শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখুন শুক্রবার রাতের আকাশে



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একসঙ্গে কিংবা আলাদা আলাদা অবয়বে 'সুপার ব্লাড' কিংবা 'সুপার ব্লু মুন' দেখেছে পৃথিবীর মানুষ। এবার আকাশে দেখা যাবে একটি বিরল দৃশ্য, যার সাক্ষী থাকতে অধীর সমগ্র পৃথিবী। একবিংশ শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ হবে শুক্রবার (২৭ জুলাই) রাতের আকাশে।

বাংলাদেশে শুক্রবার রাত ১১ টা ১৩ মিনিট ০৬ সেকেন্ড স্থানীয় সময়ে গ্রহণটি শুরু হয়ে শনিবার সকাল ৫ টা ৩০ মিনিট ২৪ সেকেন্ড শেষ হবে এই গ্রহণ।

শনিবার দুপুর ২ টা ২১ মিনিট ৪৮ সেকেন্ড কেন্দ্রীয় গ্রহণ ঘটবে। গ্রহণটির সর্বোচ্চ মাত্রা হবে ১.৬১৪। আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে বাংলাদেশ থেকে গ্রহণটি পুরোপুরি দেখা যাবে।

এর আগে গত ১৩ জুলাই শুক্রবার সূর্যের আংশিক গ্রহণ ঘটে। তবে গ্রহণটি বাংলাদেশ থেকে দেখা যায়নি।

মহাকাশ বিষয়ক বিভিন্ন তথ্যসূত্র জানায়, শুক্রবার পৃথিবীর সঙ্গে সূর্যের দূরত্ব হবে সর্বোচ্চ আর চাঁদের সঙ্গে পৃথিবীর দূরত্বও হবে সর্বোচ্চ। এবং একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে এক সারিতে চলে আসবে পৃথিবী, সূর্য এবং চাঁদ। পৃথিবী সূর্যের আলোকে পুরোপুরি আড়াল করবে, ফলে পৃথিবীর ছায়ায় অন্ধকার হয়ে যাবে চাঁদ। সূর্য-পৃথিবী-চাঁদ পুরোপুরি এক সারিতে চলে আসার এই ঘটনা শতাব্দীতে একবারই হয়। ফলে এই চন্দ্রগ্রহণ দীর্ঘতম হবে। গ্রহণের আগে চাঁদের রং টকটকে লাল হবে। বিজ্ঞানীরা যাকে বলছেন ‘ডিপ রেড ব্লাড মুন।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এবারের চন্দ্রগ্রহণ হতে চলেছে প্রায় ১০৫ মিনিট ধরে। এর আগে ২০১১ সালে ১৫ জুন ১০০ মিনিট ধরে চন্দ্রগ্রহণ হয়েছিল। এই শতকের সেটাই ছিল বৃহত্তম চন্দ্রগ্রহণ। গত শতাব্দীতে অবশ্য আরও বড় চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছিল। ১৯৮২ সালে ১০৭ মিনিটের চন্দ্রগ্রহণ হয়।

শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছে সারা বিশ্ব। আপনিও চোখ রাখুন শুক্রবার রাতের আকাশে। কারণ, জোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন একটানা ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট ধরে চলবে এই গ্রহণ। উত্তর আমেরিকা মহাদেশ ছাড়া গোটা পৃথিবী থেকেই দেখা যাবে এই বিরল চন্দ্রগ্রহণের দৃশ্য। শুধু তাই নয়, ওইদিন চাঁদের রং হতে চলেছে টকটকে লাল।

শুক্রবার রাতের আকাশে মায়াবী চাঁদটি গ্রহণের আগে ভাসবে ‘সুপারমুন’ হয়ে। কারণ শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণের ফলে অপরূপ চাঁদটি পৃথিবীর আকাশে রক্তিম আভা ছড়িয়ে দীর্ঘস্থায়ী গ্রহণে যাবে। গ্রহণের আগে আগে সেটি অন্যদিনের সাধারণ চাঁদ থাকবে না। পরিণত হবে 'সুপারমুন'-এ।

অবস্থানগত কারণে উত্তর আমেরিকা থেকে ‘সুপারমুন’টি দেখা যাবে না। সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যাবে আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল থেকে।

