মুর্শিদা-জ্যোতিদের তাণ্ডবে মালয়েশিয়ার সামনে বিশাল লক্ষ্য বাংলাদেশের
মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জিতলেই সেমি অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে যাবে বাংলাদেশের। তবে নেট রান রেটের মারপ্যাঁচে পড়তে হতে পারে যদি থাইল্যান্ড নিজেদের শেষ ম্যাচটিরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দেয়। এতেই আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দাপুটে ব্যাট করতে থাকে বাংলাদেশের মেয়েরা। ৫৯ বলে ৮০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। এছাড়া ৬২ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। এতেই নারী এশিয়া কাপে গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ১৯১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
লঙ্কানদের বিপক্ষে হার দিয়েই এশিয়া কাপের এবারের মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে নিজেদের পরের ম্যাচেই থাইল্যান্দের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। ব্যাটিংয়ে সেই ফর্ম ধরে রেখেই মালয়েশিয়ার সামনে রান পাহাড় দাঁড় করালো দিলারা-মুর্শিদারা। এবার বড় ব্যবধানে জয় তুললেই সেমিতে এক পা দিয়ে রাখবে বাংলাদেশ।
ডাম্বুলাতে দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। সেখানে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই রানের চাকা সচল রেখে এগোতে থাকেন দুই ওপেনার দিলারা আক্তার ও মুর্শিদা খাতুন। ওপেনিং জুটিতেই আসে ৬৫ রান। সেখানে দিলারা ২০ বলে ৩৩ রান করে ফিরলেও তাণ্ডব জারি রাখেন মুর্শিদা।
পরে তিনে নেমে মুর্শিদাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন অধিনায়ক জ্যোতি। রান তুলতে থাকেন ঝোড়ো গতিতে। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের জুটি থেকে ৫৬ বলে আসে ৮৯ রান। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগালেও কিছুটা হতাশ হয়েই ফিরতে হয় মুর্শিদাকে। দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় ফেরার সময় তার ব্যক্তিগত খাতায় ওঠে ৫৯ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৮০ রান, যা তার ক্যারিয়াররেও সর্বোচ্চ।
এদিকে শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৬২ রানের অপরাজিত দারুণ এক ইনিংস খেলেন জ্যোতি। এতেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৯১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। ২০১৯ সালের মালদ্বীপের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৫৫ রান তুলেছিল জ্যোতিরা। তবে এশিয়া কাপে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।