টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানানো তানভীর যেভাবে বিশ্বকাপ দলে



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ। সেই দলের একজন তানভীর ইসলাম। ঘরোয়া ক্রিকেটে স্পিনে নজর কেড়ে জাতীয় দলে সুযোগ করে নিয়েছেন তিনি। প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন বিশ্বকাপের দলেও। অথচ, ক্যারিয়ারের শুরুতে ক্লাবে সুযোগ পেয়ে পারিশ্রমিক হিসেবে নিজের প্রাপ্য টাকা নিতেও দ্বিধা কাজ করত তার। নিজের ক্রিকেটার হওয়ার সেই গল্প বিসিবিকে জানিয়েছেন তানভীর।

কীভাবে ক্রিকেটে আসলেন সেই গল্পে তানভীর বলেন, ‘আমার বাবা-মা সবাই ঢাকায় চাকরি করত। নানুও সরকারি চাকরি করত। কিন্তু মাসশেষে তার কাছে আমার আবদার থাকতো ক্রিকেটের ব্যাট-বল স্টাম্পসহ কিনে দিতে হবে। ছোটবেলায় অনেক বড়দের সাথে খেলেছি। কারণ আমার বল-ব্যাট ছিল এবং তারা আমাকে নিতো অংশগ্রহণের জন্য।’

তানভীর জানান বাবা মার অনিচ্ছা সত্ত্বেও কীভাবে এতদূর আসা তার, ‘বরিশাল বুলস নামে বিপিএলে একটি দল হইছিল, সেখানে লারা নামের একজন ছিল আমার এলাকার। তার সাথে কথা হয়, তিনি আমাকে ঢাকা এসে কোনো একাডেমিতে ভর্তি হওয়ার জন্য বলেন। আমার আব্বু রাজি ছিল না, ক্রিকেট অনিশ্চিত বিষয়। তারপর আমার নানু বলে ঢাকায় দিয়ে আসতে।’

ক্রিকেটার না হলে পেশা হিসেবে কোনটি বেছে নিতেন তানভীর; সেই প্রশ্নে বলেন, ‘আমার আব্বু আমাকে দুই এক বছর সময় দিয়ে বলে এখানে কিছু না হলে আবার এই পেশায় ফিরে এসো। তার পছন্দ ছিল প্যারামেডিকেল, সাধারণ শিক্ষা, ডেন্টাল বা পুলিশের কিছু একটা।’

তানভীরের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু হয় তৃতীয় বিভাগের একটি দল দিয়ে। সেই ক্লাবের হয়ে সুযোগ পেয়েই খুশি ছিলেন তিনি। টাকা নিতেও তাই অস্বীকার করেছিলেন। বলেন, ‘একদিন আব্বু বলে চল আবাহনীর দিকে যাই, ওটা অনেক বড় ক্লাব। আবাহনীর মাঠে অনেক একাডেমী, সিসিএস নামের একটি একাডেমী আছে, ওইখানে সাতদিন অনুশীলন হতো। তারপর ওখানে ভর্তি হওয়া। ভর্তি হওয়ার পর রায়েরবাজার প্রগতিতে একটি থার্ড ডিভিশন টিমে খেলি। ওনারা আমাকে টাকা নেয়ার কথা বললে আমি নিতে অস্বীকার করি।’

   

বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেও শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়ে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। বোলিং নৈপুণ্যে ৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল রশিদ খানের দল। আফগানদের এই জয়ে সেমির দৌড় থেকে ছিটকে গেল অস্ট্রেলিয়া।

লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না, জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১২০ বলে ১১৬ রান। তবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে এই রানটা ৭৩ বলের মধ্যে টপকাতে হতো টাইগারদের। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যা হরহামেশাই দেখা যায়। এমনটা করতে পারলে ইতিহাসও গড়তে পারত বাংলাদেশ! প্রথমবারের মতো নিজেরা সেমিতে চলে যাওয়ার পাশাপাশি আফগান এবং অজিদের বাদ করতে পারত নাজমুল শান্তর দল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত টাইগার সমর্থকদের হতাশই হতে হলো। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকেও। সুপার এইটের তিন ম্যাচেই হারের স্বাদ পেলেন শান্ত-লিটন-সাকিবরা। টাইগার ব্যাটারদের নিজেদের বোলিং তোপের মুখে ফেলে সব ধরণের সমীকরণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ৮ রানের জয় ছিনিয়ে নিল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের এই হারের ফলে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বকাপের চলতি আসর থেকে বাদ পড়ল অস্ট্রেলিয়াও।

টসে জিতে এদিন শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ১১তম ওভারে ৫৯ রানে ভাঙ্গে ওপেনিং জুটি। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে গুরবাজের ব্যাট থেকেই।

এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গী করে দলের হাল ধরেন জাদরান। ১৬তম ওভারে ভাঙ্গে এই জুটিও। এরপর যেন ব্যাট হাতে বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়ে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বোলাররাও যেন নিজেদের ফর্ম ফিরে পান, দুর্দান্ত বোলিং করে একের পর এক উইকেট শিকার করা শুরু করেন। শেষে রশিদ খানের ১০ বলে অপরাজিত ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংসের মাধ্যমে ১১৫ রান জমা হয় আফগানদের রানের খাতায়।

বাংলাদেশের সামনে সেমির টিকিট পেতে হলে সমীকরণটা ছিল ১১.৪ থেকে ১৩.৪ ওভারের মধ্যে জিততে হবে, লক্ষ্যের ওপর নির্ভর করবে ওভারের মাত্রা। আফগানদের ১১৫ রানে আটকে ফেলার পর তা ঠিক হলো ১২.১ ওভার। বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল সে লক্ষ্যেই, প্রথম ওভারেই লিটন দাস তুললেন ১৩ রান। তবে ওপাশ থেকে তানজিদ তামিম সাজঘরে ফেরত গেলেন, এরপর একে একে গেলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও সাকিব আল হাসানও। বল হাতে দারুণ সাকিব তো ব্যাট হাতে হজম করলেন গোল্ডেন ডাকের লজ্জা।

উইকেটের একপাশে দাঁড়িয়ে সঙ্গীদের আসা যাওয়ার মিছিল দেখছেন লিটন, কি-ই বা করার ছিল তার। একটা সময় সেমির টিকিটের জন্য টাইগারদের দরকার ছিল ১৯ বলে ৪৩ রান। টি-টোয়েন্টির যুগে এই রান তো তাড়া করাই যায়, এমন রেকর্ড তো কতই আছে। কিন্তু বাংলাদেশ পারল না!

ইনিংসের ১০ম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেশসেরা ফিনিশার যাকে বলা হয়, একা হাতে এই বিশ্বকাপেও যিনি দলের জন্য জয় তুলে এনেছেন, সেই তিনিই নুর আহমেদের সেই ওভার থেকে মোটে নিতে পারলেন ৪ রান, যার মাঝে ডটই দিলেন পাঁচটা। সেমির স্বপ্ন তখনই শেষ বাংলাদেশের। এরপর তারা ধুঁকে ধুঁকে এগোতে থাকে ম্যাচটা কোনোমতে জেতার উদ্দেশ্যে।

সেমিফাইনালে না যেতে পারুক, অন্তত জয়টা তুলে নিবে বাংলাদেশ। এমন আশাতে বুক বেঁধে ছিল গোতা জাতি, একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়াও। কারণ বাংলাদেশের জয়ই অজিদের সেমির টিকিট এনে দিতে পারত। গতরাতে ভারতের বিপক্ষে হারের পর অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ তো বলেছিলেনই- 'কাম অন বাংলাদেশ!'

কিন্তু বাংলাদেশ তাও পারল না। পালাক্রমে আউট হয়েছেন তিন পেস বোলার তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ এবং সবশেষে মুস্তাফিজুর রহমান। উইকেটের অপরপ্রান্তে নিরুপায় লিটন তখনও ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে, কোনোভাবে যদি স্ট্রাইক পাওয়া যায় আর দলের জন্য জয়টা ছিনিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু তা হয়নি।

ইতিহাসের দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেকোনো ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করার কীর্তিটা যদিও গড়লেন তিনি। তাতে আর কী আসে যায়! দল তো ম্যাচটাই হেরে গেছে। একইসাথে বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানদের কাছে বাংলাদেশের কখনো না হারার দম্ভটাও ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। চোখের সামনে জন্ম নেওয়া ক্রিকেটীয় জাতিটাকে তারা চলে যেতে দেখল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে!

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

আফগানিস্তানঃ ১১৫/৫ (২০ ওভার); গুরবাজ ৪৩, রশিদ ১৯*; রিশাদ ৩-২৬, তাসকিন ১-১২

বাংলাদেশঃ ১০৫ (১৭.৫ ওভার); লিটন ৫৪*, হৃদয় ১৪; রশিদ ৪-২৩, নাভিন ৪-২৬

ফলাফলঃ আফগানিস্তান ৮ রানে জয়ী (বৃষ্টি আইনে)

ম্যাচসেরাঃ নাভিন-উল-হক

;

সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ টাইগারদের

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার শেষ সম্ভাবনাটাও আর নেই বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রান টাইগারদের টপকাতে হতো ১২.১ ওভারের মধ্যেই। যা করতে ব্যর্থ হলেন টাইগার ব্যাটাররা।

