বিপিএল ড্রাফটে মুশফিক এখন সবচেয়ে দামি



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি:সংগৃহীত

ছবি:সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আন্তর্জতিক টি-টুয়েন্টিকে বিদায় জানালেও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ চালিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। গত কিছুদিন ধরে ওয়ানডেতে ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের ত্রাস এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। যার ছাপ স্পষ্ট হয়েছে আসন্ন দশম বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের তালিকায়। যেখানে দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক রাখা হয়েছে মুশফিকুর রহিমের জন্য। একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এ ক্যাটাগরিতে জায়গা পাওয়া মুশফিকের পারিশ্রমিকের পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা।

বিপিএল সামনে রেখে আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। যেখানে মোট ২০৩ জন দেশি ক্রিকেটারকে ভাগ করা হয়েছে সাতটি ক্যাটেগরিতে। দেশি তারকা ক্রিকেটারদের মধ্যে সাকিব, তামিম, মাহমুদউল্লাহ ও লিটনরা আগেই সরাসরি দল পেয়েছেন। তাই আইকন ক্যাটাগরির একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে এ ক্যাটাগরিতে জায়গা হয়েছে মুশফিকের।

'বি' ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে চার জন ক্রিকেটারকে। তারা হলেন, আফিফ হোসেন ধ্রুব, এবাদত হোসেন, ইমরুল কায়েস ও রনি তালুকদার। তাদের পারিশ্রমিক ৫০ লাখ টাকা।

'সি' ক্যাটেগরিতে আছেন ১৮ জন ক্রিকেটার।যাদের উল্লেখযোগ্য মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুমিনুল হক, মোহাম্মদ মিঠুন, নাঈম শেখ, শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও তাইজুল ইসলাম। তাদের পারিশ্রমিক ৩০ লাখ টাকা।

'ডি' ক্যাটেগরিতে আছেন ৩১ জন ক্রিকেটার। তাদের পারিশ্রমিক ২০ লাখ টাকা। এই তালিকার উল্লেখযোগ্য নাম হলো, তানজিদ হাসান তামিম, সৌম্য সরকার, মুক্তার আলি, সাদমান ইসলাম, শামসুর রহমান প্রমুখ।

পরের ক্যাটাগরি ই তে রাখা হয়েছে সবচেয়ে বেশি ৭৫ জন ক্রিকেটারকে। এই তালিকায় আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও সাব্বির রহমানের মতো ক্রিকেটাররা। তাদের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা। পরের দুই ক্যাটাগরি 'এফ' এবং জি তে আছেন ২৯ ও ৪৫ জন ক্রিকেটার। তাদের পারিশ্রমিক ধরা হয়েছে ১০ ও ৫ লাখ টাকা।

   

শেষ ওভারের নাটকীয়তায় নিয়মরক্ষার ম্যাচও ভারতের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিজটা নিশ্চিত হয়ে গেছে আগের ম্যাচেই। এতে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচটা ছিল কেবলই নিয়মরক্ষার। সেখানেও জয় পেল ভারত। শ্রেয়াস আইয়ারের ফিফটির পর জিতেশ শর্মা ও অক্ষর প্যাটেলের ক্যামিওতে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় ভারত। পরবর্তীতে বোলারদের দলীয় পারফর্মে শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে ৬ রানের জয় পায় সূর্যকুমার যাদবের দল।

বেঙ্গালুরুতে আগে টসে জিতে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় অজিরা। সেখানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে ভারত।

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিনও ঝোড়ো শুরু পায় বিশ্বকাপ ফাইনাল জয়ের নায়ক ট্রাভিস হেড। তবে আরেক ওপেনার জশ ফিলিপ ফেরেন দ্রুতই। দলীয় ২২ রানের মাথায় মুকেশ কুমারের বলে ফেরেন তিনি (৪)। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা হেডকে (২৮) ফেরান রবি বিষ্ণয়। অ্যারন হার্ডিও ফেরেন কেবল ৬ রানেই।

