‘নির্বাচন সুষ্ঠু’ করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

নির্বাচন কমিশন ভবন। ছবি: সুমন শেখ

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অন্যদিকে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও কমিশনে তাদের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রস্তুতির বিষয়ে কমিশনকে অবহিত করেছেন।

মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর)  সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি উপলক্ষে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা/ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভা করেছে কমিশন।

সভায় মাঠপর্যায় থেকে বক্তব্য রাখেন ১০ জন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও ২০ জন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। তারা কমিশনের সামনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে তাদের বিভিন্ন চাহিদা ও অভিযোগ তুলে ধরেন। পাশাপাশি প্রস্তুতির কথাও তুলে ধরা হয়।

সভায় উপস্থিত একাধিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের নির্বাচন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রাখার নির্দেশনা দিয়েছে। ভোটার তালিকা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করতে বলা হয়, যাতে কোন ধরনের ত্রুটি না থাকে। ভোটকেন্দ্র প্রস্তুতের বিষয়টি আলোচনায় উঠলে কমিশন কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করে সকল সমস্যা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশিসমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়ার কথাও বলা হয়।

আলোচনার এক পর্যায়ে একজন নির্বাচন কর্মকর্তা পার্বত্য অঞ্চলের কেন্দ্রগুলো নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে রাঙামাটি, বান্দরবানসহ সকল পার্বত্য অঞ্চল ও উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেয়া হয়। এ সময় জানানো হয়, তফসিল ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আটটি বিভাগে আলোচনা সভা করা হবে। তখন এসব বিষয় উপস্থাপনের জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভার এক পর্যায়ে কর্মকর্তারা নির্বাচনে তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও সুযোগ সুবিধার বিষয়টি নিশ্চিতের দাবি জানালে কমিশন সে বিষয়টি মূল্যায়ন করবে বলে আশ্বাস দেন।

সভা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি সন্তোষজনক। তাদের নির্বাচনের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি লক্ষ্য করেছি। তিন চারটি বিষয়ে তাদের মন্তব্য চেয়েছি। একটা হলো ভোটার তালিকার সিডি, ভোটকেন্দ্রের অবস্থা। এমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। কোন সমস্যা থাকলে তা সমাধানে কাজ করছে। দুর্গম এলাকায় কোথায় কিভাবে ভোটের মালামাল নেয়া যাবে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা খারাপ, সেখানে বাড়তি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি তারা অবহিত করেছেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে সভা সূত্রে জানা গেছে, সভার শুরুতেই ভোটার তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়। এতে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ হতে হালনাগাদ ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করে মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার তত্বাবধানে জেলা নির্বাচন অফিসার এবং উপজেলা/ থানা নির্বাচন অফিসারগণ চূড়ান্ত যাচাই-বাছাই করে সিডির সঠিকতা সম্পর্কে প্রত্যয়ন প্রেরণ করবেন। মনোনয়পত্র বিতরণের সময় সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রদানের জন্য ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত কার্যক্রম নির্বাচনের সময়সূচি জারির পূর্বেই সম্পন্ন করতে হবে।

ভোটাকেন্দ্রের জন্য সকল যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়, ভোটকেন্দ্র স্থাপনের সম্ভাব্য প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ ও সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত এবং প্রশিক্ষণ আয়োজনের বিষয়টিকে গুরুত্বে দেয়ার নিয়েও আলোচনায় উঠে আসে। এ সময় ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুতের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালার আলোকে নির্বাচনের সময়সূচি জারির পূর্বেই সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার/ জেলা নির্বাচন অফিসার বিভিন্ন অফিস/ প্রতিষ্ঠান থেকে তালিকা সংগ্রহ করবেন। সংগৃহিত তালিকা সময়সূচি জারির পর পর পদ্ধতিগতভাবে রির্টার্নিং অফিসারের কাছে হস্তান্তর এবং অন্যান্য কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে। ভোটগ্রহনকারী কর্মকর্তাদের তালিকা থেকে বাছাই করে প্রশিক্ষণ পরিকল্পনার জন্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে তথ্য প্রেরণ করতে হবে।

নির্বাচনী দ্রব্যাদি সংগ্রহ, বিতরণ ও বাজেট প্রণয়ন বিষয় কর্মকর্তাদের বলা হয়, ভোটকেন্দ্রে ব্যবহারের জন্য ১০ ধরনের নির্বাচনি দ্রব্যাদির মধ্যে গানি ব্যাগ, হেসিয়ান ব্যাগ, মার্কিং সিল, অফিসিয়াল সিল, ব্রাস ও অমোছনীয় কালির কলম ইতোমধ্যে পাওয়া গেছে। স্ট্যাম্প প্যাড, ব্যালট বক্সের লক ও লালগালা চলতি মাসের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে পাওয়া যাবে। নতুন অন্তর্ভুক্ত মালামাল (ক্যালকুলেটর, চার্জার লাইট ও পিনসহ স্ট্যাপলার) মেশমিন) সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মনোনয়ন ফরমসসহ মনোনয়নপত্র দাখিল, বাছাই সংক্রান্ত প্রাথমিক নির্বাচনি ফরম, প্যাকেট মুদ্রণের কাজ সম্পন্ন করে নির্বাচনের সময়সূচি জারির পূর্বে মাঠ পর্যায়ে প্রেরণ করা হবে। এছাড়া স্থানীয় মালামাল সংগ্রহের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হবে।

