ব্রিটেনের নাগরিকত্ব চেয়ে আবেদন আমিরের



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
‘স্পাউস ভিসা’ চাইছেন মোহাম্মদ আমির

‘স্পাউস ভিসা’ চাইছেন মোহাম্মদ আমির

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিন আগেই টেস্ট ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়েছেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছেন সাদা পোশাকে পাকিস্তানের হয়ে আর খেলবেন না। এখন থেকে শুধু ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টিতে দেখা যাবে মোহাম্মদ আমিরকে। যদিও মাত্র ২৭ বছর বয়সেই তার টেস্ট থেকে সরে যাওয়ায় বিস্মিত অনেকেই। সেই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘন্টা না যেতেই এবার ব্রিটেনের নাগরিকত্ব চাইলেন আমির!

ইংল্যান্ডেই বসবাসের চিন্তা থেকেই এমন আবেদন করলেন পাকিস্তানি এই তারকা ক্রিকেটার। অবশ্য তার স্ত্রী পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। ২০১৬ সালে নারগিস মালিকের সঙ্গে সংসার পেতেছেন তিনি। তার পথ ধরে এবার ‘স্পাউস ভিসা’ আবেদন করলেন এই পেসার। আর সেটা পেয়ে গেলে ৩০ মাস পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি পেয়ে যাবেন আমির। স্থায়ীভাবে বসবাস করার পরই ব্রিটিশ পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

একইসঙ্গে ব্রিটেনে কাজের সুবিধাছাড়াও বাড়তি কিছু পাবেন। জানা গেছে, লন্ডনে একটি বাড়ি কিনতে চাইছেন এই পেসার। এ কারণেই তড়িঘড়ি করে এমন আবেদন। তবে কোনভাবেই ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার পরিকল্পনা নেই আমিরের মাথায়।

টেস্ট থেকে সরে দাঁড়ানোর দিন জানাচ্ছিলেন, ‘দেখুন, পাকিস্তানের হয়ে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ ও ঐহিত্যবাহী সংস্করণে প্রতিনিধিত্ব করা সম্মানের ব্যাপার। কিন্তু সে যাই হোক, ক্রিকেটের দীর্ঘতম সংস্করণ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাতে সাদা বলের ক্রিকেটে মনোযোগী হতে পারি।’

স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ইংল্যান্ডেই জেল খেটেছিলেন আমির। তবে সেসবই এখন অতীত। বল হাতে দাপুটে ক্রিকেটে ফের আলোচনায় আছেন তিনি। সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে শিকার করেন ১৭ উইকেট। সেই আমিরের চোখ এখন শুধুই ওয়ানডে আর টি-টুয়েন্টিতে।

   

আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলছেন জিরু



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের হয়ে ক্যারিয়ারটা বেশ বর্ণিল অলিভিয়ের জিরুর। দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি, চলতি শতকে একমাত্র যে বিশ্বকাপ জিতেছে দলটা, তাতে বড় অবদান ছিল তার। সেই জিরু এবার ফ্রান্স দলকে, আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় বলতে চলেছেন। 

আসছে ইউরো দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানাবেন তিনি। সম্প্রতি বিষয়টি জানিয়েছেন সাবেক আর্সেনাল ফুটবলার।

ফরাসি সংবাদমাধ্যম লে’কিপের সঙ্গে আলাপে অবসরের ঘোষণাটা দেন জিরু, ‘ল্য ব্লু’র সঙ্গে এই ইউরোই হতে যাচ্ছে আমার শেষ টুর্নামেন্ট। ফ্রান্সের জার্সিতে খেলাটাকে অনেক মিস করব।’

কিলিয়ান এমবাপে আছেন, উসমান দেম্বেলে, কোলো মুয়ানি, কিংসলে কোমানরা আছেন। সঙ্গে উঠে আসছেন ব্র্যাডলি বারকোলা, ক্রিস্টোফার এনকুঙ্কুদের মতো তরুণ তুর্কিরা। তাদের সুযোগ করে দিতেই সরে যাচ্ছেন জিরু। 

বললেন, ‘তরুণদের জায়গা করে দিতে হবে। আপনি যেন খুব বেশি সময় কোনো কিছু আঁকড়ে ধরে না থাকেন, সে বিষয়েও সতর্ক হতে হবে। সঠিক ভারসাম্য খুঁজে পাওয়াটা জরুরি।’

ফ্রান্সের হয়ে সর্বোচ্চ গোল তার। ১৩১ ম্যাচ খেলে ৫৭ গোল করেছেন জিরু। গেল বিশ্বকাপে থিয়েরি অঁরির ৫১ গোলের রেকর্ডকে দুইয়ে ঠেলে এই রেকর্ড গড়েন তিনি।

