রুশ রূপকথা ফুরালো, ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনালে



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া ২ (৩) : ক্রোয়েশিয়া ২ (৪)

সবকিছুই গল্পের প্লটের মতই চলছিল। রাশিয়া প্রথমে গোল পেল। জয়ের সুবাস ছড়াল। গল্পের বাঁক বদলে গেল ক্রোয়েশিয়ার সমতাসূচক গোলে। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। যেটা রাশিয়া প্রাণপনে চাচ্ছিল। স্বপ্ন দেখছিল আরেকটি টাইব্রেকারের। অপেক্ষায় ছিল বিশ্বকাপে নিজেদের পথচলার রূপকথাকে আরও রঙিন করতে। তবে রাশিয়ার সেই রূপকথার গল্পের সমাপ্তি টেনে দিল ক্রোয়েশিয়া। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ক্রোয়েশিয়া। যেখানে তাদের জন্য অপেক্ষায় আছে ইংল্যান্ড।

আর রাশিয়ার বিশ্বকাপ রূপকথার গল্প ফুরালো চোখের জলে। তবে কান্নায় বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলেও বীরত্ব বন্দনাও কম পাচ্ছে না রাশিয়া!

সত্যিকার অর্থেই এই কোয়ার্টার ফাইনাল হয়েছে দারুণ উপভোগ্য এক ম্যাচ। ক্ষণে ক্ষণে ম্যাচের গতি বদলেছে। বাঁক বদলেছে। কখনো টেনশনে ক্রোয়েশিয়া। কখনো গ্যালারিতে কাঁদছে রাশিয়া। খানিকবাদেই আবার ভিন্ন রূপ। হতাশায় টেনশন। আনন্দে ফেটে পড়ছে রাশিয়া। শেষমেষ হাসি নিয়ে ফিরল ক্রোয়েশিয়াই।

কি দারুণ সমতায় শেষ হল নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেই সময়ের প্রথম অর্ধেই ভিদার গোলে এগিয়ে গেল ক্রোয়েশিয়া। কর্নার থেকে আসা হেডে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে জয়ের স্বপ্ন দেখান ভিদা। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের জন্য রাশিয়া উঠে পড়ে লাগে। ডাগআউটে দাড়িয়ে ক্ষ্যাপাটে সেনাপতির মতো দু’হাত উঁচিয়ে গ্যালারির দর্শকদের গলা ফাটিয়ে সমর্থন দিতে বলেন রাশান কোচ। সেই সমর্থনের জোরেই যেন ম্যাচে ফিরে রাশিয়া। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ফ্রিকিক থেকে পাওয়া বলে হেড করেন ফিগুয়েরা ফার্নান্দেজ, গো..ও..ল! এবং ম্যাচে ২-২ গোলে সমতা। শিহরণ জাগানো ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

/uploads/files/zCfFOdvKk5BRlLXb1OiyAg84SloV07dGyZqmIGgw.jpeg

যে লটারিতে ক্রোয়েশিয়া হাসল। তবে রাশিয়াও জানিয়ে দিল বিশ্ব ফুটবলের বড় শক্তি হয়ে উঠছে তারা। বিপ্লব মাত্র শুরু হয়েছে কমরেড!

