রুশ রূপকথা ফুরালো, ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনালে



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাশিয়া ২ (৩) : ক্রোয়েশিয়া ২ (৪)

সবকিছুই গল্পের প্লটের মতই চলছিল। রাশিয়া প্রথমে গোল পেল। জয়ের সুবাস ছড়াল। গল্পের বাঁক বদলে গেল ক্রোয়েশিয়ার সমতাসূচক গোলে। ম্যাচ গড়াল অতিরিক্ত সময়ে। যেটা রাশিয়া প্রাণপনে চাচ্ছিল। স্বপ্ন দেখছিল আরেকটি টাইব্রেকারের। অপেক্ষায় ছিল বিশ্বকাপে নিজেদের পথচলার রূপকথাকে আরও রঙিন করতে। তবে রাশিয়ার সেই রূপকথার গল্পের সমাপ্তি টেনে দিল ক্রোয়েশিয়া। টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে রাশিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেল ক্রোয়েশিয়া। যেখানে তাদের জন্য অপেক্ষায় আছে ইংল্যান্ড।

আর রাশিয়ার বিশ্বকাপ রূপকথার গল্প ফুরালো চোখের জলে। তবে কান্নায় বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলেও বীরত্ব বন্দনাও কম পাচ্ছে না রাশিয়া!

সত্যিকার অর্থেই এই কোয়ার্টার ফাইনাল হয়েছে দারুণ উপভোগ্য এক ম্যাচ। ক্ষণে ক্ষণে ম্যাচের গতি বদলেছে। বাঁক বদলেছে। কখনো টেনশনে ক্রোয়েশিয়া। কখনো গ্যালারিতে কাঁদছে রাশিয়া। খানিকবাদেই আবার ভিন্ন রূপ। হতাশায় টেনশন। আনন্দে ফেটে পড়ছে রাশিয়া। শেষমেষ হাসি নিয়ে ফিরল ক্রোয়েশিয়াই।

কি দারুণ সমতায় শেষ হল নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেই সময়ের প্রথম অর্ধেই ভিদার গোলে এগিয়ে গেল ক্রোয়েশিয়া। কর্নার থেকে আসা হেডে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে জয়ের স্বপ্ন দেখান ভিদা। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধের জন্য রাশিয়া উঠে পড়ে লাগে। ডাগআউটে দাড়িয়ে ক্ষ্যাপাটে সেনাপতির মতো দু’হাত উঁচিয়ে গ্যালারির দর্শকদের গলা ফাটিয়ে সমর্থন দিতে বলেন রাশান কোচ। সেই সমর্থনের জোরেই যেন ম্যাচে ফিরে রাশিয়া। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শেষ হওয়ার মিনিট পাঁচেক আগে ফ্রিকিক থেকে পাওয়া বলে হেড করেন ফিগুয়েরা ফার্নান্দেজ, গো..ও..ল! এবং ম্যাচে ২-২ গোলে সমতা। শিহরণ জাগানো ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

/uploads/files/zCfFOdvKk5BRlLXb1OiyAg84SloV07dGyZqmIGgw.jpeg

যে লটারিতে ক্রোয়েশিয়া হাসল। তবে রাশিয়াও জানিয়ে দিল বিশ্ব ফুটবলের বড় শক্তি হয়ে উঠছে তারা। বিপ্লব মাত্র শুরু হয়েছে কমরেড!

