ্যালেঞ্জ নেয়।‘

সাকিব আল হাসানকে নিয়ে আলাদা করে বলেছেন তানজিম সাকিব, ‘আমি সাকিব ভাইয়ের মেন্টাল যে টাফনেস টা আছে সেটা আনার চেষ্টা করব। এটা আমার সবসময় ভাল লাগে যে উনি মেন্টালি অনেক টাফ থাকে। যেকোনো সিচুয়েশনকে অনেক শান্তভাবে হ্যান্ডেল করতে পারেন।‘

বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী এ টাইগার পেসার। নিজেদের সামর্থ্যের সবটা মাঠের খেলায় ঢেলে দিতে পারলে যেকোনো দলকেই তারা হারাতে পারবে এমনটাই মনে করেন সাকিব।

;

‘যে কোনো দলকে হারাতে পারি’, সাকিবের হুঙ্কার



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে স্বপ্নের মতো অভিষেক হয় তানজিম হাসান সাকিবের। প্রথম ওভারেই রোহিত শর্মার উইকেট তুলে জানান দেন নিজের আগ্রাসী ক্রিকেট মনোভাবের। এরপর তিলক ভার্মার উইকেট গুড়িয়ে দিয়ে নজরটা নিজের দিকে টানেন। সেই সাকিব ভারত বিশ্বকাপ মাতিয়ে এবার জায়গা করে নিয়েছেন আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে।

যদিও বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের প্রাথমিক দলে ছিলেন না সাকিব। পরে জিম্বাবুয়ে সিরিজে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন শেষ দুই ম্যাচে বাজে পারফর্ম করলে তার জায়গায় সুযোগ হয় সাকিবের। এখন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে লড়তে মুখিয়ে আছেন তিনি। বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন পূরণের কথা সাকিব জানিয়েছেন বিসিবির গ্রিন রেড স্টোরিতে।

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে নিজের রোমাঞ্চের কথা জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে নিজের দেশের হয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করার। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকাটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো।’

সাইফদ্দিনের জায়গায় সাকিবকে বিশ্বকাপ দলে সুযোগ করে দেওয়ার পেছনে নির্বাচকরা জানিয়েছিল তার আগ্রাসী মনোভাবের কথা। যা নিয়ে সাকিব বলেন, ‘এটা শুরু থেকেই ছিল। আমি যখন অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট খেলি, তখন থেকে আমার লক্ষ্য ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলব। কখনো আমার আত্মবিশ্বাস কম ছিল না, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারব না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য নিজেকে সেভাবেই তৈরি করেছি। আমার লক্ষ্যই এই পর্যায়ে আধিপত্য দেখানো।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তেমন কোনো সাফল্য নেই বাংলাদেশের। সাম্প্রতিক সময়েও খুব একটা ভালো ক্রিকেট খেলছে না বাংলাদেশ। যদিও এসব নিয়ে ভাবছেন না অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জীয় এই পেসার। জানিয়েছেন নিজেদের দিনে বাংলাদেশ চাইলে যে কোনো প্রতিপক্ষকেই হারাতে পারে।

আত্মবিশ্বাসী সাকিব বলেন, ‘আমাদের দল নিয়ে আমি খুবই আত্মবিশ্বাসী। আমাদের দল মানসিকভাবে দৃঢ় আছে, বন্ডিংও খুবই শক্তিশালী। আমরা চাইলে যেকোনো দলকে হারাতে পারি। আমাদের ১১ জন যদি মাঠে সেরাটা দিতে পারে, তাহলে কোনো দল আমাদের সামনে ব্যাপার না ইন শা আল্লাহ। আমরা যেকোনো দলকে হারানোর দক্ষতা রাখি।’

;

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যে রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুদিন বাদেই শুরু হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। প্রথম আসরটি ছিল ২০০৭ সালে, দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে বিশ্বকাপ যখন যৌথভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রের দুয়ারে তখন এবারের ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কেবল একটা ম্যাচেই মাঠে নামলেই রোহিত শর্মা এবং সাকিব আল হাসান গড়ে ফেলবেন অদ্ভুত এবং বিরল এক কীর্তি। দুজনের সামনেই সুযোগ সবগুলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাঠে নামার কীর্তি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সাকিবের দেশ বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত নক-আউটে না খেললেও ব্যাটে-বলে অনন্য সাকিব। বল হাতে বিশ্বকাপে একমাত্র বোলার হিসেবে চল্লিশের বেশি উইকেট এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের। ব্যাট হাতে নবম সর্বোচ্চ রান। দুটো মিলে হয় ৪৭ উইকেট আর ৭৪২ রান। যেখানে সাতশ এর অধিক রান করা কারও নেই দশ উইকেটও। কিংবা যারা ত্রিশ উইকেট শিকার করেছেন তাদের কারও নেই সাড়ে ৫০০ রানও।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরে সুপার এইটসহ বাংলাদেশ খেলেছে মোট পাঁচ ম্যাচ। সেখানে সবগুলো ম্যাচ খেলে সাকিব নিয়েছেন ছয় উইকেট এবং ব্যাট হাতে করেন ৬৭ রান। এরপর ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় আসরে বাংলাদেশ খেলে কেবল গ্রুপপর্বে দুই ম্যাচ। বল হাতে দুই উইকেট নিলেও রান করেছেন মাত্র ১৫। ম্যাচ দুটি ছিলো ভারত এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।

