ঢাকার জয়ে ব্যাটে-বলে নায়ক মেহেদি
ঢাকার ওয়ানডাউন পজিশনে মুমিনুল হকের জায়গায় মেহেদি হাসানকে নামতে দেখে সবাই একটু অবাক! কিন্তু বাকিটা সময় মেহেদি হাসান ব্যাট হাতে যা করলেন তাতে যে আরেকবার সবাই আরেকটু বেশি বিস্মিত। ছক্কার ঝড় তুলে মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি হাঁকালেন এই তরুণ। ৭ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে মাত্র ২৯ বলে মেহেদি করলেন ৫৯ রান। কুমিল্লা ওয়ারির্য়সের বিপক্ষে ঢাকা প্লাটুনের ৫ উইকেটের জয়ে মেহেদি হাসানের এই ব্যাটিংই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখল।
৪০ বলে অপরিচিত ভঙ্গিতে ৩৪ রান করা তামিম ইকবালের আউটের পর ঢাকা প্লাটুন কিছুটা বিপদে পড়ে। ম্যাচ জিততে তখনো তাদের চাই ২৮ বলে ৩৯ রান। শেষের এই কঠিন হিসেবটা মিটিয়ে দেন শহিদ আফ্রিদি ১৬ বলে অপরাজিত ২৬ এবং মুমিনুল হক ২৬ বলে হার না মানা ২৮ রান করে।
আরও পড়ুন: ড্রেসিংরুম থেকে ফিরিয়ে আনা হলো ব্যাটসম্যানকে!
এই ম্যাচে শুধু ব্যাটিং না, বোলিংয়েও দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছেন মেহেদি। ৪ ওভারে ৯ রানে ২ উইকেট। সঙ্গে ১৮টি ডটবল! ঠিক যাকে বলে বলে একেবারে ব্যাটে-বলে ম্যাচ জয়। সেটাই এই ম্যাচে করে দেখিয়েছেন মেহেদি হাসান।
ভানুকা রাজাপাকসের অপরাজিত ৯৬ রানের সুবাদে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ১৬০ রান তুলে। রান তাড়ায় নেমে ঢাকা প্লাটুন প্রথম ওভারেই ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে হারায়। ২ বল খেলে শূন্য রানে ফিরেন বিজয়। মিডলঅর্ডারে আসিফ আলী ও জাকের আলী নামের মিল রেখে শূন্য রানে বিদায় নেন। ১০ ওভারে ৮৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ঢাকা প্লাটুন ভালই সঙ্কটে পড়ে। কুমিল্লার স্পিনার মুজিব-উর- রহমান দুর্দান্ত বোলিং করেন। শুরুর ৩ ওভারে তার খরচ ১০ রানে ২ উইকেট।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার ১৬০ রানে রাজাপাকসে একাই ৯৬
শেষ ২৪ বলে ম্যাচ জিততে ঢাকার প্রয়োজন দাড়ায় ৩৭ রান। হাতে জমা থাকা ৫ উইকেটই ঢাকার কাজটা সহজ করে দেয়। শেষ ওভারের জন্য কুমিল্লার অধিনায়ক দানুস শানাকা পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকারকে কেন বেছে রেখেছিলেন সেটা তিনিই ভাল বলতে পারবেন?
শেষ ওভারে আফ্রিদির ছক্কায় ম্যাচটা জিতে ঢাকা প্লাটুন পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় স্থানে উঠে এলো। ৫ ম্যাচে ৩ জয় ও ২ হারে ঢাকার পয়েন্ট এখন ৬।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ১৬০/৩ (২০ ওভারে, রাজাপাকসে ৯৬*, সৌম্য ১০, ইয়াসির ৩০*, মেহেদি হাসান ২/৯)। ঢাকা প্লাটুন ১৬১/৫ (১৯.৫ ওভারে, তামিম ইকবাল ৩৪, মেহেদি হাসান ৫৯, মুমিনুল ২৮*, শহিদ আফ্রিদি ২৬*, মুজিব ২/২২)। ফল: ঢাকা প্লাটুন ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: মেহেদি হাসান।