শান্তদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ রানের লক্ষ্য



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এতে সমতায় ফিরতে এবং সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে নিশ্চিত জয় চায় বাংলাদেশের। বোলারদের দলীয় নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংস শেষে অবশ্য সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সেই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে শুরুটা অবশ্য ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ দিকে মুস্তাফিজ-শরিফুলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আগের ম্যাচের ভেন্যু হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেলে চড়ে শুরুটা বেশ ভালো পায় স্বাগতিকরা। ৩৯ বলে ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। তবে ভালো শুরু পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই বড় ধাক্কা দেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন তিনি। সেখানে টেইলর ফেরেন ৩১ রান করে এবং তিনে নামা আন্দ্রিয়েস গুস ফেরেন রানের খাতা না খুলেই।

সেই চাপ অবশ্য অনায়াসেই সামলে নেয় স্বাগতিকরা। তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ৬০ রানের সময় উপযোগী জুটি গড়েন মোনাঙ্ক। ৩৫ রান করা জোন্সকে ফেরান বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।  

সেখান থেকেই ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য হারাতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। এবার ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন শরিফুল। এবং শেষ পর্যন্ত ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দলটি।

বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও শরিফুল। এর মধ্যে ৪ ওভারে স্রেফ ২১ রান দিয়ে সবচেয়ে কিপটে ইকোনমি রিশাদের।  

   

আমাদের ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে: শান্ত

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুপার এইটের শেষ ম্যাচেও জয়ের দেখা পেল না বাংলাদেশ। খুব কাছে যেয়ে হারার নজির আরও একবার দেখাল তারা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৮ রানের ব্যবধানে হারের স্বাদ পেল টাইগাররা। এই জয়ের মাধ্যমে অস্ট্রেলিয়াকে ছিটকে দিয়ে সেমির টিকিট নিশ্চিত করল আফগানরা।

লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না। জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১৬ রান। আর সেমিফাইনালে যেতে হলে একই লক্ষ্য টপকাতে হতো ১২.১ ওভারে। যা এই সময়ের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হরহামেশাই দেখা যায়।

তবে শেষ পর্যন্ত নিজেদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচটাই হাত থেকে ফসকে গেল নাজমুল শান্তদের। আফগানদের বোলিং তোপের মুখে ১০৫ রানেই সবকটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। যার ফলে ইতিহাস গড়ে সেমির মঞ্চে জায়গা করে নিল আফগানিস্তান।

ম্যাচ শেষে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, ‘আমি মনে করি আমরা ভালো বোলিং করেছি। কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা খারাপ খেলেছি, সিদ্ধান্ত ভালো নেইনি বিশেষ করে মাঝের ওভারে।’

ব্যাটিং ব্যর্থতা দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশ দলকে ভুগিয়ে আসছে, তা অকপটে স্বীকার করলেন শান্ত। নিজেদের ব্যাটিং দুর্দশা নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুরো টুর্নামেন্টে আমরা সত্যিই ভালো বোলিং করেছি, বিশেষ করে রিশাদ, পেসাররা সত্যিই ভালো করেছে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে, টপ অর্ডার ভালো পারফর্ম করতে পারেনি। আমরা ব্যাট হাতে ভালোভাবে খেলতে পারিনি এবং অনেক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

বিশ্বকাপ মিশন এখানেই শেষ হলো বাংলাদেশের। সেমির স্বপ্নভঙ্গ হলেও সমর্থকরা আশা করেছিলেম সুপার এইটে অন্তত একটি ম্যাচে জয়লাভ করার, যা আর করে দেখাতে পারেননি টাইগাররা। সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ভারত, আফগানিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড।

;

বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেও শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়ে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। বোলিং নৈপুণ্যে ৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল রশিদ খানের দল। আফগানদের এই জয়ে সেমির দৌড় থেকে ছিটকে গেল অস্ট্রেলিয়া।

লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না, জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১২০ বলে ১১৬ রান। তবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে এই রানটা ৭৩ বলের মধ্যে টপকাতে হতো টাইগারদের। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যা হরহামেশাই দেখা যায়। এমনটা করতে পারলে ইতিহাসও গড়তে পারত বাংলাদেশ! প্রথমবারের মতো নিজেরা সেমিতে চলে যাওয়ার পাশাপাশি আফগান এবং অজিদের বাদ করতে পারত নাজমুল শান্তর দল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত টাইগার সমর্থকদের হতাশই হতে হলো। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকেও। সুপার এইটের তিন ম্যাচেই হারের স্বাদ পেলেন শান্ত-লিটন-সাকিবরা। টাইগার ব্যাটারদের নিজেদের বোলিং তোপের মুখে ফেলে সব ধরণের সমীকরণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ৮ রানের জয় ছিনিয়ে নিল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের এই হারের ফলে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বকাপের চলতি আসর থেকে বাদ পড়ল অস্ট্রেলিয়াও।

টসে জিতে এদিন শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ১১তম ওভারে ৫৯ রানে ভাঙ্গে ওপেনিং জুটি। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে গুরবাজের ব্যাট থেকেই।

এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গী করে দলের হাল ধরেন জাদরান। ১৬তম ওভারে ভাঙ্গে এই জুটিও। এরপর যেন ব্যাট হাতে বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়ে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বোলাররাও যেন নিজেদের ফর্ম ফিরে পান, দুর্দান্ত বোলিং করে একের পর এক উইকেট শিকার করা শুরু করেন। শেষে রশিদ খানের ১০ বলে অপরাজিত ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংসের মাধ্যমে ১১৫ রান জমা হয় আফগানদের রানের খাতায়।

বাংলাদেশের সামনে সেমির টিকিট পেতে হলে সমীকরণটা ছিল ১১.৪ থেকে ১৩.৪ ওভারের মধ্যে জিততে হবে, লক্ষ্যের ওপর নির্ভর করবে ওভারের মাত্রা। আফগানদের ১১৫ রানে আটকে ফেলার পর তা ঠিক হলো ১২.১ ওভার। বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল সে লক্ষ্যেই, প্রথম ওভারেই লিটন দাস তুললেন ১৩ রান। তবে ওপাশ থেকে তানজিদ তামিম সাজঘরে ফেরত গেলেন, এরপর একে একে গেলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও সাকিব আল হাসানও। বল হাতে দারুণ সাকিব তো ব্যাট হাতে হজম করলেন গোল্ডেন ডাকের লজ্জা।

উইকেটের একপাশে দাঁড়িয়ে সঙ্গীদের আসা যাওয়ার মিছিল দেখছেন লিটন, কি-ই বা করার ছিল তার। একটা সময় সেমির টিকিটের জন্য টাইগারদের দরকার ছিল ১৯ বলে ৪৩ রান। টি-টোয়েন্টির যুগে এই রান তো তাড়া করাই যায়, এমন রেকর্ড তো কতই আছে। কিন্তু বাংলাদেশ পারল না!

ইনিংসের ১০ম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেশসেরা ফিনিশার যাকে বলা হয়, একা হাতে এই বিশ্বকাপেও যিনি দলের জন্য জয় তুলে এনেছেন, সেই তিনিই নুর আহমেদের সেই ওভার থেকে মোটে নিতে পারলেন ৪ রান, যার মাঝে ডটই দিলেন পাঁচটা। সেমির স্বপ্ন তখনই শেষ বাংলাদেশের। এরপর তারা ধুঁকে ধুঁকে এগোতে থাকে ম্যাচটা কোনোমতে জেতার উদ্দেশ্যে।

সেমিফাইনালে না যেতে পারুক, অন্তত জয়টা তুলে নিবে বাংলাদেশ। এমন আশাতে বুক বেঁধে ছিল গোতা জাতি, একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়াও। কারণ বাংলাদেশের জয়ই অজিদের সেমির টিকিট এনে দিতে পারত। গতরাতে ভারতের বিপক্ষে হারের পর অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ তো বলেছিলেনই- 'কাম অন বাংলাদেশ!'

