স্কোরবোর্ডে তিনশ রানের অপেক্ষায় মাশরাফি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
মাশরাফি বিন মর্তুজা

মাশরাফি বিন মর্তুজা

  • Font increase
  • Font Decrease

২৭১ রান। মিরপুরের উইকেটের জন্য বেশ ভাল রান। ওপেনার ইমরুল কায়েস সেঞ্চুরি পেয়েছেন। লোয়ার অর্ডারে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের ব্যাটে হাফসেঞ্চুরি এসেছে। শেষের ১০ ওভারে বেশ ভালই মেরেকেটে ৮৫ রান যোগ করেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ সেই ম্যাচ জিতেছে ২৮ রানের সহজ ব্যবধানে।

একটু পেছনে যাই। এই ম্যাচের ঠিক আগেরটায় বাংলাদেশের ওপেনার লিটন কুমার দাস সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। সেটা ছিল এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ। যদিও সেই ফাইনালে এত ভাল শুরুর পরও বাংলাদেশ আটকে যায় ২২২ রানে। সেই ম্যাচ হারে বাংলাদেশ ৩ উইকেটে, একেবারে টুর্নামেন্টের শেষ বলে এসে!

বাড়তি তথ্য হল-এই দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবাল খেলেননি। অথচ সেই দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ওপেনাররা সেঞ্চুরি পেয়েছেন। তামিমের অভাবটা বুঝতে দেননি ওপেনাররা। তবে এই দুটো ম্যাচের বিশ্লেষণ করতে বসে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার আক্ষেপ-ওপেনাররা বড় রান পাচ্ছেন কিন্তু স্কোরবোর্ডে দলের সঞ্চয়টা আরো বড়  কেন হচ্ছে না। তিনশ রান কেন জমা হচ্ছে না!

চট্টগ্রামে বুধবার, ২৪ অক্টোবরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে তিনশ রানের দুঃখ মেটাতে চান মাশরাফি। দলের কাছে স্কোরবোর্ডে তিনশ রানের কড়া দাবি জানিয়েছেন অধিনায়ক। সেই প্রসঙ্গে মাশরাফি বলছিলেন-‘তামিম দলে না থাকা সত্তে¡ও দুই ম্যাচে ওপেনাররা ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি পেলো। এটা অনেক বড় পাওয়া। তবে একজন একশ করার পরও স্কোরবোর্ডে দলীয় রানটা তিনশ হচ্ছে না। সাধারণত টপঅর্ডারে একজন সেঞ্চুরি পেলে ইনিংস শেষে দলের সংগ্রহটা তিনশ হওয়া স্বাভাবিক। এটা নিয়ে আমি একটু উদ্বিগ্ন। যে সেঞ্চুরি করছে তাকে যে অন্য কেউ তেমনভাবে সহায়তা করছে না। তার সেঞ্চুরি ইনিংসের এতো দেরিতে হচ্ছে যে দলের মোট রানটা আর বড় হচ্ছে না। এই অ্যাডজাস্টমেন্টটাই এখন আমাদের হচ্ছে না। মিরপুরে ইমরুল যেভাবে ব্যাটিং করছিল তাতে সেই ম্যাচে আরামসে তিনশ থেকে ৩১০-৩১৫ রান করা সম্ভব ছিল। কিন্তু হলো কই?’

মাত্র সাত ম্যাচ আগে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তিনশ রানের ‘সুখ’ দেখেছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ সেই ম্যাচে বাংলাদেশ ৩০১ রান করে। অবাক করার বিষয় হল সেই ম্যাচেও বাংলাদেশের একজন ওপেনার সেঞ্চুরি করেছিলেন; তামিম ইকবাল! বাংলাদেশ সেই ম্যাচ ১৮ রানের জয় নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটি থেকে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি জিতে দেশে ফিরে।

২৪ অক্টোবর, বুধবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের সঙ্গে দলের স্কোরবোর্ডে এই বড় রানের আশা নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ জিতলেই তিন ম্যাচ সিরিজের ট্রফি বাংলাদেশের হাতে উঠবে। তখন সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচ নিয়ে একটা বড় ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর সুযোগটা নিতে পারেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। তবে সিরিজের প্রথম ম্যাচে সহজে জয় পাওয়া বাংলাদেশ যদি বুধবার দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় কোন বদল নিয়ে মাঠে নামে তাহলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যদিও অধিনায়ক এই ম্যাচে বড় ধরনের রদবদলের পরিকল্পনায় সায় দিচ্ছেন না-‘সিরিজ ডিসাইডিং ম্যাচ হতে পারে এটা। হুট করে কয়েকজনকে সরিয়ে দিয়ে দল গড়া যায় না। তবে কোচ, নির্বাচক আছেন তাদের মতামত কি সেটা আলোচনা করার পর আমরা সন্ধ্যায় একাদশ নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবো।’

সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিজের অভিষেক ওয়ানডেতে শূণ্য রানে আউট হওয়া ফজলে রাব্বী মাহমুদ এখনো অধিনায়কের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছেন। মাত্র এক ম্যাচে কাউকে খেলিয়ে বাদ দেয়ার মতো বাজে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিনায়ক মাশরাফি নন-‘রাব্বী অবশ্যই আরেকটি সুযোগ ডিজার্ভ করে।’

সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুস্তাফিজুর রহমান তার প্রথম ওভারেই সাফল্য পেলেও বোলিংয়ের পুরো কোটা তার শেষ করাননি অধিনায়ক। কারণ হাতের পুরানো চোটে সেই ম্যাচে ভুগছিলেন মুস্তাফিজ। অধিনায়ককে নিজের সেই সমস্যার কথা জানান তিনি। সেজন্যই মুস্তাফিজের কাজের চাপ কমিয়ে দেন মাশরাফি। চট্টগ্রামে মঙ্গলবারের অনুশীলনেও কনুইয়ের চোটে পড়েছেন মুস্তাফিজ। ফিজিওর রিপোর্টের ওপর তার দ্বিতীয় ম্যাচে খেলা না খেলা নির্ভর করছে।

স্বস্তির বিষয় হল মুস্তাফিজ না খেললে রুবেল হোসেন তৈরি আছেন। একাদশে জায়গা পাওয়ার অপেক্ষায় আবু হায়দার রনি। দলের রিজার্ভ বেঞ্চও বেশ শক্তিশালী দেখাচ্ছে!

   

টিভিতে আজ যেসব খেলা দেখবেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল
বসুন্ধরা কিংস-রহমতগঞ্জ
বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস

আইপিএল
কোয়ালিফায়ার ২
হায়দরাবাদ-রাজস্থান
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

;

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজটাও হারল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছে, চলবেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই সময়ের অবস্থান যেন সীমাবদ্ধ এই এক লাইনেই। আধুনিক ক্রিকেটের রান বন্যার টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির সহযোগী দল যুক্তরাষ্ট্রের থেকে লক্ষ্যটা দেড়শ’য়ের নিচেই পেয়েছিলেন শান্ত-সাকিবরা। তবে আরও একবার ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফর্মে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে বসল বাংলাদেশ। ৬ রানের এই হারে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০ ব্যবধানে সিরিজটাও হারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো পেয়েছিল সফরকারী দলটি। ১০ ওভারেই তাদের স্কোরবোর্ডে ওঠে ২ উইকেটে ৭৬ রান। তবে সেখান থেকেই কি-না আনাড়ি এই দলটির কাছে ১৩৮ রানেই অলআউট নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এবার দ্বিতীয় ম্যাচটিও জিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটাও জিতল তারা।

প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে মোনাঙ্ক প্যাটেলের ৪২, জোন্সের ৩৫ এবং টেইলের ৩১ রানের ইনিংসে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় যুক্তরাষ্ট্র।

সহজের কাতারে থাকা লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের চতুর্থ বলেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে শুরুটা ভালো পেলেও এদিন রানের খাতা না খুলেই। একাদশে ফিরে আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের শুরুটা আশাজাগানিয়া হলেও ফিরেছেন দ্রুতই। তার ব্যাটে আসে ১৯ রান। পরে তৃতীয় উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন শান্ত। রানের ফেরার ইনিংসে রান আউটে কাটা পড়ার আগে শান্ত করেন ৩৬ রান। ৭৮ রানে তখন বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ ১২৫-এ পৌঁছাতেই সাজঘরে ফেরেন শুরু আট ব্যাটার। সেখানেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ থামে ১৩৮ রানে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সৌরভ ও শ্যাডলে। তবে ৩ ওভার ৩ বলে ২৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া আলী খান জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেলের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৪২ রান যোগ করে তারা। আগের ম্যাচে আত্মবিশ্বাসকে ফিরিয়ে ব্যাট হাতে বেশ ছন্দেই এগোচ্ছিল, তবে তাদের সপ্তম ওভারেই বড়সড় ধাক্কা দেয় সফরকারীরা। সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

