টুইটারে পাকিস্তান অধিনায়ককে নিয়ে ঠাট্টা-মস্করা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সমালোচনার মুখে সরফরাজ আহমেদ

সমালোচনার মুখে সরফরাজ আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

কখন কি বলতে হবে সেটা একটু বুঝে শুনে বলতে হয়। কিন্তু আবেগের চোটে, সঙ্গে দেশপ্রেম দেখানোর টানে পাকিস্তানি অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ আকস্মিকভাবে যা বলে বসলেন, সেজন্য এখন নিজেকেই তারই নিজের কথা চিবিয়ে খেতে হচ্ছে!

বিশ্বকাপের মাঠে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে সরফরাজ বলে বসেন-‘বিশ্বকাপে আমরা প্রতিটা ম্যাচই খেলবো যেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছি, এমন জোস নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে আমরা বড় আসরে ভারতকে হারিয়েছি, তাই বিশ্বকাপেও আমরা ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে এগিয়ে থাকবো।’

অর্থাৎ বিশ্বকাপের মাঠেও ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে পাকিস্তান অধিনায়ক নিজেদেরকেই ফেভারিট ভাবছেন!

পাকিস্তান অধিনায়কের এই মন্তব্য এবং তার দেয়া সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানের প্রসঙ্গ নিয়ে টুইটারে যেন ‘ক্রিকেট ঝড়’ উঠে। ঠাট্টা-মস্করা হাসির হুল্লোড় পড়ে যায়!

বিশ্বকাপে পাক-ভারত ম্যাচ মানেই ভারতের অবধারিত জয়। এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোন ম্যাচেই ভারতকে হারাতে পারেনি পাকিস্তান। পরিসংখ্যানটা এমন; ভারত ৬, পাকিস্তান ০!

তবুও নিজেদের ফেভারিট ভাবছেন পাকিস্তান অধিনায়ক! বিশ্বকাপ ছাড়া সর্বশেষ বড় আসরে উভয় দলের মোকাবেলায় জয়ের হিসেবে ভারত পরিস্কার এগিয়ে। গেলো বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান গ্রপ পর্যায়ে দুবার মুখোমুখি হয়। দুই ম্যাচেই ভারত জেতে সহজ ব্যবধানে। পাকিস্তান কোন লড়াই করতে পারেনি! সেই দুই ম্যাচে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন কিন্তু আর কেউ নয়, সরফরাজ আহমেদ!

গেলো বছরের সেই হারের কথা সম্ভবত পাকিস্তান অধিনায়কের মনেই ছিলো না। তিনি শুধু মনে রেখেছেন ইংল্যান্ডের মাটিতে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে ভারতের হারের ম্যাচের কথা।

পাকিস্তান অধিনায়কের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আভি পঞ্চোল নামের একজন টুইট বার্তায় লেখেন-‘সম্প্রতি এশিয়া কাপে ভারতের কাছে পাকিস্তানের লজ্জাজনক দুটো হারের কথা মনে হয় পাকিস্তান অধিনায়ক ভুলে গেছেন।’

চেতন কুমার মীনা নামে একজন লেখেন-‘ ভালোই বলেছেন অধিনায়ক, কিন্তু মাঝে একটা শব্দ আপনি ভুলে গেছেন। আমরা ভারতকে বড় আসরে হারিয়েছি ‘‘মাত্র একবার’’। ঠিক মতো বেড়ে উঠো বাচ্চা, নিজের খেলার প্রতি মনোযোগ দাও।’

বিবেক তান্না নামের এক ক্রিকেট সমর্থক টুইট করেন-‘এশিয়া কাপ যে বড় আসর সেটা হয়তো ভুলে গেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। গেলো বছরের সেই টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশই ছিলো ভালো দল।’

আরব-আমিরাতে সেই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানকেও হারিয়েছিলো। টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলে বাংলাদেশ ও ভারত।

   

