ব্র্যাথওয়েট বীরত্বের পরও কিউইদের নাটকীয় জয়



আপন তারিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
বোলারদের তোপে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ল কিউইরা

বোলারদের তোপে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ল কিউইরা

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিশ্বাস্য, নাটকীয়, রোমাঞ্চকর! না কোন বিশেষণই বুঝি যথেষ্ট নয়! রুদ্ধশ্বাস ছড়ানো লড়াই! যেখানে জয় হলো ক্রিকেটের।

শুরুতে কেন উইলিয়ামসনের নান্দনিক ব্যাটিং এরপর বল হাতে ট্রেন্ট বোল্টের তোপ! দুইয়ে মিলে হেসে-খেলেই জয়ের পথেই ছিল নিউজিল্যান্ড। কিন্তু কে জানতো শেষ বেলায় এভাবে হিসাবের ছক উল্টে দেবেন কার্লোস ব্র্যাথওয়েট। রীতিমতো ব্যাট হাতে ম্যাজিক দেখালেন তিনি। তার ব্যাটিং বীরত্বেই প্রায় হারা ম্যাচটাও জিতে যাচ্ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি!

অসাধারণ এক শতরান তুলে নেন ব্র্যাথওয়েট। তারপরও আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো। রুদ্ধশ্বাস ছড়ানো লড়াইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ক্রিস গেইল শিমরন হেটমায়ার আর ব্র্যাথওয়েটের প্রতিরোধ শেষে হাসিমুখ কিউইদের।

শনিবার ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে উইন্ডিজের বিপক্ষে ৫ রানের ম্যাচ জেতে নিউজিল্যান্ড।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯১ রান। শতরান তুলে নেন ইনফর্ম উইলিয়ামসন। জবাব দিতে নেমে ৪৯ ওভারে ২৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় ক্যারবীয়রা।

এই জয়ে ফের বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে উঠে গেল উইলিয়ামসনের দল। ৬ ম্যাচে তাদের অর্জন ১১ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নেমে গেল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। সমান পয়েন্ট নিয়ে এরপরই রয়েছে বিরাট কোহলির ভারত। ৮ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে ইংল্যান্ড। আর উইন্ডিজ ৬ ম্যাচে ১ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে সাত নম্বরে।

ম্যাচটা শেষ দিকে এসে এমন উত্তেজনা ছড়াবে আঁচ করা যায়নি। বড় সংগ্রহের সামনে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট পতনের মিছিল উইন্ডিজের। দলের ২০ রানে ফেরেন শাই হোপ (১) ও নিকোলাস পুরান (১)। তারপর ক্রিস গেইল ও শিমরন হেটমায়ের জুটি গড়েন। দু'জন জমা করেন ১২২ রান। ৫৪ রানে লকি ফার্গুসনের শিকার হেটমায়ের। তবে এক প্রান্তে লড়ে যাচ্ছিলেন গেইল।

কিউইদের বিপক্ষে সেই চেনা গেইলেরই দেখা মিলেছিল। কিন্তু ৮৪ বলে ৮৭ রান করতেই পথ হারান তিনি। ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ছয়টি ছক্কার সমাহার। গেইল ফিরতেই সব শেষ! বোল্টদের আক্রমণে দিশেহারা উইন্ডিজ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/23/1561237364985.jpg

কিন্তু শেষদিকে কার্লোস ব্র্যাথওয়েট হিসাবের ছক উল্টে দেন। কিউই বোলারদের দাপটে খেলে ম্যাচটা প্রায় নিজেদেরই করে নেন। শেষ ওভারে ১৮ বলে চাই ৩৩ রান। হাতে ১ উইকেট। তখনই ম্যাট হেনরি ওভারে তুলে নেন ২৫ রান।

১২ বলে জিততে চাই ৮ রান। এরপর স্ট্রাইকে ছিলেন ব্র্যাথওয়েটই। কিন্তু নিজের শতরান পেলেও দলকে জেতাতে পারেন নি। উড়িয়ে মেরেছিলেন নিশামের বল। সীমানার ঠিক পাশে দাঁড়িয়ে সেই ক্যাচটা তালুবন্ধী করেন বোল্ট! অবিশ্বাস্য এক জয়ের আনন্দে মেতে উঠে কিউইরা। ৮২ বলে ১০১ রানের ইনিংসটা আক্ষেপেই শেষ হয় ব্র্যাথওয়েটের!

বোল্ট নেন ৩০ রানে ৪ উইকেট। লকি ফার্গুসন শিকার করেন তিন উইকেট। তবে ম্যাচসেরা কেন উইলিয়ামসনই!

