যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে গোল। তাতে সবাই ধরেই নিয়েছিলেন ম্যাচটা বুঝি ২-২ গোলে ড্রই করে বসেছে আর্জেন্টিনা। তবে সেই গোল বাতিল হলো ২ ঘণ্টা পর। ফলে মরক্কোর কাছে ২-১ গোলে হার দিয়ে অলিম্পিকে নিজেদের যাত্রা শুরু করল আর্জেন্টিনা।
গতকাল সেঁত এতিয়েঁনে ম্যাচের দুই অর্ধে মরক্কোর সুফিয়ান রাহিমি করেন জোড়া গোল। ৬৮ মিনিটে গোল করে আর্জেন্টিনাকে ম্যাচে ফেরান গিউলিয়ানো সিমিওনে। এরপর যোগ করা সময়ে মেদিনা মরক্কোর জালে বল জড়ান।
এরপরই মরক্কান সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে নেমে আসেন। যার ফলে খেলা বন্ধ রেখে দুই দলকে নিয়ে যাওয়া হয় ড্রেসিং রুমে। তখন বেশ কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানায়, ২-২ গোলে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল।
নাটকের শুরু এরপর। ম্যাচটা আসলে শেষ হয়নি তখনও। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হলে ফাঁকা গ্যালারিতে ২ ঘণ্টা পর আবারও মাঠে গড়ায় ম্যাচটা। ভিএআর যাচাইয়ে দেখা যায় মেদিনা বলটা পেয়েছিলেন অফসাইডে থেকে। ফলে গোলটা খাতা থেকে কেটে নেওয়া হয়। পরে আরও ৩ মিনিট খেলা হলেও গোলের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা। ফলে ম্যাচটা হারতে হয় ২-১ গোলে।
দেশের মাটিতে ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট ম্যাচটি খেলার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সাকিব আল হাসান তা পূরণ হচ্ছে না। মধ্যপ্রাচ্যের শহর দুবাইয়ে আসার পর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হলো এই তারকা ক্রিকেটারকে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে দেশে ফিরতে মানা করা হয় সাকিবকে।
‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে’ সাকিবকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন খোদ যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
এর আগে সাকিব দেশে ফিরবেন নাকি ফিরবেন না, বিষয়টা নিয়ে গত বুধবার রাত থেকেই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর সাকিব স্পোর্টস বাংলাকে জানিয়েছিলেন, তিনি দেশে ফিরছেন না। এবার তিনি জানান, দুবাই থেকে যেখানেই হোক, দেশে আর ফিরছেন না।
সাকিব দেশের মাটিতে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা খেলার ইচ্ছা গেল মাসে কানপুর টেস্টের ঠিক আগে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তার দেশে ফেরা নিয়ে নানা জলঘোলা হয়েছে। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের দলেও ছিলেন। কিন্তু সেইসব নাটকের পর জানা গেল স্বপ্নপূরণ হচ্ছে না সাকিবের।
আজ বৃহস্পতিবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, তিনিই সাকিবকে দেশে না আসার পরামর্শ দিয়েছেন। ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি নিজেও চেয়েছি, সাকিব আল হাসানের মতো একজন ক্রিকেটার দেশের মাটিতে অবসর নিক। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। তবে, প্রথম দিকেই বলেছি সাকিব আল হাসানের আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে যা স্বাভাবিক। রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করাসহ জনমনের ক্ষোভ নিরসনে তিনি ফেসবুক পোস্ট দিলেও সাম্প্রতিক প্রতিবাদে প্রতীয়মান হয়েছে যে তা যথেষ্ট ছিল না। যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরও তা করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সাউথ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজে কোনপ্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই আপাতত দেশে খেলতে আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে বিসিবিকে পরামর্শ দিতে হয়েছে।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার আশু ব্যবস্থা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে সকলেরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত বলে মনে করি। কোন অভিযোগ থাকলে আইনি প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিয়েই তার সমাধান খোঁজা যেতে পারে।’
সাকিবের এই পরিস্থিতির কারণ তার রাজনৈতিক পরিচয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। এরপর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়।
তার আগে থেকেই সাকিব ছিলেন দেশের বাইরে। সরকার পতন ও মামলা দায়েরের পর থেকে সাকিব আর দেশে ফেরেননি।
৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা ১৮ মাসে নেমে আসতেই পল পগবার সামনে সুযোগের দুয়ার খুলে গেছে। আগামী মার্চেই তিনি নামতে পারবেন মাঠে। নিষেধাজ্ঞার আগে তিনি ছিলেন জুভেন্টাসের খেলোয়াড়, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়েও তিনি জুভেন্টাসেই থাকতে চান।
‘লা গাজ্জেত্তা দেল্লো স্পোর্ত’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানান তিনি। বলেন, ‘আমি জুভের হয়ে আবার খেলতে বেতন ছাড়তেও প্রস্তুত আছি। আমি এই ক্লাবের হয়েই ফিরে আসতে চাই।’
পগবার জুভেন্টাসের সাথে চুক্তি আছে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত। চুক্তি অনুসারে তার প্রতি বছর ৮ মিলিয়ন ইউরো বেতন পাওয়ার কথা। তবে তার নিষেধাজ্ঞার সময়, সিরি এ'র চুক্তি অনুযায়ী তিনি প্রতি মাসে মাত্র ২০০০ ইউরোর কিছু বেশি বেতন পাচ্ছেন।
পগবার নিষেধাজ্ঞা কমে যাওয়ার পরও ইতালিয়ান সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে যে জুভেন্টাস তার চুক্তি বাতিল করার চেষ্টা করছে। তবে পগবা জানালেন, তিনি ফিরে আসার পর বিশ্ব দেখতে পাবে এক নতুন পগবাকে। তিনি বলেন, ‘এটা একটা নতুন পগবা হবে, আরও ক্ষুধার্ত, আরও জ্ঞানী এবং শক্তিশালী... আমি শুধু ফুটবল খেলতে চাই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি জুভেন্টাসের হয়ে অনুশীলন এবং খেলার জন্য প্রস্তুত হতে চাই। আমি জুভের খেলোয়াড়, আমার মনে এটা ছাড়া আর কিছু নেই।’
পগবাকে গেল বছর ডোপিংয়ের জন্য চার বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে চলতি অক্টোবরের শুরুতে কোর্ট অব আরবিট্রেশন ফর স্পোর্ট সে শাস্তি ১৮ মাসে নামিয়ে আনে। যার ফলে তিনি আগামী বছরের ১১ মার্চ থেকে আবার খেলতে পারবেন।
২০২৩ সালের আগস্টে জুভেন্টাস-উদিনেসের ম্যাচের পর পগবার শরীরে টেস্টোস্টেরনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর পর সেপ্টেম্বরে তাকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয় এবং পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারিতে ইতালিয়ান ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং ট্রাইব্যুনাল তাকে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে। পগবার প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, টেস্টোস্টেরনের উপস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রে এক চিকিৎসকের দেওয়া খাদ্য সম্পূরক থেকে এসেছিল।
এবার আনুষ্ঠানিকভাবেই হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত চাকরির মেয়াদ ছিল তার। কিন্তু শৃঙ্খলাভঙ্গ ও অসদাচারণের অভিযোগে গত মঙ্গলবার তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড। আজ বৃহস্পতিবার হাথুরুর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে বাংলাদেশের কোচের পদ থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করেছে বিসিবি।
বৃহস্পতিবার মিরপুরে বিসিবির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালকদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দুবাই থেকে জুম সংযোগে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। একই দন নতুন কোচ ফিল সিমন্সের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টিও অনুমোদন দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার হাথুরুসিংহেকে বহিস্কার করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিসিবি। আইনগত বিষয় থাকায় শুরুতে তাকে শোকজ ও সাসপেন্ডের মধ্য দিয়ে যায় বোর্ড। তার পথ ধরে এবার আনুষ্ঠানিক বরখাস্তের ঘোষণা এসেছে। যদিও এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় আইনি লড়াইয়ের কথা বলেছেন হাথুরুসিংহে।
