উইলিয়ামসনের সেঞ্চুরি, প্রোটিয়াদের হারিয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
ঠিক অধিনায়কের মতোই সামনে থেকে দলকে জেতালেন কেন উইলিয়ামসন

ঠিক অধিনায়কের মতোই সামনে থেকে দলকে জেতালেন কেন উইলিয়ামসন

  • Font increase
  • Font Decrease

বোলারদের হাত ধরে জয়ের মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। বাকী ছিল শুধু ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তা। সেই কাজটাও ঠিকঠাক মতো করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। বল-ব্যাটের দাপটে বিশ্বকাপে আরো একটা জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। কেন উইলিয়ামসনের অসাধারণ শতরানে তারা হারাল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। অধিনায়ক ঠিক অধিনায়কেরই মতো খেললেন!

বার্মিহামে বুধবার প্রোটিয়াদের ৪ উইকেটে সহজেই হারিয়েছে কিউইরা। ৩ বল বাকী থাকতেই ধরা দেয় দুর্দান্ত জয়।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তুলে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান। হাফসেঞ্চুরি করেন হাশিম আমলা ও রসি ফন ডার ডাসেন। জবাব দিতে নেমে কেন উইলিয়ামসনের শতরানে ৪৮.৩ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পা রাখে নিউজিল্যান্ড।

চলতি বিশ্বকাপে পাঁচ ম্যাচে চার জয় তুলে নিয়েছে কিউইরা। ঠিক ফেভারিটের মতো এগিয়ে যাচ্ছে গতবারের রানার্সআপ দলটি। ৯ পয়েন্ট নিয়ে বিশ্বকাপের টেবিলে শীর্ষে আছে তারাই। অন্যদিকে ৬ ম্যাচে মাত্র এক জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার সেমি-ফাইনালে উঠা মিশন ইমপসিবলই হয়ে গেল।

জবাবে নেমে শুরুটা অবশ্য ভাল ছিল না কিউইদের। দলীয় ১২ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার কলিন মুনরো (৯)। এরপর মার্টিন গাপটিল ব্যক্তিগত ৩৫ রানে ফিরলে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড। এরপরই রস টেলর (১) ও টম লাথাম (১) চটজলদি বিদায় করে ম্যাচে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা।

কিন্তু তখনই সব দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলেন নেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। সঙ্গে তাকে সমর্থন দিয়ে গেছেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। দুজনই ম্যাচের দৃশ্যপট ফের পাল্টে দেন। তাদের দাপুটে আর দ্বায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে জয়ের পথ খুঁজে নেয় ফেভারিটরা।

৪৭ বলে ৬০ রান করে ফেরেন গ্র্যান্ডহোম। তবে উইলিয়ামসন ঠিকই দলকে জয় এনে দিয়ে মাঠ ছাড়েন। শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে তুলে নেন শতরান। শেষ অব্দি ১৩৮ বলে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন কিউই ক্যাপ্টেন। ইনিংসে ছিল ৯ বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা।

এর আগে আউটফিল্ড ভেজা থাকায় খেলা শুরু হয় দেরিতে। এ কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য এক ওভার কমিয়ে দেওয়া হয়। সেই ম্যাচে টস জিতে প্রোটিয়াদেরই প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।

ভেজা উইকেটে রান তুলতে গিয়ে সংগ্রাম করতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। হাশিম আমলাও ও ফন ডার ডাসেন ছাড়া সবাই ব্যর্থ। আমলা ৮৩ বলে ৫৫ রান করার পথে অভিজাত এক মাইলফলক পেরিয়ে যান। প্রোটিয়াদের হয়ে ওয়ানডেতে দ্রুততম ৮ হাজার রানে পা রাখেন তিনি।

হাশিম আমলা আট হাজার রান করলেন ১৭৬ ইনিংসে। যা ওয়ানডে ইতিহাসে দ্বিতীয় দ্রুততম। দ্রুততম আট হাজার রানের রেকর্ড বিরাট কোহলির। ভারত অধিনায়কের এই ক্লাবে পা রাখেন ১৭৫ ইনিংস খেলে। এর আগে ২ থেকে ৭ হাজার রানের মাইলফলকে পা রাখার দ্রুততম রেকর্ড আমলারই দখলে।

ফন ডার ডাসেন করেন ৬৪ বলে ৬৭। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিনটি উইকেট নেন লকি ফার্গুসন। ১টি করে উইকেট শিকার করেন ট্রেন্ট বোল্ট, স্যান্টনার ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। তবে ম্যাচসেরা শতরান করা কেন উইলিয়ামসনই। তিনিই কঠিন দৃঢ়তায় দলকে এনে দিয়েছেন দারুণ এক জয়!

