হজের প্রস্তুতিতে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি



ড. মুফতি মুহাম্মদ গোলাম রব্বানী, অতিথি লেখক, ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার ঘর কাবা শরীফকে এক পলক দেখার জন্য, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজায় পৌঁছে সালাম দেওয়ার জন্য সবারই মন টানে। কল্পনার আয়নায় কতবার যে ঘুরে আসা হয় মক্কা-মদিনার পথে প্রান্তরে, যেখানে কেটেছে নবীজীর তেষট্টি বছর। মনের সাধ জাগে হাজিদের সঙ্গে আরাফার ময়দানে সারাদিন কাটিয়ে দেওয়ার। এ সাধের সঙ্গে সাধ্যেরও ব্যাপার জড়িত। যখন মক্কা-মদিনায় যাওয়ার সুযোগ আসে তখন সাধারণতঃ কেউ তা হাতছাড়া করতে চায় না। যতদিন এ সুযোগ না আসে ততদিন আল্লাহর কাছে হজের সুযোগ চাইতে থাকা। মনের আবেগ নিয়ে আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ অবশ্যই তাওফিক দেবেন।

যদি কারও কাছে মক্কায় হজের সময়ে যাতায়াতের টাকার ব্যবস্থা হয়ে যায়, তাহলে তার জন্য হজ করা ফরজ। তখন দেরি করা কিছুতেই ঠিক নয়। হজের গুরুত্ব ও ফজিলত প্রসঙ্গে কমবেশি সবাই অবগত। সুতরাং যখন হজ করার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন, তখন থেকে শুরু হয়ে যাবে হজের প্রস্তুতি। হজের নিয়মাবলী, নির্দেশিকা, অভিজ্ঞতা ও মাসয়ালা ইত্যাদি বিষয়ে অনেক বই পাওয়া যায়। শুরু করতে হবে এগুলো পড়া। বই পড়লে জানা হয়, আগ্রহ বাড়ে। আগ্রহ বাড়লেই এক সময় বাস্তবায়নের ইচ্ছা হয়, ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়ে যায় আল্লাহর ইচ্ছায়।

ভালো সঙ্গী দরকার
কথায় আছে, ‘সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ।’ এটা শুধু ছোটদের জন্য নয়, বড়দের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। হজের মতো আমলের ক্ষেত্রেও। হজে যেমন সওয়াব বেশি, আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ করা যায় সহজে, আবার হজে অনিয়ম হলে, সঙ্গী-সাথীদের কারণে নিয়তে এলোমেলো চলে এলে, এ হজ ক্ষতিরও কারণ হয়। অনেককে দেখা যায়, হজ করে এসে আগের চেয়ে খারাপ জীবন-যাপন করতে। এটা তার হজ কবুল না হওয়ার প্রভাবেও হতে পারে। তাই আমলদার, মুত্তাকি, ভালো মানুষের সঙ্গে হজপালনের চেষ্টা করবেন। একজন মুত্তাকি সাথী খুঁজলে অবশ্যই পেয়ে যাবেন। পাঁচ সাতজন ভালো মানুষের সঙ্গে হজ হলে তো সোনায় সোহাগা।

মক্কার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার পূর্বে আপনাকে ইনজেকশন নিতে হবে নিকটস্থ হাসপাতালে। সেখান থেকে ছোট বইয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট লিখে দিবে। এটা সঙ্গে রাখবেন।

অারও পড়ুন: মেসিডোনিয়া থেকে সাইকেল চালিয়ে হজপালনে দুই বন্ধু

ভিসা ও টিকিট
ভিসা ও টিকিটের দায়িত্ব হজ কাফেলা বা ট্রাভেল এজেন্সির। এ কাজগুলো নিয়ে টেনশন করার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে সময়মতো সবকিছু হলো কিনা- তা খোঁজ নিন। এগুলো হয়ে গেলে রওয়ানা দেওয়ার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিবেন। সতর্ক থাকবেন অনেক সময় রেজিস্ট্রেশন বা অন্য কোথাও সমস্যার কারণে ভিসা হয় না। ভিসা ও টিকিট না পাওয়া পর্যন্ত আবার তারিখ চূড়ান্ত হয় না। তাই এগুলো নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন।

