নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইকের বিপক্ষে এইচপি দলের বড় জয়
শতরানের ওপেনিং জুটি দিয়েই শুরু হলো বাংলাদেশের এইচপি দলের অস্ট্রেলিয়া সফরের প্রথম ওয়ানডে। তবে মিডল অর্ডারে জিশান-আফিফরা ছিলেন ছন্দহীন। তবুও শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে ২৫০ রানের পুঁজি পায় বাংলাদেশ। আধুনিক ওয়ানডে ক্রিকেট বিবেচনায় যা বড় সংগ্রহের কাতারে না থাকেলও বোলারদের দলীয় পারফর্মে নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইকের ব্যাটারদের কোনো সুযোগই দেয়নি রনি-আফিফরা। এতেই দলটির বিপক্ষে ১১২ রানের বড় জয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরের সাদা বলের ক্রিকেটে শুভসূচনা হলো এইচপি দলের।
এদিন ব্যাটে-বলে দারুণ অলরাউন্ড পারফর্ম করেন আবু হায়দার রনি। ৩৮ রানের ক্যামিও ইনিংসের পরে বল হাতেও দুটি উইকেট তুলে নেন এই বাঁহাতি পেসার। এছাড়াও এদিন জোড়া উইকেট শিকার করেন রাকিবুল, রাব্বি ও মুকিদুল।
ডারউইনের মারারা ওভালে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নামে আফিফ হোসেনের দল। সেখানে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ ২৫০ রান।
ব্যাট হাতে এইচপি দলের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৯ ওভার ৩ বলেই বিনা উইকেটে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০০ রানে। তবে পরের বলেই ভাঙে পারফেজ হোসেন ইমন ও তানজিদ হোসেন তামিমের শতরানের জুটি। সেখান থেকে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারাতে থাকে ব্যাটারা। দলীয় সংগ্রহ ১৩০ রানে পৌঁছাতেই সাজঘরে ফেরেন জিশান, তামিম ও অধিনায়ক আফিফ। তামিম ফেরেন দলীয় সর্বোচ্চ ৫৩ রান করে।
পরে আকবর আলীর ২৬ এবং টেল এন্ডে রনির ৩৮ রানের ইনিংসে চড়ে ২৫০ রানের লড়াকু পুঁজি পায় এইচপি দল।
পরে শুরু থেকেই নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইকের ব্যাটারদের চড়ে বসতে দেয়নি এইচপির বোলাররা। ৪৪ রানেই সাজঘরের রাস্তা দেখায় তাদের শুরুর চার ব্যাটারকে। ব্যাটিংয়ে সেই ছন্দপতন শেষ পর্যন্তই ধরে ছিল প্রতিপক্ষ দল। কেবল ৫১ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক জ্যাকোব ডিকম্যান। ৪২ ওভারে গুটিয়ে যাওয়া নর্দান স্ট্রাইকের দলীয় সংগ্রহ ১৩৮ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড:
বাংলাদেশ এইচপি দল: ২৫০ (তামিম ৫৩, পারভেজ ৪৭, রনি ৩৮; হামিশ মার্টিন ৪৬/৪, চার্লি স্মিথ ৩৫/২, ম্যাট হ্যামন্ড ৪৬/২)
নর্দান টেরিটরি স্ট্রাইক: ১৩৮ (৪২ ওভার) (ডিকম্যান ৫১; রাব্বি ১৭/২, মুকিদুল ২২/২, রনি ১৮/২, রাকিবুল ২৭/২)
ফলাফল: বাংলাদেশ এইচপি দল ১১২ রানে জয়ী