ব্র্যাডম্যানের ‘বিখ্যাত শূন্যের’ সেই মাঠ



এম.এম.কায়সার, স্পোর্টস এডিটর, বার্তা২৪.কম, লন্ডন থেকে
ওভালেই ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস খেলেছিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান

ওভালেই ক্যারিয়ারের শেষ ইনিংস খেলেছিলেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যান

  • Font increase
  • Font Decrease

রোববার এখানে ছুটির দিন। আর ছুটির দিনেই যে লন্ডন টিউব রেলের কর্মীরা তাদের কাজ জমিয়ে রাখবেন তা কে জানত?

স্টেফানি গ্রিন স্টেশন থেকে বেশ সহজেই খালি ট্রেনে উঠা গেলো। পরের স্টেশন মাইল্যান্ডে নেমে অন্য লাইনের ট্রেন ধরতে হবে ওভালে যাওয়ার জন্য। বিপত্তি সেখানেই। হঠাৎ ট্রেন চালকের ঘোষণা, সামনের স্টেশনে মেরামতের কাজ চলছে। অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। প্রথমবার অপেক্ষা পাঁচ মিনিট। সেই সময় শেষ হতে আরেকটি ঘোষণা-এবার ১০ মিনিট অপেক্ষা। তবে অবাক করার ব্যাপার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেনে বসা একজনের কপালও কিন্তু বিরক্তিতে কুঁচকালো না। কারণ এই যাত্রীদের সবাই জানে- ট্রেনের লাইন মেরামতের দায়িত্বে যারা রয়েছে, তারা চুড়ান্ত পরিশ্রম করছে। টেকনিক্যাল সমস্যা তো মেনে নিতেই হবে।

কেন জানি ঠিক তখনই ভরা বর্ষায় ঢাকার রাস্তা খোঁড়াখুড়ির দৃশ্যটা চোখে ভেসে উঠল। এখানে অবশ্য তেমন কিছু নয়। ট্রেন বদলে ওভালে পৌছাতে একটু দেরিই হয়ে গেল। কিন্তু ওভাল স্টেশনে নামার সঙ্গে সঙ্গেই চারপাশ থেকে -‘নিড টিকিট, নিড টিকিট-’ বলে যে দৌড়ঝাপ দেখলাম তাতে মনে হলো, আবাহনী-মোহামেডান সুপার কাপ ফুটবল দেখতে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বাইরে দাড়িয়ে আছি। পুলিশে গিজগিজ করছে। কিন্তুু কেউ কারো কোনো কাজে বাধা দিচ্ছে না।

ওভাল স্টেশনের গেটেই এক পতাকা বিক্রেতার সঙ্গে দেখা। নাম অ্যালেক্স। মজার বিষয় হলো তার হাতে ধরা পতাকার সবগুলোই বাংলাদেশের!

কেমন বিক্রি হচ্ছে?

মাথা নাড়িয়ে হাসি দিয়ে অ্যালেক্স বুঝিয়ে দিলো ব্যবসা মন্দ নয়!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/02/1559471693330.jpg

মাঠে ঢুকতেই ভেতরকার ক্রিকেটীয় পরিবেশ, উৎসব শুরুর মুহূর্ত দেখে যে কেউ বিমোহিত হবেন। মাঠের নামটাই এর বিশেষ বৈশিষ্ঠ্যের কথাটা জানান দিচ্ছে-ওভাল। বাংলায় আনুমানিক প্রতিশব্দটা হবে-ডিম্বাকৃতি। ডিমের আদলে দুই পাশে চোখা রেখে তৈরি করা হয়েছে এই স্টেডিয়াম। দুই পাশের স্কয়ার বাউন্ডারি মাঠের অন্য যে কোন জায়গার চেয়ে বেশি দৈর্ঘ্যরে। প্রেসবক্সের  ঠিক মাথার ওপরের দিকের দর্শক গ্যালারিটা খোলা ছাদের আদলে নির্মিত।  বিশালাকৃতির একটি স্টিলের আবরন দিয়ে এই গ্যালারির কিছু অংশ ঢাকার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইংল্যান্ডের এই স্টেডিয়ামের শতাব্দী পুরানো ইতিহাস আছে।