কিন্তু বাংলাদেশ তাও পারল না। পালাক্রমে আউট হয়েছেন তিন পেস বোলার তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ এবং সবশেষে মুস্তাফিজুর রহমান। উইকেটের অপরপ্রান্তে নিরুপায় লিটন তখনও ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে, কোনোভাবে যদি স্ট্রাইক পাওয়া যায় আর দলের জন্য জয়টা ছিনিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু তা হয়নি।

ইতিহাসের দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেকোনো ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করার কীর্তিটা যদিও গড়লেন তিনি। তাতে আর কী আসে যায়! দল তো ম্যাচটাই হেরে গেছে। একইসাথে বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানদের কাছে বাংলাদেশের কখনো না হারার দম্ভটাও ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। চোখের সামনে জন্ম নেওয়া ক্রিকেটীয় জাতিটাকে তারা চলে যেতে দেখল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে!

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

আফগানিস্তানঃ ১১৫/৫ (২০ ওভার); গুরবাজ ৪৩, রশিদ ১৯*; রিশাদ ৩-২৬, তাসকিন ১-১২

বাংলাদেশঃ ১০৫ (১৭.৫ ওভার); লিটন ৫৪*, হৃদয় ১৪; রশিদ ৪-২৩, নাভিন ৪-২৬

ফলাফলঃ আফগানিস্তান ৮ রানে জয়ী (বৃষ্টি আইনে)

ম্যাচসেরাঃ নাভিন-উল-হক

;

সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ টাইগারদের

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার শেষ সম্ভাবনাটাও আর নেই বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রান টাইগারদের টপকাতে হতো ১২.১ ওভারের মধ্যেই। যা করতে ব্যর্থ হলেন টাইগার ব্যাটাররা।

বিশ্বকাপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিল বাংলাদেশ। এখন আর এই রান তাড়া করলেও সেমিফাইনালে যেতে পারবে না। তবে জয়ের সম্ভাবনা এখনও আছে। জয় তুলে নিতে পারলে আফগানিস্তান বিদায় নেবে। অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে সেমিফাইনালে।

পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে আফগানরা বাংলাদেশকে ১১৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল। লক্ষ্যটা বেশ কমই ছিল, এমনকি সেমির টিকিট পেতে বাংলাদেশের এই রান টপকাতে হতো ১২.১ ওভারের মধ্যে। যেটি খুব সম্ভবই ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় তা করে দেখাতে পারল না বাংলাদেশ।

;

সেমিফাইনালে যেতে কী করতে হবে বাংলাদেশকে

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের সুপার এইটের সেমিফাইনালের লড়াইটা জমে উঠেছে ভালোভাবেই। অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান তো বটেই, বাংলাদেশেরও সুযোগ আছে সেমিফাইনালে চলে যাওয়ার।

তিন দলের ভেতর বাংলাদেশের সমীকরণটাই সবচেয়ে কঠিন। আফগানিস্তানেরটা সবচেয়ে সহজ। অস্ট্রেলিয়া আছে ঠিক তার পর। বাংলাদেশ আছে সবার শেষে। 

বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা ১১৬ রানের। সেমিফাইনালে যেতে হলে শান্তদের এই রানটা তুলতে হবে ১২.১ ওভারে। ১২.৩ বা ১২.৫ ওভারেও এই রানটা তুলতে পারে বাংলাদেশ। তবে সেক্ষেত্রে ১১৫ রানে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ৪ অথবা ছক্কা মারতে হবে বাংলাদেশকে।

আফগানিস্তান জিতলে দলটা সরাসরি চলে যাবে সেমিতে। তাদের সামনে কোনো সমীকরণও নেই। স্রেফ একটা জয়, এটাই এক ও অদ্বিতীয় সমীকরণ। 

এদিকে অস্ট্রেলিয়াও তাকিয়ে থাকবে এই ম্যাচে। তারা চাইবে বাংলাদেশ জিতুক, তবে ১২.৫ ওভারের পর। তাহলে নেট রান রেটে বাংলাদেশ পেছনে ফেলতে পারবে না অজিদের। শ্রেয়তর নেট রান রেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে সেমিফাইনালে। এই সমীকরণটা মাথায় রেখে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামবে তো?

;