তবে বেন ম্যাকডরমেটের ব্যাটে চড়ে জয়ের স্বপ্ন দেখে সফরকারীরা। তবে ফিফটির পর তাকে (৫৪) ফেরান আরেক পেসার অর্শদীপ সিং। এরপর আর কোনো ব্যাটার সেভাবে হাল ধরতে পারেননি। তবে শেষ দিকে অধিনায়ক ম্যাথিউ ওয়েডের ২২ রানের ক্যামিও ম্যাচ নিয়ে যায় শেষ ওভারে। সেখানে বাঁহাতি পেসার অর্শদীপের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে জয় পায় ভারত।

স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন মুকেশ। অর্শদীপ ও বিষ্ণয় নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। পুরো সিরিজে ছন্দে থাকা দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড় এদিনও শুরুটা করেছিলেন ছন্দে থেকেই। তবে চার বলের মধ্যে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে ভারত। ২১ রানে যশস্বী ফেরার পর দলীয় ৩৩ রানের মাথাতেই ফেরেন ঋতুরাজ (১০)। অধিনায়ক সূর্যকুমারও ফেরেন দলীয় ৪৬ রানের মাথায়।

তবে সেখানে ম্যাচের হাল ধরেন সহ-অধিনায়ক শ্রেয়াস। ৩৭ বলে ৫৩ রানে এই ডানহাতি ব্যাটার ফেরার পর জিতেশের ২৪ এবং অক্ষরের ৩১ রানের ভরে ১৬০ রানে পৌঁছায় ভারত। বেন ডোয়ারশুইস ও জ্যাসন বেহরেনডোর্ফ নেন দুটি করে উইকেট।

ব্যাট হাতে ক্যামিও ইনিংসের পর বল হাতে এক উইকেট নেওয়ার পর ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন অক্ষর। সিরিজে ৯ উইকেট নেওয়া বিষ্ণয়ের হাতে থামে সিরিজ সেরার পুরস্কার।

;

দক্ষিণ আফ্রিকায় ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের রেশ ধরেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ভেন্যু পাল্টালেও ঠিকই দাপট ধরে রাখল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এবার প্রোটিয়াদের মাঠে তাদেরই হারিয়ে নতুন চমকের জন্ম দিল বাংলাদেশ। তিন সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রবিবার ১৩ রানে জিতল নারী দল। দক্ষিণ আফ্রিকায় ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের!

বেনোনিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ২০ ওভারে তারা ২ উইকেট হারিয়ে করে ১৪৯ রান। মুর্শিদার ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। জবাব দিতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৬ রানে আটকে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে জ্যোতির দল। স্বর্ণা আক্তার তুলে নেন ৫ উইকেট।

দক্ষিণ আফ্রিকার মাঠে তাদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টিতে জয় পেলো বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে ২০১২ সালে মিরপুরে ৭ উইকেটে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের এবারের জয়ের মূল কারিগর লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার স্বর্ণা আক্তার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন তিনি। প্রথমবারের মতো তিনি ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। খরচ করেছেন মাত্র ২৮ রান।

মুর্শিদা খাতুনের কথাও বলতে হবে আলাদা করে। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ অব্দি ব্যাট হাতে লড়ে ৫৯ বলে ৬ চার ও এক ছক্কায় করেন অপরাজিত ৬২ রান। একইসঙ্গে কথা বলে অধিনায়কের ব্যাটও। নিগার সুলতানা ২১ বলে ৬ চারে অপরাজিত ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন।

স্বর্ণার করা ১৮তম ওভারে ম্যাচটা বাংলাদেশের পক্ষে চলে আসে। সেই ওভারে ৪৯ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৬৭ রান করা বোশের পর শাঙ্গাজিকেও সাজঘরের পথ দেখান স্পিনার স্বর্ণা। ১৯তম ওভারে মার্ক্সের উইকেট নেন নাহিদা। দেন মাত্র ২ রান, শেষ ওভারে স্বর্ণার আটকানোর জন্য ছিল ২৩ রান।

স্বর্ণা অবশ্য প্রথম বলে চার হজম করেন। এরপর তৃতীয় ও চতুর্থ বলে মিকি ডি রিডার ও মাসাবাতা ক্লাসকে ফেরান ১৬ বছর বয়সী এই কিশোরি। জাহানারা আলম, পান্না ঘোষ ও নাহিদার পর চতুর্থ বাংলাদেশি বোলার হিসেবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টিতে ৫ উইকেট শিকার করলেন তিনি! তার পথ ধরেই বাঙলাদেশ পেলো মনে রাখার মতো এক জয়!