হজ প্রশিক্ষণ
হজে যাওয়ার আগে হজের প্রশিক্ষণ নেওয়া ভালো। এতে অনেক বিষয়ে পূর্ব অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব হয়। প্রশিক্ষকগণ তাদের অভিজ্ঞতার কথা বলেন, তা অনেক উপকারী। কিছু কিছু কাজ যেমন ইহরামের কাপড় পরিধান তা বই পড়ে শেখা যায় না। এ সবের জন্য প্রশিক্ষণ উপকারী। এ সব প্রশিক্ষণে উপস্থিত হলে হজের প্রতি টান আরও বেড়ে যায়।

বান্দার হক আদায়
হজ ফরজ হওয়ার শর্তের মধ্যে সফরকালীন পরিবারের খাদ্যবস্ত্রের ব্যবস্থা করে যাবার সামর্থের ব্যাপারটি রয়েছে। তাই সফরের এক দেড় মাস সময়ে পরিবারের লোকেরা কোথা থেকে প্রয়োজন মিটাবে তার ব্যবস্থা, দিক নির্দেশনা ও অর্থ জোগান দিয়ে যেতে হবে।

কেউ যদি কোনো টাকা পায় তাহলে যথাসম্ভব আদায় করে যেতে হবে। আদায় করা সম্ভব না হলে সময় চেয়ে নিতে হবে এবং এ ধরনের ঋণের কথা পরিবারের লোকজনের কাছে বলে যেতে হবে। হায়াত ও মওতের কথা তো বলা যায় না।

বোনের অংশ যদি না দেওয়া হয়ে থাকে অথবা শয়তানের প্ররোচণায় যদি কারও হক নষ্ট করা হয়ে থাকে তাহলে হজের পূর্বে অবশ্যই এর সমাধান করে যাবেন। আপনি নিষ্পাপ হয়ে ফিরতে চাচ্ছেন। কারও হক পাওনা থাকলে আপনি তো নিষ্পাপ হতে পারবেন না।

হজের কেনাকাটা ও প্রয়োজনীয় সামগ্রী
হজের উদ্দেশ্যে অল্প কিছু কেনাকাটা করতে হয়।
১. ইহরামের দুই সেট কাপড় কিনতে হবে। যেহেতু সেলাইয়ের কোনো দরকার নেই তাই লুঙ্গি ও চাদর পরিমান সাদা সুতি কাপড় নিলেই হলো।

২. স্যান্ডেল জুতা। ইহরাম অবস্থায় সু জুতা বা পা ঢেকে থাকে এমন জুতা পরা যায় না। আরামদায়ক দু’তিন জোড়া স্যান্ডেল কিনে নিবেন। কারণ ছিড়ে যেতে পারে। মসজিদ পরিস্কার করার সময় বক্স থেকে জুতা সরিয়ে নিলে তা আর খোঁজে নাও পেতে পারেন।

৩. একটি ট্রলি ব্যাগ লাগবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখার জন্য। ট্রলি ব্যাগ ছাড়াও মিনায় কাপড়-চোপড় নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি হাত ব্যাগও সঙ্গে রাখা দরকার।

৪. ঔষধপত্র (নাপা, ফিলমেট, সেলাইনসহ) প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী পুরো সফরের ঔষধ সঙ্গে নিয়ে নিবেন। সেখানে ঔষধের অনেক দাম।

৫. প্রয়োজনীয় ডলার বা রিয়াল নিতে হবে।

৬. হজ ও উমরার মূল ছয়-সাত দিন ছাড়া বাকি সময় সাধারণ পোশাকে থাকতে হয়। তাই এই দীর্ঘ সময় ব্যবহার উপযোগী কাপড়, লুঙ্গি, পায়জামা, পাঞ্জাবী, সেলোয়ার কামিজ, বোরকা ইত্যাদি সঙ্গে নিতে হবে।

৭. মেয়েদের পর্দা করার জন্য বিভিন্ন সামগ্রী, বিশেষ করে মিনার তাঁবুতে পর্দা টানানোর জন্য চাদরের ব্যবস্থা থাকা ভালো।

৮. প্রসাধনী সামগ্রী। ইহরাম অবস্থা ছাড়া সব প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করা যায়। তাই তেল, সাবান, ব্রাশ, পেষ্ট, মেসওয়াক, টয়লেট পেপার, ভেসলিন ক্রীম ইত্যাদি সঙ্গে নিতে পারেন।

৯. রেজার, ব্লেড, কাঁচি, চাকু সঙ্গে নিলে অবশ্যই ট্রলি ব্যাগে নিবেন। হাত ব্যাগে এগুলো নিতে দেয় না।

