তিন-চার ও পাঁচ, শূন্য রানে আউট!
প্রথমে গেলেন ইমরুল কায়েস। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা মুমিনুল হকও টিকলেন মাত্র ৭ বল। কোনো রানই করতে পারলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক পিঙ্ক টেস্টের প্রথম ইনিংসে। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা মোহাম্মদ মিঠুনও আউট হতে বেশি সময় নিলেন না। নিজের দ্বিতীয় বলে বোল্ড মিঠুন। যথারীতি তিনিও শূন্য রানে আউট।
তিন ও চার নম্বর ব্যাটসম্যানের দুজনেই শূন্য রানে আউট! দলের স্কোর ১৭ রানে নেই তিন উইকেট! এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে এলেন মুশফিকুর রহিম। সমস্যা আরেকটি বাড়িয়ে মুশফিকও ফিরলেন শূন্য রানে! তিন-চার ও পাঁচ, দলের এই তিন ব্যাটসম্যান ফিরলেন কোনো সঞ্চয় ছাড়া! টেস্ট ক্রিকেটে আগে কখনো এমন ঘটনা কি ঘটেছিল বাংলাদেশের ইনিংসে। টানা তিন ব্যাটসম্যান শূন্য রানে আউট!
পিঙ্ক টেস্টের শুরুটা যে এমন ভয়াবহ হবে বাংলাদেশের-কে ভেবেছিল?
পিঙ্ক বল ব্যাটসম্যানদের জন্য সমস্যা তৈরি করবে, সেটা জানা ছিল। কিন্তু তাই বলে শুরুর পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে তিনজনই শূন্য রানে ফিরবেন? এতো বড় ‘দুর্ঘটনার’ জন্য প্রস্তুত ছিল না বাংলাদেশ।
ভারতের তিন পেসারকে শুরুর ছয় ওভার পর্যন্ত ভালোই সামাল দিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। দুই ওপেনার সাদমান ও ইমরুল যেভাবে এই ছয় ওভার খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল পিঙ্ক বল তেমন ‘ভয়ঙ্কর’ কিছু নয়। কিন্তু সপ্তম ওভারে ইমরুল কায়েসের আউটের পর টলমলে হয়ে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস।
৬.৩ ওভারের সময় ১৫ রানে প্রথম উইকেটের পতন, ইমরুলের আউটে। ১০.১ ওভারে মুমিনুল হক ফিরলেন ডাগআউটে, স্কোর তখন ১৭ রানে দুই উইকেট। সেই ওভারের তৃতীয় বলে মিঠুনও আউট, স্কোরবোর্ডে রান আর নড়ে চড়েনি। মুশফিক ফিরলেন পরের ওভারেই, স্কোরবোর্ডের ভাঙ্গাচোরা চেহারা তখন ২৬ রানে নেই ৪ উইকেট।
ভাবা হচ্ছিল ওপেনার সাদমান এই দুঃসময় সামলে নিতে পারবেন। কিন্তু সেই তিনিও সিনিয়রদের পথেই হাঁটলেন! ৫২ বল খেলার পরে ২৯ রানে উমেশ যাদবের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরলেন।
মাত্র ১৫ ওভারের সময় ৩৮ রানে হাওয়া বাংলাদেশের ৫ উইকেট! এই পাঁচ উইকেটের তিনটি উইকেট উমেশ যাদবের। ইশান্ত শর্মা ও মোহাম্মদ শামি একটি করে উইকেট পান।