যে এবং যার নির্দেশে বিজয় এশিয়া কাপের দলে!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এনামুল হক বিজয়

এনামুল হক বিজয়

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ক্রিকেট অঙ্গনের সঙ্গে কোথায় যেন রাজনীতিরও একটা বড় মিল! রাজনীতির মতো এখানেও শেষ কথা বলে যেন কিছু নেই! কখন যে কী হয়, কার পৌষমাস আর কার সর্বনাশ আগাম আন্দাজ করার সুযোগ নেই। এমন কী যারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেয়ারে বসে তাদের এড়িয়েও চলে আসে চমক! বিস্ময়কর হলেও সত্য এনামুল হক বিজয়ের এশিয়া কাপ দলে জায়গা পাওয়ার ব্যাপারটিতে তেমন ঘটনাই ঘটেছে!

এভাবে হঠাৎ ডাক মিলবে জাতীয় দল থেকে খোদ বিজয়ও হয়তো অনুমান ও করেননি। করবেনই বা কী করে তিনি ছিলেন না এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের ভাবনায় গড়া ৩২ জনের প্রাথমিক দলে। মূল স্কোয়াড ঘোষণার পর স্ট্যান্ডবাই তালিকায়ও ছিলেন না এই ওপেনার। এমন কী বিশ্বকাপের ভাবনা রেখে যে ৮ ক্রিকেটার বিশেষ নজর পাচ্ছেন সেখানেও নেই তার নাম। তারপরও ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান খেলতে গেলেন এশিয়া কাপে। এমন কী রোববার আফগানিস্তানের বিপক্ষে মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার একাদশে থাকাটাও প্রায় নিশ্চিত!

অথচ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে খবর মিলল এনামুল হক বিজয়ের জাতীয় দলে অন্তর্ভুক্তিটা ঠিকঠাক প্রক্রিয়ায় হয়নি। লিটন কুমার দাস জ্বর নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিসিবিতে। নানাজনের নানা কথায় বিভ্রান্ত হয়ে অনেকটা চটজলদি বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে এসেছে এই সিদ্ধান্ত। অথচ বিজয় যখন শ্রীলঙ্কার পথে উড়াল দিলেন তারপরই নিশ্চিত হলো- লিটন সুস্থ!

বিসিবির শীর্ষ পর্যায় থেকে বিজয়ের যে অন্তর্ভুক্তির যে সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে সেই সম্পর্কে নির্বাচক প্যানেলও অবগত ছিলেন না। বড়কর্তারা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, আর নির্বাচক প্যানেল শুধু বিজয়ের নামটা ঘোষণা করেছে!
বিসিবির একটি সূত্র বার্তা ২৪-কে যেমনটা বলছে, 'দেখুন, বিজয় যে জাতীয় দলে জায়গা পেতে যাচ্ছেন লিটনের জায়গায় সেটি নির্বাচক প্যানেলও জানতো না। অনেকটা প্যানিক হয়ে টপ অফিসিয়ালরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাপারটায় নির্বাচক প্যানেল ও বিস্মিত হয়েছে। টপ অফিসিয়ালরা এটা যদি না বুঝেন তবে সামনে এমনটা হতেই থাকবে। স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশটা থাকছে না বোর্ডে।'

অবশ্য ক্রিকেট বোর্ডে এই সমস্যাটা নতুন নয়। দীর্ঘদিন ধরেই টপ অফিসিয়ালরা নানাজনের নানা পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। অথচ যাদের পরামর্শ নেওয়ার কথা ছিল তাদের অবজ্ঞা করছেন। এর আগে এমন অবজ্ঞার কারণেই নির্বাচক প্যানেল থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন ফারুক আহমেদ।

অবশ্য লিটনের জায়গায় ডানহাতি একজন ওপেনার খুঁজতে গিয়ে তেমন বিকল্পও ছিল না বিসিবির হাতে। জাকির হাসান বাঁহাতি। লড়াইয়ে তিনি ছিলেন না। সেক্ষেত্রে আলোচনায় না থাকলেও এনামুল হক বিজয়ের জন্য ফের খুলতে হয়েছে জাতীয় দলের দরজা। তবে তাকে যে প্রক্রিয়ায় ডাকা হয়েছে সেটি নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন! তাছাড়া লিটন যেখানে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সেখানে তড়িগড়ি করে বিজয়কে এশিয়া কাপ দলে নেওয়ার কারণটাও বুঝতে পারছেন না অনেকে!

