মেটংঘর-শ্রীকাইল সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ, প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) আওতাধীন শ্রীকাইল-মেটংঘর সড়কটি অত্যন্ত ব্যস্ততম যোগাযোগ মাধ্যম। তবে সড়কটিতে ঝুঁকিপূর্ণ তিনটি ব্রিজ রয়েছে। এই ব্রিজগুলোই গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিকে দুর্ভোগের কারণ করে তুলেছে।
একটি ব্রিজের মাঝখানে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। উপজেলার ব্যস্ততম এই সড়কের ব্রিজগুলো দীর্ঘদিন থেকে ভেঙে গেলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন শ্রীকাইল-মেটংঘর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লক্ষাধিক জনসাধারণ এখান দিয়ে যাতায়াত করে। তাছাড়া এটি ঢাকা, কুমিল্লা, কোম্পানীগঞ্জ ও মুরাদনগর, বাঙ্গরা থানায় যাতায়াতের জন্য বহুল ব্যবহৃত পথ।
এছাড়া শ্রীকাইল বাজার, সরকারি কলেজ, হাই স্কুল, গার্লস স্কুল, সোনাকান্দা কামিল মাদরাসাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, শ্রীকাইল নতুন গ্যাস ফিল্ডে যাওয়ার জন্য এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সড়কে সাতটি ব্রিজ রয়েছে, তার মধ্যে চারটি ব্রিজ নতুন করে নির্মাণ ও সংস্কার করা হয়েছে। বাকি তিনটি ব্রিজ অতি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তার মধ্য দিয়েই চলাচল করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেটংঘর থেকে শ্রীকাইল যেতে প্রথমেই ঘোড়াশাল নামক স্থানে বড় একটি ব্রিজ বহু বছর ধরে পরিত্যক্ত রয়েছে। কারণ ব্রিজের মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে মোটরসাইকেলে রাতে টহল দেওয়ার সময় ব্রিজের ফাটল দিয়ে নিচে পড়ে এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যু হয়। এই ব্রিজের পাশ দিয়ে বাপেক্স নির্মিত বিকল্প সড়ক দিয়ে মানুষ এখন চলাচল করছে। তবে সংযোগ সড়কটি পাকাকরণ না হওয়ায় নানা দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে।
অন্যদিকে, ঘোড়াশাল গ্রামে আরও একটি বেইলি ব্রিজ ভেঙে পড়ার অবস্থা। স্টিলের পাটাতনে ছোট বড় একাধিক ছিদ্র সৃষ্টি হয়েছে। প্রায়ই সিএনজিচালিত অটোরিকশার চাকা আটকে গিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সোনাকান্দা কবরস্থান সংলগ্ন ব্রিজটি কয়েকটি স্থানে ডালাই ভেঙে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ব্রিজের মাঝখানের অংশ ধসে পড়ায় মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যানবাহনে মালামাল পরিবহন করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী ড. আহাদ উল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা তৈরি হচ্ছে। প্রস্তাবগুলো অনুমোদন হলেই ব্রিজ নির্মোণের কাজ শুরু হবে।