দারুণ সমৃদ্ধ সেই ক্রিকেট ইতিহাস। ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া যে অ্যাশেজ সিরিজে মুখোমুখি হচ্ছে-সেই অ্যাশেজ সিরিজের ধারণার জন্ম দিয়েছিল এই মাঠ। ১৮৮২ সালে টেস্ট ম্যাচ ইংল্যান্ড ৭ রানে হেরে যায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে এখানে। শেষ ইনিংসে জয়ের জন্য ইংল্যান্ডের প্রয়োজন দাড়ায় মাত্র ৮৫ রানের। ২ উইকেটে ৫১ রান তুলে সহজ জয়ের পথেই ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু ধসের শুরুটা হয় তখনই। ৫১ রানে ২ উইকেট থেকে ইংল্যান্ড হঠাৎ করে অলআউট ৭৮ রানে! দেশের মাটিতে দলের এই প্রথম হারে দারুন দুঃখ পায় ইংলিশ মিডিয়া। পরদিন দ্যা স্পোটিং টাইম লেখে-‘ইংলিশ ক্রিকেটের মৃত্যু হলো’। ক্রিকেট ইতিহাস জানাচ্ছে-দারুন টেনশনের সেই ম্যাচের সময় ছাতার বাটে একজন ইংলিশ সমর্থক মারাও গিয়েছিলেন। ইংল্যান্ড দল এই হারের পর যখন অস্ট্রেলিয়ায় তাদের পরবর্তী সফরে যাচ্ছিল তখন ইংল্যান্ডের অধিনায়ককে কিছু ছাই উপহার দিয়ে বলা হয়েছিল-‘এটা ইংলিশ  ক্রিকেটের দেহাবশেষ।’

অ্যাশেজ সিরিজের ধারণার জন্ম এভাবেই।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/02/1559471727864.jpg

লর্ডসকে ক্রিকেটের হোম বলা হলেও ওভালের শতাব্দী পুরানো ইতিহাস এবং এখানে ঘটে যাওয়া ক্রিকেটের অবিস্মরনীয় কিছু ঘটনা এই মাঠকে ইংলিশ ক্রিকেটে অবিচ্ছেদ্য অংশের মর্যাদা দিয়েছে। ইতিহাসের অনেক আলোচিত টেস্ট ম্যাচ হয়েছে এই মাঠে। সর্বশেষটার কথাই বলি-২০০৬ সালের সেপ্টেম্বরে এই মাঠে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের টেস্ট ম্যাচটা চরম বিতর্ক নিয়ে শেষ হয়েছিল।আম্পায়ার ড্যারিল হার্পার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ এনে ‘নো বল’ কল করেন। পাকিস্তান অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক অভিযোগ অস্বীকার করে মাঠ থেকে খেলোয়াড়দের নিয়ে বেরিয়ে আসেন। পাকিস্তান খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে-এই অভিযোগ এনে আম্পায়াররা ম্যাচ ফরফিট ঘোষণা করে ইংল্যান্ডকে জয়ী জানিয়ে দেন। পাকিস্তান সেই ম্যাচের ফলাফল নিয়ে আইসিসির দরবারে ছুটে। শেষশেষ সেই টেস্ট ম্যাচের ফলাফল আইসিসি বাতিল করে। কিন্তু পরে মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে জয়ী ঘোষণা করে। ব্যাপারটা নিয়ে পাকিস্তান এবং ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) মধ্যে দড়ি টানাটানি চলে।

বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার বিশ্বকাপ ম্যাচ শুরু তখনো হয়নি। মাঠের চারপাশে আরেকবার তাকাই। এই মাঠেই স্যার ডন ব্র্যাডম্যান ১৯৪৮ সালে তার জীবনের শেষ টেস্টের শেষ ইনিংসে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। যে কারণে তার টেস্ট রের্কড ‘পারফেক্ট একশ’ আর হলো না! টেলিভিশন রিপ্লেতে অনেকবার ব্র্যাডম্যানের শূন্য রানে আউটের সেই দৃশ্য দেখেছি। মাঠের কোন প্রান্ত ছিল সেটা? খুঁজে লাভ নেই। কারণ এই মাঠ বারকয়েক তার আকৃতি-আদল বদলেছে। শুধু বদলায় না ঐতিহ্য ও ইতিহাস।

এবং ব্র্যাডম্যানের বিখ্যাত শূন্য রানের সেই রেকর্ড!