যদিও ২০১৮ সালে ফ্রান্সের বিশ্বকাপ অভিযানে ৪৬৫ মিনিট খেলে কোনো গোল না করে আলোচনার খোরাক হয়েছিলেন। কাতার বিশ্বকাপে অবশ্য চারবার জাল খুঁজে পেয়েছিলেন, তবে সেবার ফাইনালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় ফ্রান্সের।

ক্লাব ফুটবলকে অবশ্য এখনই বিদায় জানাচ্ছেন না তিনি। এসি মিলানের সঙ্গে চুক্তি শেষ তার। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকার ক্লাব লস অ্যাঞ্জেলেস এফসিকে দেবেন তিনি।

;

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হারের সেঞ্চুরিতে ‘প্রথম’ বাংলাদেশ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিটা বাংলাদেশের ভক্তরা এবং ক্রিকেটাররা নিঃসন্দেহে ভুলে যেতেই চাইবেন। একে তো র‍্যাংকিংয়ের নয় নম্বার দল হয়ে উনিশ নম্বার দলের কাছে সিরিজ হার; তার সঙ্গে নামের পাশে যোগ হয়েছে বিব্রতকর এক রেকর্ড। যে রেকর্ড এখন শুধুই বাংলাদেশের।

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি প্রথম দল হিসেবে একশ হারের তেঁতোস্বাদ পেয়েছেন সাকিবরা। যেটার জন্য ম্যাচ লেগেছে ১৬৮ টা। ১০০ হারের বিপরীতে জয় মাত্র ৬৪টা। বাকী চার ম্যাচ পরিত্যক্ত। জয় হারের অনুপাত ০.৬৪। অর্থাৎ প্রতি একশ হারের বিপরীতে জয় ৬৪ টা।

সবমিলিয়ে হারের সংখ্যা থেকে পরিত্যক্তের রেজাল্ট বাদ দিলে বাংলাদেশ জয় শতকরা ৫৯.৫২ ভাগ। কমপক্ষে ১০০ ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে যেটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সবার ওপরে জিম্বাবুয়ে, নিজেদের মোট ম্যাচের ৬৫.৫১ শতাংশ ম্যাচই হেরেছে তারা।

এই ১০০ হারে বাংলাদেশ হেরেছে ১৫টা দলের কাছে। বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হারানো ৫ম দল যুক্তরাষ্ট্র যারা সহযোগী সদস্য হিসেবে বাংলাদেশকে স্বাদ দিয়েছে। বাকী চার দল আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, হংকং ও নেদারল্যান্ডস। আইরিশদের এখন টেস্ট স্ট্যাটাস থাকলেও ২০০৯ সালে যখন হারিয়েছিল তখন তাদেরও ছিল না টেস্ট স্ট্যাটাস।

ইন্টারন্যাশনাল টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হার ক্যারিবিয়ানদের। ১৯৩ ম্যাচে তাদের হার ৯৯টা। তিনে থাকা লঙ্কানরা ১৮৯ ম্যাচে হেরেছে ৯৮টা।

;

কোচ প্রসঙ্গে কোনো সাবেক অস্ট্রেলিয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বিসিসিআই 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বকাপের আগে দলের অবস্থা ছাপিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটে আলোচনায় এখন সবার শীর্ষে কে হচ্ছেন রোহিত-কোহলিদের পরবর্তী কোচ? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসর দিয়েই শেষ হচ্ছে ভারতের ক্রিকেট দলে রাহুল দ্রাবিড়ের অধ্যায়। নতুন কোচের খোঁজে এরইমধ্যে বিজ্ঞপ্তিও দিয়েছে বিসিসিআই। আবেদন করা যাবে চলতি মাসের ২৭ তারিখ পর্যন্ত। তবে সপ্তাহ খানেক আগেই ক্রিকেট বিশ্লেষণভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোর সূত্র মতে, দেশটির সাবেক ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীরের হাতে রোহিত-কোহলিদের দায়িত্ব দিতে যায় দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। 

তবে গতকালের আইসিসি রিভিউয়ে দেওয়া রিকি পন্টিংয়ের সাক্ষাৎকারটি ভারতের পরবর্তী কোচ প্রসঙ্গে যোগ করে নতুন এক মাত্রা। সাবেক এই তারকা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার জানায়, ভারতের প্রধান কোচ হতে বিসিসিআই যোগাযোগ করেছে তার সঙ্গেও। তবে পন্টিংয়ের বর্তমান দায়িত্ব এবং তার ‘লাইফস্টাইল’ এর সঙ্গে এখনই এতো বড় দায়িত্বকে ‘অসম্ভব’ বিকল্পই বলছেন অজিদের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই অধিনায়ক। 

