রানপাহাড়ে ভর করে রংপুরের সহজ জয়
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে চলতি বিপিএল আসরের সর্বোচ্চ দলীয় রান করেছিল রংপুর রাইডার্স। ২১২ রানের সে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানেই থামতে হলো চট্টগ্রামকে।
লক্ষ্যটা ছিল বিশাল। সেই ব্যাপারটি মাথায় রেখে শুরু থেকেই যেভাবে ব্যাট চালানোর কথা সেরকমটা করতে পারেনি শুভাগত হোমের দল। তৃতীয় ওভারেই সাকিব আল হাসানের বোলিং ঘূর্ণিতে কাটা পড়েন ওপেনার জশ ব্রাউন।
দলীয় ৮ম ওভারে চলতি আসরে নিজের প্রথম ম্যাচের প্রথম ওভার করতে আসেন ইমরান তাহির। বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান টম ব্রুসকে। দশ ওভার শেষে চট্টগ্রামের দলীয় সংগ্রহ পঞ্চাশও পার হয়নি। তখনই মূলত ম্যাচটা ফসকে গেছে তাদের হাত থেকে।
শেষ ওভার ম্যাচ জয়ের জন্য ৬ বলে চট্টগ্রামের দরকার ছিল ৬৭ রান! ফলে একতরফা ভাবেই ম্যাচটি জিতে নিল সাকিবরা।
যে উইকেটে পরিকল্পিত ব্যাটিংয়ে রংপুর তুলল ২১১ রান, সেই একই উইকেটে চট্টগ্রামের ইনিংস থামলো ১৫৮ রানে। রংপুরের ৫৩ রানের বড় জয়ের এই ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিং-কোচিং, পরিকল্পনা-সববিভাগেই চট্টগ্রাম ছিল অনেক পিছিয়ে।
ম্যাচ হারের পর চট্টগ্রামের অধিনায়ক শুভাগত হোমও স্বীকার করলেন, 'টার্গেট অনেক বড় ছিল। এমন টার্গেটের পেছনে ছুটতে হলে শুরুটা ভালো এবং ঝড়ো করা উচিত ছিল আমাদের। তেমন শুরুটা আমরা করতে পারিনি।'
চলতি বিপিএলে প্রথমবারের মতো দুশোর ওপর দলীয় রান গড়ল রংপুর। সেই সঙ্গে টানা পাঁচ ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে নিজেদের স্থানটা আরও পাকাপোক্ত করল তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর রাইডার্স: ২১১/৩ ; ২০ ওভার (রনি তালুকদার ২৪, রেজা হেনড্রিকস ৫৮, সাকিব ২৭, সোহান ৩১*, নিশাম ৫১*), অতিরিক্ত ২০; সাকিল ২/১৫)।
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সঃ ১৫৮/৬ ; ২০ ওভার (সৈকত আলী ৬৫, ক্যাম্পার ২৪, শুভাগত হোম ৩১*, নিশাম ২/৩২, সাকিব ২/২৪)।
ফল: রংপুর ৫৩ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: জিমি নিশাম।