এমপিপুত্র রনির জোড়া খুনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা
রায়ের পর্যায় থেকে দু’বার উত্তোলন হওয়া রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে এলোপাতাড়ি গুলি করে জোড়া খুনের মামলায় এমপিপুত্র বখতিয়ার আলম রনির পক্ষে তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা করেছেন তার আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ঢাকার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এস্আই (বর্তমানে ইন্সপেক্টর) দীপক কুমার দাসকে জেরা করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট কাজী নজীবউল্লাহ হিরু।
রনির মোবাইল কললিস্ট, মামলার সিডি ও গাড়ির লাইসেন্স বিষয়ে তাকে জেরা করা হয়।
জেরা শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল ঈমামের আদালত আগামী ৫ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য করছেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মাকসুদ জানান, গত ৪ অক্টোবর মামলাটি রায়ের জন্য দিন ধার্য ছিল। রনির মোবাইল কললিস্ট জব্দ করা হয়েছিল। এ সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা সাক্ষ্যও দিয়েছিলেন। কিন্তু কললিস্টটি আদালতে এক্সিবিট করেননি। তাই তদন্ত কর্তকর্তাকে পুন:সাক্ষীর জন্য ডাকা হয়েছিল।
চার্জশিটের ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। রনি মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি পিনু খানের ছেলে।
২০১৬ সালের ৬ মার্চ রনির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। ২০১৫ সালের ২১ জুলাই ঢাকার সিএমএম আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক দীপক কুমার দাস। চার্জশিটে রনিকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
চার্জশিটের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন, পিস্তলের ২১টি তাজা গুলি, গুলি রাখার চার্জার, একটি রক্তমাখা গুলির অংশ বিশেষ, ভিকটিম আ. হাকিম ও ইয়াকুব আলীর ব্যবহৃত দু’টি লুঙ্গিসহ মোট ১৫টি আলামত আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
চার্জশিটে গাড়ির ড্রাইভার ইমরান ফকির ও তিন বন্ধুসহ ৩৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
২০১৫ সালের ১৩ এপ্রিল দিনগত রাতে তিন বন্ধুসহ রনি শেলবারে মদ পান করেন। রাত সাড়ে ১১টায় শেলবার বন্ধ হয়ে গেলে তারা বার থেকে বাসায় ফেরার পথে নিউইস্কাটন রোডে জ্যামে পড়লে রনি তার পিস্তল বের করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। গুলির শব্দে মুহূর্তে রাস্তা ফাঁকা হয়ে গেলে তারা গাড়ি চালিয়ে চলে যান।
এ সময় রনির ছোড়া গুলিতে দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকার সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ইয়াকুব আলী ও জনৈক রিকশাচালক আ. হাকিম মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত হাকিমের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৫ এপ্রিল রাতে অজ্ঞাত আসামিদের নামে রমনা থানায় একটি মামলা করেন।