যেমনটা বলা হচ্ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ কথা বলে কিছু নেই। এই একটা কারণেই আশায় বুক বাঁধতে পারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এশিয়া কাপে সাকিব আল হাসানের দল প্রথম ম্যাচটা শ্রীলঙ্কার কাছে দলটা যেভাবে হেরেছে তাতে নাম্বার সেভেন রিয়াদের বিকল্প কোথায়? যে দলটা ৫০ ওভার খেলতে পারে না, সেই দল বিশ্বকাপ মিশনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে অবজ্ঞা করবে কী করে? এমন কী ওপেনিংয়েও তামিম ইকবালকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো ওপেনারও নেই সাকিব-চন্ডিকা হাথুরুসিংহের হাতে!

প্রায় সব হিসেবের বাইরে চলে যাওয়া মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এই সেপ্টেম্বরেই নিউজিল্যান্ড সিরিজের দলেই ফিরলে এখন আর অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!

   

বাংলাদেশ দলকে বিদায় বললেন নাফিস



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ দলের লজিস্টিক ম্যানেজার নাফিস ইকবাল। সে কাজের দায়িত্ব হিসেবে সিরিজ চলাকালীন সময়ে দলের সঙ্গেই থাকতে হয় তার। তবে বিশ্বকাপ যাত্রার ঠিক আগের দিন, যখন ম্যাচ চলছে বাংলাদেশের, ঠিক তখন দল ছেড়ে চলে গেছেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের ঘটনা এটি। ম্যাচ শুরুর সময় খেলোয়াড়ের তালিকায় তার সাক্ষর ছিল। ছিলেন মাঠেও। কিন্তু বাংলাদেশ ইনিংস চলাকালেই তিনি মাঠ ছেড়ে বাসায় চলে যান।

গণমাধ্যমকে তিনি এটাও জানিয়েছেন, বিশ্বকাপেও দলের সঙ্গে থাকবেন না তিনি। যদিও এ বিষয়ে বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছুই জানায়নি।

২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান সাব্বির খান। ২০২১ সালের পাকিস্তান সিরিজ থেকে নাফিস ইকবাল বাংলাদেশ দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

;

বিশ্বকাপে তামিম নেই, মানতে পারছে না বন্দরনগরীর মানুষ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম চট্টগ্রাম ব্যুরো
তামিম ইকবাল। ছবি : সংগৃহীত

তামিম ইকবাল। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শহরের কাজির দেউড়ি মোড় থেকে এক মিনিট দক্ষিণে হাঁটলেই পশ্চিমে মুখ করে থাকা ছোট্ট গলিপথ। সেই গলি ধরে দুই পা সামনে বাড়ালেই চোখের সামনে ধরা দেবে চট্টগ্রামের ক্রিকেট আবেগের সবচেয়ে বড় ঠিকানাটি!

লাল রঙের টাইলসে মোড়ানো পাঁচতলা ভবনটিই যে শহরের বিখ্যাত বাসিন্দা আকরাম খান, নাফিস ইকবাল আর তামিম ইকবালের বাড়ি। দুই যুগ ধরে ওয়ানডে বিশ্বকাপ মানেই ছিল এই ভবনের কারও না কারও উপস্থিতি।

আসন্ন বিশ্বকাপের দল থেকে তামিম ইকবাল বাদ পড়ায় আপাতত সেই বহুদিনের চেনা দৃশ্যের যবনিকা ঘটল। আকরাম-নাফিসের নাম তো বহু আগেই অতীতের ধুলোজমা পাতায়। এবার তাদের পথ ধরে কি স্মৃতি হয়ে গেলেন তামিমও।

মনে আছে নিশ্চয়ই, ২৬ বছর আগে পুরো দেশ প্রথম আইসিসি ট্রফি জয়ের আনন্দ ভেসেছিল এই বাড়ির প্রথম প্রতিনিধি আকরাম খানের হাত ধরেই। ১৯৯৭ সালের সেই ট্রফি জয়ই তো বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের মঞ্চে।