   

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজটাও হারল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছে, চলবেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই সময়ের অবস্থান যেন সীমাবদ্ধ এই এক লাইনেই। আধুনিক ক্রিকেটের রান বন্যার টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির সহযোগী দল যুক্তরাষ্ট্রের থেকে লক্ষ্যটা দেড়শ’য়ের নিচেই পেয়েছিলেন শান্ত-সাকিবরা। তবে আরও একবার ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফর্মে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে বসল বাংলাদেশ। ৬ রানের এই হারে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০ ব্যবধানে সিরিজটাও হারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো পেয়েছিল সফরকারী দলটি। ১০ ওভারেই তাদের স্কোরবোর্ডে ওঠে ২ উইকেটে ৭৬ রান। তবে সেখান থেকেই কি-না আনাড়ি এই দলটির কাছে ১৩৮ রানেই অলআউট নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এবার দ্বিতীয় ম্যাচটিও জিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটাও জিতল তারা।

প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে মোনাঙ্ক প্যাটেলের ৪২, জোন্সের ৩৫ এবং টেইলের ৩১ রানের ইনিংসে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় যুক্তরাষ্ট্র।

সহজের কাতারে থাকা লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের চতুর্থ বলেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে শুরুটা ভালো পেলেও এদিন রানের খাতা না খুলেই। একাদশে ফিরে আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের শুরুটা আশাজাগানিয়া হলেও ফিরেছেন দ্রুতই। তার ব্যাটে আসে ১৯ রান। পরে তৃতীয় উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন শান্ত। রানের ফেরার ইনিংসে রান আউটে কাটা পড়ার আগে শান্ত করেন ৩৬ রান। ৭৮ রানে তখন বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ ১২৫-এ পৌঁছাতেই সাজঘরে ফেরেন শুরু আট ব্যাটার। সেখানেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ থামে ১৩৮ রানে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সৌরভ ও শ্যাডলে। তবে ৩ ওভার ৩ বলে ২৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া আলী খান জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেলের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৪২ রান যোগ করে তারা। আগের ম্যাচে আত্মবিশ্বাসকে ফিরিয়ে ব্যাট হাতে বেশ ছন্দেই এগোচ্ছিল, তবে তাদের সপ্তম ওভারেই বড়সড় ধাক্কা দেয় সফরকারীরা। সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

সেই চাপ সামলে তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ গড়েন অধিনায়ক মোনাঙ্ক। সেখানে প্রায় দশ ওভার পর দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে তখন ১৬ ওভার ১ বলে ৩ উইকেটে ১০৪ রান। সেখান থেকে শেষ চার ওভারে আরও তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এবং শেষ পর্যন্ত পায় ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও শরিফুল।

আগামী ২৫ মে একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি।

;

শান্তদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ রানের লক্ষ্য



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এতে সমতায় ফিরতে এবং সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে নিশ্চিত জয় চায় বাংলাদেশের। বোলারদের দলীয় নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংস শেষে অবশ্য সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সেই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে শুরুটা অবশ্য ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ দিকে মুস্তাফিজ-শরিফুলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আগের ম্যাচের ভেন্যু হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেলে চড়ে শুরুটা বেশ ভালো পায় স্বাগতিকরা। ৩৯ বলে ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। তবে ভালো শুরু পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই বড় ধাক্কা দেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন তিনি। সেখানে টেইলর ফেরেন ৩১ রান করে এবং তিনে নামা আন্দ্রিয়েস গুস ফেরেন রানের খাতা না খুলেই।

সেই চাপ অবশ্য অনায়াসেই সামলে নেয় স্বাগতিকরা। তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ৬০ রানের সময় উপযোগী জুটি গড়েন মোনাঙ্ক। ৩৫ রান করা জোন্সকে ফেরান বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।  

সেখান থেকেই ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য হারাতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। এবার ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন শরিফুল। এবং শেষ পর্যন্ত ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দলটি।

বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও শরিফুল। এর মধ্যে ৪ ওভারে স্রেফ ২১ রান দিয়ে সবচেয়ে কিপটে ইকোনমি রিশাদের।  