সবশেষে নির্বাচনের বাজেট বরাদ্দ বিষয়ে আলোচনা হয়। সে বিষয়ে কর্মকর্তাদের বলা হয়, নির্বাচনী বাজেট বরাদ্দ হতে ব্যয় প্রক্কলন, বিস্তারিত দফা- উপদফাওয়ারি ব্যয় বিভাজন ও হার নির্ধারণের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। ব্যয় বরাদ্দের হার নির্ধারণ, দুর্গম/ বিশেষ এলাকা বা অনুরূপ শর্ত এর অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাবনা প্রস্তুতসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায় হতে তথ্যাদির প্রয়োজন হতে পারে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, আজকের বৈঠকে মূলত মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্রসহ বিভিন্ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এসময় তারাও কিছু মতামত তুলে ধরেছেন।

   

নিজস্ব উদ্ভাবন, ফেঞ্চুগঞ্জে নিরবিছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত কুশিয়ারা নদীর পানি দিয়ে চলে ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্র। নদীটির তীরে অবস্থিত পাম্প হাউজ মনিটরিং নিয়ে বিড়ম্বনার অন্ত ছিল না। কখনও নাব্যতা কমে যাওয়া, কখনও মোটরের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে পানি সরবরাহ নিয়ে নাকাল ছিল বিদুৎকেন্দ্রটি।

পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে মূল বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ হয়ে যেতো। গত বছরও ৩১বার বিভ্রাটের কবলে পড়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। এরপর নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুল আলম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোস্তাফিজ আহমেদ ও সহকারী প্রকৌশলী নয়বিৎ মন্ডল নিজেরাই তাক লাগানো সমাধান এনে দিয়েছেন। তাদের উদ্ভাবন স্বস্তি এনে দিয়েছে বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে।

যে কাজে বিদেশি কনসালটেন্ট ভাড়া করতে হলে অর্ধকোটি টাকার উপরে খরচ হতে পারতো, ওয়াহিদুল ইসলামরা সেই কাজ করেছেন মাত্র ৩০ হাজার টাকা খরচে। এখন আরও তাদের দেড় কিলোমিটার দূরে গিয়ে পাম্প হাউজ দেখে আসতে হয় না। যেকোনো জায়গায় বসেই পাম্প অপরেট করা যাচ্ছে। পানির স্তরও জেনে যাচ্ছেন এক ক্লিকেই।

প্রকৌশলী ওয়াহিদ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আগে প্রতি মাসেই পাম্প পুড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতো। এতে করে ফেঞ্চুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনের ২টি স্টিম টারবাইন, ৪টি গ্যাস টারবাইন, ৪টি এইচআরএসজি কুলিংয়ের পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতো। এ কারণে ১৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিভ্রাট দেখা দিতো। গত ৪ মাস থেকে প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার সফটওয়ারের মাধ্যমে প্রোগ্রাম তৈরি করায় এখন সব সংকট দূর হয়ে গেছে। এখন অফিসে বসেই সব সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে। কোনো রকম যান্ত্রিক ত্রুটি হলে সঙ্গে সঙ্গে ধরতে পারছি। আগে দেড় কিলোমিটার দূর পাম্প হাউজে গিয়ে তারপর সমস্যা চিহ্নিত করতে হতো। এতে করে বছরের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।’

ওয়াহিদুল ইসলাম ও তারে টিমের সদস্যদের ভাবনার জায়গাটিও আশান্বিত হওয়ার মতো। ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চিত্ত-বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। অবসর সময় কাটাতে তারা উদ্ভাবনীতে মনোনিবেশ করেন। আর শুরুতেই প্রাধান্য পায় দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যা পাম্প হাউজ।

আগে সরেজমিন গিয়ে দেখে আসতে হতো পাম্প হাউজ ও নদীর নাব্যতা। লোকবল সংকটের কারণে মনিটরিং করা কঠিন হয়ে পড়তো। এতে করে নানা রকম সংকট দেখা দিতো। আর সংকটের শেষ ধাপে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিকল হয়ে বসে যেতো। এ কারণে সংকট ছিল প্রতি মাসের চিত্র। সেই সংকট দূর করে হিরোতে পরিণত হয়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী ওয়াহিদুল ইসলাম ও তার টিম।

