চট্টগ্রাম ট্রাফিক পুলিশের বাণিজ্য নিয়ে ক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিচ্ছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সার্বিক) মাশহুদুল করিব, ছবি: বার্তা২৪

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিচ্ছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সার্বিক) মাশহুদুল করিব, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম: পথচারীদের অসচেতনতা আর পরিবহন চালকদের আইন না মানার কারণে সরকারের একার পক্ষে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয় বলে মনে করেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা। তারা জানিয়েছেন, কেবল হাত উঁচিয়ে তাড়াহুড়ো করে রাস্তা পার হওয়ার সময় কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে চালককে দোষ দিলে হবে না। লাইসেন্সবিহীন অদক্ষ, অযোগ্য, নেশাগ্রস্থ চালকদের হাতে পরিবহন তুলে দেওয়া যাবে না।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর নীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) মিলনায়তনে সড়ক নিরাপত্তা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক সেমিনারের আয়োজন করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে গণপরিবহনের মালিক, চালক ও সহযোগীরা এসব কথা বলেন।

তবে সেমিনারে ট্রাফিক পুলিশের নানা হয়রানি আর চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠে আসে বারবার। এ নিয়ে ট্রাফিক পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা পরিবহন বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমেদ বলেন, আমরা চালকদের ওভারলোড, ওভার টেকিং না করতে নিষেধ করেছি। কেবল আমাদের দোষী করা হয়, বিআরটিএ -এর চট্টগ্রাম অফিসের সামনে ১২ কি ১৩ বছরের ছেলে ড্রাইভিং করছে, তারা কোনোদিন গাড়ি থামিয়ে যাচাই-বাছাই করেননি। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান মুরাদপুর, অলংকারে দূরপাল্লার গাড়ি চলাচল করে এমন কোনো টার্মিনাল নেই। যাত্রীদের বিশ্রমাগার নেই। রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমাদের পরিবহন সেবা দিতে হয়।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে সরকার গত বছর সড়ক আইন পাশ করে। এই আইনে চালকদের লাইসেন্স প্রদানের কঠিন শর্ত দেওয়া হয়েছে। অনেক চালক আছে যাদের পড়াশোনা নেই, কিন্তু তারা এই পেশায় দক্ষ। পড়াশোনায় না থাকায় তারা পরীক্ষায় বাতিল হয়ে যাচ্ছে। আমরা বিআরটিএ -এর কাছে অনুরোধ করব, চালকদের লাইসেন্স প্রদান যেন আরও সহজতর করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে কোনো গাড়ির ডকুমেন্ট নাই, তথ্য হালানাগাদ নেই, ফিটনেস নেই, অদক্ষ চালক, রুট পারমিট না থাকা সত্ত্বেও কেবল টিআই সার্কেলের পুলিশের সাথে চুক্তি করে গাড়িগুলো চলাচল করছে। ২২ সিট রাতারাতি হয়ে যায় ৪০ সিট। মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। উল্টো রং পার্কিং, সংকেত না মানার অজুহাতে বৈধ চালকদের হয়রানি করা হচ্ছে। আমার কাছে এমন অসংখ্য প্রমাণ রয়েছে, বিগত কয়েক মাসে বৈধ চালকরা সবচেয়ে বেশি হয়রানি আর মামলার শিকার হয়েছেন। অসাধু কিছু ব্যবসায়ীর যোগসাজেশে টিআই পুলিশ এমন রমারমা ব্যবসা আর চাঁদাবাজি চালিয়ে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিভাগের বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মনজুরুল হক বলেন, পথচারী এবং চালকরা যদি সচেতন না হোন, বিআরটিএ কেন; সরকারের পক্ষেও সড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের জিডিপির দুই শতাংশ চলে যাচ্ছে এই পরিবহন খাতে। ১৮ কোটি মানুষ এর সাথে সম্পৃক্ত। সড়কে শৃঙ্খলা বিষয়টি দেখভালের কথা ট্রাফিক পুলিশের। তারা পারছেন বলে ক্ষণিক সময়ে আমরা দায়িত্ব নেই। দায়িত্বের সময় আমরা প্রশাসন, চালক, সহযোগী এবং পথচারীদের অনিয়ম এবং অসচেতনতা লক্ষ্য করি। তারা অর্থ লেনদেনের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছেন, এমন প্রমাণ আমার কাছে রয়েছে। মামলা করার সময় নিচ্ছেন দুই হাজার টাকা, স্লিপে লিখছেন দুই শত টাকা! বিশাল পরিমাণ বাণিজ্য হচ্ছে। এমন বাণিজ্য আর ধান্দা বন্ধ করা সম্ভব না হলে সভা-সেমিনারে মুখরোচক আলোচনা করে সড়কে শৃঙ্খলা আসবে না।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামকে দেখলে মনে হয়- ফুটপাত দখলের শহর। যে যেভাবে পারছে দখল করে বসে আছে। পথচারী বাধ্য হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। অনেক নারী হাত তুলেই রাস্তা পার হচ্ছেন। কেন তিনি ফুটওভার ব্রিজ, জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার করছেন না? এতটুকু ধৈর্য না থাকলে যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতেই পারে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (সার্বিক) মাশহুদুল করিব বলেন, আমরা সব সময় মনে করি- আইন অন্যের জন্য, আমার জন্য নয়। কেবল পরিবহন চালকদের আইন মানতে হবে, একজন নাগরিক হিসেবে আপনি কতটুকু আইন মানছেন? আমরা অতিমাত্রায় অসহিষ্ণুতায় বোধ করি, মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হই। নিজে আত্মহত্যা করছি, পরিবারকে বিপদে ফেলছি। এক্ষেত্রে সবাইকে এক সাথে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসতে হবে।