ফুটবলের মোটিভেশন ক্লাসে একটা কথা প্রায় বলা হয়ে থাকেÑ যদি জিততে চাও, তবে প্রতিপক্ষকে মাঠে চমকে দাও। ঠিক সেই প্রেরণা নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে নামে রাশিয়া। স্পেনের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ দেখে ক্রোয়েশিয়া ভেবেছিল এই ম্যাচেও রক্ষণাত্মক ভঙ্গির রাশিয়ার দেখাই মিলবে। কিন্তু ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে সোচিতে নামল রাশিয়া। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই মাঝ-মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিদ্যুৎগতিতে আক্রমণে উঠে এল। এমনকিছু হতে পারে এটার জন্য ক্রোয়েশিয়া প্রস্তুত ছিল না। রাশিয়ার আক্রমণের তেজে এলোমেলো হয়ে পড়ে ক্রোয়াটদের রক্ষণ। বিশালদেহী ষ্ট্রাইকার জুবা ও চেরিসেভ বল পায়ে কাঁপিয়ে দিচ্ছিলেন। প্রথমার্ধে রুশদের এই গতিময় ফুটবল জানিয়ে দিল এই ম্যাচে লিড নিয়েই সামনে বাড়তে চায় তারা। সেই ইচ্ছেটা তাদের পুরো হল। ম্যাচের ৩১ মিনিটের সময় মাঝমাঠ থেকে চেরিসেভ ও জুবার দুর্দান্ত বিল্ড-আপ রাশিয়াকে মনে রাখার মতো গোল এনে দিল। সেন্টার থেকে একটু সামনের জটলা থেকে বল নিয়ে সামনে বাড়লেন চেরিসেভ। ডিফেন্সের ফাঁক গলে বামদিকে থাকা জুবার দিকে বল ঠেলে দিলেন। জুবা বল ধরে দু’কদম এগিয়ে ফের ডানদিকে চেরিসেভের দিকে পাস বাড়ালেন। চেরিসেভের দু’পাশে দুই ডিফেন্ডার দাড়িয়ে। কিন্তু তারা কিছু বুঝে উঠার আগে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে বাম পায়ে কর্নার পোষ্টে শট নিলেন চেরিসেভ। সেই শট এতই আচমকা এবং গতিময় যে গোলপোষ্টে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার সুভাসিচ শুধু চেয়েই থাকলেন এবং বল জালে, গো....ও...ল! টুর্নামেন্টে এটি চেরিশেভের চতুর্থ গোল।

ম্যাচে রাশিয়ার লিড। তাহলে বিশ্বকাপে রুশ রূপকথার নতুন অধ্যায় বুঝি শুরু হল!

/uploads/files/JDHV76IuSnUSQCpVufdiFwDOYgq9TzFmlI9kkpu2.jpeg

তবে সেই গোলের রোমান্টিক সময়টা বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেনি রাশিয়া। মরিয়া হয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায় ক্রোয়েশিয়া। আট মিনিটের মধ্যে ম্যাচে সমতা। জোনাল মার্কিং না করার শাস্তিটা পেল রাশিয়া। বামদিকে ফাঁকা জায়গা পেয়ে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন মানজুকিচ। বক্সে ক্রস আসছে এটা জেনে নিজেকে একটু আগেভাগেই তৈরি করে রাখেন ক্রামনিচ। অবাক করার বিষয় হল এই সময়ে ছোট ডি বক্সে রাশিয়ার পাঁচজন খেলোয়াড় থাকলেও একজনও ক্রামনিচকে পাহারায় না রেখে এলোমেলে ভঙ্গিতে দাড়িয়েছিলেন! মানজুকিচের ক্রসে বলা যায় দেখেশুনে আয়েশ করে হেড নিয়ে ক্রামনিচ বল জড়িয়ে দেন, গো...ও...ল! এবং ম্যাচে সমতা!

ডাগআউটে দাড়িয়ে রাশিয়ান কোচ একহাতের তালুতে আরেক হাত ঠুকে হতাশা প্রকাশ করেন, ‘আহা, লিডটা হাত থেকে ছুটে গেল!’

দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়া গোলের জন্য বারবার আক্রমণে উঠে আসলেও রাশিয়া যেন ঠিক খোলসে ঢুঁকে পড়ে! গোল করার চেষ্টার চেয়ে গোল না খাওয়ার ইচ্ছেটাই বেশি দেখা গেল তাদের খেলায়, কৌশলে। বারকয়েক পাল্টা আক্রমণে উঠে এলেও বেশিরভাগ সময় রক্ষণ সামাল দিতেই বেশি ব্যস্ত থাকল রাশিয়া এই অর্ধে। গোলের নায়ক চেরিশেভ এবং জুবাকে তুলে নিয়ে রাশিয়ান কোচ জানিয়েও দিলেন এই ম্যাচ তারা অতিরিক্ত সময় ছাপিয়ে টাইব্রেকারে নিতে চায়। ডান বাম এবং মাঝখান তিনদিক থেকেই ধনুকের আকার সাজিয়ে রাশিয়ার পোষ্টে আক্রমণ চালায় ক্রোয়েশিয়া। ৫৯ মিনিটের সময় পেরিসিচ পোষ্টের মাত্র ৮ গজ দুরে থেকে শট নেন। গোলকিপার পরাজিত। কিন্তু সাইড পোষ্টে লেগে বল গোললাইনের সাদা দাগের সামান্য বাইরে দিয়ে অন্যপ্রান্তের পোষ্টের দিকে চলে যায়। এমন গোলও কিভাবে মিস হয়? দ্বিতীয়ার্ধের নির্ধারিত সময় শেষ হয় ১-১ গোলে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

সেই লড়াইয়ে ফুরিয়ে গেল বিশ্বকাপে রাশিয়ার রূপকথার গল্প!