টিমটি তাদের উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগ আয়োজিত ‘ইনোভেশন শোকেসিং-২০২৪ এ।’ এতে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উদ্ভাবন নিয়ে হাজির হয়। ওয়াহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওই পদ্ধতি বৃহত্তর পরিসরে পাইলটিং করার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য বিদ্যুৎকেন্দ্র, ওয়াসা, মেরিন ভেসেলে হুবহু পদ্ধতি ব্যবহার করার সুযোগ রয়েছে।

উদ্ভাবন শোকেসিং আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প ও সহজলভ্য উৎস আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সমস্যা আমাদেরকেই আমাদের মতো করে সমাধান করতে হবে। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্ট (এআই) এখনই অনেক সমস্যার সমাধান করে দিচ্ছে। এআই-এর ব্যবহার বাড়িয়ে গ্রাহক সন্তুষ্টিতে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রযুক্তির ব্যবহার যতো বাড়বে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় ততো হবে। একই সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সাফল্যও নিশ্চিত হবে।’

উল্লেখ্য, ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৪-এ আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এপিএসসিএল) থ্রি-ডি প্রিন্টারের মাধ্যমে বিভিন্ন স্পেয়ার পার্টস তৈরিকরণ-এ প্রথম স্থান, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স বেজড ‘স্মার্ট কাস্টমার এসিস্ট্যান্ট- চ্যাটবট’ ২য় স্থান অর্জন করে।

;

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন রাঙ্গাবালীর উপজেলা চেয়ারম্যান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম পটুয়াখালী
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ জহির উদ্দিন আহম্মেদ তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন।

রবিবার (১৯ মে) বিকালে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ জহির উদ্দিন আহম্মেদ নিজ স্বাক্ষরিত একটি আবেদনের মাধ্যমে তার প্রার্থীতা করেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান বলেন ‘আজ (রবিবার) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের এর শেষ দিন ছিলো। রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ডাঃ জহির উদ্দিন আহম্মেদ তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। ২০ মে বাকি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।’

এ বিষয়ে সুস্পষ্ট কারণ জানতে জহির উদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুস্পষ্ট কোনো তথ্য বা তার বক্তব্য পাওয়া না গেলেও জনশ্রুতি রয়েছে যে, তিনি ভবিষ্যতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী হবেন, তাই তিনি কারও সঙ্গে সমঝোতা করেছেন।

গত ১২ মে রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলো রিটার্নিং কর্মকর্তা। রবিবার একজন প্রত্যাহার করায় এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন। আগামী ৫ জুন রাঙ্গাবালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

এমপি আনোয়ার খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওসিকে নির্দেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম লক্ষ্মীপুর
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রামগঞ্জ থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠায় এমপির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে এ লিখিত নির্দেশনা দেন রির্টানিং কর্মকর্তা প্রিংয়কা দত্ত।

ওসিকে দেওয়া চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের বিষয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ এবং নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষপাতিত্ব করার বিষয়ে একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযোগপত্রের ছায়ালিপি এতদসঙ্গে প্রেরণ করা হলো।

রবিবার (১৯ মে) রাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাতের করা অভিযোগের ভিত্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে শনিবার (১৮ মে) রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী ইমতিয়াজ আরাফাত।

রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে দেওয়া চিঠিতে ইমতিয়াজ অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান আচরণ বিধি ভঙ্গ করে তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন দেওয়ান বাচ্চুকে জয়ী করার লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা করছেন। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. হোসেন রানাকে নোয়াগাঁও বাজার থেকে গাড়িতে উঠিয়ে খান টাওয়ারে নিয়ে যান। সেখানে নিয়ে তাকে দেওয়ান বাচ্চুর পক্ষে নির্বাচনী কাজ করার জন্য নানাভাবে হুমকি-ধমকি দেন। পরে রানা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে যান। যা নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থি।

চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান রবিবার রাতে বলেন, ‘চিঠি হাতে পাইনি। হাতে পেলে চিঠি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ২য় ধাপে আগামী ২১ মে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে অনুষ্ঠিত হবে।

;

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর

টর্নেডোর আঘাতে লন্ডভন্ড শ্যামনগর

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে টর্নেডোর আঘাতে শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।

রোববার (১৯ মে) বিকেলে উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কৈখালী, পূর্ব কৈখালি ও জয়াখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বেশ কিছু গাছও উপড়ে পড়ে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

কৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আব্দুর রহিম জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ পাঁচ নদীর মোহনার দিক থেকে প্রচণ্ড বেগে একটি টর্নেডো ধেয়ে আসে। মুহূর্তেই এলাকার শতাধিক টিনশেড ও কাঁচা ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে জানানো হয়। এরই মধ্যে উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মিসেস খালেদা আইয়ুব ডলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

শ্যামনগর উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রভাষক সাঈদ উজ-জামান সাঈদ জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ চলছে। উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করা হবে।

;