ফুটবলের মোটিভেশন ক্লাসে একটা কথা প্রায় বলা হয়ে থাকেÑ যদি জিততে চাও, তবে প্রতিপক্ষকে মাঠে চমকে দাও। ঠিক সেই প্রেরণা নিয়েই কোয়ার্টার ফাইনালে নামে রাশিয়া। স্পেনের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ দেখে ক্রোয়েশিয়া ভেবেছিল এই ম্যাচেও রক্ষণাত্মক ভঙ্গির রাশিয়ার দেখাই মিলবে। কিন্তু ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে সোচিতে নামল রাশিয়া। ম্যাচের প্রথম মিনিট থেকেই মাঝ-মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিদ্যুৎগতিতে আক্রমণে উঠে এল। এমনকিছু হতে পারে এটার জন্য ক্রোয়েশিয়া প্রস্তুত ছিল না। রাশিয়ার আক্রমণের তেজে এলোমেলো হয়ে পড়ে ক্রোয়াটদের রক্ষণ। বিশালদেহী ষ্ট্রাইকার জুবা ও চেরিসেভ বল পায়ে কাঁপিয়ে দিচ্ছিলেন। প্রথমার্ধে রুশদের এই গতিময় ফুটবল জানিয়ে দিল এই ম্যাচে লিড নিয়েই সামনে বাড়তে চায় তারা। সেই ইচ্ছেটা তাদের পুরো হল। ম্যাচের ৩১ মিনিটের সময় মাঝমাঠ থেকে চেরিসেভ ও জুবার দুর্দান্ত বিল্ড-আপ রাশিয়াকে মনে রাখার মতো গোল এনে দিল। সেন্টার থেকে একটু সামনের জটলা থেকে বল নিয়ে সামনে বাড়লেন চেরিসেভ। ডিফেন্সের ফাঁক গলে বামদিকে থাকা জুবার দিকে বল ঠেলে দিলেন। জুবা বল ধরে দু’কদম এগিয়ে ফের ডানদিকে চেরিসেভের দিকে পাস বাড়ালেন। চেরিসেভের দু’পাশে দুই ডিফেন্ডার দাড়িয়ে। কিন্তু তারা কিছু বুঝে উঠার আগে প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে বাম পায়ে কর্নার পোষ্টে শট নিলেন চেরিসেভ। সেই শট এতই আচমকা এবং গতিময় যে গোলপোষ্টে দাঁড়িয়ে থাকা ক্রোয়েশিয়ার গোলকিপার সুভাসিচ শুধু চেয়েই থাকলেন এবং বল জালে, গো....ও...ল! টুর্নামেন্টে এটি চেরিশেভের চতুর্থ গোল।

ম্যাচে রাশিয়ার লিড। তাহলে বিশ্বকাপে রুশ রূপকথার নতুন অধ্যায় বুঝি শুরু হল!

/uploads/files/JDHV76IuSnUSQCpVufdiFwDOYgq9TzFmlI9kkpu2.jpeg

তবে সেই গোলের রোমান্টিক সময়টা বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারেনি রাশিয়া। মরিয়া হয়ে পাল্টা আক্রমণ চালায় ক্রোয়েশিয়া। আট মিনিটের মধ্যে ম্যাচে সমতা। জোনাল মার্কিং না করার শাস্তিটা পেল রাশিয়া। বামদিকে ফাঁকা জায়গা পেয়ে বল নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন মানজুকিচ। বক্সে ক্রস আসছে এটা জেনে নিজেকে একটু আগেভাগেই তৈরি করে রাখেন ক্রামনিচ। অবাক করার বিষয় হল এই সময়ে ছোট ডি বক্সে রাশিয়ার পাঁচজন খেলোয়াড় থাকলেও একজনও ক্রামনিচকে পাহারায় না রেখে এলোমেলে ভঙ্গিতে দাড়িয়েছিলেন! মানজুকিচের ক্রসে বলা যায় দেখেশুনে আয়েশ করে হেড নিয়ে ক্রামনিচ বল জড়িয়ে দেন, গো...ও...ল! এবং ম্যাচে সমতা!

ডাগআউটে দাড়িয়ে রাশিয়ান কোচ একহাতের তালুতে আরেক হাত ঠুকে হতাশা প্রকাশ করেন, ‘আহা, লিডটা হাত থেকে ছুটে গেল!’