   

তানজিম দারুণ বোলিং করেছে: রোহিত

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ের দিনের মূল নায়ক মূলত টাইগার পেসার তানজিম হাসান সাকিব। তিনি একাই বলতে গেলে নেপালের টপ অর্ডারকে ধ্বসিয়ে দিয়েছেন, হয়েছেন ম্যাচসেরাও। তার প্রশংসা করলেন নেপালের অধিনায়ক রোহিত পোডেলও।

এদিন ৪ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান খরচে ৪টি উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। এর মধ্যে দুটি মেইডেন ওভারও আছে। অন্যান্য খেলোয়াড়রা ভূমিকা পালন করলেও সাকিবই আজকে জয়ের মূল কারিগর এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেছেন, 'আমার মনে হয় তানজিম দারুণ বোলিং করেছে। সে আমাদের উড়িয়ে দিয়েছে। নতুন বলে সে দারুণ করেছে। উইকেট খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল। সে ভালো জায়গায় বল করেছে। সে আমাদের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে। আমাদের মধ্যে তেমন কিছুই হয়নি। সে আমার দিকে তেড়ে এসে বলছিল মেরে দেখাও। আমি বলেছি যাও বল করো।'

বাংলাদেশের জয়ে অভিনন্দন জানিয়ে টাইগার বোলারদের প্রশংসার পাশাপাশি তিনি নিজের দলের বোলিং বিভাগ নিয়েও সন্তুষ্ট আছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'বোলিং ইউনিট হিসেবে আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই দারুণ বোলিং করেছি। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে তেমনটা করতে পারিনি। বাংলাদেশ আজকে দারুণ বোলিং করেছে। আমরা খুবই বাজে ব্যাটিং করেছি। এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য না। আমাদের টপ অর্ডার ব্যাটাররা দায়িত্ব নিতে পারেনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা।'

;

সুপার এইটে যে যার প্রতিপক্ষ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটের সাত দলের নাম নিশ্চিত হওয়াই ছিল। আজ (সোমবার) সকালে শেষ দল হিসেবে সুপার এইটের টিকিট পেল বাংলাদেশ। নেপালকে হারানোর সুবাদে গ্রুপপর্ব পার করার গৌরব অর্জন করলেন নাজমুল শান্তরা।

গ্রুপ-ডি থেকে ডি-২ হিসেবে সুপার এইটে জায়গা করে নিল টাইগাররা। বিশ্বকাপ আসরটি এবার শুরু হয়েছিল সর্বোচ্চ ২০টি দল নিয়ে। যেখান থেকে নিজেদের খেলা, পারফরম্যান্স ও যোগ্যতা দিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড পর্যন্ত টিকে রইল আটটি দল। চারটি গ্রুপ থেকে শীর্ষে থাকা দুটি করে দল খেলবে সুপার এইটে।

সুপার এইটের আট দলকে ভাগ করা হয়েছে দুটি গ্রুপে। তারা নিজেদের মধ্যে একটি করে ম্যাচ খেলবে। অর্থাৎ সেমিফাইনালের আগে বাংলাদেশের চলতি বিশ্বকাপে আরও অন্তত ৩টি ম্যাচ খেলতে হচ্ছে, বাকি দলগুলোর ক্ষেত্রেও হিসেবটা একই। সুপার এইটের এই দুই গ্রুপ থেকে শীর্ষের দুটি করে দল খেলবে সেমিফাইনালের মঞ্চে।

সুপার এইটের গ্রুপ এ-তে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে টাইগারদের খেলতে হবে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে। এই তিন দলের মধ্যে অন্তত দুই দলকে হারালে সেমিতে যাওয়ার বেশ ভালো সম্ভাবনা আছে শান্তদের। গ্রুপ বি-তে আছে ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

