আইনজীবী রথীশ হত্যা: প্রধান আসামি কামরুলের ‘মৃত্যু’
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জাতীয়
রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলার প্রধান আসমি কামরুল ইসলাম ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
শনিবার (১০ নভেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টায় রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। দুপুরের দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার ও রমেক হাসপাতালের পরিচালক।
জেলার আমজাদ হোসেন জানান, অ্যাডভোকেট বাবু সোনা হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলাম বেশ কিছুদিন থেকে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। ভোর রাতে তিনি গুরুতর অসুস্থ হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ডেড সার্টিফিকেট পেয়েছি। ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
রমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. অজয় রায় মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার কিছুক্ষণ পরেই কামরুল মারা যায়। কী কারণে তিনি মারা গেছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বোঝা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য কামরুলের লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা হত্যা মামলাটি রংপুর জেলা জজ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চলছিল। মামলার অপর আসামি বাবু সোনার স্ত্রী কামরুলের প্রেমিকা স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা জেল হাজতে রয়েছেন।
চলতি বছরের ২৯ মার্চ বৃহস্পতিবার রাতে বাবু সোনাকে দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। এরপর তার লাশ তাজহাট মোল্লাপাড়ায় প্রেমিক কামরুলের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির পরিত্যক্ত ঘরের মেঝেতে পুঁতে রাখা হয়।
৩ এপ্রিল রাতে বাবু সোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ওরফে দীপা ভৌমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাব আটক করে। তিনি এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন এবং লাশের অবস্থান সম্পর্কে তাদের জানান। সেই সূত্র ধরে ওই দিন রাতেই নিহত বাবু সোনার গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
গরু ছাগলের মতো বিক্রি হয়ে মাঠে পুইরা কাজ করি, শ্রমদিবস কি বুঝিনা!
ছাইদুর রহমান নাঈম , উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
জাতীয়
তপ্ত দুপুরে মাঠের পাশে ধানের খলায় কাজ করছেন কয়েকজন শ্রমিক৷ তারা সবাই একদিনের জন্য বিক্রি হয়েছেন শ্রমের জন্য। মাথার ঘাম টপটপ করে গড়িয়ে পড়ছে। গামছা দিয়ে বার বার ঘাম পরিষ্কার করছেন।
শ্রমদিবস বিষয়ে জানতে তাইলে তাদের মধ্যে আকাশ (৫৬), মরম আলী (৩৬), সবুজ (৩০) বলেন, 'শ্রম দিবস কি বুঝিনা আমরা। কাম করি খাই, আমাদের আবার কিসের অধিকার? রোজ সহালে কামের জন্য আইসা বইসা তাহি৷ লোকজন আইসা পছন্দ হইলে দরদাম কইরা রোজ চুক্তিতে নিয়া যায়। অনেকটা গরু ছাগলের হাটের মতো। সারাদিন কাম করি। সহালে আবার ফজরের পর উইঠা পরতে হয়৷ এই হইলো আমাদের জীবন ভাই।' কথাগুলো বলছিলেন তারা।
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলাসহ হাওর অঞ্চলে এখন পুরোপুরি ধান কাটার মৌসুম চলছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে কাজের লোক স্থানীয় ভাষায় (দাওয়াইল্লা)'রা কাজের জন্য আসেন। এর মধ্যে অনেকেই অস্থায়ী শ্রমিক আবার অনেকেই সবসময়ই কাজ করেন। অনেকেই বিভিন্ন স্টেশন, স্কুলের বারান্দায় শুয়ে রাত কাটান।
শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কটিয়াদী বাস স্ট্যান্ডে প্রতিদিন ভোর সকালে তারা দলবেঁধে অপেক্ষা করতে থাকেন৷ যাদের শ্রমিক প্রয়োজন তারাও সকালে এসে দরদাম করে নিয়ে যায়। এটি এখানকার অনেক পুরনো হাট। দেখলে মনে হবে মানুষ বিক্রির হাট। তবে এখানে মানুষ নয় শ্রম বিক্রি হয়৷
শ্রমিকরা বলেন, রোজ কাজ করে যা ইনকাম হয় তা জমানো সম্ভব হয়না। পরিবার নিয়ে চলতে তাদের কষ্ট হয়। অসুস্থ হলে তো রোজগার বন্ধ। চিকিৎসার অভাবে বিছানায় শয্যাশায়ী হয়ে পড়ে থাকতে হয়। বর্তমানে জিনিসপত্রের দাম বেশি৷ সেইভাবে তাদের শ্রমের দাম তো বৃদ্ধি হয়নি। কোনরকম বেঁচে থেকে জীবনটা পার করাই লক্ষ্য।