লেখক: অধ্যাপক, উর্দু বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

   

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না



মুফতি এনায়েতুল্লাহ, অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের একাংশ, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালনে বঞ্চিত হবেন না বলে আশাবাদী বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান।

ভিসা না হওয়া হজযাত্রীরা এক ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। তবে বাংলাদেশ হজ অফিসের পরিচালক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান বার্তা২৪.কমকে বলেন, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত সবার ভিসা হবে বলে আমি আশাবাদী। কয়েকটি এজেন্সির হজযাত্রী নিয়ে জটিলতা হচ্ছে, তার অর্ধেকই ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে। বাকি কাজ সমাধানের পথে।

জিলহজ মাসে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৯ মে শুরু হওয়া হজফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুন। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইডসহ হজপালনে সৌদি আরব যাবেন ৮৫ হাজার ১১৭ জন। ইতোমধ্যে ২৮ হাজার ৪ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। ৮২ হাজার ১০০ জনের ভিসা ভিসা হয়েছে। এখনও বেসরকারিভাবে নিবন্ধিত ৩ হাজার ৩৩৬ জনের ভিসা হয়নি।

মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, পরিচালক, হজ অফিস, ছবি: বার্তা২৪.কম

জানা গেছে, যথাসময়ে ভিসার আবেদন না করায় ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ৫৭০, যাত্রী সংখ্যা ২৮৬), আনসারি ওভারসিস (লাইসেন্স ৬০১, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), আল রিসান ট্রাভেল এজেন্সি (লাইসেন্স ৬৭২, যাত্রী সংখ্যা ৪৪৪), মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলস (লাইসেন্স ১০২৫, যাত্রী সংখ্যা ৩৭৫), নর্থ বাংলা হজ ট্রাভেলস এন্ড ট্যুরস (লাইসেন্স ১০৮৬, যাত্রী সংখ্যা ২৬০), হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস (লাইসেন্স ১৪৬২, যাত্রী সংখ্যা ২৫০) কে ধর্ম মন্ত্রণালয় শোকজ করে। এসব এজেন্সির মাধ্যমে ১ হাজার ৮৭৫ জনের চলতি বছর হজে যাওয়ার কথা রয়েছে।

আর আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সির নিবন্ধিত হজযাত্রীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত কারও ভিসা না করায় বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়ার দেশত্যাগ স্থগিত ও তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

হজ এজেন্সির মালিকদের সংগঠন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সিসহ অভিযুক্ত এজেন্সির মালিকদের নিয়ে আমরা বসে, পয়েন্ট পয়েন্ট ধরে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। ইতোমধ্যে হলি দারুন নাজাত হজ ওভারসিস, ওয়ার্ল্ডলিঙ্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস এবং মিকাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্যদেরও হয়ে যাবে। নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী হজপালন থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এমন আশাবাদী হওয়ার কারণ জানতে চাইলে হাব সভাপতি বলেন, হজ ব্যবস্থাপনায় সৌদি আরব অংশে যে পরিমাণ অর্থ প্রেরণ করা দরকার এজেন্সিগুলো তা পাঠিয়েছে। আর যতটুকু সমস্যা রয়েছে, আশা করি তা সমাধান করা যাবে।

এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আল রিসান ট্রাভেলস এজেন্সি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুস সালাম মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি এবার হজে কোনো লোক পাঠাইনি। আকবর হজ গ্রুপের মুফতি লুৎফর রহমান ফারুকী তার লাইসেন্সে সমস্যা হওয়ায় আমার লাইসেন্স ব্যবহার করে ৪৪৮ জন হজযাত্রী পাঠাচ্ছে। চলতি সমস্যা নিয়ে হাব সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে মুফতি লুৎফর রহমান সৌদি থেকে ফোনে কথা বলেছেন, তিনি আশ্বস্থ করেছেন; আজকালের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ জনের ভিসা হয়ে যাবে। আর আগামীকাল বা পরশুর মধ্যে সবার ভিসা হয়ে যাবে। তিনি মদিনার বাড়ি ভাড়া করেছেন, মক্কার বাড়িও ভাড়া হওয়ার পথে।’

;

মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের আগমুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করলেন বাবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

আল হুমাইদি আল হারবি, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৃত্যদণ্ড কার্যকরের আগ মুহূর্তে ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন বাবা। শেষ সময়ে জন্মদাদা বাবার এমন উদারতা দেখে উপস্থিত কর্মকর্তারা হতবাক হয়ে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবে। খবর গালফ নিউজের।