২০১০ সালে ক্যারিবিয় দ্বীপে অস্ট্রেলিয়া এবং পাকিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। দুই ম্যাচে ক্যাপ্টেন সাকিবের রান ৭৫ এবং উইকেট চারটা। ২০১২ সালে লঙ্কানদের মাটিতে পাকিস্তান এবং কিউইদের বিপক্ষে লড়ে বাংলাদেশ। সেখানে সাকিবের রান ৯৫। পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেছিলেন ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রানের ইনিংসটা। তবে বল হাতে ছিলেন উইকেটশূণ্য।

২০১৪ আসরটি প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে। সেখানে প্রথম রাউন্ড এবং গ্রুপপর্বসহ স্বাগতিকরা খেলেছিল সাত ম্যাচ। সবগুলো ম্যাচ খেলে সাকিবের রান ১৮৬ এবং উইকেট সংখ্যা আট।

২০১৬ তে ভারতের মাটিতে ২০১৪ এর প্যাটার্নেই সমান সাত ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। সাত ইনিংসে সাকিবের রান ১২৯ আর ছয় ইনিংসে ১০। ২০২১ আসরে চোটের কারণে সাকিব মিস করেন দুই ম্যাচ। ছয় ম্যাচে করেন ১৩১ রান। বল হাতে ১১ উইকেট। চোটের কারণে ম্যাচ দুটি না মিস হলে এতদিনে হয়তো রেকর্ডটি হয়ে যেত সাকিবের। ২০২২ সালে সাকিবের ক্যাপ্টেন্সিতে বাংলাদেশ খেলে পাঁচ ম্যাচ। ক্যাপ্টেনের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৪৪ রান। বল হাতে ছয় উইকেট। এতেই বিশ্বকাপে সাকিবের উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৭-এ।  এতে আর মাত্র তিন উইকেট শিকার করলেই সাকিব হয়ে যাবেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে উইকেটের হাফ-সেঞ্চুরি করা প্রথম বোলার।

;

পোল্যান্ডকে উড়িয়ে সেমিতে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু কাপ ২০২৪ আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টে দাপট দেখিয়েই চলেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াকে হারানোর পর এবার পোলিশদেরও ধরাশায়ী করলো বাংলাদেশ। এতেই গ্রুপপর্বে টানা চার জয়ে টুর্নামেন্টের সেমি-ফাইনালে পৌঁছাল স্বাগতিকরা। 

আজ (বৃহস্পতিবার) মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গ্রুপপর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে তারা ৭টি লোনাসহ ৭৯-২৮ পয়েন্ট পোল্যান্ডকে হারিয়ে টানা চার ম্যাচ তুলে নেয় বাংলাদেশ। এই জয়ের মধ্য দিয়ে গ্রুপ এ থেকে টুর্নামেন্টের প্রথম দল হিসেবে শেষ চারের টিকিট কাটল টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। 

প্রথমার্ধে ৩৮-১৫ পয়েন্ট এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। দারুণ ক্রীড়াশৈলী দেখিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক ও তারকা রেইডার আরদুজ্জামান মুন্সি। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে তিনি একাই তোলেন ২৫ পয়েন্ট। আগামীকাল শুক্রবার (৩১ মে) গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচ খেলতে নামবে লাল-সবুজের দলটি। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ নেপাল। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়।

এদিকে আজকের ম্যাচের শুরু থেকেই পোলিশদের চেপে ধরেন মিজান, আরদু, আল-আমিন, রাজিব, ইয়াসিনরা। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই প্রথম লোনা তুলে নেয় বাংলাদেশ। এ সময় স্বাগতিকরা ১০-১ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিল। ষষ্ঠ মিনিটে দ্বিতীয় লোনার দেখা। ফলে লাল-সবুজরা এগিয়ে যায় ১৯-২ পয়েন্টে। এরপর ১৪ মিনিটে তৃতীয় লোনা পায় বাংলাদেশ। এ সময় দুদলের পয়েন্টের পার্থক্য ছিল ৩০-১০। প্রথমার্ধে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়তে পারেনি এ আসরে ইউরোপের একমাত্র প্রতিনিধি পোল্যান্ড। 

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই (২১ মিনিট) চতুর্থ লোনা তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের চেয়ে ৪১-১৫ পয়েন্ট ব্যবধানে ছিল আব্দুল জলিল শিষ্যরা। ২৯ মিনিটে পঞ্চম লোনাসহ ৫১-২১ পয়েন্টে এগিয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের ৩৪ মিনিটে ষষ্ঠ লোনা স্বাগতিকদের। এ সময় দল এগিয়ে ছিল ৬১-২৪ পয়েন্টে। ৩৯ মিনিটে সপ্তম লোনা লাভ করে বাংলাদেশ। এ সময় ৭১-২৭ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। 

পোল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ এই জয়ে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের কোচ আব্দুল জলিল। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘গ্রুপপর্ব থেকে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। যা প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে বড় জয় দলকে আরো উজ্জীবিত আত্মবিশ্বাসী করেছে। আগামীকাল গ্রুপপর্বে আমাদের শেষ ম্যাচ রয়েছে নেপালের বিরুদ্ধে। ওই ম্যাচেও জিততে চাই। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে যেতে চাই। আশা করি টানা চার ম্যাচের মতো নেপালের বিরুদ্ধেও আমরা জিতব।’

;