সরকারের কাছে তাদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, জিনিসপত্রের দাম কমানো ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ছয়টা থেকে বুধবার (১ মে) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩৪০ পিস ইয়াবা, ১৫৫ গ্রাম হেরোইন, ৩৩ কেজি ৭০০ গ্রাম গাঁজা ও ১০০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।
ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৩ টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।
সিলেটের সীমান্তবর্তী গোয়াইনঘাট উপজেলা জাফলং। যেখানে ভ্রমণে এসে প্রতিদিন আনন্দ পায় হাজার হাজার পর্যটক। সেই পর্যটন এলাকার মানুষের বোবাকান্না শুনে না কেউই। নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের অন্য কোনো কর্মসংস্থান না থাকায় স্থানীয় লোকজন পিয়াইন নদী থেকে বালু এবং পাথর উত্তোলন ও পাথর ভাঙার কাজ করে সংসার চালান। কিন্তু তাদের সংসারে বর্তমানে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। আন্দোলন সংগ্রাম করেও পাচ্ছেন না ফল।
এমন অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করে ৭৫ বছর বয়সী পাথর শ্রমিক সুনামগঞ্জের আলতু মিয়া বলেন, টাকার অভাবে চিকিৎসাও করতে পারি না, অনেক সময় না খেয়েও আমাদের দিন কাটাতে হয়। পরিবারের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হয়। আর শ্রমিক দিবস যে আসলে কি তা আমরাও বুঝি না। আমরা কিভাবে খেয়ে বাঁচবো সে চিন্তায় থাকি।যে সময় মানুষ আন্দোলন করে আমরা তখন যাই।কিন্তু আন্দোলন করে কোনো লাভ হয় না।
তিনি বলেন, ৩০ বছর ধরে জাফলংয়ে বসবাস। পেশায় তিনি পাথর শ্রমিক। পাঁচ সদস্যের পরিবারে একমাত্র উপার্যনকারী। ছেলে-মেয়ের পড়ালেখার খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাকে।
সকাল পেরিয়ে দুপুরের খরতাপে মাথা থেকে কপাল চুইয়ে মুখ গড়িয়ে পড়ছিল ৬৯ বছরের নিজাম উদ্দিনের ঘাম। ক্লান্ত হয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। কাজের ফাঁকে কথা হয় তাঁর সাথে প্রতিবেদকের।
তিনি জানালেন, বর্তমানে তাদের পরিস্থিতি খুব খারাপ যাচ্ছে। এক ট্রাক এলসি পাথর ভাঙতে পারলে ১২০০ টাকা পান। এখন একদিন হোক বা ৩দিন হোক যে কয়দিন সময় যাক ওই টাকার উপরে একটা টাকাও কেউ দেবে না।
তিনি বলেন, মে দিবস বা শ্রমিক দিবসে আন্দোলন করে ছার আনা আমাদের লাভ বা কোনো কিছু আমরা পাইনি। আমদের মজুরিও বাড়ছে না। এক টাকা বাড়েনি। বরং আমাদের লস(ক্ষতি) হচ্ছে। আগে এলসি পাথর ভাঙতে পারলে ১৬০০ টাকা নিয়ে ঘরে ফিরতে পারতাম। এখন সেই পাথর ভেঙ্গে ১২০০ টাকা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। যদি পাথর কোয়ারি খুলে দেয়া হতো তাহলে এমন অভাব অটনটনে দিন কাটাতে হতো না। শুধু আলতু মিয়া ও নিজাম উদ্দিন নয়, এমন আরও অনেক শ্রমিকের দিন পাত যাচ্ছে কষ্টে।
সরেজমিনে সিলেটের জাফলংয়ে গিয়ে দেখা যায়, তীব্র গরমে নারী-পুরুষ সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন ক্রাশার মিলে। অনেকেই নতুন কাজের সন্ধানে ছুটে যাচ্ছেন দিকবিদিক। জাফলং বিজিবি ক্যাম্পের পাশে কয়েকটি ক্রাশার মিল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মেশিন ও যন্ত্রপাতিতে মরিচিকা ধরেছে। আর পিয়াইন নদী থেকে ছোট ছোট নৌকা দিয়ে বালু সংগ্রহ করে সেখানেও পাথর খুঁজে বেড়ান কিছু সংখ্যক শ্রমিকেরা।
জানা যায়, ২০১২ সালে জাফলংয়ের পিয়াইন নদীসহ ১৫ কিলোমিটার এলাকাকে ‘পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা’ (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়। ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এ সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়, ‘অপরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে পাথর উত্তোলন ও নানাবিধ কার্যকলাপের ফলে সিলেটের জাফলং-ডাউকি নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা সংকটাপন্ন, যা ভবিষ্যতে আরও সংকটাপন্ন হবে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। ইসিএভুক্ত এলাকায় যান্ত্রিক বা ম্যানুয়াল কিংবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে পাথরসহ অন্য যেকোনো খনিজ সম্পদ উত্তোলন নিষিদ্ধ।’ কেবল জাফলং আর শাহ আরেফিন টিলা নয়, এমন চিত্র সিলেটের প্রায় সবগুলো পাথর কোয়ারি এলাকার। পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভছড়া–এই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) দায়ের করা এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত।