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দাপট দেখালেন উইলিয়ামসন। ক্যারিয়ারের সেরা সময়টাই যেন কাটাচ্ছেন তিনি। বিশ্বকাপে আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছেন সেঞ্চুরি। অপরাজিত ১০৬ রান করে দলকে এনে দেন দুর্দান্ত জয়। আফগানিস্তানের বিপক্ষে করেন ৭৯। তারও আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪০ রান।

শনিবার ফের শতরানে রাঙালেন উইলিয়ামসন। তিনি করলেন ১৪৮ রান। ১৫৪ বলের ইনিংসে ছিল ১৪ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কা। ৬৯ রান তুলেন রস টেলর।

দিবা-রাত্রির এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই হারায় ওপেনার মার্টিন গাপটিলকে সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন পেসার শেলডন কটরেল। আরেক ওপেনার কলিন মুনরোও কোন রান না করেইতাকে অনুসরণ করেন।

এরপরই বিপর্যয়ে হাল ধরেন কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলর। তারা তুলেন ১৬০ রান। ৯৫ বলে ৬৯ রান করে আউট টেলর। কিন্তু উইলিয়ামসন তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১৩তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ১৪৮ রানে তুলে সাজঘরে ফেরেন। এটিই তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস।

৫৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেলডন কটরেল। কার্লোস ব্র্যাথওয়েট পেয়েছেন দুটি উইকেট। তবে ম্যাচের সেরা ফের উইলিয়ামসন। স্বপ্নের মতো ক্রিকেট খেলে যাচ্ছেন কিউই ক্যাপ্টেন। গত বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েছিল তারা। এবার শিরোপায় চোখ রেখেই লড়ছে!

সংক্ষিপ্ত স্কোর-
নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৯১/৮ (গাপটিল ০, মানরো ০, উইলিয়ামসন ১৪৮, টেলর ৬৯, ল্যাথাম ১২, নিশাম ২৮, ডি গ্র্যান্ডহোম ১৬, স্যান্টনার ১০, হেনরি ০*; কটরেল ৪/৫৬, ব্র্যাথওয়েট ২/৫৮, গেইল ১/৮)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৯ ওভারে ২৮৬/১০ (গেইল ৮৭, হোপ ১, পুরান ১, হেটমায়ার ৫৪, হোল্ডার ০, ব্র্যাথওয়েট ১০১, নার্স ১, লুইস ০, রোচ ১৪, কটরেল ১৫, টমাস ০*; বোল্ট ৪/৩০, হেনরি ১/৭৬, ফার্গুসন ৩/৫৯, নিশাম ১/৩৫, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/২২)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৫ রানে জয়ী
ম্যাচসেরা: কেন উইলিয়ামসন

 

   

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজটাও হারল বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাটিং ব্যর্থতা চলছে, চলবেই। বাংলাদেশের ক্রিকেটের এই সময়ের অবস্থান যেন সীমাবদ্ধ এই এক লাইনেই। আধুনিক ক্রিকেটের রান বন্যার টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির সহযোগী দল যুক্তরাষ্ট্রের থেকে লক্ষ্যটা দেড়শ’য়ের নিচেই পেয়েছিলেন শান্ত-সাকিবরা। তবে আরও একবার ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফর্মে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরে বসল বাংলাদেশ। ৬ রানের এই হারে এক ম্যাচ হাতে রেখে ২-০ ব্যবধানে সিরিজটাও হারল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা অবশ্য ভালো পেয়েছিল সফরকারী দলটি। ১০ ওভারেই তাদের স্কোরবোর্ডে ওঠে ২ উইকেটে ৭৬ রান। তবে সেখান থেকেই কি-না আনাড়ি এই দলটির কাছে ১৩৮ রানেই অলআউট নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এবার দ্বিতীয় ম্যাচটিও জিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজটাও জিতল তারা।

প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে মোনাঙ্ক প্যাটেলের ৪২, জোন্সের ৩৫ এবং টেইলের ৩১ রানের ইনিংসে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পায় যুক্তরাষ্ট্র।