সংক্ষিপ্ত স্কোর-

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৪৯ ওভারে ২৪১/৬ (ডি কক ৫, আমলা ৫৫, ডু প্লেসিস ২৩, মারক্রাম ৩৮, ফন ডার ডাসেন ৬৭*, মিলার ৩৬, ফেলুকোয়ায়ো ০, মরিস ৬*; বোল্ট ১/৫৩, ফার্গুসন ৩/৫৯, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/৩৩, স্যান্টনার ১/৪৫)
নিউজিল্যান্ড: ৪৮.৩ ওভারে ২৪৫/৬ (গাপটিল ৩৫, মানরো ৯, উইলিয়ামসন ১০৬*, টেলর ১, ল্যাথাম ১, নিশাম ২৩, ডি গ্র্যান্ডহোম ৬০, স্যান্টনার ২*; রাবাদা ১/৪২, এনগিডি ১/৪৭, মরিস ৩/৪৯, ফেলুকোয়ায়ো ১/৭৩)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যাচসেরা: কেন উইলিয়ামসন

   

টিভিতে আজ যেসব খেলা দেখবেন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল
বসুন্ধরা কিংস-রহমতগঞ্জ
বিকেল ৪টা, টি স্পোর্টস

আইপিএল
কোয়ালিফায়ার ২
হায়দরাবাদ-রাজস্থান
রাত ৮টা, টি স্পোর্টস ও গাজী টিভি

;

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজটাও হারল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছে, চলবেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই সময়ের অবস্থান যেন সীমাবদ্ধ এই এক লাইনেই। আধুনিক ক্রিকেটের রান বন্যার টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির সহযোগী দল যুক্তরাষ্ট্রের থেকে লক্ষ্যটা দেড়শ’য়ের নিচেই পেয়েছিলেন শান্ত-সাকিবরা। তবে আরও একবার ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফর্মে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে বসল বাংলাদেশ। ৬ রানের এই হারে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০ ব্যবধানে সিরিজটাও হারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো পেয়েছিল সফরকারী দলটি। ১০ ওভারেই তাদের স্কোরবোর্ডে ওঠে ২ উইকেটে ৭৬ রান। তবে সেখান থেকেই কি-না আনাড়ি এই দলটির কাছে ১৩৮ রানেই অলআউট নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এবার দ্বিতীয় ম্যাচটিও জিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটাও জিতল তারা।

প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে মোনাঙ্ক প্যাটেলের ৪২, জোন্সের ৩৫ এবং টেইলের ৩১ রানের ইনিংসে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় যুক্তরাষ্ট্র।

সহজের কাতারে থাকা লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের চতুর্থ বলেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে শুরুটা ভালো পেলেও এদিন রানের খাতা না খুলেই। একাদশে ফিরে আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের শুরুটা আশাজাগানিয়া হলেও ফিরেছেন দ্রুতই। তার ব্যাটে আসে ১৯ রান। পরে তৃতীয় উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন শান্ত। রানের ফেরার ইনিংসে রান আউটে কাটা পড়ার আগে শান্ত করেন ৩৬ রান। ৭৮ রানে তখন বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ ১২৫-এ পৌঁছাতেই সাজঘরে ফেরেন শুরু আট ব্যাটার। সেখানেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ থামে ১৩৮ রানে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সৌরভ ও শ্যাডলে। তবে ৩ ওভার ৩ বলে ২৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া আলী খান জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেলের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৪২ রান যোগ করে তারা। আগের ম্যাচে আত্মবিশ্বাসকে ফিরিয়ে ব্যাট হাতে বেশ ছন্দেই এগোচ্ছিল, তবে তাদের সপ্তম ওভারেই বড়সড় ধাক্কা দেয় সফরকারীরা। সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

