লাথামের সেঞ্চুরি, ইয়াংকে ফেরালেন শরিফুল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টম লাথাম ও উইল ইয়াং

টম লাথাম ও উইল ইয়াং

  • Font increase
  • Font Decrease

সবুজ উইকেটের সুবিধাটা নিতে টস জিতেই বোলিং বেছে নেন টাইগার ক্যাপ্টেন মুমিনুল হক। কিন্তু কাজের কাজ তেমন কিছু হয়নি। উল্টো সুবিধাটা নিচ্ছে নিউজিল্যান্ড। 

শুরু থেকেই অসাধারণ দৃঢ়তা দেখিয়ে গেছেন দুই কিউই ওপেনার। অধিনায়ক টম লাথাম ব্যাটিং ঝলকে আদায় করে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। ক্যারিয়ারের দ্বাদশ টেস্ট শতক হাঁকিয়ে এখনও ব্যাটিং করে যাচ্ছেন লাথাম (১০৫* ব্যাটিং)।

তবে ফিফটি করে ফিরেছেন লাথামের ওপেনিং পার্টনার উইল ইয়াং। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপে প্রথম ছোবলটা মেরেছেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তার ছোঁড়া বলে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেছেন ইয়াং। তবে তার আগে ১১৪ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৫৪ রান নিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। ১৪৮ রানে থামে লাথামের সঙ্গে তার উদ্বোধনী পার্টনারশিপ। 

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের দলীয় স্কোর দাঁড়িয়েছে এক উইকেট হারিয়ে ১৭৫ রান।

এবারের নিউজিল্যান্ড সফরে টস ভাগ্যটা দারুণ পয়া মুমিনুল হকের জন্য। প্রথম টেস্টের মতো দ্বিতীয় টেস্টেও টস ভাগ্য সহায় হয়েছে তার। ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে বোলিং বেছে নিয়েছেন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। হ্যাগলি ওভালের সবুজ উইকেটের ফায়দা লুটতে শুরুতেই বল হাতে মাঠে নেমেছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। 

একাদশে দুটি বদল নিয়ে ফিল্ডিংয়ে নেমেছেন টাইগাররা। আঙুলের চোট নিয়ে মাঠের লড়াই থেকে ছিটকে গেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। তার বদলে ওপেনিংয়ে সাদমান ইসলামের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাঈম। আর কুঁচকির চোট নিয়ে দর্শক বনে গেছেন মুশফিকুর রহিম। তারকা এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের বদলে দলে জায়গা করে নিয়েছেন নুরুল হাসান সোহান।

স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডের একাদশেও এসেছে একটি পরিবর্তন। রাচিন রবীন্দ্রের জায়গায় দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ড্যারিল মিচেল।

এই ম্যাচ খেলেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেবেন রস টেলর। বিদায়ী টেস্ট নিয়ে খানিকটা হলেও আবেগতাড়িত নিউজিল্যান্ডের এ সিনিয়র ক্রিকেটার। তবে তার চোখে নেই জল। পুরো পরিবার নিয়ে মাঠে এসেছেন তিনি। টেলরের সঙ্গী হয়েছেন তার স্ত্রী ও সন্তানরা। 

মাউন্ট মাউঙ্গানুইয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্সে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমটি জিতে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টে ড্র করলেও সিরিজ জিতে নিবে সফরকারীরা। আর জিতলে তো কথাই নেই। তবে যে করেই হোক এ ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতায় ফিরতে চায় ব্ল্যাক ক্যাপস শিবির। সিরিজ বাঁচিয়ে কিউইরা সংগ্রহ করতে চায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মূল্যবান পয়েন্ট।

বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, মোহাম্মদ নাঈম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মমিনুল হক (অধিনায়ক), নুরুল হাসান, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন ও শরিফুল ইসলাম।

নিউজিল্যান্ড একাদশ: টম লাথাম (অধিনায়ক), উইল ইয়াং, ডেভন কনওয়ে, রস টেলর, হেনরি নিকোলস, টম ব্লান্ডেল (উইকেটরক্ষক), ড্যারিল মিচেল, কাইল জেমিসন, টিম সাউদি, নেইল ওয়াগনার ও ট্রেন্ট বোল্ট।