সহজের কাতারে থাকা লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের চতুর্থ বলেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে শুরুটা ভালো পেলেও এদিন রানের খাতা না খুলেই। একাদশে ফিরে আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের শুরুটা আশাজাগানিয়া হলেও ফিরেছেন দ্রুতই। তার ব্যাটে আসে ১৯ রান। পরে তৃতীয় উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়েন শান্ত। রানের ফেরার ইনিংসে রান আউটে কাটা পড়ার আগে শান্ত করেন ৩৬ রান। ৭৮ রানে তখন বাংলাদেশ হারায় তৃতীয় উইকেট। সেখান থেকে দলীয় সংগ্রহ ১২৫-এ পৌঁছাতেই সাজঘরে ফেরেন শুরু আট ব্যাটার। সেখানেই ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এবং শেষ পর্যন্ত তাদের সংগ্রহ থামে ১৩৮ রানে।

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সৌরভ ও শ্যাডলে। তবে ৩ ওভার ৩ বলে ২৫ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া আলী খান জেতেন ম্যাচসেরার খেতাব।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেলের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পায় স্বাগতিকরা। পাওয়ার প্লের ৬ ওভার শেষে বিনা উইকেটে স্কোরবোর্ডে ৪২ রান যোগ করে তারা। আগের ম্যাচে আত্মবিশ্বাসকে ফিরিয়ে ব্যাট হাতে বেশ ছন্দেই এগোচ্ছিল, তবে তাদের সপ্তম ওভারেই বড়সড় ধাক্কা দেয় সফরকারীরা। সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন।

সেই চাপ সামলে তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ গড়েন অধিনায়ক মোনাঙ্ক। সেখানে প্রায় দশ ওভার পর দলকে ব্রেক থ্রু এনে দেন মুস্তাফিজুর রহমান। স্বাগতিকদের স্কোরবোর্ডে তখন ১৬ ওভার ১ বলে ৩ উইকেটে ১০৪ রান। সেখান থেকে শেষ চার ওভারে আরও তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। এবং শেষ পর্যন্ত পায় ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি। বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও শরিফুল।

আগামী ২৫ মে একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি।

;

শান্তদের সামনে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪৫ রানের লক্ষ্য



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে জিতে ১-০ তে এগিয়ে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র। এতে সমতায় ফিরতে এবং সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় ম্যাচে নিশ্চিত জয় চায় বাংলাদেশের। বোলারদের দলীয় নৈপুণ্যে প্রথম ইনিংস শেষে অবশ্য সুবিধাজনক অবস্থানেই আছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। আগের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সেই আত্মবিশ্বাসকে কাজে লাগিয়ে শুরুটা অবশ্য ভালো পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে শেষ দিকে মুস্তাফিজ-শরিফুলদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আগের ম্যাচের ভেন্যু হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারীরা। সেখানে ব্যাট করতে নেমে দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাঙ্ক প্যাটেলে চড়ে শুরুটা বেশ ভালো পায় স্বাগতিকরা। ৩৯ বলে ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৪৪ রান। তবে ভালো শুরু পাওয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ইনিংসের সপ্তম ওভারেই বড় ধাক্কা দেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। সপ্তম ওভারের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন তিনি। সেখানে টেইলর ফেরেন ৩১ রান করে এবং তিনে নামা আন্দ্রিয়েস গুস ফেরেন রানের খাতা না খুলেই।

সেই চাপ অবশ্য অনায়াসেই সামলে নেয় স্বাগতিকরা। তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্সকে নিয়ে ৬০ রানের সময় উপযোগী জুটি গড়েন মোনাঙ্ক। ৩৫ রান করা জোন্সকে ফেরান বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।  

সেখান থেকেই ম্যাচে নিজেদের আধিপত্য হারাতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা। এবার ১৯তম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন শরিফুল। এবং শেষ পর্যন্ত ১৪৪ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিক দলটি।

বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রিশাদ, মুস্তাফিজ ও শরিফুল। এর মধ্যে ৪ ওভারে স্রেফ ২১ রান দিয়ে সবচেয়ে কিপটে ইকোনমি রিশাদের।  

;

বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেওয়ার পথে যুক্তরাষ্ট্র



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে হেরে বসায় বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সিরিজে হার এড়ানোর। এমন ম্যাচে টসে জিতে যুক্তরাষ্ট্রকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় বাংলাদেশ। লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রকে নাগালের মধ্যে আটকে রাখা। সেই লক্ষ্যে প্রাথমিক কাজটা অবশ্য ঠিকঠাক করতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে নিতে পারেনি একটি উইকেটও।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সংগ্রহ ১০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৬৮ রান। উইকেটে আছেন অধিনায়ক মোনাঙ্কা প্যাটেল ও অ্যারণ জোন্স।