আর ১৯৯৯ সালের সেই বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েই পাকিস্তানকে হারিয়ে ইতিহাসের পাতায় সোনার হরফে নাম লিখিয়েছিল বাংলাদেশ।

একবছর আগে নিঃশব্দে সরে দাঁড়িয়েছিলেন টি-টোয়েন্টি থেকে। ফেসবুকে ছোট্ট বার্তা দিয়ে বিদায় বলেছিলেন ক্রিকেটের ছোট সংস্করণকে।

বছর পেরিয়ে আরেকটা জুলাই আসতেই নিজস্ব সেই ‘তামিম ভঙ্গিতেই' আচমকা সংবাদ সম্মেলন ডেকে জানিয়ে দেন, জাতীয় দলের জার্সিতে আর দেখা যাবে না তাকে। অবশ্য গত ৬ জুলাই নেওয়া অবসরের সেই সিদ্ধান্ত থেকে তামিম পরদিন ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে। কথা ছিল বিশ্বকাপে খেলবেন। কিন্তু, সেটি আর হলো কই!

পুরো নাম তামিম ইকবাল খান হলেও চট্টগ্রামের মানুষ তাদের গর্বিত সন্তানকে ভালোবেসে ডাকেন ‘খান সাহেব!’ নিজেদের শহরে আলো-হাওয়ায় বেড়ে ওঠা এমন এক কিংবদন্তীকে এভাবে ছুঁড়ে ফেলা তাই মানতে পারছে না বন্দরনগরীর মানুষ।

তামিমকে রাখা হবে না বিশ্বকাপের স্কোয়াডে-এমন শঙ্কার মেঘটা চট্টগ্রামের মানুষদের মনে উড়াউড়ি করছিল মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই। সেই শঙ্কার মেঘটা যেন বৃষ্টি হয়ে ঝরল-রাত ৮টা ১৬ মিনিটে।

বিসিবির ফেসবুক পেজ ও ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা গেলো বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জার্সি উন্মোচন করছেন দলে সুযোগ পাওয়া খেলোয়াড়েরা। জার্সি হাতে খেলোয়াড়েরা ভিডিওতে নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করেন। সেই ভিডিওটা যখন প্রকাশ হচ্ছিল তখন তামিমের ক্রিকেটার হওয়ার আঁতুড়ঘর নগরীর কাজির দেউড়ির আউটার স্টেডিয়ামে তার ভক্তদের থিকথিকে ভিড়। কারো চোখ স্যাঁতসেঁতে, কারও মুখ বিষণ্ন।

সেই দলে ছিলেন জসিম উদ্দিনও। ত্রিশ ছুঁইছুঁই বছরের এই চা দোকানি বলেন, ‘কৈশোরে আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে দেখে দেখে আমার মতো অনেকের ক্রিকেটপ্রেমের শুরু। সেই প্রেম গভীর হয়েছে তামিম ইকবালের ব্যাটে চড়ে। বাংলাদেশকে কি-ই না দিয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবুও কেন তাকে এভাবে বাদ দেওয়া হলো? অর্ধেক ফিটের তামিমও তো বাকি ওপেনারদের চেয়ে দুর্দান্ত। আজ থেকে ঠিকই বাংলাদেশ দলকে সমর্থন করে যাবো, কিন্তু দেশের জার্সিতে তামিমকে দেখার যে সুখ সেটি তো ফাঁকাই থাকবে।’

তামিমের বাড়ির পাশের কাজির দেউড়ি এলাকার নিয়মিত রিকশা চালানো আল আমিনের কণ্ঠও বুজে আসছে। চট্টগ্রামের ভাষায় তিনি বলছিলেন, ‘আঁরার খান সাহেবরে বিশ্বকাপত ন দেইক্কম, মানিত ন পারির। ক্রিকেটপাগল চট্টগ্রামের মানুষের জীবনত এর চেয়ে বড় দুঃখের দিন আর ন আইয়্যে!’

