চট্টগ্রামে কুমারী পূজা উৎযাপিত
যতই দিন যাচ্ছে ততই শারদীয় দুর্গোৎসবের আমেজ ও উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়ছে লোক থেকে লোকান্তরে। হিন্দুধর্মালম্বীদের চোখে-মুখে উৎসব আর আনন্দের উচ্ছ্বাস আলোকিত করছে সকল ধনী পেশার মানুষকে। শাস্ত্রমতে আজ বুধবার (১৭ অক্টোবর) মহাঅষ্টমী অর্থাৎ কুমারী পূজা।
ঐতিহ্য, সনাতন ভাবধারার ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে চট্টগ্রামের একমাত্র পাথরঘাটা পূজামণ্ডপে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ চিন্তা করে ভক্তরা উদযাপন করেন এই পূজা। সাথে শঙ্খের ধ্বনি, কাঁসর ঘণ্টা, ঢাকের বাদ্য এবং উলুধ্বনির মধ্যদিয়ে কুমারী মাকে পুষ্পমাল্য পরিয়ে দেয়া হয়। সেই সাথে পা ধোয়ার জল, চন্দন, সুগন্ধি, পুষ্প, স্নানের জল, নৈবেদ্য, বস্ত্র, তৈল, আলতা, ধূপ, দীপ ইত্যাদি উপাচার দিয়ে কুমারীকে সম্মান জানান পুণ্যার্থীরা।
সকালে অঞ্জলি প্রদান ও ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ শেষে এখন চলছে সন্ধিপূজা ও বলিদান। সন্ধ্যায় মঙ্গলারতি, আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
রাম কৃষ্ণ মন্দিরের মহারাজ সন্দীপ চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, দেবীর আরেক নাম-ই হলো কুমারী। কোলাসুরকে বধ করার মধ্য দিয়ে কুমারী পূজার উদ্ভব হয় । সব নারীর মধ্যে মাতৃভাব উপলব্ধি করার জন্যই কুমারী পূজার সনাতন ধর্মালম্বীদের কাছে পূর্ণবান হয়। এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বিহিত পূজা দিয়ে।
সকাল থেকে নানা রুপে সেজে হাজার হাজার ভক্ত ও দর্শনার্থী মন্দিরে জড়ো হন। পাথরঘা্টায় পূজা দেখতে আসা নগরের জামালখানের বাসিন্দা রুদ্র দাশ বলেন, ‘আগে কখনো কুমারী পূজা দেখিনি। কুমারী পূজা এর আগে টেলিভিশনে দেখেছি। তাই এবার সরাসরি মন্দিরে এলাম।