এসডিজি অর্জনে প্রধান চ্যালেঞ্জ জলবায়ু-রোহিঙ্গা সংকট: মুখ্য সচিব
টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে জলবায়ু পরিবর্তন এবং রোহিঙ্গা সংকটকে সরকারের সবেচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানালেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
তিনি বলেছেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রতিক্রয়ার কারণে এক ধরণের পরিকল্পনা নেওয়া হলে, এর মারাত্মক প্রতিক্রিয়ার কারণে আবার তা পরিবর্তন করতে হয়। এতে পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ।‘
রোববার (২১এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যসচিব এসব কথা জানান।
মুখ্য সচিব বলেন, ‘এই সময়ে আমাদের একটি বড় সমস্যা হয়ে গেছে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাড়তি চাপ। এটা আমাদের জন্য ক্ষতিকর। আমরা এটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি। আগামী সেপ্টম্বরে প্রধানমন্ত্রীকে নিউইর্য়কে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সবমিলিয়ে আমরা মনোযোগ দিচ্ছি কিভাবে টেকসই এসডিজি বাস্তবায়ন করা যায়।’
এর আগে তিনি স্থানীয় পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি) বাস্তবায়ন শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন করেন। গর্ভনেন্স ইনোভেশন ইউনিট (জিআইইউ) এর সহযোহিতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় কর্মশালার আয়োজন করে।
এতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান, জিআইইউ এর সদস্য আশরাফ উদ্দিন, জিআইইউ সদস্য আলাউদ্দিন রাসেল, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আখতার হোসেন, পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জমান কবির, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত সচিব) মুহাম্মদ আলকামা সিদ্দকী বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. নজিবুর রহমান বলেন, জলবায়ু সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী চার কিংবা পাঁচ বছর নয় ২১০০ সাল পর্যন্ত ৮২ বছরের পরিকল্পনা নিয়ে যাবেন। জলবায়ুর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলোর এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করে দেশীয় এবং বৈশ্বিক মোকাবেলা রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। আমাদের এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে স্থানীয় এবং সামগ্রিকভাবে কাজ করতে হবে।
এসডিজি অর্জনে ক্ষেত্রে ক্ষেত্রবিশেষে জেলা ও ভূখণ্ডের ওপর নির্ভর করে বলে জানান নজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাই বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ব্যাঙের ছাতার মতো অসংখ্যা অফিস গড়ে উঠেছে। কোনো সুবিধা নিতে গ্রাহককে এক অফিস থেকে আরেক অফিসে ঘোরাঘুরি করতে হয়। প্রধানমন্ত্রী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এক অফিসের ছাদের নিচে যেন সব দ্বার খোলা রাখা হয়। মানুষ যেন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে সেবা নিয়ে এসে।
কর্মশালায় চট্টগ্রামের ১১টি জেলার পর্যায়ের শত এবং উপজেলা পর্যায়ের ৮০ জন উচ্চপর্দস্থ কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চেয়ারম্যান আবদুছ সালাম অংশ নেন।