;

বিসিবির তদন্ত কমিটির সামনে নান্নু, লিটন-মুস্তাফিজরা



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ বিশ্বকাপ ভরাডুবির কারণ জানতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। রবিবার শুরু হয়েছে সেই কমিটির কাজ। নির্বাচক প্যানেলের সঙ্গে দলের দুই ক্রিকেটার লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমানকেও তলব করতে ডেকেছে কমিটি।

রাজধানীর গুলশানে বসেছে এই কমিটির কার্যক্রম। দলের এমন শোচনীয় পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যা চাইতে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুকে ডাকা হয়েছে। তার সঙ্গে আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনকেও ডাকা হয়েছে।

দুই নির্বাচকের পর বাংলাদেশ দলের ওপেনার লিটন দাস ও পেসার মুস্তাফিজকেও মিটিংয়ে প্রবেশ করতে এবং বের হতে দেখা গিয়েছে।

তিন সদস্যের এই কমিটিতে আছেন বিসিবির তিন পরিচালক; এনায়েত হোসেন সিরাজ, মাহবুব আনাম এবং আকরাম খান। এনায়েত হোসেন সিরাজ আছেন আহ্বায়ক হিসেবে। মাহবুব আনাম ও আকরাম খানকে দেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিটির সদস্যের দায়িত্ব। তবে তাদের সঙ্গে মিটিংয়ে উপস্থিত অন্যজন বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন।

শুধু নির্বাচক প্যানেলেই সীমাবদ্ধ নয়, তদন্ত কমিটি এরপর ধাপে ধাপে ডাকবে প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে এবং তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা কোচিং স্টাফদের। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব করা জাতীয় দলের নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গেও কয়েকদিন পর বসবে এই কমিটি। মাঠ ও মাঠের বাইরের অনেক প্রসঙ্গই এখানে প্রাধান্য পাবে।

আজ (রবিবার) বিকেলে মিটিং শেষে বের হওয়ার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের সম্মুখীন হন মুস্তাফিজুর রহমান। তবে সবাইকে এড়িয়ে লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি দিয়ে নেমে ভবন ত্যাগ করেন তিনি।

লিটনকেও সবার নজর এড়িয়ে ভবনে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এছাড়াও বোর্ডের দুই নির্বাচক এবং কমিটির বাকি সদস্যদেরও দফায় দফায় আসতে ও বের হতে দেখা যায়।

ভারতের বিশ্বকাপ আসরে সেমিতে খেলার আশা নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ দল দেশে ফেরত এসেছিল খালি হাতে। ৯ ম্যাচের ৭টিতেই হার, নিজেদের শোচনীয় পারফরম্যান্সে বিশ্বজুড়েই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে পুরো দলকে। 

;

রাব্বিকে অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের বাংলাদেশ দল



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৩ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী ৬ ডিসেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে দলটি।

৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) ভারত-আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান-নেপালের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে আসন্ন টুর্নামেন্টটি। ৮ দেশের ১৫টি ম্যাচের পর ডিসেম্বরের ১৭ তারিখ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত হবে চ্যাম্পিয়ন দল।

আসন্ন টুর্নামেন্টের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে বিসিবি। এছাড়াও ৩ জন ক্রিকেটারকে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলঃ মাহফুজুর রহমান রাব্বি (অধিনায়ক), আশিকুর রহমান শিবলী (উইকেটরক্ষক), জিশান আলম, চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান, আদিল বিন সিদ্দিক, মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বরাণ্য, আরিফুল ইসলাম, শিহাব জেমস, আহরার আমিন, শেখ পারভেজ জীবন, রাফি উজ্জামান, রোহানাত দোউল্লাহ, ইকবাল হাসান ইমন, ওয়াসি সিদ্দিক, মারুফ মৃধা।

স্ট্যান্ডবাইঃ রিজান হোসেন, নাইম আহমেদ, জেহাদুল হক।

;