আবার ক্ষমতায় এলে তারেককে আনব: প্রধানমন্ত্রী
আবার ক্ষমতায় এলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, তারেক রহমান ও তার মা ২১ আগস্ট হত্যার সঙ্গে যে জড়িত ছিল এতে কোনো সন্দেহ নেই। শাস্তি যখন পেয়েছে, সেখানেই লুকিয়ে থাকুক না কেন, আবার ক্ষমতায় এলে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে পারব।
বুধবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ফজিলাতুন নেসা বাপ্পি জানতে চান, ২১শে গ্রেনেড হামলার মামলার আসামি তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি-না।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য যার কথা বললেন, আসলে হত্যা করা , মানুষের উপর অত্যাচার করা এটা তাদের একটা স্বভাব। তার পিতা জিয়াউর রহমান ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। আল্লাহর উপরে আমার বিশ্বাস আছে, বাংলাদেশের জনগণের উপর আমার বিশ্বাস আছে নিশ্চয় একটা দিন আসবে যারা এতবড় জঘন্য ঘটনা ঘটিয়েছে, প্রকাশ্য দিবালোকে যুদ্ধের গ্রেনেড ব্যবহার করে এভাবে হত্যার চেষ্টা এবং হত্যা করেছে তাদের বিচার যখন হয়েছে, রায় যখন হয়েছে, একদিন সাজা পেতেই হবে। সাজা ভোগ করতে হবে।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য বৃটিশ সরকারের কাছে আমরা আলাপ আলোচনা করছি। আমি বিশ্বাস করি, আল্লাহ যদি চায় আগামী নির্বাচনে আমরা যদি ফিরে আসতে পারি এর মাঝে অবশ্যই আমরা তাকে ফিরিয়ে আনতে পারব। শাস্তি দিতে পারব- এই বিশ্বাস আমার আছে। এজন্য আমি দেশবাসীর কাছে দোয়াও চাই, ভোটও চাই যাতে আর ফিরে এসে যেন এই অন্যায় অবিচারের বিচার করে যেতে পারি। এর সাজাটা কার্যকর করতে চাই। দেশবাসীকে আমি আহ্বান জানাবো তারা আরেকবার যেন ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ দেন। আর এই অন্যায়, অবিচার, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, মাদক দূর করে বাংলাদেশের মানুষকে শান্তি দেয়ার সুযোগ দেন এটাই আমি চাই।
ঐক্যফ্রন্টকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, আমি তাদের স্বাগত জানাই। আমি মনে করি সকলের রাজনীতি করার অধিকার আছে। রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন দল জোট করে নির্বাচনে আসবেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এতে করে গণতন্ত্র ভিত্তিটা আরো মজবুত হবে বলে বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, তবে এদের অনেকেই মানুষকে সম্মান করে কথা বলতে পারছেন না। এমনকি বিশেষ করে নারী বিদ্বেষী মনোভাব, মেয়েদের প্রতি আশালীন কথা বলা থেকে শুরু করে অনেক কিছু যারা জোট করেছে তাদের কাছ থেকে শুনতে পাচ্ছি। আমি আশা করি, তারা আরো সংযত হবে। জনগণের জন্য কাজ করতে গেলে যে সহনশীলতা দরকার, যে ত্যাগ দরকার, এই ত্যাগ বা সহশীলতা তাদের মাঝে নাই।
কিন্তু আশা করি করি তারা যদি এদেশে সত্যিই রাজনৈতিক একটি জোট করে এগিয়ে যেতে চাই, তাহলে তাদের সেভাবেই চলতে হবে। এটুকু আমরা কথা।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোকাবেলায় আমি কখনও পিছপা হই না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মোকাবেলায় আমি কখনও পিছপা হই না। রাজনৈতিকভাবেই মোকাবেল করি। এটা বাস্তবতা। তবে কেউ যদি জঙ্গি, সন্ত্রাস বা মাদক অথবা অশালীন উক্তি করে -মানুষ যদি বিচার চায় সে বিচার দেয়াটাও রাষ্ট্রের কর্তব্য। রাষ্ট্র সে বিচার করবে এবং করে যাচ্ছে। সেটাও দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে।