থাইল্যান্ডের সঙ্গে ড্রয়ের স্বস্তি বাংলাদেশের



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ১ : থাইল্যান্ড ১

প্রথম ম্যাচে উজবেকিস্তানের কাছে ০-৩ গোলে হারের ধাক্কা সামলে উঠেছে বাংলাদেশ দল। জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমস ফুটবলের গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ছন্দে ফিরেছে দল। বৃহস্পতিবার পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। থাইল্যান্ডের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।

ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ১২২ নম্বরে থাকা থাইদের বিপক্ষে ড্র করা ১৯৪ র‌্যাংকধারী দলের ড্র নিশ্চিত করেই ইতিবাচক ফল। গোটা ম্যাচ জুড়েই বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দল দারুণ ফুটবল উপহার দিয়েছে।

এশিয়ান গেমসের ফুটবলে পাকানসারি স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধ ছিল গোলশূণ্য। এরপর ৫২তম মিনিটে গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। বিশ্বনাথের থ্রো তপু বর্মনের সামনে পড়ে। তারপর মাহবুবুর রহমান সুফিলের শটে বল চলে আশ্রয় নেয় থাইল্যান্ডের জালে।

কিন্তু জয় নিয়ে মাঠ ছাড়া হয়নি। ৮০ মিনিটে চাইডেড সুপাচাইয়ের গোলে সমতায় ফেরে থাইল্যান্ড। ১-১ গোলে ড্র ম্যাচ। ১ পয়েন্টের স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

এ অবস্থায় ১৯ আগস্ট কাতারকে হারাতে পারলে দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের। যদিও মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিকে হারানোর স্বপ্নটাকে 'মিশন ইমপসিবল' বলছেন বিশ্লেষকরা! দুই ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট মাত্র ১। সমান ম্যাচে থাইল্যান্ডের পয়েন্ট ২। তারা প্রথম ম্যাচে ১-১ গোলে কাতারের সঙ্গে ড্র করেছিল। 

   

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই যত রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রেকর্ড বই ওলটপালট করেই শুরু হলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবর আসর। কানাডার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে জোন্স-গাউসের রেকর্ড জুটিতে ৭ উইকেটের বড় জয় পায় বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এ ম্যাচে তারা গড়েছে একগাদা রেকর্ড। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রেকর্ডগুলো। 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি

৪২ রানেই ২ উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে আন্দ্রেস গাউস ও অ্যারন জোন্স মিলে ৫৮ বলে গড়েন ১৩১ রানের জুটি। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তৃতীয় উইকেটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। তৃতীয় উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটা এক দশক আগে ২০১৪ সালে, ইংল্যান্ডের মরগান ও হেলসের ১৫২ রানের জুটি। 

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি 

২০২১ সালে লডারহিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে গজানন্দ সিং ও সুশান্ত মোদানির ১১০ রানের জুটিটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত কোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। তবে সেটি ছাপিয়ে এখন জোন্স-গাউসের ১৩১ রানের জুটি সবার ওপরে। তাও আবার বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে। 

বিশ্বকাপে আইসিসির কোনো সহযোগী দেশের সর্বোচ্চ সংগ্রহ

যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য তাড়ার ইনিংসে ৩ উইকেটে করেন ১৯৭ রান। যা বিশ্বকাপে আইসিসির কোনো সহযোগী দেশের এই ফরম্যাটে সর্বোচ্চ সংগ্রহ। অবশ্য ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ডাচদের ১৯৩ রানের রেকর্ড ছাড়িয়ে ১৯৪ রান করেছিল কানাডা। তবে তাদের রেকর্ড টিকলো না দুই ঘণ্টাও। 

বিশ্বকাপে দ্রুততম তিন অঙ্কের জুটি

জোন্স-গাউস মিলে ৫৮ বলে রান তোলেন ১৩১। যেখানে ওভারপ্রতি রান ছিল ১৪.২৯, যা বিশ্বকাপে তিন অঙ্কের জুটিতে দ্রুততম রান তোলার রেকর্ড। 

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়

এর আগে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ১৬৯ রান তাড়া করে জিতেছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এবার ১৯৫ রান তাড়া করে নতুন রেকর্ড গড়ল তারা। এছাড়া এটি ছিল বিশ্বকাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি। ২০০৭ সালে ২০৬ রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে ২০১৬ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ ২৩০ রান তাড়া করে সেই প্রোটিয়াদের বিপক্ষেই রেকর্ড গড়ে ইংল্যান্ড। 

বিশ্বকাপে ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড

২০১৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১১টি ছক্কা মেরেছিলেন ক্রিস গেইল। ২০০৭ আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মেরেছিলেন ১০টি ছক্কা। এবার ১০টি ছক্কা মেরে সেই তালিকার দ্বিতীয়তে যৌথভাবে গেইলের সঙ্গে নাম লেখালেন জোন্স। 

;

