শিক্ষার্থীদের পড়ার অভ্যাস তৈরির তাগিদ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী
চট্টগ্রাম: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, পড়ার অভ্যাস দিন দিন কমিয়ে দেওয়ায় শিক্ষার্থীরা সংকীর্ণ মানসিকতায় পরিণত হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার অপার সম্ভাবনা ও সৌন্দর্যকে অবলোকন করতে অধ্যয়ন করে যেতে হবে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামে জেলা পরিষদের সভাকক্ষে প্রফেসর অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগমের ‘আমার দেখা অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ এবং এশিয়া ও ইউরোপের ১৩টি দেশ’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পড়ার অভ্যাস আমাদের পুরো মনের জগতটাকে খুলে দেয়। এই জগতেটাকে প্রসারিত করতে না পারলে মানব জীবনের অর্থটা সংকীর্ণতায় পরিণত হয়। স্রষ্টা এত অসীম সম্ভাবনা দিয়ে আমাদের তৈরি করেছেন। পড়াশোনা না করে, দেশ ভ্রমণ করে পৃথিবী এবং স্রষ্টা সম্পর্কে একটু জানতে না পারি, সৌন্দর্যকে বুঝতে না পারি, জ্ঞানকে নিজেদের মধ্যে ধারণ ও চর্চা করতে না পারি; তাহলে স্রষ্টাকে অবমাননার করা হবে। ধর্মীয় বিশ্বাস এবং জানার পরিধি থেকে শিক্ষার্থী অনুরোধ করব- জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে পড়ার অভ্যাস চালিয়ে যাও।
দীপু মনি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় নেতারা যদি ডায়েরি লেখার অভ্যাস না করতে, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ এবং এর আগের ইতিহাস জাতির কাছে অজানা থেকেই যেত। সবাইকে আত্মসমালেচনা ও পরনিন্দা পরিহারের লক্ষ্যে জ্ঞান অন্বেষণ করা উচিৎ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিরি বক্তেব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বর্তমান যুগে ছাত্র-ছাত্রীরা বইয়ের জ্ঞানের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর বাইরে জ্ঞান আহরণ করছে না। ফলে অন্যান্য দেশের সংস্কৃতি, ভাষা, জীবন সংগ্রাম সম্পর্কে জানার সীমা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে আসছে। বই পড়ি না, ইচ্ছে হলে ল্যাপটপের মনিটর খুলে বসি। এর বাইরে তথ্যের জন্য গুগলের সহায়তা নেই না। কেউ ফেইসবুকে কী লিখলো,কোনটা ভাইরাল হলো, সেটা নিয়ে পড়ে থাকি। আমাদের আত্মপোলব্ধি করতে হবে, লিখতে এবং পড়ার পরিসীমা বাড়াতে হবে।
একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী ও প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. অনুপম সেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে নিজের গ্রন্থ নিয়ে অনুভূতি ব্যক্ত করেন লেখিকা অধ্যাপক অ্যাডভোকেট কামরুন নাহার বেগম। এরপর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ. সালাম বক্তব্য দেন।