ব্যবহারে অযোগ্য শিশুদের বিনোদন কেন্দ্রগুলো



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ব্যবহারে অযোগ্য শিশুদের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ছবি: বার্তা২৪.কম

ব্যবহারে অযোগ্য শিশুদের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। সঠিক মেধা বিকাশের পাশাপাশি প্রতিটি শিশুর জন্য প্রয়োজন আনন্দ ও বিনোদনের। আর সেই বিনোদনের জন্য প্রয়োজন সুন্দর একটি পরিবেশের।

এরই লক্ষ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে নির্মিত হয়েছিল দুটি বিনোদন কেন্দ্র। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে কোনো সংস্কার না হওয়ায় নষ্ট হতে চলেছে এই বিনোদন কেন্দ্রগুলো।

জানা যায়, শিশুদের বিনোদনের জন্য ১৯৬৫ সালে ৩১ শতাংশ (প্রায় ১ বিঘা) জমির উপর শহরের আশ্রমপাড়ায় নির্মাণ করা হয় একটি শিশুপার্ক। কিন্তু জায়গা অল্প হওয়ায় এখানে তেমন কোনো খেলার সরঞ্জাম বসানো হয়নি। হাতেগোনা ২টি দোলনা, ২টি স্লিপার, ২টি স্প্রিং বোর্ড ছাড়া এখানে আর কিছুই নেই। বসার জন্য সিমেন্টের তৈরি কিছু বেঞ্চ থাকলেও সেগুলো ভেঙে নষ্ট হয়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

রোববার (১১ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে শহরের আশ্রমপাড়া পার্কে গিয়ে দেখা যায়, বিনোদনের জন্য পার্কে রাখা প্রতিটি সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছ। দেখাশোনার জন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় পার্কের পুরো মাঠেই থাকে আবর্জনা। আর সামান্য বৃষ্টি হলে পানি জমে কাদায় ভরে যায় বলে জানা গেছে।

এখানে কথা হয় রতন ঘোষ নামে এক অভিভাবকের সঙ্গে। তিনি জানান, এখানে বাচ্চাদের খেলাধুলা করার মতো কিছুই নেই। তবুও কোনো উপায় না থাকায় বাচ্চাকে নিয়ে আসতে হয়। বিনোদন কেন্দ্রগুলো সংস্কার করা জরুরি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/11/1541916891678.gif

স্থানীয়রা জানায়, প্রথম দিকে বিকেলে পার্কে অনেক বাচ্চারা এসে খেলাধুলা করত। কিন্তু পার্কের অবস্থা দিন দিন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। তাই আগের মতো আর বাচ্চারা খেলতে আসে না। জরুরি ভিত্তিতে পার্কটির সংস্কার করা দরকার।

স্থানীয় বাসিন্দা কবির জানান, পার্কের রড চুরি হচ্ছে। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। এখানে আধুনিক সরঞ্জাম বসিয়ে পার্কটি ঝকঝকে করার দাবি জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও পৌরসভার মেয়র মির্জা ফয়সল আমিন জানান, জায়গা স্বল্পতার কারণে শিশুপার্কে খেলার সামগ্রী বসানো যাচ্ছে না। মাঝে মধ্যে সংস্কার করা হয়। বড় ধরনের জায়গা পাওয়া গেলে পৌরসভায় নতুন ভাবে আধুনিক শিশুপার্ক তৈরি করা হবে।

অপরদিকে একই অবস্থায় রয়েছে জেলা পরিষদের শিশু পার্কটি। শিশুদের বিনোদনের জন্য ২০১০-১১ অর্থবছরে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে শহরের টাঙ্গন নদীর ধারে শিশুপার্কটি নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট, প্রাচীর নির্মাণ, প্রবেশ পথ এবং টিকিট ঘর নির্মাণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ২ বছরেও এখানে কোনো রাইডার ও খেলার অন্যান্য সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়নি। পুরো মাঠে জঙ্গলে ভরে গেছে।

ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ প্রশাসক সাদেক কুরাইশি জানান, পার্কটি ভালোভাবে তৈরি করে জেলাবাসীর দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করার চেষ্টা চলছে। খুব তাড়াতাড়ি এটা করা হবে বলেও জানান তিনি।

   

বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ

বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে মৎস্য শিকারের সময় অভিযান চালিয়ে ৯ জেলেকে আটক এবং জাল-ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। মৎস্য দপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