জাফলং ক্রাশার মিলে কাজ করেন ষাটোর্ধ্ব রহিমা বেগম। তিনি বলেন, সারাদিন কাম-কাজ করে দুই থেকে আড়াইশ টাকা পাই।কিন্তু বর্তমানে যেভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম এই টাকা দিয়ে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। তবুও কাজ করতে হয়।কাজ না করলে ঘরে না খেয়ে মরতে হবে।
রেখা গোয়ালা বলেন, কোনো দিন ১০০ টাকা আর কোনো দিন ৪০০ টাকা পাই। এসব টাকায় পর্তায় পড়ে না। এতো কষ্ট করেও বাচ্চা-কাচ্চাদেএ মুখে হাসি ফুটানো যায় না। তার চেয়ে কোয়ারি খুলে দিলে খেয়ে বাঁচতে পারতাম।
এছাড়াও আরও কয়েকজন শ্রমিক জানান,নদী থেকে পাথর তোলা বন্ধ হওয়ার পর থেকে অভাব অনটনে চলছে তাদের জীবনযাত্রা। কাজ না পেয়ে অনেকেই অপরাধের সাথে জড়িত হচ্ছে। সিলেট ছাড়াও অন্যান্য জেলার যারা শ্রমিক ছিলেন তারাও এলাকায় গিয়ে কাজের সন্ধান করছেন। আমরা না খেয়ে মরলেও কারো কোনো কিছু আসে যায় না।
এ বিষয়ে পিয়াইন পাথর উত্তোলন ও ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সহসভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান লিলু বলেন, কোয়ারী সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। না আমরা চলতে পারছি, না আমাদের বাচ্চা-কাচ্চা চলতে পারতেছে। কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় এখানকার শ্রমিকদের অভাব অনটন ও অনাহারে দিনপার করতে হচ্ছে। কিছু শ্রমিক কাজের জন্য ঢাকায় গার্মেন্টসে ছুটতেছে। যারা ক্ষুদ্র সম্বল নিয়ে ব্যবসায় শুরু করেছিল তাদের অবস্থা খুবই খারাপ। এখন তারা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরতেছে।
প্রধানমন্ত্রীসহ খনিজ মন্ত্রণালয়সহ সবার কাছে একটাই আবদেন আমাদের কথা ও ছেলে-মেয়েদের কথা চিন্তা করে পাথর কোয়ারি খুলে দিলে আমরা দু-বেলা দুমুঠো ভাত খেয়ে বাঁচতে পারবো।
এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.তৌহিদুল ইসলাম বলেন, মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে বেশ কয়েকটি রিট রয়েছে। তাছাড়া এ বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখভাল করছেন।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে দ্রুতগামী বাস চাপায় মোস্তাক ঢালি নামে এক শ্রমিক নিহত ও আনিসুর রহমান নামে একজন গুরুতর আহত হয়েছেন। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে আর আহতকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ঘাতক চালক পালিয়ে গেলেও জব্দ করা হয়েছে পরিবহন।
বুধবার (১ মে) ভোর ৬টায় মহাসড়কের দিঘিরপাড় নামক স্থানে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নিহত দিনমজুর মোস্তাক ঢালি শার্শা উপজেলার লাউতাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে এবং আহত দিনমজুর আনিসুর রহমান একই গ্রামের ছেলে রেজাউল ইসলামের ছেলে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, প্রতিদিনের মত শ্রম বিক্রী করতে শার্শার লাউতাড়া গ্রামের দুই দিনমজুর বেনাপোল শহরে আসছিল। এসময় বেনাপোলগামী গোল্ডেন পরিবহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পথচারী দিনমজুর দুই জনকে ঢাকা দিলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলে মারা যায় একজন। এসময় স্থানীয়দের খবরে অন্যজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দুর্ঘটনায় নিহতের মরদেহ, একটি মৃত পাখি ও বাস জব্দ করে। এদিকে অভিযোগ রয়েছে চালকের অসাবধনতা ও সড়ক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় প্রায়ই সড়কটিতে দুর্ঘটনায় পথচারীরা জীবন হারাচ্ছে।
এদিকে সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে হারিয়ে স্বজনদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে ।
বেনাপোল পোর্ট থানার উপপরিদর্শক ঝন্টু কুমার বশাক জানান, নিহতের ঘটনায় ঘাতক চালক পালিয়েছে। তবে বাস জব্দ করা হয়েছে।