নাসার গডডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার শতাব্দীর আলোচিত এই চন্দ্রগ্রহণ ও ‘সুপারমুন’ নিয়ে নানা নিরীক্ষার পর জানিয়েছে অনেক তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যারিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের গ্রিনবেল্টে অবস্থিত এই সেন্টারের লুনার সাইন্টিস নোয়া পের্টো মহাকাশ বিষয়ক পোর্টাল স্পেসডটকমকে বলেন, ‘সূযগ্রহণের মতো সতর্কতা এই চন্দ্রগ্রহণের সময় নিতে হবে না। ‘সুপার মুন’ কোনও রেডিয়েশন বা তেজষ্ক্রিয়তাও ছড়াবে না। খালি চোখেই দেখা যাবে মায়াবী চাঁদটি এবং চাঁদের গ্রহণ।’  

লুনার সাইন্টিস নোয়া পের্টো জানান, ‘গত এক শতাব্দীতে এতো দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ আর হয় নি এবং ‘সুপারমুন’ এতো লম্বা সময় ধরে আকাশে দেখাও যায় নি। তবে গ্রহণের চূড়ান্ত দশা হবে এক ঘন্টা ৪৩ মিনিট। পৃথিবীর স্থান ভেদে সে সময়ের তারতম্য হবে। এই সময়ে চাঁদটি থাকবে ভরা যৌবনা এবং এর রঙ হবে রক্তিম-খয়েরী-নীলের মিশ্রিত বর্ণের।’

রাতের আকাশে মাঝে মোঝে ভেসে আসা 'সুপারমুন' পৃথিবীর মানুষের কাছে এক অপার রহস্যের ভান্ডার। ‘সুপারমুন’কে কেউ নাম দিয়েছেন 'ব্লু মুন'। নানা নামে ডাকা হয় বিশালাকৃতির সেই উজ্জ্বল চাঁদকে। এমন অধরা চাঁদের দেখা সব সময় পাওয়া যায় না।

স্পেসডটকম জানিয়েছে, ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই ‘সুপারমুন’টি উদিত হয়ে গ্রহণে যাওয়ার ঘটনাটির ছয় মাস আগে ২০১৭ সালের শেষ 'সুপারমুন' আকাশে ভেসেছিল ৩ ডিসেম্বর রাতে। তারও আগে শেষবার ‘সুপারমুন’ দেখা গিয়েছিল ২০১৬-র ১২ ডিসেম্বর। ২০১৫ সালের ‘সুপারমুন’ উদিত হয়েছিল ২৭ সেপ্টেম্বর। 

'সুপারমুন' আসলে অন্য কিছু নয়। চাঁদের পূর্ণ অবয়ব। ‘সুপারমুন’-এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ‘পেরিগি মুন’। পেরিগি অর্থ হচ্ছে ‘পৃথিবীর নিকটতম’। চাঁদ যখন পূর্ণ পূর্ণিমায় থাকে এবং বার্ষিক প্রদক্ষিণের সময় পৃথিবীর কাছাকাছি চলে আসে তখন একে সবচেয়ে বড়, পরিপূর্ণ ও স্পষ্ট দেখা যায়। সে সময় একে  ‘সুপারমুন’ বা 'ব্লু মুন'  বলা হয়।

তবে ২০১৮ সালের ২৭ জুলাই শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণে সময় দৃশ্যমান চাঁদটিকে নাম দেওয়া হয়েছে ‘রেডমুন’। তখন চাঁদের শরীর থেকে বিচ্চুরিত লালাভ বর্ণালীর কথা বিবেচনা করেই রাখা হয়েছে এমন নাম।

নাসার মহাকাশ বিজ্ঞানীদের ভাষায়, ‘পৃথিবীকে ঘিরে চাঁদের যে কক্ষপথ রয়েছে তার আকৃতি ডিম্বাকার হওয়ার জন্য কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করার সময় চাঁদ কখনও পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, আবার কখনও অনেক দূরে চলে যায়। চাঁদ পৃথিবীর খুব কাছাকাছি আসায় এই চাঁদকে স্বাভাবিক পূর্ণিমার চাঁদের তুলনায় বড়, স্পষ্ট ও বেশি উজ্জ্বল দেখায়। আর তা তখন পরিণত হয় ‘সুপারমুন’এ।’