তবে সেই কাহিনীতেও নতুন এক মোড় নিয়ে এলেন বিসিসিআই সেক্রেটারি জয় শাহ। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘আমি বা বিসিসিআই কোনো সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারের সঙ্গে কোচ হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করিনি।’

এখানে জয় শাহ মূলত পন্টিং ও জাস্টিন ল্যাঙ্গারকে উদ্দেশ্য করেই বলেছেন। পন্টিং গতকাল প্রকাশ করেন তার সঙ্গে ভারতের কোচ প্রসঙ্গে আইপিএলে একাধিকবার কথা হয়েছে। এদিকে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের কোচ ল্যাঙ্গার শেষ পর্যন্তও ভারতীয় কোচ হওয়ার পদে আবেদনে অনিচ্ছার কথা বলেছিলেন। তবে তিনিই আবার জানিয়েছিলেন এই প্রসঙ্গে লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। 

জয় শাহ’য়ের মতে রাহুল দ্রাবিড়ের উত্তরসূরি হিসেবে আরেক ভারতীয়কেই চায় বিসিসিআই। এবং সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের কোচ প্রসঙ্গে বোর্ডের আলাপচারিতার বিষয়টি মিডিয়ার একটি ভুল প্রচারণা বলেও দাবী তার। 

সেই বিবৃতিতে জয় শাহ বলেন, ‘আমাদের জাতীয় দলের জন্য সঠিক কোচ খোঁজা একটি নির্ভুল প্রক্রিয়া। আমরা এমন কাউকেই চাই যিনি ভারতীয় ক্রিকেট সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান রাখেন।’ 

এছাড়াও ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেট সম্পর্কেও ভালো জানাশোনা কাউকেই পরবর্তী কোচ বানাতে চায় বিসিসিআই, যার হাত ধরে দল নিজেদের আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রাখবে। 

;

সিরিজ হারের পর সাকিবের অভিযোগ, পাননি অনুশীলনের যথেষ্ট সুযোগ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের আগে হিউস্টন ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ে। এতে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্স। তবে দ্রুতই স্টেডিয়ামটির সংস্কার কাজ সেরে ফেলে স্বাগতিকরা। এবং সেই মাঠে ইতিমধ্যে হয়ে গেছে দুটি ম্যাচ। সেই ম্যাচ দুটিতেই বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজটাও জিতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এতেই যুক্তরাষ্ট্রের কন্ডিশনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে তাদের সঙ্গে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ আয়োজন করে বিসিবি। তবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সেখানে শান্ত-সাকিবদের পারফর্ম পুরোদস্তুর ছন্নছাড়া। এখন এই সিরিজটিই যখন বিশ্বকাপের প্রস্তুতিমূলক, তখন দলের এমন পারফর্ম বিশ্বকাপে প্রভাব পড়বে কি-না? সেখানে সাকিবের উত্তর কিছুটা দ্বিমুখী।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫ উইকেটে হারের পর গতকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৬ রানে হারে বাংলাদেশ। এতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজটা ২-০ ব্যবধানে হেরে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর দল। পরে সংবাদ সম্মেলনে ম্যাচসহ আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে নিজেদের চিন্তা নিয়ে কথা বলেন দেশের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। 

সেখানে এই সিরিজের প্রভাব বিশ্বকাপে পড়বে কি-না সেই প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘দেখুন এটাকে যদি আমরা বিশ্বকাপের প্রস্তুতির সিরিজ ধরে থাকি, তাহলে এখানে আমাদের আরও অনেক ব্যাটিং বোলিং সেশন হওয়া দরকার ছিল। যেগুলোর কিছুই আমরা পাইনি। এখানে এক দিন নেট সেশন হয়েছে, তাও আমার ধারণা ব্যাটাররা পুরোপুরি ব্যাটিং করতে পারেনি।’ 

তবে অনুশীলনে একটি বাড়তি দিন ছিল, ঐচ্ছিক হিসেবে। সেদিন চাইলে অনুশীলন করতে পারতেন ব্যাটাররা। তবে সেটি করেননি কেউই। এতে ব্যাপারটিকে দুদিকের ব্যর্থতা হিসেবেই বললেন সাকিব। ‘এক দিন (অনুশীলন) ছিল অপশনাল, ওদিন ব্যাটাররা সুযোগটা নেয়নি। দুই দিকেই আপনি দোষ দিতে পারেন, যেদিন সুযোগ ছিল ওদিন ব্যাটাররা কেন এসে সুযোগটা নিল না। আবার এটাও বলতে পারেন যে আমরা যেহেতু এটা প্রস্তুতি সিরিজ হিসেবে নিয়েছিলাম, তাহলে কেন সুযোগগুলো নিলাম না? দুই দিকেরই ব্যর্থতা আছে।’

;