তবে ফর্ম ও শক্তিমত্তা বিবেচনায় তিনটি দলই বেশ কঠিন প্রতিপক্ষ বলে মনে করছেন সমর্থকরা। কিন্তু নিজেদের প্রতি আস্থা আছে অধিনায়ক, কোচ ও দলের প্রত্যেক ক্রিকেটারের। ভালো কিছুর আশাতেই আছেন সবাই।

গ্রুপ এ- বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান

গ্রুপ বি- ইংল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকা

বাংলাদেশের ম্যাচ-

২১ জুন সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে - অ্যান্টিগায় প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া

২২ জুন রাত ৮টা ৩০ মিনিটে - অ্যান্টিগায় প্রতিপক্ষ ভারত

২৫ জুন সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে - সেন্ট ভিনসেন্টে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান

সুপার এইটের ম্যাচসূচিঃ

১৯ জুনঃ   যুক্তরাষ্ট্র - দক্ষিণ আফ্রিকা (রাত ৮.৩০টা,অ্যান্টিগা)

২০ জুনঃ   ইংল্যান্ড - ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সকাল ৬.৩০টা, সেন্ট লুসিয়া)
              আফগানিস্তান - ভারত (রাত ৮.৩০টা, বার্বাডোজ)

২১ জুনঃ   অস্ট্রেলিয়া - বাংলাদেশ (সকাল ৬.৩০টা, অ্যান্টিগা)
              ইংল্যান্ড - দক্ষিণ আফ্রিকা (রাত ৮.৩০টা, সেন্ট লুসিয়া)

২২ জুনঃ   যুক্তরাষ্ট্র - ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সকাল ৬.৩০টা, বার্বাডোজ)
              ভারত - বাংলাদেশ (রাত ৮.৩০টা, অ্যান্টিগা)

২৩ জুনঃ   আফগানিস্তান - অস্ট্রেলিয়া (সকাল ৬.৩০টা, সেন্ট ভিনসেন্ট)
              যুক্তরাষ্ট্র - ইংল্যান্ড (রাত ৮.৩০টা, বার্বাডোজ)

২৪ জুনঃ   ওয়েস্ট ইন্ডিজ - দক্ষিণ আফ্রিকা (সকাল ৬.৩০টা, অ্যান্টিগা)
              অস্ট্রেলিয়া - ভারত (রাত ৮.৩০টা, সেন্ট লুসিয়া)

২৫ জুনঃ   আফগানিস্তান - বাংলাদেশ (সকাল ৬.৩০টা, সেন্ট ভিনসেন্ট)

;

রেকর্ডের পাতায় তানজিম সাকিবের নাম

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেপালকে হারানোর মাধ্যমে আজ গ্রুপপর্বের লড়াই শেষ করল বাংলাদেশ। বোলারদের নৈপুণ্যে নেপালকে দেওয়া মাত্র ১০৭ রানের লক্ষ্যও আটকে দিল টাইগাররা। বিশেষ করে বাংলাদেশের পেসাররা এদিন ছিলেন অপ্রতিরোধ্য।

ইদের আনন্দ বাড়িয়ে তোলার এই জয়ের দিনের মূল নায়ক টাইগার পেসার তানজিম হাসান সাকিব। বল হাতে নিজের সেরাটাই করে দেখিয়েছেন তিনি। ৪ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান খরচে চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব, যেখানে আবার ছিল দুইটি মেইডেন ওভার। নেপালের টপ অর্ডারকে একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ডানহাতি এই পেসার।

দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের এই দিনে বাংলাদেশ দল এবং সাকিব গড়েছেন একের অধিক রেকর্ড। চলুন সে কীর্তিগুলো সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

১০৬

পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পূর্ণ ২০ ওভারের ম্যাচে এটিই ছিল যেকোনো দলের সফলভাবে সবচেয়ে কম রানে বিপক্ষ দলকে আটকে দেওয়া। এর আগের রেকর্ডটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার দখলে, গেল সপ্তাহে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে তারা ১১৩ রান ডিফেন্ড করেছিল।

৪-২-৭-৪

এবারের বিশ্বকাপে পুরো ৪ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে ভালো বোলিং স্পেল। সব মিলিয়েও এটিই রেকর্ড।