আল হুমাইদি আল হারবি নামের ওই বাবা হঠাৎ করে দণ্ড কার্যকরের স্থানে যান। সেখানে গিয়ে ঘোষণা দেন, ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তিনি। ওই হত্যাকারীর দণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি নেওয়ার আগে আল হুমাইদি আল হারবির কাছে একাধিকবার গিয়েছিলেন সরকারি কর্মকর্তারা।

কিন্তু ওই সময় তিনি ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন। নিজ ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করার একমাত্র অধিকারী ব্যক্তি ছিলেন ওই বাবা। সে অনুযায়ী, বিনা শর্তে তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেন। এতে করে সেখানে থাকা সবাই বেশ অবাক হন।

আল হারবি জানিয়েছেন, ধর্মীয় দিক বিবেচনা করে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। যদিও প্রথমে হত্যাকারীকে ক্ষমা করতে চাননি। কিন্তু পরে নিজের মন পরিবর্তন করেন। ছেলের হত্যারকারীকে ক্ষমা করা ওই বাবার এমন উদারতার প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ। তারা এটিকে ক্ষমার একটি অনন্য উদাহরণ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

খবরে প্রকাশ, নিজ গোত্রের প্রতিবেশীর বন্ধুর ছেলের হাতে তার ছেলে খুন হন। দেশটির আইন অনুযায়ী বিচার শেষে হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হয়। সৌদি আরবের আইনে রক্তপণ নিয়ে কিংবা অভিভাবক হিসেবে খুনিকে ক্ষমা করে দেওয়ার বিধান রয়েছে।

সে হিসেবে তিনি ছেলের খুনিকে ক্ষমা করে বলেন, ‘আমাদের সম্পর্ক আজও আগের মতো।’

তার স্পষ্ট কথা, আমি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করেছি। এ বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তারা ক্ষমার কথা বললেও তার পরিবার ক্ষমা প্রসঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার পর আমাদের সম্পর্ক গত ছয় দশকের মতোই আজও আছে। ছেলের খুনের পর যেমন ছিল, এখনও সম্পর্ক তেমনি আছে।

হত্যাকারীর বাবা আবদুল মাজিদ আল হারবি বলেন, আমি নিহতের বাবাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে শ্রদ্ধা করি এবং সম্মান করি, তিনি আমার ভাইয়ের চেয়েও বেশি।

;

সৌদিতে বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের হজ মৌসুমে সৌদি আরবে মো. আসাদুজ্জামান নামের এক বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এটিই এবারের হজে প্রথম কোনো বাংলাদেশির মৃত্যু।

শনিবার (১৮ মে) হজ পোর্টালের আইটি হেল্পডেস্কের প্রতিদিনের বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়, ১৫ মে আসাদুজ্জামান মদিনায় মসজিদে নববীতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পরেন। পরে তাকে কিং সালমান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার ৭ নম্বর মাসকা ইউনিয়নের সাতাশী গ্রামের বাসিন্দা মো. আসাদুজ্জামান।

এদিকে শুক্রবার (১৭ মে) রাত ৩টা পর্যন্ত ২৭ হাজার ১১১ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। অন্যদিকে এখনো ৪ হাজার ২৫৬ জন হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই।

;

সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার ২৩৬ হজযাত্রী



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ থেকে চলতি মৌসুমে হজ পালন করতে ২৪ হাজার ২৩৬ জন হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৭৪৭ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রী ২০ হাজার ৪৮৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৯ হাজার ৯০১টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ মে) হজ সম্পর্কিত সর্বশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

বুলেটিনে জানানো হয়, এ পর্যন্ত ৬১টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ২১টি, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ২০টি ফ্লাইট পরিচালনা করছে।

হেল্পডেস্ক থেকে পাওয়া তথ্য মতে, হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার প্রথম ফ্লাইট শুরু হয় গত ৯ মে। আগামী ১০ জুন পর্যন্ত যাওয়ার ফ্লাইট চলবে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন এবারের হজ অনুষ্ঠিত হবে। হজ শেষে ২০ জুন ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে। এবার সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন।

দেশে ফেরার ফ্লাইট শেষ হবে আগামী ২২ জুলাই। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় অনুমোদিত এবার হজ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত এজেন্সির সংখ্যা ২৫৯টি।

;