বিশ্বকাপে ‘স্পেশাল’ কিছু করতে চান শান্ত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ে সিরিজ, যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের পর এবার বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। সেখানে বাংলাদেশের দলের একটি জিনিস একবারে কমন, ব্যাটিং ব্যর্থতা। ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফর্মের একের পর এক নজির রেখে যাচ্ছেন শান্ত-লিটনরা। গতকালের বিশ্বকাপের একদম আগ মুহূর্তে ভারতের বিপক্ষে বোলিংটা মন্দের ভালো হলেও ব্যাটিংটা হয়েছে যাচ্ছেতাই। ভারতের দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে স্রেফ ১২২ রান তুলতে পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 

ব্যাটিং ব্যর্থতা ছাড়া আরও একটি বিষয় কম, সেটি ম্যাচের পর অধিনায়ক-কোচদের নানান অজুহাত। সঙ্গে জুড়ে দেয়া আশার বাণী। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি গতকালের ম্যাচের পরও। এবার শান্তর কণ্ঠে তো বিশ্বকাপে স্পেশাল কিছু করার আশ্বাস।   

ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, ‘বোলাররা দারুণ করেছে। শরিফুল ও রিশাদ যেভাবে ওই দুই ওভার বোলিং করেছে, সেটা নিয়ে সত্যিই খুশি। তবে আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। আশা করি, বিশ্বকাপের মূল খেলায় স্পেশাল কিছু করব।’ 

শান্ত এদিন ফিরেছেন ৬ বলে কোনো রান না করেই। এতে শেষ বেলায় এসেও ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতি থাকলো ছন্নছাড়া। তবে আগে কি হয়েছে তা ছাপিয়ে সামনে ম্যাচগুলো নিয়েই ভাবছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ‘আগে কী হয়েছে, সেটা নিয়ে ভাবছি না। আমরা সবাই জানি আমাদের সামর্থ্য কতটুকু। আমাদের সাহসী হতে হবে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। তাসকিন ও মুস্তাফিজ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা দুজন যখন ফিরবে, তখন ভিন্ন কিছু হবে।’ 

বোলিংটাও যখন দলের এখন মূল ভরসার জায়গা তখন বিশ্বকাপের একদম আগ মুহূর্তে বোলিং বিভাগেই দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ। গতকালের সেই ম্যাচে নিজের শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার ফিরতি বল ঠেকাতে গিয়ে আহতে চোট পান শরিফুল ইসলাম। এতেই তার হেঁটে লেগেছে ছয়টি সেলাই। তার এই চোট কতদিনে সারবে তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে। এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ দলের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, দুই দিন জানা যাবে শরিফুলের ফিরতি ঠিক কতটা সময় লাগবে। 

আগামী ৮ জুন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে ভোর সাড়ে ৬টায়। 

;

শরিফুলের হাতে ৬ সেলাই, অনিশ্চিত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফর্ম চলমান থাকলেও বাংলাদেশের বোলিং বিভাগটা খুব একটা হতাশ করছে না। তবে বিশ্বকাপের ঠিক আগে সেই বোলিং বিভাগেই এলো বড় দুঃসংবাদ। গতকাল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বোলিংয়ের সময়ে হাতে চোট পান শরিফুল ইসলাম। এতেই বাঁহাতি পেসারের হাতে লেগেছে ৬টি সেলাই। ছয় দিন পরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের। হাতের এই চোটে তাই বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে শরিফুলের খেলা নিয়ে দাঁড়িয়েছে শঙ্কা। 

চোটের আগেও গতকালের ম্যাচটিতেই দারুণ ছন্দে ছিলেন শরিফুল। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন সঞ্জু স্যামসনের উইকেট। পরে ম্যাচে নিজের শেষ ওভার করার সময় হার্দিক পান্ডিয়ার একটি ফিরতি বল ঠেকাতে গিয়েই চোট পান শরিফুল। পরে ছাড়তে হয় মাঠ। এর আগে ৩ ওভার ৫ বলে স্রেফ ২৬ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। 