টি-টোয়েন্টিতে পাওয়ারপ্লে খুবই গুরুপ্তপূর্ণ। এখানে উইকেট বাঁচানোর সঙ্গে দ্রুত রান তোলার দিকেও নজর দিতে হয় ব্যাটারদের। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ দলের লক্ষ্যটা থাকে ঠিক তার উল্টো। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে এই দুটো জায়গার একটিতে সফল হলেও উইকেট তুলতে পারেনি বাংলাদেশ। পাওয়ারপ্লেতে ওভার প্রতি ৭ গড়ে ৪২ রান জমা করে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রকে বড় সংগ্রহের পথ থেকে সরাতে বাংলাদেশ দলের জন্য ব্রেক থ্রু পাওয়া হয়ে দাঁড়ায় অতীব গুরুপ্তপূর্ণ। সপ্তম ওভারে এসে সেই কাজটি করেন লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন। ইনিংসে প্রথমবারের মতো বল হাতে তুলে নিয়েই সাফল্য এনে দেন তিনি। ফেরান ২৮ বলে ৩১ রান করা স্টিভেন টেলরকে। পরের বলেই তুলে নেন সদ্য উইকেটে পা রাখা অ্যান্ড্রিস গাউসকে। দারুণ শুরু করা যুক্তরাষ্ট্র খানিকটা চাপেই পড়ে যায় হঠাৎ করে।

অবশ্য অ্যারন জোন্সকে নিয় সেই চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। দায়িত্ব নিয়ে দলকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। দলকে টানছেন বাংলাদেশকে চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দেওয়ার পথে। এই দু’জনের ব্যাটিংয়ে প্রথম ১০ ওভারে আর কোনো উইকেট হারাতে হয়নি যুক্তরাষ্ট্রকে।

এর আগে, দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া বাংলাদেশ সিরিজ বাঁচাতে একাদশে দুটি বদল এনেছে। একাদশে ফিরিয়েছেন তানজিদ তামিম ও তানজিম সাকিব। তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও শেখ মেহেদী।

;

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে শুরুতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের জন্য ম্যাচটি হতে পারত সিরিজ নিশ্চিত করার। অথচ সেটি না হয়ে দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে এখন সিরিজ বাঁচানোর মিশনে নামতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয়টিতে যেখানে টসে জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজ বাঁচাতে একাদশেও দুটি বদল এনেছে বাংলাদেশ। একাদশে সুযোগ পেয়েছেন তানজিদ তামিম ও তানজিম সাকিব। তাদের জায়গা ছেড়ে দিয়েছেন লিটন দাস ও শেখ মেহেদী।

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাংলাদেশের এটি শেষ প্রস্তুতি সিরিজ। যেখানে ক্রিকেটাররা শেষবারের মতো নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। যদিও সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছেন ক্রিকেটাররা। বলা যাবে না সেটি। কেননা, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফুটে উঠা ব্যাটিং দৈন্যতা কাটেনি যুক্তরাষ্ট্রে পা রেখেও।

প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছিল মাত্র ১৫৩ রান। সেই পুঁজিতে যে কোনো দলের সঙ্গেই ম্যাচ জেতা কঠিন। সেটিই যেন আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরে প্রমাণ পেল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে। এমন হারের পর তাই সিরিজে হার এড়ানোটাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে শান্তর দলের।

দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য জয়ের সঙ্গে ব্যাটারদের রানে ফেরাটাও বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশ দলের জন্য। কেননা, অধিনায়ক শান্তসহ দলের টপ অর্ডারদের বেশিরভাগই ভুগছেন রান খরায়। বিশ্বকাপের আগে যা চিন্তার বড় কারণ। সেই চিন্তা কাটাতে হলেও র‌্যাঙ্কিংয়ের ১৯ নম্বরে থাকা দুর্বল যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ব্যাটিং শক্তি দেখাতে হবে শান্তর দলকে। আর সেটি না হলে যে আত্মবিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকবে বিশ্বকাপের আগেই।

বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ তামিম, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, সাকিব আল হাসান, জাকের আলী (উইকেটরক্ষক), রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান সাকিব, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

ইউএসএ একাদশ: মোনাঙ্ক প্যাটেল (অধিনায়ক), স্টিভেন টেলর, অ্যারন জোন্স, অ্যান্ড্রিস গাউস, কোরি অ্যান্ডারসন, নীতীশ কুমার, আলী খান, হারমিত সিং, জেসি সিং, শ্যাডলি ভ্যান শ্যালকউইক, সৌরভ নেত্রভালকর।

;