দ্বিতীয়ার্ধে ক্রোয়েশিয়া গোলের জন্য বারবার আক্রমণে উঠে আসলেও রাশিয়া যেন ঠিক খোলসে ঢুঁকে পড়ে! গোল করার চেষ্টার চেয়ে গোল না খাওয়ার ইচ্ছেটাই বেশি দেখা গেল তাদের খেলায়, কৌশলে। বারকয়েক পাল্টা আক্রমণে উঠে এলেও বেশিরভাগ সময় রক্ষণ সামাল দিতেই বেশি ব্যস্ত থাকল রাশিয়া এই অর্ধে। গোলের নায়ক চেরিশেভ এবং জুবাকে তুলে নিয়ে রাশিয়ান কোচ জানিয়েও দিলেন এই ম্যাচ তারা অতিরিক্ত সময় ছাপিয়ে টাইব্রেকারে নিতে চায়। ডান বাম এবং মাঝখান তিনদিক থেকেই ধনুকের আকার সাজিয়ে রাশিয়ার পোষ্টে আক্রমণ চালায় ক্রোয়েশিয়া। ৫৯ মিনিটের সময় পেরিসিচ পোষ্টের মাত্র ৮ গজ দুরে থেকে শট নেন। গোলকিপার পরাজিত। কিন্তু সাইড পোষ্টে লেগে বল গোললাইনের সাদা দাগের সামান্য বাইরে দিয়ে অন্যপ্রান্তের পোষ্টের দিকে চলে যায়। এমন গোলও কিভাবে মিস হয়? দ্বিতীয়ার্ধের নির্ধারিত সময় শেষ হয় ১-১ গোলে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

সেই লড়াইয়ে ফুরিয়ে গেল বিশ্বকাপে রাশিয়ার রূপকথার গল্প!

   

গুরবাজের সেমিফাইনাল খেলা নিয়ে শঙ্কা

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইট পর্ব টপকিয়েছে আফগানিস্তান। সেমিফাইনালের মতো বড় মঞ্চে নামার আগে আফগানরা খানিকটা দুশ্চিন্তাতেই আছে। এর অন্যতম একটা কারণ হচ্ছে দলের ইন-ফর্ম ব্যাটার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দলে পাওয়া নিয়ে জেগেছে শঙ্কা

বাংলাদেশের বিপক্ষে সোমবার দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই চোট পান গুরবাজ। হাঁটুতে পাওয়া এই চোটের কারণে সঙ্গে সঙ্গেই মাঠ ছেড়ে যেতে হয় তাকে।

এই চোট নিয়ে সেমিফাইনাল ম্যাচে তিনি খেলবেন কি না, তা নিয়ে জেগেছে শঙ্কা। ম্যাচের আগে আফগানরা অনুশীলন করেনি, ফলে এই বিষয়ে সঠিক তথ্যও জানা যায়নি। ঠিক সময়ে তিনি যদি তার চোট না কেটে ওঠে, তাহলে হজরতউল্লাহ জাজাইকে টপ অর্ডারে খেলতে হতে পারে।

সঙ্গে আসতে পারে আরও একটা পরিবর্তনও। আফগান দলে গুরবাজের ভূমিকাটা যে স্রেফ ওপেনারের নয়, উইকেটরক্ষকেরও। তার বিদায় মানে দুজনের চলে যাওয়া একসঙ্গে। সে শূন্যতা পূরণে আরও একটা পরিবর্তন আনতে হবে আফগানিস্তানকে। উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ ইসহাককে ঢোকানো হবে দলে। সেক্ষেত্রে করিম জানাতকে জায়গা ছাড়তে হতে পারে।

সেমিফাইনালে আফগানিস্তানের সম্ভাব্য একাদশঃ

ইবরাহিম জাদরান, রহমানউল্লাহ গুরবাজ/হজরতউল্লাহ জাজাই, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, গুলবাদিন নাইব, মোহাম্মদ নবী, করিম জানাত/মোহাম্মদ ইসহাক, রশিদ খান অধিনায়ক), নানগেয়ালিয়া খারোতে, নাভিন-উল-হক, নুর আহমেদ, ফজল হক ফারুকি।

;

ইতিহাসের দ্বারপ্রান্তে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রথমবার জয় তুলে নিয়েই সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে আফগানিস্তান। ইতিহাস গড়ার ৪৮ ঘণ্টা পেরোনোর আগেই আরও একবার মাঠে নামতে হচ্ছে রশিদ খানদের, তায় আবার সেটা সেমিফাইনালের মঞ্চে। বিপক্ষ দল হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমির এই ম্যাচের মাধ্যমে আরও এক ইতিহাস হাতছানি দিয়ে ডাকছে আফগানদের। কারণ এই ম্যাচ জিতলেই যে প্রথমবারের মতো ফাইনালে চলে যাবে আফগানিস্তান!