শরিফুলের চোট নিয়ে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘সে এখন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে আছে। খুব সম্ভবত ঠিক হয়ে যাবে।’

তবে শঙ্কা বাড়ল সেলাইয়ের খবরের পর। বিসিবির এক ভিডিও বার্তায় শরিফুলের চোটের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেন, ‘শেষ ওভারে একটি বল ঠেকাতে গিয়ে বাঁ হাতের তর্জনী ও মধ্যমার মাঝে যে জায়গায় একটা স্প্লিট ইনজুরি হয়েছে শরিফুলের। মাঠে প্রাথমিক পরিচর্যার পর তাকে ম্যাচ শেষে নাসাউ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

তবে শরিফুলের মাঠে ফেরা নিয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছেনা বলেও জানান দেবাশীষ। ‘হ্যান্ড সার্জনের তত্ত্বাবধানে ওর (শরিফুল) ক্ষতস্থানে ছয়টা সেলাই পড়েছে। দুই দিন পর আমরা আবার হ্যান্ড সার্জনের কাছে যাব। তখনআসলে বুঝতে পারব যে ওর ফিরতে কত সময় লাগবে।’

;

জোন্সের ঝড়ে প্রথম বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রথম’ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জেরেমি গর্ডন। কানাডার ডানহাতি পেসার। যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য তাড়ার ইনিংসে ১৪তম ওভারে তার হাতে বল থামান কানাডা অধিনায়ক সাদ বিন জাফর। এবং ওই এক ওভারেই যেন ম্যাচটা জিতে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তিনটি ওয়াইড বল, দুটি নো, দুটি চার ও দুটি ছক্কার সেই ওভারে ৩৩ রান দেন গর্ডন। এতেই ৪২ বলে ৬৯ রানের সমীকরণ নেমে আসে ৩৬ বলে ৩৬ রানে। শেষ পর্যন্ত ১৯৫ রানের লক্ষ্যটি ১৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশটি। 

তবে ৭ উইকেটে এই দাপুটে জয়ের বড় কৃতিত্ব স্বাভাবিকভাবেই যাবে তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্স ও আন্দ্রেস গাউসের জুটিতে। শুরুর চাপ সামলে তাদের ৫৮ বলে ১৩১ রানের রেকর্ড জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে দেয়। গাউস ৬৫ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন জোন্স। তিনি স্রেফ ৪০ বলে করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৯৪ রান। 

ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে আগে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় প্রতিবেশী দল কানাডা। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই স্টিভেন টেইলরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন কালিম সানা। পরে পাওয়ার প্লে শেষের পরপরই ফেরেন অধিনায়ক মোনাঙ্ক। স্কোরবোর্ডে তখন ৬ ওভার ৩ বলে কেবল ৪২ রান। লক্ষ্যটা বড় সঙ্গে শুরুতেই এমন ধাক্কায় বেশ চাপেই পড়ে যায় সহ-আয়োজক দলটি। 

তবে সময় গড়িয়ে জোন্স-গাউস জুটি পেরোতে থাকে সব বাঁধা। ১০ ওভারে যেয়ে সংগ্রহ পৌঁছায় ৮১ রানে। সেখান থেকেই মূলত ব্যাটিং ঝড় শুরু করেন তারা। পরের ৫ ওভারেই তোলে ৮৭ রান, সেখানে ওভারপ্রতি রান ১৭ দশমিক ৪। পরে ১৬তম ওভারে গাউস ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। ১৩১ রানের এই জুটি যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো টি-টোয়েন্টি যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি তৃতীয় উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। শীর্ষে আছে ২০১৪ বিশ্বকাপে তৃতীয় উইকেটে এইডন মরগান ও অ্যালেক্স হেলসের ১৫২ রানের জুটিটি। 