২ মেইডেন

সাকিবের করা দুইটি মেইডেন ওভারও বিশ্বকাপের রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম ও সব মিলিয়ে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে এক ম্যাচে দুটি মেইডেন নিলেন তিনি।

২১ ডট

তানজিম হাসান সাকিবের আজকের ম্যাচে করা ২১টি ডট বল পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলায় যেকোনো বোলার হিসেবে সবচেয়ে বেশি।

যৌথভাবে তানজিম সাকিব এবং মুস্তাফিজুর রহমান নেপালের বিপক্ষে ৭ রান করে দিয়েছেন, যা পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে কম রান। এতে রিশাদ হোসেনের সাথে এই দুইজনের নামও যোগ হলো, এই বছরের শুরুতে হিউস্টনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে রিশাদ এই কীর্তি গড়েছিলেন।

৮৫

বাংলাদেশের বিপক্ষে নেপালের মোট ৮৫ রান সংগ্রহ করে পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে তৃতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর, যেখানে দল অলআউট হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালে নরওয়ের জার্মানির বিরুদ্ধে সর্বনিম্ন ৭৬ রানে এবং ক্যামেরুনও ২০২২ সালে ঘানার বিপক্ষে ৭৬ রানে অলআউট হয়েছিল।

১০৬

নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশের করা ১০৬ রান পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইসিসির পূর্ণ সহযোগী সদস্য হিসেবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। এর আগে ২০১৪ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ইংল্যান্ড সর্বনিম্ন ৮৮ রানে অলআউট হয়।

এছাড়াও বাংলাদেশের ১০৬ রানে অলআউট হওয়া পুরুষদের টি-টোয়েন্টিতে আইসিসির পূর্ণ সহযোগী সদস্য দল হিসেবে পঞ্চম-নিম্নতম। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের আগের সর্বনিম্ন অলআউট ছিল ১০৮ রানে।

;

আমরা বিশ্বাস করেছি যে জিতব: শান্ত

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে নেপালকে হারিয়েই চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। এই জয়ের ফলে দেশে ক্রিকেটপ্রেমীদের এবং সকল টাইগার সমর্থকদেরই ইদের আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে গেল। নেপালের বিপক্ষে ২১ রানের এই থ্রিলিং জয়ের পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন দলের খেলোয়াড়দের মনের অবস্থা। প্রকাশ করেছেন যে তারা কতটা আনন্দিত!

এত কম রান ডিফেন্ড করে ম্যাচ জিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই বেশ খুশি দলের ক্রিকেটাররা। বল হাতে নিজেদের সেরাটাই যেন মাঠে ঢেলে দিয়েছেন টাইগার বোলাররা। শুরুতে ব্যাট হাতে বেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়ে দলীয় ১০৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮৫ রানেই সবকটি উইকেট হারায় নেপাল।

ম্যাচ পরবর্তী সাক্ষাৎকারে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, 'আমরা যেভাবে এই রাউন্ডে খেলেছি খুব খুশি। আশা করি আমাদের বোলিং পারফরম্যান্স এভাবে ঠিক রাখব। আমরা খুব বেশি রান করেছি তা না তবে আমরা বিশ্বাস করেছি যে আমরা জিততে পারব। ম্যাচে আমরা যেভাবে বোলিং করেছি, আমরা জানতাম উইকেট নিতে পারব এবং এই রানে জিততে পারব।'

ফিল্ডার ও বোলারদের আলাদাভাবে প্রশংসা করেছেন তিনি, 'ফিল্ডাররাও ভালো করেছে। আমাদের সবকিছুই ঠিক হয়েছে, পেস বোলাররা সত্যিই দারুণ করেছে। এই ফরম্যাটে বোলিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি তারা এমনই থাকবে। এই ধরনের টুর্নামেন্টে মোমেন্টাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আশা করি আমরা এটিকে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারব।'

বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে দল বেশ ভালো ফর্মে থাকলেও ব্যাট হাতে একদমই ছন্দে নেই টাইগার ব্যাটাররা, বিশেষ করে অধিনায়ক নিজেই। অতি শীঘ্রই এই রানখরা কাটিয়ে উঠে ফর্মে ফিরবেন টাইগার ব্যাটাররা, এমনটাই আশা করেন তিনি।

;