এই দলটার ইতিহাস বেশ চমকপ্রদ। আজ থেকে বিশ বছর আগে তারা প্রথম আনুষ্ঠানিক ম্যাচটা খেলেছিল এসিসি ট্রফিতে। যার বিশ বছর পরই আজ তারা দাঁড়িয়ে আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। বিগত ২০ বছরে দলটা যা করেছে, অন্য যে কোনো দলের এটা অর্জন করতে ৫০ বছর লাগিয়ে ফেলার কথা।

আফগানরা নিজেদের পরিশ্রম, অধ্যবসায়, কঠোর অনুশীলন, প্রতিভার এবং দক্ষতার সঙ্গে মানসিকতার মেলবন্ধন ঘটিয়ে এমনটা করে দেখিয়েছে। এমনটা আসলে হওয়ারই ছিল। বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগে শেষ কয়েক বছরে আফগান খেলোয়াড়দের জয়জয়কার জানান দিচ্ছিল, আফগানরা ঠিক পথেই আছে। এই বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলা প্রমাণ দিচ্ছে তারই।

তবে তাদের প্রতিপক্ষ যে দল, তাদের কথা ভুলে গেলেও চলবে না। দক্ষিণ আফ্রিকাও দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাসের দুয়ারে! ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিটা হচ্ছে প্রোটিয়াদের ট্রফিকেসে সবশেষ ট্রফি। এরপর থেকে দলটা আইসিসি ইভেন্টগুলোর সেমিফাইনালে খেলেছে ১০ বার। কিন্তু তার একবারও দলটা জিততে পারেনি। আগামীকাল সকালে ১১তম বারের মতো 'চোকার্স' খ্যাত দলটা নামবে সেমিফাইনালের মঞ্চে।

আফগানিস্তান চাইবে নিশ্চয়ই আবারও দক্ষিণ আফ্রিকার পথের কাঁটা হতে। নিজেদের ইতিহাস না থাকার একটা বড় সুবিধা হচ্ছে, অতীতের কোনো দুঃস্মৃতিও নেই। কোনো চাপও নেই। বিষয়টা জানিয়ে আফগান কোচ জনাথন ট্রট নিজেই বলেছেন, ‘আমরা সেমিফাইনালে যাচ্ছি কোনো ইতিহাস ছাড়া, সেমিফাইনাল সম্পর্কিত কোনো দাগ ছাড়া।’

চাপটা দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর থাকবে বেশ। তবে সে চাপ জয় করার রসদও বুঝি আছে দলটার। এই পর্যন্ত এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রোমাঞ্চকর ম্যাচ উপহার দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নেদারল্যান্ডস, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর ইংল্যান্ড… সবার বিপক্ষেই কমবেশি স্নায়ুর পরীক্ষা দিয়ে জিততে হয়েছে তাদের। আর তাতেই এই দলটাকে নিয়ে নিয়ে দেখা যাচ্ছে সম্ভাবনা। অতীতের ‘চোকার্স’ অপবাদ ঘোচানোর সম্ভাবনা। 

শেষ পর্যন্ত ইতিহাসটা কোন দল গড়বে, দক্ষিণ আফ্রিকা নাকি আফগানিস্তান, সে প্রশ্নের উত্তরের জন্য ক্রিকেট বিশ্বকে অপেক্ষা করতে হবে আর কয়েক প্রহর।

;

হতাশাজনক বিশ্বকাপ শেষে সাকিবের জন্য নতুন দুঃসংবাদ

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না সাকিব আল হাসানের। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে নামা সাকিব টানতে পারলেন না দলকে। উল্টো আসরজুড়ে ব্যর্থতার বোঝা চাপিয়ে দিলেন দলের ওপর। তাতে ব্যর্থ হলো দলও।

সুপার এইটে বাংলাদেশ জায়গা করে নিলেও জয় পায়নি কোনো ম্যাচেই। আর এই তিন ম্যাচেই ফ্লপ সাকিব। যার প্রভাব পড়েছে তার অলরাউন্ডার র‌্যাঙ্কিংয়েও। তিন ধাপ পিছিয়ে সাকিব এবার নেমে গেছেন ৬ নম্বরে। আইসিসির সাপ্তাহিক র‌্যাঙ্কিং হালনাগাদে দেখা গেছে এই চিত্র।

আগের সপ্তাহে ৫ নম্বরে নামার পর গত সপ্তাহে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অপরাজিত ৬৪ রানের একটা ইনিংস খেলে র‌্যাঙ্কিংয়ে ২ ধাপ এগিয়ে তিন নম্বরে স্থানে উঠে এসেছিলেন সাকিব। এবার ফের পিছিয়ে পড়লেন তিনি। যা এ যাবত কালে সাকিবের সবচেয়ে বাজে র‌্যাঙ্কিং!