   

বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করেও শেষ পর্যন্ত জয় তুলে নিয়ে ব্যর্থ হলো বাংলাদেশ। বোলিং নৈপুণ্যে ৮ রানের জয় তুলে নিয়েছে আফগানিস্তান। এই জয়ের মাধ্যমে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করল রশিদ খানের দল। আফগানদের এই জয়ে সেমির দৌড় থেকে ছিটকে গেল অস্ট্রেলিয়া।

লক্ষ্যটা খুব বেশি বড় ছিল না, জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১২০ বলে ১১৬ রান। তবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে এই রানটা ৭৩ বলের মধ্যে টপকাতে হতো টাইগারদের। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে যা হরহামেশাই দেখা যায়। এমনটা করতে পারলে ইতিহাসও গড়তে পারত বাংলাদেশ! প্রথমবারের মতো নিজেরা সেমিতে চলে যাওয়ার পাশাপাশি আফগান এবং অজিদের বাদ করতে পারত নাজমুল শান্তর দল।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত টাইগার সমর্থকদের হতাশই হতে হলো। সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকেও। সুপার এইটের তিন ম্যাচেই হারের স্বাদ পেলেন শান্ত-লিটন-সাকিবরা। টাইগার ব্যাটারদের নিজেদের বোলিং তোপের মুখে ফেলে সব ধরণের সমীকরণকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ৮ রানের জয় ছিনিয়ে নিল আফগানিস্তান। বাংলাদেশের এই হারের ফলে বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বকাপের চলতি আসর থেকে বাদ পড়ল অস্ট্রেলিয়াও।

টসে জিতে এদিন শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। ব্যাট হাতে শুরুটা দারুণ করেন দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। ১১তম ওভারে ৫৯ রানে ভাঙ্গে ওপেনিং জুটি। দলের হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে গুরবাজের ব্যাট থেকেই।

এরপর আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে সঙ্গী করে দলের হাল ধরেন জাদরান। ১৬তম ওভারে ভাঙ্গে এই জুটিও। এরপর যেন ব্যাট হাতে বেশ নড়বড়ে হয়ে পড়ে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের বোলাররাও যেন নিজেদের ফর্ম ফিরে পান, দুর্দান্ত বোলিং করে একের পর এক উইকেট শিকার করা শুরু করেন। শেষে রশিদ খানের ১০ বলে অপরাজিত ১৯ রানের ক্যামিও ইনিংসের মাধ্যমে ১১৫ রান জমা হয় আফগানদের রানের খাতায়।

বাংলাদেশের সামনে সেমির টিকিট পেতে হলে সমীকরণটা ছিল ১১.৪ থেকে ১৩.৪ ওভারের মধ্যে জিততে হবে, লক্ষ্যের ওপর নির্ভর করবে ওভারের মাত্রা। আফগানদের ১১৫ রানে আটকে ফেলার পর তা ঠিক হলো ১২.১ ওভার। বাংলাদেশ শুরুটা করেছিল সে লক্ষ্যেই, প্রথম ওভারেই লিটন দাস তুললেন ১৩ রান। তবে ওপাশ থেকে তানজিদ তামিম সাজঘরে ফেরত গেলেন, এরপর একে একে গেলেন অধিনায়ক নাজমুল শান্ত ও সাকিব আল হাসানও। বল হাতে দারুণ সাকিব তো ব্যাট হাতে হজম করলেন গোল্ডেন ডাকের লজ্জা।

উইকেটের একপাশে দাঁড়িয়ে সঙ্গীদের আসা যাওয়ার মিছিল দেখছেন লিটন, কি-ই বা করার ছিল তার। একটা সময় সেমির টিকিটের জন্য টাইগারদের দরকার ছিল ১৯ বলে ৪৩ রান। টি-টোয়েন্টির যুগে এই রান তো তাড়া করাই যায়, এমন রেকর্ড তো কতই আছে। কিন্তু বাংলাদেশ পারল না!