সেমিনারে পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে লাইনেন্স সহজরতর বিষয়টি সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কাছে জানানো হবেও বলেও জানান মাশহুদুল। তিনি বলেন, গত বছর সড়ক আইন হলেও এটি এখনও কার্যকর হয়নি। আমরা প্রয়োজনে শ্রমিকদের স্বার্থে অষ্টম পাশ কমিয়ে প্রাইমারি করে দেব। একদম পড়ালেখা না জানলে তিনি স্বাক্ষর এবং রাস্তার সাইনবোর্ড পড়তে পারবেন না।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআরটিএ চট্টগ্রাম জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক শাহ আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআরটিএ সার্কেল-২ এর সহকারী পরিচালক উসমান সরওয়ার আলম। হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুমও বক্তব্য দেন।

   

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসছেন ব্যারিস্টার সুমন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে রাজবাড়ী আসবেন দেশের আলোড়ন সৃষ্টিকারী ব্যক্তিত্ব হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য, ক্রীড়া সংগঠক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সবকিছু ঠিক থাকলে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের বহরপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে খেলবেন তিনি ও তার দল।

বালিয়াকান্দিতে খেলতে আসার বিষয়টি ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন নিজেই তার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটি বহরপুরের আয়োজনে এ প্রীতি ফুটবল ম্যাচে ব্যারিস্টার সুমন একাডেমি বনাম মাগুরা জেলা ফুটবল একাদশ অংশগ্রহণ করবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় ঐতিহ্যবাহী বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ফুটবল খেলতে আসবেন। খেলার মাঠটি প্রস্তুত করা হয়েছে। আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে।

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জি.এম.আবুল কালাম আজাদ বলেন, বহরপুর রেলওয়ে মাঠে ব্যারিস্টার সুমন তার একাডেমির খেলোয়াড় নিয়ে ফুটবল খেলতে আসবেন। এ খেলায় হাজার হাজার দর্শক হবে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। খেলার মাঠসহ আশপাশের এলাকা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।

বি.এন.বি.এস আন্তঃজেলা ফুটবল টুর্নামেন্ট পরিচালনা কমিটির সভাপতি কাজী শহিদুল ইসলামের (সাহিদ) সভাপতিত্বে খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রেলমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. জিল্লুল হাকিমের।

এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল মোরশেদ আরুজ,বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কালাম আজাদ,কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউজ্জামান চৌধুরী টিটু,বালিয়াকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম,বালিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন, বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ হান্নানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।

;

শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে হরিণ শিকারের চেষ্টা, যুবক আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
যুবক আটক

যুবক আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

সুন্দরবন থেকে হরিণ শিকারের ১৫০ ফুট ফাঁদসহ মো. জুয়েল নামের এক চোরা শিকারিকে আটক করেছে বনবিভাগ।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ভোরে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ শরণখোলা রেঞ্জের বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন অভয়ারণ্য থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় অপর দুই শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যায়।

আটক জুয়েল ঢাকার ডেমরা থানার মো. জালালের ছেলে। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুর মো. মনো হাওলাদারের বাড়িতে এসে সুন্দরবনে হরিণ শিকার করতে গিয়ে আটক হয়েছেন জুয়েল।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চরখালী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সুন্দরবনের অভ্যন্তরে নিয়মিত টহলকালে বগি স্টেশনের চরখালী টহল ফাঁড়ির কাছে অভয়ারণ্য থেকে ফাঁদ পেতে অপেক্ষারত অবস্থায় জুয়েল নামে এক চোরা শিকারিকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে থাকা অপর দুই চোরা শিকারি গহীন বনে পালিয়ে যান। পালিয়ে যাওয়াদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানায় বনবিভাগ।

এদিকে আটককৃতের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

;