সুপার এইটের সবশেষ তিন ম্যাচে সাকিব করেছেন মাত্র ১৯ রান। বল হাতে ভারতের বিপক্ষে ১ উইকেট তুলতে খরচ করেছেন ৩৭ রান। সবশেষ আফগানদের বিপক্ষে ম্যাচে বল হাতে ১৯ রান খরচ করেছেন তবে ব্যাট হাতে পাননি রানের দেখা, গোল্ডেন ডাকের লজ্জায় ডুবেছেন।

যার প্রভাবটাই এবার পড়ল র‌্যাঙ্কিংয়ে। সাকিবের বর্তমান রেটিং ২০৬। এ তালিকায় শীর্ষে উঠেছেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। তার পয়েন্ট ২২২। তিন ধাপ অবনতি হয়েছে মার্কাস স্টয়নিসের। ৪ ধাপ এগিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া।

;

ভারত-ইংল্যান্ড সেমিতে বৃষ্টি বাধা দিলে কী হবে ফলাফল?

  ক্রিকেট কার্নিভাল



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড যখন গ্রুপপর্বে ও সুপার এইটের নানান সমীকরণ মোকাবেলা করে সেমির টিকিট নিশ্চিত করল, সেখানে ভারত বেশ আগে থেকেই আছে দারুণ ছন্দে এবং মানসিকভাবে স্বস্তিতে। কারণ এখন পর্যন্ত চলতি আসরে একটি ম্যাচও হারেনি রোহিত শর্মার দল। 

দ্বিতীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে বাংলাদেশ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ভারত। ২০২২ আসরের পর এবারও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমির মঞ্চে লড়বে এই দু'দল। এই ম্যাচে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে অনেকটাই। তবে এই ম্যাচে নেই কোনো রিজার্ভ ডে! এতে ম্যাচ যদি মাঠে না গড়ায়, সেখানে ফলাফল আসবে কীসের ভিত্তিতে?

ম্যাচটি শুরু হবে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। আবহাওয়া পূর্বাভাস জানানোর ওয়েবসাইট আকুওয়েদারের সূত্রমতে, গায়ানায় সকালে বৃষ্টির সম্ভাবনা ৮৮ শতাংশ এবং বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা ১২ শতাংশ। এতেই ম্যাচে বৃষ্টি বাগড়া দেওয়ার সম্ভাবনা ব্যাপক। এদিকে রিভার্ভ ডে না থাকলেও ম্যাচের জন্য অতিরিক্ত ২৫০ মিনিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। তবে সেই সময়ও যদি বৃষ্টির কারণে পেরিয়ে যায়, তখন ম্যাচের ফলাফল যাবে সুপার এইট পর্বের সমীকরণ অনুসারে। 

বৃষ্টিতে ম্যাচের মূল সময়সহ অতিরিক্ত সময়ও যদি পেরিয়ে যায় তাহলে ফাইনালে জায়গা করে নিবে ভারত। কেননা সুপার এইটে গ্রুপ ‘ওয়ান’ থেকে তারা তিনটি ম্যাচই জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পৌঁছেছে সেমিতে। এদিকে ইংল্যান্ড তিনটি ম্যাচের মধ্যে দুটিতে জিতে সেমিতে পৌঁছেছে রানার্স-আপ হয়ে। এতে সুপার এইটের এই সমীকরণে এগিয়ে আছে ভারত এবং বৃষ্টিতে পুরো ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে ভারত খেলবে ফাইনালে। 

এদিকে প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচটি শুরু হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায়। এই ম্যাচের জন্য আবার আছে রিজার্ভ ডে। বৃষ্টির কারণে প্রোটিয়া-আফগানদের এই ম্যাচটি যথাসময়ে শুরু না হলে সেটি মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার সকালে।

;