ইনিংসের ১০ম ওভারে স্ট্রাইকে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দেশসেরা ফিনিশার যাকে বলা হয়, একা হাতে এই বিশ্বকাপেও যিনি দলের জন্য জয় তুলে এনেছেন, সেই তিনিই নুর আহমেদের সেই ওভার থেকে মোটে নিতে পারলেন ৪ রান, যার মাঝে ডটই দিলেন পাঁচটা। সেমির স্বপ্ন তখনই শেষ বাংলাদেশের। এরপর তারা ধুঁকে ধুঁকে এগোতে থাকে ম্যাচটা কোনোমতে জেতার উদ্দেশ্যে।

সেমিফাইনালে না যেতে পারুক, অন্তত জয়টা তুলে নিবে বাংলাদেশ। এমন আশাতে বুক বেঁধে ছিল গোতা জাতি, একইসঙ্গে অস্ট্রেলিয়াও। কারণ বাংলাদেশের জয়ই অজিদের সেমির টিকিট এনে দিতে পারত। গতরাতে ভারতের বিপক্ষে হারের পর অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ তো বলেছিলেনই- 'কাম অন বাংলাদেশ!'

কিন্তু বাংলাদেশ তাও পারল না। পালাক্রমে আউট হয়েছেন তিন পেস বোলার তানজিম সাকিব, তাসকিন আহমেদ এবং সবশেষে মুস্তাফিজুর রহমান। উইকেটের অপরপ্রান্তে নিরুপায় লিটন তখনও ব্যাট হাতে দাঁড়িয়ে, কোনোভাবে যদি স্ট্রাইক পাওয়া যায় আর দলের জন্য জয়টা ছিনিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু তা হয়নি।

ইতিহাসের দ্বিতীয় ওপেনার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেকোনো ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করার কীর্তিটা যদিও গড়লেন তিনি। তাতে আর কী আসে যায়! দল তো ম্যাচটাই হেরে গেছে। একইসাথে বিশ্বকাপের মঞ্চে আফগানদের কাছে বাংলাদেশের কখনো না হারার দম্ভটাও ভেঙে চুরমার হয়ে গেল। চোখের সামনে জন্ম নেওয়া ক্রিকেটীয় জাতিটাকে তারা চলে যেতে দেখল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে!

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

আফগানিস্তানঃ ১১৫/৫ (২০ ওভার); গুরবাজ ৪৩, রশিদ ১৯*; রিশাদ ৩-২৬, তাসকিন ১-১২

বাংলাদেশঃ ১০৫ (১৭.৫ ওভার); লিটন ৫৪*, হৃদয় ১৪; রশিদ ৪-২৩, নাভিন ৪-২৬

ফলাফলঃ আফগানিস্তান ৮ রানে জয়ী (বৃষ্টি আইনে)

ম্যাচসেরাঃ নাভিন-উল-হক

;

সেমিফাইনালের স্বপ্ন শেষ টাইগারদের

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেমিফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার শেষ সম্ভাবনাটাও আর নেই বাংলাদেশের। আফগানিস্তানের দেওয়া ১১৬ রান টাইগারদের টপকাতে হতো ১২.১ ওভারের মধ্যেই। যা করতে ব্যর্থ হলেন টাইগার ব্যাটাররা।

বিশ্বকাপ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নিল বাংলাদেশ। এখন আর এই রান তাড়া করলেও সেমিফাইনালে যেতে পারবে না। তবে জয়ের সম্ভাবনা এখনও আছে। জয় তুলে নিতে পারলে আফগানিস্তান বিদায় নেবে। অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে সেমিফাইনালে।

পুরো ২০ ওভার ব্যাটিং করে আফগানরা বাংলাদেশকে ১১৬ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছিল। লক্ষ্যটা বেশ কমই ছিল, এমনকি সেমির টিকিট পেতে বাংলাদেশের এই রান টপকাতে হতো ১২.১ ওভারের মধ্যে। যেটি খুব সম্ভবই ছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং ব্যর্থতায় তা করে দেখাতে পারল না বাংলাদেশ।

;