‘শিক্ষার প্রসারে কাঙাল হরিনাথ ছিলেন সদা সচেষ্ট’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বলেছেন, শিক্ষার প্রসারে কাঙাল হরিনাথ ছিলেন সদা সচেষ্ট। দারিদ্র্যের কারণে হরিনাথ পড়াশোনা বেশিদূর চালিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু শিক্ষার প্রসারে তিনি ছিলেন সদা সচেষ্ট।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকেলে কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে কাঙাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘর মিলনায়তনে গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙাল হরিনাথ মজুমদারের ১২৮তম প্রয়াণ দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সংসদ সদস্য আব্দুর রউফ বলেন, অভাব-অনটনের মধ্যে বড় হলেও অবহেলিত সমাজের বৈষম্য এবং জমিদারদের অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে সচেতন করে তোলার জন্য তিনি ১৮৬৩ সালে কুষ্টিয়ার প্রথম সংবাদপত্র ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ প্রকাশ করেন। পরে পত্রিকাটি পাক্ষিক ও তার কিছু পরে সাপ্তাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে। এক পয়সা মূল্যের এই পত্রিকাটিতে কাঙাল হরিনাথ অবিরাম নীলকর ও জমিদারদের নানা জুলুমের কথা প্রকাশ করতে থাকেন। পত্রিকাটি প্রকাশের সুবিধার্থে তিনি ১৮৭৩ সালে একটি ছাপাখানা স্থাপন করেন।

তিনি বলেন, কাঙাল হরিনাথের পত্রিকাটি সেই সময়ে নির্যাতিত কৃষক ও প্রজাদের পক্ষের একটি পত্রিকা হিসেবে পরিচিতি পায়। কিন্তু সরকারের কঠোর মুদ্রণনীতি ও নানা বিরোধিতায় ১৮ বছর প্রকাশের পর ‘গ্রামবার্ত্তা প্রকাশিকা’ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু সেই উনিশ শতকে গ্রামের নির্যাতিত মানুষের পক্ষে এমন একটি পত্রিকা প্রকাশের কারণে কাঙাল হরিনাথ অমর হয়ে রয়েছেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম।

এরআগে জাদুঘর চত্বরে কাঙাল হরিনাথের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

প্রসঙ্গত, কাঙাল হরিনাথ ১৮৩৩ সালের ২২ জুলাই কুমারখালীর কুণ্ডুপাড়া এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৯৬ সালের এই দিনে তিনি মারা যান। শৈশবে স্থানীয় ইংরেজি স্কুলে হরিনাথের লেখাপড়া শুরু হয়। আর্থিক কারণে তা বেশিদূর এগোয়নি। ১৮৫৫ সালে বন্ধুদের সহায়তায় নিজ গ্রামে একটি ভার্নাকুলার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। গ্রামের সাধারণ লোকদের মধ্যে শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে সেখানে অবৈতনিক শিক্ষকরূপে শিক্ষকতা শুরু করেন হরিনাথ। পরের বছর তারই সাহায্যে কৃষ্ণনাথ মজুমদার কুমারখালীতে একটি বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন।

;

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের হুমকিতে ২ সন্তান নিয়ে নিরাপত্তাহীন স্বামী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন স্বামী

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন স্বামী

  • Font increase
  • Font Decrease

স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিক ইমরানের হুমকিতে দুই সন্তান নিয়ে অসহায় অবস্থায় জীবন-যাপন করছেন সিলেট নগরীর কুয়ারপাড় ইঙ্গুলাল রোডের ফুল মিয়ার ছেলে মো. রাজন। এ নিয়ে তিনি সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানায় জিডি (সাধারণ ডায়েরি) দায়ের করেছেন। জিডিতে দুই শিশুসন্তানসহ নিজের নিরাপত্তা চেয়েছেন রাজন।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেও তিনি সন্তানসহ নিজের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে রাজন জানান, ১২ বছর আগে একই এলাকার সুরুজ মিয়ার মেয়ে শাহানা বেগমকে (২৮) তিনি বিয়ে করেছিলেন। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে। বড় মেয়ের বয়স ১১ বছর।

তিনি বলেন, সম্প্রতি আমার স্ত্রীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে সন্দেহ হলে আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, সে নগরীর লালাদিঘিরপাড়ের ২৭নং বাসার এরশাদ মিয়ার ছেলে ইমরানের (২৮) সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত। এ অবস্থায় তার সাথে আমার ঝগড়াঝাঁটি লেগেই ছিল। এক পর্যায়ে গত ১৪ এপ্রিল ইমরান আমার কাছে আসে এবং শাহানাকে তালাক দিতে চাপ দেয়। আমি তা অস্বীকার করলে সে আমার দুই সন্তানসহ আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি শঙ্কিত হয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করি।

সংবাদ সম্মেলনে রাজন আরও অভিযোগ করে বলেন, আমার স্ত্রীকে গত ১৪ এপ্রিল ইমরান নিয়ে গেছে এবং তার বোনের কাছে রেখেছে। সে তাকে প্ররোচিত করে আমার জিডির বিপরীতে আমার এবং শাহানার ফুফাতো ভাই ফকির এবং তার বন্ধু বদলের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ করে আবার তা প্রত্যাহারও করেছে।

সার্বিক পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত রাজন যখন-তখন ইমরান ও তার পক্ষের লোকজনের হামলার শঙ্কায় শঙ্কিত। তিনি তার নিজের এবং দুই ছেলে-মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থানীয় ১২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিকন্দর আলী ও ১১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুর রকিব বাবলুসহ পুলিশ প্রশাসন এবং সচেতন এলাকাবাসীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।

;