সেই চাপ সামলে তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ গড়েন অধিনায়ক মোনাঙ্ক। সেখানে প্রায় দশ ওভার পর দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে তখন ১৬ ওভার ১ বলে ৩ উইকেটে ১০৪ রান। সেখান থেকে শেষ চার ওভারে আরও তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এবং শেষ পর্যন্ত পায় ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও শরিফুল।

আগামী ২৫ মে একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি।

;

শান্তদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ রানের লক্ষ্য



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এতে সমতায় ফিরতে এবং সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে নিশ্চিত জয় চায় বাংলাদেশের। বোলারদের দলীয় নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংস শেষে অবশ্য সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সেই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে শুরুটা অবশ্য ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ দিকে মুস্তাফিজ-শরিফুলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আগের ম্যাচের ভেন্যু হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেলে চড়ে শুরুটা বেশ ভালো পায় স্বাগতিকরা। ৩৯ বলে ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। তবে ভালো শুরু পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই বড় ধাক্কা দেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন তিনি। সেখানে টেইলর ফেরেন ৩১ রান করে এবং তিনে নামা আন্দ্রিয়েস গুস ফেরেন রানের খাতা না খুলেই।

সেই চাপ অবশ্য অনায়াসেই সামলে নেয় স্বাগতিকরা। তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ৬০ রানের সময় উপযোগী জুটি গড়েন মোনাঙ্ক। ৩৫ রান করা জোন্সকে ফেরান বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।  

সেখান থেকেই ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য হারাতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। এবার ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন শরিফুল। এবং শেষ পর্যন্ত ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দলটি।

বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও শরিফুল। এর মধ্যে ৪ ওভারে স্রেফ ২১ রান দিয়ে সবচেয়ে কিপটে ইকোনমি রিশাদের।  

;

বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে হেরে বসায় বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজে হার এড়ানোর। এমন ম্যাচে টসে জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখা। সেই লক্ষ্যে প্রাথমিক কাজটা অবশ্য ঠিকঠাক করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে নিতে পারেনি একটি উইকেটও।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৮ রান। উইকেটে আছেন অধিনায়ক মোনাঙ্কা প্যাটেল ও অ্যারণ জোন্স।

টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ারপ্লে খুবই গুরুপ্তপূর্ণ। এখানে উইকেট বাঁচানোর সঙ্গে দ্রুত রান তোলার দিকেও নজর দিতে হয় ব্যাটারদের। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ দলের লক্ষ্যটা থাকে ঠিক তার উল্টো। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে এই দুটো জায়গার একটিতে সফল হলেও উইকেট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে ওভার প্রতি ৭ গড়ে ৪২ রান জমা করে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রকে বড় সংগ্রহের পথ থেকে সরাতে বাংলাদেশ দলের জন্য ব্রেক থ্রু পাওয়া হয়ে দাঁড়ায় অতীব গুরুপ্তপূর্ণ। সপ্তম ওভারে এসে সেই কাজটি করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ইনিংসে প্রথমবারের মতো বল হাতে তুলে নিয়েই সাফল্য এনে দেন তিনি। ফেরান ২৮ বলে ৩১ রান করা স্টিভেন টেলরকে। পরের বলেই তুলে নেন সদ্য উইকেটে পা রাখা অ্যান্ড্রিস গাউসকে। দারুণ শুরু করা যুক্তরাষ্ট্র খানিকটা চাপেই পড়ে যায় হঠাৎ করে।

অবশ্য অ্যারন জোন্সকে নিয় সেই চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। দায়িত্ব নিয়ে দলকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। দলকে টানছেন বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেওয়ার পথে। এই দু’জনের ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি যুক্তরাষ্ট্রকে।

এর আগে, দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশ সিরিজ বাঁচাতে একাদশে দুটি বদল এনেছে। একাদশে ফিরিয়েছেন তানজিদ তামিম ও তানজিম সাকিব। তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও শেখ মেহেদী।

;