বিশ্বকাপে ‘স্পেশাল’ কিছু করতে চান শান্ত



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ে সিরিজ, যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের পর এবার বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ। সেখানে বাংলাদেশের দলের একটি জিনিস একবারে কমন, ব্যাটিং ব্যর্থতা। ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফর্মের একের পর এক নজির রেখে যাচ্ছেন শান্ত-লিটনরা। গতকালের বিশ্বকাপের একদম আগ মুহূর্তে ভারতের বিপক্ষে বোলিংটা মন্দের ভালো হলেও ব্যাটিংটা হয়েছে যাচ্ছেতাই। ভারতের দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্যে স্রেফ ১২২ রান তুলতে পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। 

ব্যাটিং ব্যর্থতা ছাড়া আরও একটি বিষয় কম, সেটি ম্যাচের পর অধিনায়ক-কোচদের নানান অজুহাত। সঙ্গে জুড়ে দেয়া আশার বাণী। তার ব্যতিক্রম ঘটেনি গতকালের ম্যাচের পরও। এবার শান্তর কণ্ঠে তো বিশ্বকাপে স্পেশাল কিছু করার আশ্বাস।   

ম্যাচ শেষে শান্ত বলেন, ‘বোলাররা দারুণ করেছে। শরিফুল ও রিশাদ যেভাবে ওই দুই ওভার বোলিং করেছে, সেটা নিয়ে সত্যিই খুশি। তবে আমরা ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারিনি। আশা করি, বিশ্বকাপের মূল খেলায় স্পেশাল কিছু করব।’ 

শান্ত এদিন ফিরেছেন ৬ বলে কোনো রান না করেই। এতে শেষ বেলায় এসেও ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতি থাকলো ছন্নছাড়া। তবে আগে কি হয়েছে তা ছাপিয়ে সামনে ম্যাচগুলো নিয়েই ভাবছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ‘আগে কী হয়েছে, সেটা নিয়ে ভাবছি না। আমরা সবাই জানি আমাদের সামর্থ্য কতটুকু। আমাদের সাহসী হতে হবে এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে। তাসকিন ও মুস্তাফিজ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তারা দুজন যখন ফিরবে, তখন ভিন্ন কিছু হবে।’ 

বোলিংটাও যখন দলের এখন মূল ভরসার জায়গা তখন বিশ্বকাপের একদম আগ মুহূর্তে বোলিং বিভাগেই দুঃসংবাদ পেল বাংলাদেশ। গতকালের সেই ম্যাচে নিজের শেষ ওভারে হার্দিক পান্ডিয়ার ফিরতি বল ঠেকাতে গিয়ে আহতে চোট পান শরিফুল ইসলাম। এতেই তার হেঁটে লেগেছে ছয়টি সেলাই। তার এই চোট কতদিনে সারবে তা নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে। এক ভিডিও বার্তায় বাংলাদেশ দলের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, দুই দিন জানা যাবে শরিফুলের ফিরতি ঠিক কতটা সময় লাগবে। 

আগামী ৮ জুন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে ভোর সাড়ে ৬টায়। 

;

শরিফুলের হাতে ৬ সেলাই, অনিশ্চিত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিংয়ে হতশ্রী পারফর্ম চলমান থাকলেও বাংলাদেশের বোলিং বিভাগটা খুব একটা হতাশ করছে না। তবে বিশ্বকাপের ঠিক আগে সেই বোলিং বিভাগেই এলো বড় দুঃসংবাদ। গতকাল বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে বোলিংয়ের সময়ে হাতে চোট পান শরিফুল ইসলাম। এতেই বাঁহাতি পেসারের হাতে লেগেছে ৬টি সেলাই। ছয় দিন পরই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশের। হাতের এই চোটে তাই বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে শরিফুলের খেলা নিয়ে দাঁড়িয়েছে শঙ্কা। 

চোটের আগেও গতকালের ম্যাচটিতেই দারুণ ছন্দে ছিলেন শরিফুল। ইনিংসের দ্বিতীয় ও নিজের প্রথম ওভারেই তুলে নেন সঞ্জু স্যামসনের উইকেট। পরে ম্যাচে নিজের শেষ ওভার করার সময় হার্দিক পান্ডিয়ার একটি ফিরতি বল ঠেকাতে গিয়েই চোট পান শরিফুল। পরে ছাড়তে হয় মাঠ। এর আগে ৩ ওভার ৫ বলে স্রেফ ২৬ রান দিয়ে ১টি উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। 

শরিফুলের চোট নিয়ে ম্যাচ শেষে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘সে এখন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে আছে। খুব সম্ভবত ঠিক হয়ে যাবে।’

তবে শঙ্কা বাড়ল সেলাইয়ের খবরের পর। বিসিবির এক ভিডিও বার্তায় শরিফুলের চোটের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী। সেখানে তিনি বলেন, ‘শেষ ওভারে একটি বল ঠেকাতে গিয়ে বাঁ হাতের তর্জনী ও মধ্যমার মাঝে যে জায়গায় একটা স্প্লিট ইনজুরি হয়েছে শরিফুলের। মাঠে প্রাথমিক পরিচর্যার পর তাকে ম্যাচ শেষে নাসাউ ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।’