;

বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে হেরে বসায় বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজে হার এড়ানোর। এমন ম্যাচে টসে জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখা। সেই লক্ষ্যে প্রাথমিক কাজটা অবশ্য ঠিকঠাক করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে নিতে পারেনি একটি উইকেটও।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৮ রান। উইকেটে আছেন অধিনায়ক মোনাঙ্কা প্যাটেল ও অ্যারণ জোন্স।

টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ারপ্লে খুবই গুরুপ্তপূর্ণ। এখানে উইকেট বাঁচানোর সঙ্গে দ্রুত রান তোলার দিকেও নজর দিতে হয় ব্যাটারদের। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ দলের লক্ষ্যটা থাকে ঠিক তার উল্টো। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে এই দুটো জায়গার একটিতে সফল হলেও উইকেট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে ওভার প্রতি ৭ গড়ে ৪২ রান জমা করে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রকে বড় সংগ্রহের পথ থেকে সরাতে বাংলাদেশ দলের জন্য ব্রেক থ্রু পাওয়া হয়ে দাঁড়ায় অতীব গুরুপ্তপূর্ণ। সপ্তম ওভারে এসে সেই কাজটি করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ইনিংসে প্রথমবারের মতো বল হাতে তুলে নিয়েই সাফল্য এনে দেন তিনি। ফেরান ২৮ বলে ৩১ রান করা স্টিভেন টেলরকে। পরের বলেই তুলে নেন সদ্য উইকেটে পা রাখা অ্যান্ড্রিস গাউসকে। দারুণ শুরু করা যুক্তরাষ্ট্র খানিকটা চাপেই পড়ে যায় হঠাৎ করে।

অবশ্য অ্যারন জোন্সকে নিয় সেই চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। দায়িত্ব নিয়ে দলকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। দলকে টানছেন বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেওয়ার পথে। এই দু’জনের ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি যুক্তরাষ্ট্রকে।

এর আগে, দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশ সিরিজ বাঁচাতে একাদশে দুটি বদল এনেছে। একাদশে ফিরিয়েছেন তানজিদ তামিম ও তানজিম সাকিব। তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও শেখ মেহেদী।

;

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে শুরুতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি হতে পারত সিরিজ নিশ্চিত করার। অথচ সেটি না হয়ে দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এখন সিরিজ বাঁচানোর মিশনে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে যেখানে টসে জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে একাদশেও দুটি বদল এনেছে বাংলাদেশ। একাদশে সুযোগ পেয়েছেন তানজিদ তামিম ও তানজিম সাকিব। তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও শেখ মেহেদী।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি শেষ প্রস্তুতি সিরিজ। যেখানে ক্রিকেটাররা শেষবারের মতো নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন ক্রিকেটাররা। বলা যাবে না সেটি। কেননা, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফুটে উঠা ব্যাটিং দৈন্যতা কাটেনি যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেও।

প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছিল মাত্র ১৫৩ রান। সেই পুঁজিতে যে কোনো দলের সঙ্গেই ম্যাচ জেতা কঠিন। সেটিই যেন আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরে প্রমাণ পেল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এমন হারের পর তাই সিরিজে হার এড়ানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শান্তর দলের।

দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য জয়ের সঙ্গে ব্যাটারদের রানে ফেরাটাও বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ দলের জন্য। কেননা, অধিনায়ক শান্তসহ দলের টপ অর্ডারদের বেশিরভাগই ভুগছেন রান খরায়। বিশ্বকাপের আগে যা চিন্তার বড় কারণ। সেই চিন্তা কাটাতে হলেও র‌্যাঙ্কিংয়ের ১৯ নম্বরে থাকা দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ব্যাটিং শক্তি দেখাতে হবে শান্তর দলকে। আর সেটি না হলে যে আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকবে বিশ্বকাপের আগেই।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক), রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

ইউএসএ একাদশ: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), স্টিভেন টেলর, অ্যারন জোন্স, অ্যান্ড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, নীতীশ কুমার, আলী খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, শ্যাডলি ভ্যান শ্যালকউইক, সৌরভ নেত্রভালকর।

;