হাথুরুর বিদায় প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘বর্তমান কোচের ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছিলাম মানিয়ে নিতে। দুই-তিনটা ঘটনা ঘটেছে। ইচ্ছেমতো ছুটি কাটানো, জাতীয় দলের খেলোয়াড়ে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা কোনোভাবেই দলের জন্য ভালো উদাহরণ ছিল না। তাই তাকে ৪৮ ঘণ্টার শোকজ ও সাসপেনশন দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এটা স্থায়ী হয়ে যাবে।’
আগামী বছরের শুরুতে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি অব্দি বিসিবির সঙ্গে চুক্তি ছিল হাথুরুর। কিন্তু তার আগেই হাই প্রোফাইল এই কোচের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানল ফারুক আহমেদের বোর্ড! এটি ছিল বাংলাদেশ কোচ হিসেবে তার ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’। প্রথমবার তিনি নিজেই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় দফার চাকরিতে বিসিবি তাকে বিদায় করে দিল।
দ্বিতীয় মেয়াদে হাথুরুর অধীনে ১০টি টেস্ট, ৩৫টি ওয়ানডে ও ৩৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ। টেস্টে ৫টি জয় ও ৫টি হার। তবে ওয়ানডেতে ৩৫ ম্যাচে ১৩টি জয়, হার ১৯টি, ৩ ম্যাচ অমিমাংসিত। টি-টোয়েন্টিতে ৩৫ ম্যাচের ১৯টিতে জয়, হার ১৫টি, একটিতে ফল হয়নি।
হাথুরু অধ্যায় শেষে এবার ফিল সিমন্সের যুগে পা রাখল বাংলাদেশ ক্রিকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজেই মিশন শুরু হবে এই ক্যারিবিয়ান কোচের। এইরমধ্যে বাংলাদেশেও চলে এসেছেন সিমন্স।
সাকিব আল হাসান দেশে ফিরবেন নাকি ফিরবেন না, বিষয়টা নিয়ে গত রাত থেকেই ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছিল। তারপর সাকিব আল হাসান স্পোর্টস বাংলাকে জানিয়েছিলেন, তিনি দেশে ফিরছেন না। এবার তিনি জানালেন, দুবাই থেকে যেখানেই হোক, দেশে আর ফিরছেন না।
দেশের মাটিতে নিজের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টটা খেলার ইচ্ছা তিনি গেল মাসে কানপুর টেস্টের ঠিক আগে জানিয়েছিলেন। তবে এরপর থেকেই তার দেশে ফেরা নিয়ে নানা জলঘোলা হয়েছে। সবকিছু শেষে গতকাল জানা গিয়েছিল যে সাকিব আজ দেশের মাটিতে পা রাখছেন।
তবে তার বিরুদ্ধে জনরোষের বহিঃপ্রকাশ গতকাল থেকে আবারও দেখা যায়। রাজু ভাস্কর্যে তার কুশপুতুল দাহ করা হয়। এমনকি আজ মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের বাইরে তার বিরুদ্ধে মিরপুরের শিক্ষার্থীরা মিছিল করেছেন, বিসিবির কাছে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।
সবকিছু মিলিয়ে পরিস্থিতিটা সাকিবের দেশে আসার পক্ষে নেই। যার ফলে সাকিবকে সিদ্ধান্ত বদলাতে হয়। তিনি কিছুক্ষণ আগে ক্রিকইনফোকে জানিয়েছেন তিনি এখনও তার পরবর্তী গন্তব্য ঠিক করেননি। তবে সেটা যে বাংলাদেশ হচ্ছে না, তা একরকম নিশ্চিত।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি না আমি এরপর কোথায় যাব। তবে এটা প্রায় নিশ্চিত যে আমি দেশে ফিরছি না।’ এর আগে তিনি জানিয়েছিলেন, তার নিরাপত্তার কথা ভেবে দেশে না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তাকে।
সাকিবের এই পরিস্থিতির কারণ তার রাজনৈতিক পরিচয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তিনি। এরপর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের হয়।
তার আগে থেকেই সাকিব ছিলেন দেশের বাইরে। সরকার পতন ও মামলা দায়েরের পর থেকে সাকিব আর দেশে ফেরেননি। দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজকে সামনে রেখে যাও আসতে চেয়েছিলেন, পারিপার্শ্বিক অবস্থা বলছে, তা হওয়ার সম্ভাবনা এখন নেইয়ের কোঠায়।