পিএসজির দুই ক্লাব-সতীর্থের হাতেই দুই দলের বিশ্বকাপ-ভাগ্য
‘মরুর বুকে বিশ্ব কাঁপে’লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে; একজন আর্জেন্টিনার স্বপ্নসারথি, আরেকজন ফ্রান্সের। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত খেলছেন দুজনই। দলকে জেতাতে রাখছেন সরাসরি ভূমিকা; করছেন গোল, করাচ্ছেন গোল। ফাইনালে তাদের দুজনের ভূমিকাই নির্ধারণ করে দিতে পারে দুই দলের বিশ্বকাপ-ভাগ্য।
মেসি ও এমবাপে দুজনই ফ্রান্সের লিগ ওয়ানের প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ে (পিএসজি) খেলেন। এই ক্লাবটি আবার অরিক্স কাতার ইনভেস্টমেন্টের মালিকানাধীন, যার সভাপতি নাসের আল খেলাইফি, যিনি পিএসজিরও চেয়ারম্যান।
ক্লাবে মেসি-এমবাপে দুই সতীর্থ এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে। ফাইনালে জিতবেন একজনই; হয় এমবাপে, নয়তো মেসি। বিশ্বকাপের দুইদিন পর চব্বিশ হতে যাওয়া কিলিয়ান এমবাপে ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপ জিতেছেন; এদিকে আগামী পঁয়ত্রিশের লিওনেল মেসি এখনও জিততে পারেননি বিশ্বকাপ।
কাতার বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৬ ম্যাচ খেলে দুজনই করেছেন সমান ৫ গোল করে। অ্যাসিস্টে আবার এগিয়ে মেসি। আর্জেন্টাইন মহাতারকা যেখানে ৩ অ্যাসিস্ট করেছেন সেখানে এমবাপের অ্যাসিস্ট সংখ্যা ২।
বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির ৫ গোলের মধ্যে ৩টিই এসেছে পেনাল্টি থেকে, পোল্যান্ডের বিপক্ষে একটি পেনাল্টি মিসও করেছেন তিনি। মেসি গ্রুপ পর্যায়ে সৌদি আরবের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করার পর গোল করেছিলেন মেক্সিকোর বিপক্ষেও। শেষ ষোলোতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে, কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে এবং সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করেছেন মেসি।
এদিকে কিলিয়ান এমবাপের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম গোল করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে জোড়া গোল করেন। শেষ ষোলোতে পোল্যান্ডের বিপক্ষে ফের জোড়া গোল করার পর কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালে গোলের দেখা পাননি এমবাপে।
লিওনেল মেসি এবারের আসরসহ ৫টি বিশ্বকাপে ২৫ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ১১টি, সঙ্গে আছে ৬টি অ্যাসিস্ট। হলুদ কার্ড দেখেছেন ২ বার। অন্যদিকে, কিলিয়ান এমবাপে এবারের আসরসহ ২টি বিশ্বকাপে ১৩ ম্যাচ খেলে গোল করেছেন ৯টি, সঙ্গে আছে ২টি অ্যাসিস্ট। হলুদ কার্ড দেখেছেন ২ বার।