নেই দু’পাশের রাস্তা, ব্রিজটিও জরাজীর্ণ
ব্রিজ থাকলেও নেই দু’পাশের রাস্তা। ব্রিজটিও জরাজীর্ণ। মরিচা ধরে স্টিলের সিটগুলো গর্ত হয়ে রয়েছে। যা চলাচলের অনুপোযোগী। এতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। তবুও ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার গ্রামবাসীকে চলাচল করতে হয়। কারণ এই ব্রিজটি দুই উপজেলার যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটায় এ অঞ্চলের মানুষগুলো অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করা হলে তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা দূর হবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
ব্রিজটি লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের চৌধুরী বাজার এলাকায় অবস্থিত। এর দু’পাশে দুটি উপজেলা। একপাশে রামগতি, অপর পাশে নোয়াখালীর সুবর্ণচর। ব্রিজটি এই দুই উপজেলার সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। রামগতি উপজেলার কৃষকরা সুবর্ণচর গিয়ে চাষাবাদ করে থাকে। আবার সুবর্ণচরের শিক্ষার্থীদের রামগতির উত্তর চরআফজল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে এসে পড়ালেখা করতে হয়। আর চলাচলের জন্য এই ব্রিজটিই তাদের একমাত্র ভরসা।
জানা গেছে, উপজেলার চৌধুরী বাজার এলাকায় ভুলুয়া নদীর ওপর নির্মিত স্টিলের ব্রিজটির দু’পাশে মাটির রাস্তা ভেঙে গেছে। ব্রিজে ওঠার জন্য একপাশে একটি কাঠের সাঁকো থাকলেও অন্যপাশে নেই। ওইপাশ দিয়ে কষ্ট করে উঠতে নামতে হয়। ব্রিজের স্টিলের সিটগুলোও মরিচা ধরে গর্ত হয়ে গেছে। এতে গর্তে পা পড়ে অনেকেই আহত হয়েছে। গত ৬-৭ বছর ধরে ব্রিজটি এ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এটি সংস্কার কিংবা নতুন করে রামগতি-সুবর্ণচরের যোগাযোগের জন্য কোনো ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে না। এতে ঝুঁকি নিয়েই দু’গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচল করতে হয়।
গত দুই তিন বছর আগেও এই ব্রিজ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল, রিকশা ও সিএনজি চলাচল করত। এখন তা হচ্ছে না। এতে দুর্ভোগে রয়েছে শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৫ হাজার গ্রামবাসী। প্রতিদিনই চলাচলে তাদেরকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভুলুয়া নদীর ওপর এই ব্রিজটি রামগতি ও সুবর্ণচরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হওয়ায় যাতায়াতের জন্য খুবই গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু গাড়ি চলাচলে অনুপোযোগী হওয়ায় তাদের প্রচুর কষ্ট করতে হয়। চলাচলে বিঘ্ন ঘটার কারণে ওই দুই অঞ্চলের জনগণ অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ জন্য দ্রুত এটি সংস্কার কিংবা নতুন ব্রিজ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি। এতে প্রত্যন্ত এ অঞ্চলের জনগণের দুঃখ লাগব হবে। এছাড়াও জনপ্রতিনিধিরা সঠিকভাবে এ অঞ্চলের জনগণের দাবিটি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করতে পরছেন না বলেই এ ব্রিজটি সংস্কার করা হচ্ছে না।
রামগতি উপজেলার চররমিজ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার বলেন,‘ব্রিজটি ও রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার হয়ে গেছে। আশা করি খুব দ্রুত ব্রিজটি পাকাকরণের কাজ শুরু হবে। আপাতত ব্রিজটি ব্যবহার করার জন্য দু’পাশের এক পাশে কাঠের সাঁকো আর অন্যপাশে মাটি ভরাট করে দেওয়া হয়েছে।