শুক্রবার  ২৭ জুলাই ২০১৮ চন্দ্রগ্রহণের কালে এমনই ‘সুপারমুন’ বা সবচেয়ে বড় চাঁদ ফের একবার রাতের আকাশে ভাসবে। চাঁদের আগমনে জোছনা ও স্নিগ্ধতার মাখামাখিতে আকাশে আবার ঘটবে বিরল ঘটনা। গ্রহণ লগ্নের 'সুপারমুন' অন্য দিনের চাঁদের তুলনায় আলাদা হবে দেখতে। আলো ও উজ্জ্বলতায় হবে সর্বাঙ্গ সুন্দর। স্বাভাবিকের থেকে অনেক বড় দেখাবে চাঁদকে। মহাকাশ গবেষকরা বলছেন, স্বাভাবিক অবস্থা থেকে প্রায় ১৪ শতাংশ বড় আকারে দেখতে পাওয়া যাবে আসন্ন চাঁদকে। একইসঙ্গে, চাঁদকে আরও উজ্জ্বল আর গোলাকার থালার মত ভরপুর মনে হবে। গ্রহণকালে চাঁদের শরীরে সূর্যের ছায়া দেখা যাবে পৃথিবী থেকে। গ্রহণ লগ্ন শেষে আবার চন্দ্রালোকে উজ্জ্বল হবে রাতের আকাশ ও পৃথিবী।

‘সুপারমুন’ দশায় চাঁদের প্রান্তিক ঔজ্জ্বল্যের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ৩০ শতাংশ। চলতি বছরে এটাই হবে প্রথম ও শেষ ‘সুপারমুন’। মহাকাশ নিয়ে যারা চর্চা করেন, তারা গ্রহণ করবেন নানা আয়োজন। খোলা চোখে বা টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখতে চেষ্টা করবেন মায়াবী ও রহস্যময় চাঁদকে।

বিজ্ঞানীরা জানতে চাইবেন, পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের কোন জায়গা থেকে সবচেয়ে স্পষ্ট দেখা যাবে এই ‘সুপারমুন’কে। কে হবেন সেই সৌভাগ্যবান, যিনি সবচেয়ে নিটোল ও পরিপূর্ণ চাঁদটি দেখতে পাবেন। নাসার গডডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার তথ্য তালাশ করে জানিয়েছে, সর্বশেষ ‘সুপারমুন’টি সবচেয়ে স্পষ্ট, বড় আর ভালো দেখা গিয়েছিল ইতালির পিসা নামক স্থান থেকে। আর সেই চাঁদটি দেখে ছবি তুলেছিলেন জোসেফ প্যাট্রিকা।

বাংলাদেশেও মহাকাশপ্রেমিরা সবচেয়ে দীর্ঘ গ্রহণের চাঁদ দেখার সুযোগ হাতছাড়া করবেন না! রাতের আকাশে মায়াবী চাঁদের রহস্য ও সৌন্দর্য নিয়ে পৃথিবীর মানুষের সামনে আসছে ২৭ জুলাই এক বিশেষ চন্দ্ররজনী। চাঁদ এবং চিরায়ত গানের মিতালীতে প্রকৃতির অপরূপ বিভায় শিহরিত মানুষ তখন বলতেই পারেন: 'এই রাত তোমার আমার/এই চাঁদ তোমার আমার। শুধু দু'জনার।'

   

নরসিংদীতে প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
নরসিংদীতে প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত

নরসিংদীতে প্রতিপক্ষের হামলায় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণায় যাওয়ার সময় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. সুমন মিয়াকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষ প্রার্থী রুবেল ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

বুধবার (২২ মে) বিকেলে উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নের মিরেরকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের বেশ কয়কজন আহত হয়েছে।

সন্ধ্যায় আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমনকে রায়পুরা তুলাতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

মো. সুমন মিয়া চরসুবুদ্ধি ইউপি চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন নাসুর ছেলে ও রায়পুরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।

নরসিংদীর সহকারী পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) আফসান আল-আলম ঘটনার সততা নিশ্চিত করে বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. সুমন মিয়া উপজেলার পাড়াতলী ইউনিয়নে গণসংযোগ করতে যান। এসময় তার প্রতিপক্ষ প্রার্থী রুবেল ও তার সমর্থকরা হামলা করে। পরে স্থানীরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার পর উপজেলাজুড়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে বলে জানান তিনি।

;

দুধ দিয়ে গোসল করলেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয় লাভের পর মো. এহসানুল হাকিম সাধনকে দুধ দিয়ে গোসল করালেন তার প্রতিবেশীরা।