বুধবার (১ মে) সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, একটি চর ঘেরা জাল ও একটি ট্রলার জব্দ এবং ৯ জেলেকে আটক করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করার পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৯ জেলের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত ট্রলার ৭০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেক। এসময় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আলী আজম উপস্থিত ছিলেন।

;

সিলেটে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট আদালতের বিচারপ্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন তিনি।

এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, দেশের বিচার বিভাগের সব ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়ন করা হবে। উচ্চ আদালতে এরই মধ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

উদ্বোধনের সময় সিলেটে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দীনসহ সিলেটের বিভিন্ন আদালতের বিভিন্ন স্থরের বিচারক, আইন কর্মকর্তা, আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;

৬ ঘণ্টা পরিশ্রমে মেলে ৬০ টাকা

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বামীর একা রোজগার দিয়ে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয় তাই এখানে এসে কাজ করছি। আমরা এখানে সকাল ৬টায় আসি আর বাসায় যাই দুপুর ১২ টায়। এর বিনিময়ে আমাদেরকে দেওয়া হয় মাত্র ৬০ টাকা। এতো কম টাকায় সংসার চালানো কঠিন। এসব নিয়ে কেউ কথা বললেই তাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়েই পেটের টানে এসব করতে হচ্ছে’- আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর নিয়ামতপুরে চুল বাছাইয়ের কাজ করা নারী শ্রমিক মীনারা বেগম।

শুধু মীনারা বেগমই নয়, তার মতো এমন শত শত নারী বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মজুরি থেকে। আর স্বল্প বেতনে কাজ করিয়ে নিয়ে লাভবান হচ্ছেন কারখানার মালিকরা।

সরেজমিনে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে নারীদের চুল বাছাই আর পরিষ্কারের কাজ করতে দেখা  যায়। এসব শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই গৃহবধূ ও কিশোরী। মেয়েদের মাথার ঝরে পড়া চুল বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে প্রথমে চলে প্রাথমিক বাছাইয়ের কাজ। তারপর চুলে থাকা নানা রকম ময়লা একটি সুঁচের মাধ্যমে সরিয়ে সেগুলোকে রাখা হয় আলাদা জায়গায়। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে চুল বাছাইয়ের কাজ।

৬ ঘণ্টা পরিশ্রমে মেলে ৬০ টাকা

কাজ করা নারী শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, টানা ৬ ঘণ্টা কাজ করার বিনিময়ে দেওয়া হয় মাত্র ৬০ টাকা। আবার কেউ যদি সময়ের আগে বাসায় চলে যায় তাহলে সেদিনের বেতন থেকে টাকা কাটা হয়।

শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের গৃহবধূ নূরেকা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা ভোর ৬টায় এখানে আসি আর যাই দুপুর ১২টায়। প্রতি ঘণ্টায় ১০ টাকা করে ৬ ঘণ্টায় ৬০ টাকা দেওয়া হয়। এই বেতনে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। এ নিয়ে যদি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে আমরা ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজার হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, নওগাঁর বিভিন্ন স্থান থেকে হকাররা চুলগুলো সংগ্রহ করে আমাদের কাছে বিক্রি করে। প্রতিকেজি চুলের মূল্য ১২ হাজার টাকা আবার প্রকারভেদে ৯ হাজার টাকাও হয়। কেনার পরে প্রতিটি গ্রামে চুল ভাগ করে দেয়া হয়। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টায় নিদিষ্ট পরিমানে চুল তাদেরকে বাছাইয়ের জন্য দেওয়া হয়। এতে তারা মজুরি পায় ৬০ টাকা।

তিনি আরো বলেন, আশেপাশের সবাই এই টাকাই নারী শ্রমিকদের বেতন দেয়। যদি সবাই বাড়িয়ে তাইলে আমরাও বাড়িয়ে দিব।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি অবশ্যই পাওয়া উচিত। আমি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতাম না। আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী করা যায়।

;

নাগরী লিপি রক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সিলেটি নাগরী লিপি’ রক্ষার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।

সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধান বিচারপতি এবং ‘সিলেটি নাগরী লিপি’ রক্ষার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতি ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত একিউএম নাসির উদ্দিন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিত সিংহ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অসিম পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট রুহুল আনাম মিন্টু। সিলেট জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

;