তবে শরিফুলের মাঠে ফেরা নিয়ে এখনই নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছেনা বলেও জানান দেবাশীষ। ‘হ্যান্ড সার্জনের তত্ত্বাবধানে ওর (শরিফুল) ক্ষতস্থানে ছয়টা সেলাই পড়েছে। দুই দিন পর আমরা আবার হ্যান্ড সার্জনের কাছে যাব। তখনআসলে বুঝতে পারব যে ওর ফিরতে কত সময় লাগবে।’

;

জোন্সের ঝড়ে প্রথম বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রথম’ জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জেরেমি গর্ডন। কানাডার ডানহাতি পেসার। যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য তাড়ার ইনিংসে ১৪তম ওভারে তার হাতে বল থামান কানাডা অধিনায়ক সাদ বিন জাফর। এবং ওই এক ওভারেই যেন ম্যাচটা জিতে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তিনটি ওয়াইড বল, দুটি নো, দুটি চার ও দুটি ছক্কার সেই ওভারে ৩৩ রান দেন গর্ডন। এতেই ৪২ বলে ৬৯ রানের সমীকরণ নেমে আসে ৩৬ বলে ৩৬ রানে। শেষ পর্যন্ত ১৯৫ রানের লক্ষ্যটি ১৬ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দেশটি। 

তবে ৭ উইকেটে এই দাপুটে জয়ের বড় কৃতিত্ব স্বাভাবিকভাবেই যাবে তৃতীয় উইকেটে অ্যারন জোন্স ও আন্দ্রেস গাউসের জুটিতে। শুরুর চাপ সামলে তাদের ৫৮ বলে ১৩১ রানের রেকর্ড জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে দেয়। গাউস ৬৫ রান করে ফিরলেও শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন জোন্স। তিনি স্রেফ ৪০ বলে করেন দলীয় সর্বোচ্চ ৯৪ রান। 

ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম এই আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে আগে টসে জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ পায় প্রতিবেশী দল কানাডা। 

সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই চাপে পড়ে যুক্তরাষ্ট্র। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই স্টিভেন টেইলরকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন কালিম সানা। পরে পাওয়ার প্লে শেষের পরপরই ফেরেন অধিনায়ক মোনাঙ্ক। স্কোরবোর্ডে তখন ৬ ওভার ৩ বলে কেবল ৪২ রান। লক্ষ্যটা বড় সঙ্গে শুরুতেই এমন ধাক্কায় বেশ চাপেই পড়ে যায় সহ-আয়োজক দলটি। 

তবে সময় গড়িয়ে জোন্স-গাউস জুটি পেরোতে থাকে সব বাঁধা। ১০ ওভারে যেয়ে সংগ্রহ পৌঁছায় ৮১ রানে। সেখান থেকেই মূলত ব্যাটিং ঝড় শুরু করেন তারা। পরের ৫ ওভারেই তোলে ৮৭ রান, সেখানে ওভারপ্রতি রান ১৭ দশমিক ৪। পরে ১৬তম ওভারে গাউস ফিরলে ভাঙে তাদের জুটি। ১৩১ রানের এই জুটি যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো টি-টোয়েন্টি যেকোনো উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। সঙ্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি তৃতীয় উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি। শীর্ষে আছে ২০১৪ বিশ্বকাপে তৃতীয় উইকেটে এইডন মরগান ও অ্যালেক্স হেলসের ১৫২ রানের জুটিটি। 

গাউস ফেরার পর বাকি সমীকরণ অনায়াসেই মিলিয়ে দেন জোন্স। বিশ্বকাপে নিজের ও দলের প্রথম ম্যাচেই খেললেন ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। তার ৪০ বলে ৯৪ রানের অপরাজিত নান্দনিক ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি চার ও ১০টি ছক্কার মারে। এতে জেতেন ম্যাচসেরার খেতাবও। 

এদিকে এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো পাওয়ার পর সেটি শেষ পর্যন্ত ধরে ছিল কানাডা। ওপেনিংয়ে নামা নাভনিত ধালিওয়ালের দলীয় সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস ছাড়া নিকোলাস কির্তনের ৫১ এবং শেষ দিকে শ্রেয়াস মোভার ১৬ বলে ৩২ রানের ক্যামিওতে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহে পৌঁছে যায় কানাডা। সেখানে একটি করে উইকেট নেন আলী খান, হারমিত সিং ও কোরি অ্যান্ডারসন। 

কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্র, দল দুটিরই এটি ছিল প্রথম বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। কানাডা বাছাইপর্বের বাঁধা পেরিয়ে এলেও সহ-আয়োজক দেশের সুবাদে সরাসরি মূলপর্বে জায়গা পায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে আত্মবিশ্বাসের ঝুলিটা ভরপুর রেখেই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে মোনাঙ্ক প্যাটেলের দলটি এবং দাপুটে জয় দিয়েই শুরু করলো বিশ্ব মঞ্চে প্রথমবারের যাত্রা। 

;