বুধবার (২২ মে) নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বাড়িতে তার সমর্থক ও এলাকাবাসী তাকে দুধ দিয়ে গোসল করান।

দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মো. এহছানুল হাকিম সাধন বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মোটরসাইকেল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে তিনি ১ হাজার ভোট বেশি পেয়ে তিনি নির্বাচিত হন।

সমর্থক মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘বিজয়োল্লাসের বাড়তি আকর্ষণ হিসেবে চেয়ারম্যানকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে বরণ করেছি।’

মো: এহসানুল হাকিম বলেন, আমার সমর্থক ও এলাকাবাসীর আবদার রক্ষার্থে দুধ দিয়ে গোসল করেছি।

তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৫ বছর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এই উপজেলায় রাজতন্ত্র কায়েম করেছিলেন। আমি বিজয়ী হওয়ার পরে জনমনে যে সন্তোষ দেখা দিয়েছে, তাতে মনে হচ্ছে তারা এতো দিন জেলখানায় ছিল। এখন মনে হচ্ছে- তারা মুক্ত আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার প্রমাণ সকাল থেকে আমার বাড়িতে হাজার হাজার মানুষ আসছে। জনগণ আমাকে অনেক ভালোবাসে আর তাদের ভালোবাসা ভোট দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছে।

;

মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে ডিপোতে কাজে ফিরলেন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে ডিপোতে কাজে ফিরলেন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা

মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে ডিপোতে কাজে ফিরলেন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে তিন ডিপোতে ডাকা অনির্দিষ্ট কর্মবিরতির কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। মামলা প্রত্যাহার করার দাবি মেনে নেওয়ার পর কাজে যোগ দিয়েছেন কর্মচারীরা

অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের (এসএপিএল) ডিপোতে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার (২১ মে) এসএপিএল, ইস্পাহানি ও ওসিএল ডিপোতে কর্মবিরতি শুরু করেন কর্মচারীরা।

এর প্রেক্ষিতে বুধবার (২২ মে) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের সভাপতিত্বে ত্রিপক্ষীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর কাজে যোগ দেন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু। তিনি বলেন, ‘সিঅ্যান্ডেএফ কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচার দাবিতে ইউনিয়ন তিন ডিপোতে কর্মবিরতি পালন করছিল। কিন্তু ডিপোর রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ, শিপমেন্ট ইত্যাদি বিষয় তাই আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমস্যা সমাধান করার বিষয়ে আমাদের বার্তা ছিল। কাস্টম হাউসের কমিশনারের সভাপতিত্বে বিজিএমইএ, বিকডার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সভা হয়। এতে তিন দিনের মধ্যে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ডিপো কর্তৃপক্ষের করা মামলা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এরপর সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা কাজে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন।

সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি কাজী মো. খায়রুল বাশার মিল্টনও একই কথা বলেন। তিনি বলেন, মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমরা কাজে যোগ দিয়েছি।

;

বরগুনায় বজ্রপাতে এক শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরগুনায় মায়ের সাথে ক্ষেতের ধান দেখতে গিয়ে বজ্রপাতে রিফাত (১২) নামের এক শিশুর মৃত্যুর হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) বিকেল তিনটার দিকে বরগুনা পৌর শহরের সোনাখালী শীপেরখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রিফাতের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার সময় রিফাত তার মা সীমা বেগমের সাথে বাড়ির পাশে নিজেদের জমিতে হারবেস্টার মেশিনে ধান কাটা দেখতে যায়। তখন আকাশে হালকা মেঘের সাথে বজ্রপাত হচ্ছিল। হঠাৎ করে মা সীমা বেগমের সামনেই বজ্রপাত রিফাতের শরীরে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ছেলে রিফাত ও মা সীমা বেগম দু’জনেই অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।

এসময় আশেপাশে থাকা লোকজন ছুটে এসে রিফাত ও মাকে দ্রুত বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা জন্য নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রিফাতকে মৃত্যু ঘোষণা করে এবং মা সীমা বেগম চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সোনাখালী শীপেরখাল এলাকায় রিফাত নামের এক শিশুর বজ্রপাতে মৃত্যুর বিষয়টি আমাদের জানানো হয়েছে।

;