বিশ্বকাপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিল বাংলাদেশ। এখন আর এই রান তাড়া করলেও সেমিফাইনালে যেতে পারবে না। তবে জয়ের সম্ভাবনা এখনও আছে। জয় তুলে নিতে পারলে আফগানিস্তান বিদায় নেবে। অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে সেমিফাইনালে।

পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে আফগানরা বাংলাদেশকে ১১৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল। লক্ষ্যটা বেশ কমই ছিল, এমনকি সেমির টিকিট পেতে বাংলাদেশের এই রান টপকাতে হতো ১২.১ ওভারের মধ্যে। যেটি খুব সম্ভবই ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় তা করে দেখাতে পারল না বাংলাদেশ।

;

সেমিফাইনালে যেতে কী করতে হবে বাংলাদেশকে

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের সুপার এইটের সেমিফাইনালের লড়াইটা জমে উঠেছে ভালোভাবেই। অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান তো বটেই, বাংলাদেশেরও সুযোগ আছে সেমিফাইনালে চলে যাওয়ার।

তিন দলের ভেতর বাংলাদেশের সমীকরণটাই সবচেয়ে কঠিন। আফগানিস্তানেরটা সবচেয়ে সহজ। অস্ট্রেলিয়া আছে ঠিক তার পর। বাংলাদেশ আছে সবার শেষে। 

বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা ১১৬ রানের। সেমিফাইনালে যেতে হলে শান্তদের এই রানটা তুলতে হবে ১২.১ ওভারে। ১২.৩ বা ১২.৫ ওভারেও এই রানটা তুলতে পারে বাংলাদেশ। তবে সেক্ষেত্রে ১১৫ রানে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ৪ অথবা ছক্কা মারতে হবে বাংলাদেশকে।

আফগানিস্তান জিতলে দলটা সরাসরি চলে যাবে সেমিতে। তাদের সামনে কোনো সমীকরণও নেই। স্রেফ একটা জয়, এটাই এক ও অদ্বিতীয় সমীকরণ। 

এদিকে অস্ট্রেলিয়াও তাকিয়ে থাকবে এই ম্যাচে। তারা চাইবে বাংলাদেশ জিতুক, তবে ১২.৫ ওভারের পর। তাহলে নেট রান রেটে বাংলাদেশ পেছনে ফেলতে পারবে না অজিদের। শ্রেয়তর নেট রান রেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে সেমিফাইনালে। এই সমীকরণটা মাথায় রেখে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামবে তো?

;

বাংলাদেশকে আফগানদের ১১৬ রানের চ্যালেঞ্জ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সামনে এখন লক্ষ্যটা ঠিক এমনই। ২০ ওভার হাতে আছে ঠিক। কিন্তু বাংলাদেশকে যদি সেমিফাইনালে যেতে হয়, তাহলে ১১৬ রান তাড়া করতে হবে ১২.১ ওভারে। শুরুতে ব্যাট করা আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ।

টস জিতে আফগানরা শুরুটা করেছিল দেখেশুনে। পাওয়ারপ্লেতে উইকেট দেয়নি বাংলাদেশকে। এরপর দশ ওভার পেরিয়ে গেলেও উইকেটের দেখা পাননি মুস্তাফিজরা। ওদিকে ইবরাহিম জাদরান আর রহমানউল্লাহ গুরবাজ মিলে গড়ে ফেলেন রেকর্ড। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রানের বেশি করে ফেলেন এই বিশ্বকাপে চতুর্থ বারের মতো। এমন কিছু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখেনি আর কখনও।

তবে আফগানরা পথ হারায় এরপরই। রিশাদ হোসেনের বলে জাদরান ফেরার পর থেকে রানের গতি কমতে থাকে দলটার। তার চাপটাই পড়ে দলটার ওপর। পরের তিন ওভারে দলটা তুলতে পারে মোটে ৪ রান। 

এক ওভারে ১৩ রান তুলে সে শেকলটা ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন গুরবাজ। তবে এরপরই তাকে ফেরান রিশাদ। তার আগে মুস্তাফিজ ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। গুরবাজকে ফেরানোর পর রিশাদ ফেরান গুলবাদিন নাইবকেও। এরপর মোহাম্মদ নবীকে যখন সাজঘরের পথ দেখালেন তাসকিন, তখনও তিন অঙ্ক ছোঁয়নি আফগানরা। ছুঁল ১৮.২ ওভার পর। সেখান থেকে দলটা আর কোনো উইকেট না খুইয়ে ১১৫ রান তুলে ইনিংস শেষ করে রশিদ খানের ১০ বলে ১৯ রানের ইনিংসে ভর করে।

;