সেমিফাইনালে যেতে কী করতে হবে বাংলাদেশকে

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের সুপার এইটের সেমিফাইনালের লড়াইটা জমে উঠেছে ভালোভাবেই। অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান তো বটেই, বাংলাদেশেরও সুযোগ আছে সেমিফাইনালে চলে যাওয়ার।

তিন দলের ভেতর বাংলাদেশের সমীকরণটাই সবচেয়ে কঠিন। আফগানিস্তানেরটা সবচেয়ে সহজ। অস্ট্রেলিয়া আছে ঠিক তার পর। বাংলাদেশ আছে সবার শেষে। 

বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যটা ১১৬ রানের। সেমিফাইনালে যেতে হলে শান্তদের এই রানটা তুলতে হবে ১২.১ ওভারে। ১২.৩ বা ১২.৫ ওভারেও এই রানটা তুলতে পারে বাংলাদেশ। তবে সেক্ষেত্রে ১১৫ রানে দাঁড়িয়ে যথাক্রমে ৪ অথবা ছক্কা মারতে হবে বাংলাদেশকে।

আফগানিস্তান জিতলে দলটা সরাসরি চলে যাবে সেমিতে। তাদের সামনে কোনো সমীকরণও নেই। স্রেফ একটা জয়, এটাই এক ও অদ্বিতীয় সমীকরণ। 

এদিকে অস্ট্রেলিয়াও তাকিয়ে থাকবে এই ম্যাচে। তারা চাইবে বাংলাদেশ জিতুক, তবে ১২.৫ ওভারের পর। তাহলে নেট রান রেটে বাংলাদেশ পেছনে ফেলতে পারবে না অজিদের। শ্রেয়তর নেট রান রেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে যাবে সেমিফাইনালে। এই সমীকরণটা মাথায় রেখে বাংলাদেশ ব্যাট করতে নামবে তো?

;

বাংলাদেশকে আফগানদের ১১৬ রানের চ্যালেঞ্জ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সামনে এখন লক্ষ্যটা ঠিক এমনই। ২০ ওভার হাতে আছে ঠিক। কিন্তু বাংলাদেশকে যদি সেমিফাইনালে যেতে হয়, তাহলে ১১৬ রান তাড়া করতে হবে ১২.১ ওভারে। শুরুতে ব্যাট করা আফগানিস্তানকে ১১৫ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ।

টস জিতে আফগানরা শুরুটা করেছিল দেখেশুনে। পাওয়ারপ্লেতে উইকেট দেয়নি বাংলাদেশকে। এরপর দশ ওভার পেরিয়ে গেলেও উইকেটের দেখা পাননি মুস্তাফিজরা। ওদিকে ইবরাহিম জাদরান আর রহমানউল্লাহ গুরবাজ মিলে গড়ে ফেলেন রেকর্ড। ওপেনিং জুটিতে ৫০ রানের বেশি করে ফেলেন এই বিশ্বকাপে চতুর্থ বারের মতো। এমন কিছু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখেনি আর কখনও।

তবে আফগানরা পথ হারায় এরপরই। রিশাদ হোসেনের বলে জাদরান ফেরার পর থেকে রানের গতি কমতে থাকে দলটার। তার চাপটাই পড়ে দলটার ওপর। পরের তিন ওভারে দলটা তুলতে পারে মোটে ৪ রান। 

এক ওভারে ১৩ রান তুলে সে শেকলটা ভাঙার চেষ্টা করেছিলেন গুরবাজ। তবে এরপরই তাকে ফেরান রিশাদ। তার আগে মুস্তাফিজ ফেরান আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। গুরবাজকে ফেরানোর পর রিশাদ ফেরান গুলবাদিন নাইবকেও। এরপর মোহাম্মদ নবীকে যখন সাজঘরের পথ দেখালেন তাসকিন, তখনও তিন অঙ্ক ছোঁয়নি আফগানরা। ছুঁল ১৮.২ ওভার পর। সেখান থেকে দলটা আর কোনো উইকেট না খুইয়ে ১১৫ রান তুলে ইনিংস শেষ করে রশিদ খানের ১০ বলে ১৯ রানের ইনিংসে ভর করে।

;