সেই চাপ সামলে তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ গড়েন অধিনায়ক মোনাঙ্ক। সেখানে প্রায় দশ ওভার পর দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে তখন ১৬ ওভার ১ বলে ৩ উইকেটে ১০৪ রান। সেখান থেকে শেষ চার ওভারে আরও তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এবং শেষ পর্যন্ত পায় ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও শরিফুল।

আগামী ২৫ মে একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি।

;

শান্তদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ রানের লক্ষ্য



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এতে সমতায় ফিরতে এবং সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে নিশ্চিত জয় চায় বাংলাদেশের। বোলারদের দলীয় নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংস শেষে অবশ্য সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সেই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে শুরুটা অবশ্য ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ দিকে মুস্তাফিজ-শরিফুলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আগের ম্যাচের ভেন্যু হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেলে চড়ে শুরুটা বেশ ভালো পায় স্বাগতিকরা। ৩৯ বলে ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। তবে ভালো শুরু পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই বড় ধাক্কা দেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন তিনি। সেখানে টেইলর ফেরেন ৩১ রান করে এবং তিনে নামা আন্দ্রিয়েস গুস ফেরেন রানের খাতা না খুলেই।

সেই চাপ অবশ্য অনায়াসেই সামলে নেয় স্বাগতিকরা। তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ৬০ রানের সময় উপযোগী জুটি গড়েন মোনাঙ্ক। ৩৫ রান করা জোন্সকে ফেরান বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।  

সেখান থেকেই ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য হারাতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। এবার ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন শরিফুল। এবং শেষ পর্যন্ত ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দলটি।

বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও শরিফুল। এর মধ্যে ৪ ওভারে স্রেফ ২১ রান দিয়ে সবচেয়ে কিপটে ইকোনমি রিশাদের।  

;

বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে হেরে বসায় বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজে হার এড়ানোর। এমন ম্যাচে টসে জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখা। সেই লক্ষ্যে প্রাথমিক কাজটা অবশ্য ঠিকঠাক করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে নিতে পারেনি একটি উইকেটও।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৮ রান। উইকেটে আছেন অধিনায়ক মোনাঙ্কা প্যাটেল ও অ্যারণ জোন্স।

টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ারপ্লে খুবই গুরুপ্তপূর্ণ। এখানে উইকেট বাঁচানোর সঙ্গে দ্রুত রান তোলার দিকেও নজর দিতে হয় ব্যাটারদের। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ দলের লক্ষ্যটা থাকে ঠিক তার উল্টো। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে এই দুটো জায়গার একটিতে সফল হলেও উইকেট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে ওভার প্রতি ৭ গড়ে ৪২ রান জমা করে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রকে বড় সংগ্রহের পথ থেকে সরাতে বাংলাদেশ দলের জন্য ব্রেক থ্রু পাওয়া হয়ে দাঁড়ায় অতীব গুরুপ্তপূর্ণ। সপ্তম ওভারে এসে সেই কাজটি করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ইনিংসে প্রথমবারের মতো বল হাতে তুলে নিয়েই সাফল্য এনে দেন তিনি। ফেরান ২৮ বলে ৩১ রান করা স্টিভেন টেলরকে। পরের বলেই তুলে নেন সদ্য উইকেটে পা রাখা অ্যান্ড্রিস গাউসকে। দারুণ শুরু করা যুক্তরাষ্ট্র খানিকটা চাপেই পড়ে যায় হঠাৎ করে।

অবশ্য অ্যারন জোন্সকে নিয় সেই চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। দায়িত্ব নিয়ে দলকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। দলকে টানছেন বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেওয়ার পথে। এই দু’জনের ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি যুক্তরাষ্ট্রকে।

এর আগে, দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশ সিরিজ বাঁচাতে একাদশে দুটি বদল এনেছে। একাদশে ফিরিয়েছেন তানজিদ তামিম ও তানজিম সাকিব। তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও শেখ মেহেদী।

;