অবশ্য কেউ কেউ তামিমকে বাদ দেয়ার পেছনে ‘ষড়যন্ত্র তত্বও’ সামনে আনছেন।

কলেজ শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তামিমকে বাদ দেওয়া হয়েছে পরিকল্পিতভাবে। আগের রাতে বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হোসেন পাপনের সঙ্গে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের গোপন সভাতেই মূলত তামিমকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার বাস্তবায়ন করা হয়। শোনা যাচ্ছে, তামিমের চোট নিয়ে সাকিবের পাশাপাশি কোচ হাথুরুসিংহেও ক্ষুব্ধ ছিলেন বাঁহাতি ওপেনারের ওপর। এই শ্রীলঙ্কান কোচ তার চাকরির প্রথম দফায় মুমিনুল হককে ছুঁড়ে ফেলেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এখন পুনরায় ফিরে এসে তিনি সেই পুরনো খেলা আবার শুরু করেছেন কিনা সেটা দেখার বিষয়।’

সরকারি হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী মাইমুন উদ্দিনও মনে করেন তেমন কিছুই। তিনি বলেন, ‘তামিম ইকবালকে বাদ দিয়ে বিশ্বকাপ দল কোনোভাবেই মানতে পারছি না। তাকে দলে না রাখতে চাইছিল একটা পক্ষ। এখন ইনজুরি ইস্যু সামনে এনে ছুঁড়ে ফেলল তারা।’

তামিমকে চট্টগ্রামের মানুষের মিস করার কারণ একটু বেশিই। কেননা, নান্নু, আকরামের পর বলতে গেলে চট্টগ্রামের ক্রিকেট পতাকাটা পনেরো বছর ধরে একাই উড়িয়ে যাচ্ছেন তামিম। অবশ্য তার আগে আফতাব আহমেদ, নাফিস ইকবাল, নাজিম উদ্দিনের ব্যাটের ফল্গুধারায় অনেকবারই হাসি ফুটেছে চট্টগ্রামের মানুষদের মুখে। কিন্তু, সেই হাসির স্থায়ীত্ব ক্ষণস্থায়ীই ছিল। সেই দিক দিয়ে লম্বা সময় তামিমের ব্যাটিংয়েই ধন্য হয়েছেন বন্দরনগরীর মানুষ।

তামিমের পর এই শহরের নাঈম হাসান, ইয়াসির আলী রাব্বীরা জাতীয় দলে সুযোগ পেলেও এখনো পায়ের তলার মাটি শক্ত করতে পারেনি কেউই। সেজন্য তামিমকে বিশ্বকাপের দলে না রাখায় শহরের মানুষের মন খারাপটা একটু বেশিই হচ্ছে।

ভক্তদের শঙ্কার মেঘটা আরও ডালপালা ছড়াচ্ছে এখন। তাদের মনে এখন একটাই প্রশ্ন-চট্টগ্রামের কৃতী সন্তানকে কি আর দেখা যাবে বাইশগজে? নাকি এখানেই শেষ, সব শেষ!

;

বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা, ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ



বার্তা২৪ স্পোর্টস
বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গতকাল থেকে চলা গুঞ্জনই সত্যি হলো। অভিজ্ঞ ওপেনার তামিম ইকবালকে ছাড়াই ভারতে অনুষ্ঠেয় টুর্নামেন্টটি খেলতে যাচ্ছে সাকিব বাহিনী। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ওয়ানডে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

তামিম ইকবালকে ছাড়াই বিশ্বকাপে যাচ্ছে বাংলাদেশ, বিষয়টা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার জানা গেল পুরো স্কোয়াড। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এক ভিডিওতে ঘোষণা করেছে বিশ্বকাপের স্কোয়াড। সেখানে দেখা গেছে, ১৫ জনের এই দলে আছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।


তামিম ইকবালের জায়গায় ওপেনার হিসেবে বিশ্বকাপে যাচ্ছেন আরেক ‘তামিম’, তানজিদ হাসান। এদিকে স্কোয়াডে আছে পাঁচ পেসারের উপস্থিতি। তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলাম আর তানজিম হাসান সাকিব।


