নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় জোবায়ের
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সাইফুর রহমান ওরফে জোবায়ের আহম্মদ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মদের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। বিকাল ৩টা ৪০ মিনিটে তার জবানবন্দি রেকর্ড শেষ হয়।
জবানবন্দির পর সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফ করেন পিবিআই এর চট্টগ্রাম বিভাগের স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. ইকবাল। এসময় তিনি বলেন, জোবায়ের আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তিনি ঘটনার দিন কিলিং মিশনে সরাসরি অংশগ্রহণ করে নুসরাতে গায়ে কেরোসিন ঢেলে ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে আগুন দেন।
তিনি আরও বলেন, জবানবন্দিতে জোবায়ের এ হত্যার বিষয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। কিন্তু মামলার তদন্তের স্বার্থে তা উল্লেখ করা যাবে না। শনিবার রাতে গ্রেফতার ইফতেখার উদ্দিন ও এমরান হোসেন মামুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে ১০ এপ্রিল জোবায়েরকে সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার করা হয়। ১১ এপ্রিল একই আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ড দেয়। তিনি নুসরাতের সহপাঠী এবং সোনাগাজী পৌর শহরের তুলাতলি গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে।
মামলার অন্যতম আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উঠে আসে জোবায়েরের কথা। শামীম বলেছেন, নুসরাতকে মেঝেতে শুইয়ে ফেলার পর জোবায়ের নুসরাতের ওড়না দুই টুকরো করে তার হাত ও পা বেঁধে ফেলেন। এদিকে শনিবার জোবায়েরকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পিবিআই এবং ঘটনায় ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার করা হয় সোনাগাজী ডাঙ্গি খাল থেকে।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকালে নুসরাত আলিমের আরবি পরীক্ষা দিতে গেলে মাদরাসায় দুর্বৃত্তরা গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫দিন পর ১০ এপ্রিল রাতে মারা যায়।
নুসরাত হত্যা মামলায় ২২ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতে জোবায়েরসহ ৮ জন জবাবন্দি দিয়েছেন।