গাউস ফেরার পর বাকি সমীকরণ অনায়াসেই মিলিয়ে দেন জোন্স। বিশ্বকাপে নিজের ও দলের প্রথম ম্যাচেই খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তার ৪০ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত নান্দনিক ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চার ও ১০টি ছক্কার মারে। এতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো পাওয়ার পর সেটি শেষ পর্যন্ত ধরে ছিল কানাডা। ওপেনিংয়ে নামা নাভনিত ধালিওয়ালের দলীয় সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস ছাড়া নিকোলাস কির্তনের ৫১ এবং শেষ দিকে শ্রেয়াস মোভার ১৬ বলে ৩২ রানের ক্যামিওতে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহে পৌঁছে যায় কানাডা। সেখানে একটি করে উইকেট নেন আলী খান, হারমিত সিং ও কোরি অ্যান্ডারসন। 

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র, দল দুটিরই এটি ছিল প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। কানাডা বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে এলেও সহ-আয়োজক দেশের সুবাদে সরাসরি মূলপর্বে জায়গা পায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাসের ঝুলিটা ভরপুর রেখেই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে মোনাঙ্ক প্যাটেলের দলটি এবং দাপুটে জয় দিয়েই শুরু করলো বিশ্ব মঞ্চে প্রথমবারের যাত্রা। 

;

ডর্টমুন্ডকে হারিয়ে ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতল রিয়াল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে খেলতে না, জিততে হয়’ – কথাটা আবারও মনে করিয়ে দিল রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ যুগে এর আগে আট ফাইনাল খেলে কখনও হারেনি দলটা। গতকাল সংখ্যাটা নয়ে উন্নীত করল দলটা। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৫তম বারের মতো ইউরোপসেরা বনে গেল কোচ কার্লো অ্যানচেলত্তির দল। 

গত রাতে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে অবশ্য প্রথমার্ধটা ছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডেরই। ১৪ মিনিটে নিকলাস ফুলক্রুগের পাস থেকে সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন ইউলিয়ান ব্রান্ট। তবে সে সুযোগটা তিনি কাজেই লাগাতে পারেননি। 

এরপর কারিম আদেয়েমি রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়াকে একা পেয়েও ব্যর্থ হলেন গোল করতে। প্রথমার্ধের শেষ অংশে এসে যখন ফুলক্রুগের শটটা ক্রসবারে লাগল, ম্যাচের নিয়তিটা তখনই হয়তো কিছুটা আঁচ করা যাচ্ছিল! 

প্রথমার্ধে একগাদা সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ডর্টমুন্ড। তাই বিরতিতে দুই দল যায় ০-০ স্কোরলাইন নিয়ে। তবে এরপরই পরিস্থিতিটা একেবারে বদলে গেল।

রিয়াল মাদ্রিদের আক্রমণের ধার বাড়াল বিরতির ঠিক পর। বিদায়ী ক্লাব ফুটবল ম্যাচটা খেলতে নামা টনি ক্রুসের ফ্রি কিক দারুণ দক্ষতায় ঠেকান ডর্টমুন্ড গোলরক্ষক কোবেল। 

রিয়ালের গোলের অপেক্ষাটা শেষ হলো ৭৪ মিনিটে গিয়ে। কর্নার থেকে দানি কার্ভাহাল করলেন গোল। এরপর ৮৩ মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়রের গোল ম্যাচের নিয়তি নিশ্চিতই করে দেয়। শেষ বাঁশি বাজতেই রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকরা ফেটে পড়েন উল্লাসে। তাদের দল যে ১৫তম চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে গেছে। প্রতিযোগিতার রেকর্ড এটি। রিয়ালের আধিপত্যটা পরিষ্কার হবে একটা তথ্যে। রিয়াল যতটা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে, তার অর্ধেকেরও কম শিরোপা জিতেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা দলটা। রিয়ালই যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা, তাতে কি আর কোনো সন্দেহ আছে আপনার মনে?

;