এই স্কোয়াডে সবচেয়ে বড় চমক মূলত তামিমের অনুপস্থিতিই। মূলত ফিটনেস ইস্যুই পথ আগলে দাঁড়িয়েছে তার। কোমরের চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও পুরোপুরি যে ফিট নন তিনি, সেটা জানান দিয়েছিলেন সেদিন ম্যাচ শেষেই। সেই কারণেই এবার দলে জায়গা হলো না তার। ফলে চার বিশ্বকাপের অভিজ্ঞ এই ওপেনারকে ছাড়াই বাংলাদেশকে যেতে হবে বিশ্বকাপে।  

বাংলাদেশ দল: সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন (সহ অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, শরীফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ, মেহেদী হাসান, তানজিদ হাসান, তানজিম হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।

;

নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ হারে শেষ বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি



বার্তা২৪ স্পোর্টস
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজের ফল যাই হোক, বিশ্বকাপের ঠিক আগে চোখ থাকবে প্রস্তুতিতেই। সে সিরিজটা অবশ্য বাংলাদেশের জন্য ভালো কাটল না। দ্বিতীয় ওয়ানডের পর তৃতীয় ওয়ানডেটাও বাংলাদেশ হেরেছে। নিউজিল্যান্ড জিতেছে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আর তাতে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হারল বাংলাদেশ। ১৫ বছর পর কিউইদের কাছে ঘরের মাঠে সিরিজ হারের তেঁতো স্বাদ নিতে হলো দলকে।

ব্যাটিংটা শেষ কিছু দিন ধরেই ভোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। ভোগাল আজও। নিউজিল্যান্ডের সামনে স্রেফ ১৭২ রানের লক্ষ্যই দিতে পেরেছিল দল। সেটা নিউজিল্যান্ড টপকে গেছে ৭ উইকেট হাতে রেখেই।

মামুলি লক্ষ্য সামনে রেখে দুই কিউই ওপেনার ফিন অ্যালেন আর উইল ইয়াং শুরুটা করেছিলেন ভালো। দুজনের ৪৯ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙেন শরিফুল। পরের বলে ডিন ফক্সক্রফটকেও দেখান সাজঘরের রাস্তা। তাতে বাংলাদেশ মামুলি পুঁজি নিয়েও লড়ার স্বপ্ন দেখছিল বটে।

কিন্তু সে স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় ইয়াং আর হেনরি নিকলসের জুটির সামনেই। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে যোগ করেন ৮১ রান। ম্যাচটা কার্যত শেষ হয়ে যায় সেখানেই। ৭০ রান করা ইয়াংকে নাসুম আহমেদ ফেরান নিউজিল্যান্ড যখন জয় থেকে আর ৪০ রানের দূরত্বে।

ফিফটি করে হেনরি নিকলস বাকি সময়টা নির্বিঘ্নেই পার করে দেন, ২৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেল। নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা শেষ করে ৭ উইকেটে জিতে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অভিষিক্ত জাকির হাসান ১ রানে ধরেন ফিরে। পরের ওভারে অন্য ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমও আরও একবার ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়ে ফেরেন ৫ রানে।

৮ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারানো দলের হাল ধরবেন কী, উল্টো তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন চারে নামা তাওহিদ হৃদয়। দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম (১৮) এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের (২১) সঙ্গে যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেটে ৫৩ এবং ৪৯ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন শান্ত। তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চম ফিফটি। একইসঙ্গে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে অধিনায়কত্বের অভিষেকে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও নতুন করে লেখেন তিনি।

তবে এক প্রান্তে শান্ত দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও অন্য প্রান্তে আসা-যাওয়ার মিছিল চলতে থাকে। সঙ্গীর অভাবে এক পর্যায়ে প্রতিরোধ ভাঙে তারও। কিউই স্পিনার কোল ম্যাককঞ্চির বলে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। সাজঘরের পথ ধরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে দলীয় সর্বোচ্চ ৭৬ রান।

দলীয় ১৬৭ রানে শান্ত ফেরার পর তিন রানের মধ্যেই শেষ তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারের কোমর ভেঙে দেন কিউই পেসার অ্যাডাম মিলনে।

;