মানুষ পুলিশকে ভয় পেলে, তা পুলিশের লজ্জা

  • শাহরিয়ার হাসান,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ডিএমপি‘র তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। ছবি: শাহরিয়ার তামিম।

ডিএমপি‘র তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার। ছবি: শাহরিয়ার তামিম।

ঢাকা: মানুষ যদি পুলিশকে দেখে ভয় পায়, সেই লজ্জা সকল পুলিশ সদস্যের বলে মনে করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) বিপ্লব কুমার সরকার।

বার্তা২৪.কমের একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেন ১৯ বারের শ্রেষ্ঠ পুলিশ উপকমিশনার বিপ্লব কুমার। তার এই ভিডিও সাক্ষাৎকারে উঠে আসে পুলিশের নানা দিক।
পুলিশ সাধারণ মানুষের বন্ধু হতে পারে, ভাই হতে পারে, সহযোদ্ধা হতে পারে কিন্তু আমি যদি একজন মানুষের কাছে ভয়ের পাত্র হই। সেটা পুলিশের জন্য সত্যি লজ্জার বিষয় বলেন পুলিশের এই ডিসি। 

বিজ্ঞাপন

পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের সফলতা ও চ্যালেঞ্জ
বিপ্লব কুমার সরকার মনে করেন বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ জনগণের কাছে যেতে পেরেছে। এখানে জনসাধারণের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক আন্তরিক। যার ফলে তেজগাঁও এলাকার মানুষ ও পুলিশের মধ্যে দুরত্ব নেই দাবি তার।

তেজগাঁও বিভাগের ছয় থানার মানুষকে উদ্দেশ্য করে বিপ্লব কুমার বলেন, আমাদের ফোন নাম্বার বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া রয়েছে। যে কোনো কারণে ফোন দিতে পারেন, আপনাদের সমস্যা সম্পর্কে জানাতে পারেন। তাছাড়া আমার সঙ্গে ব্যক্তিভাবেও দেখা করা যাবে।

তেজগাঁও বিভাগের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও বাসভবন। এই জায়গাগুলো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও সুশৃঙ্খলাকে চ্যালেঞ্জ মানেন না তিনি। বিপ্লব কুমার বলেন, আমরা আন্তরিক ভাবে কাজ করি। বরং এ এলাকার দায়িত্ব পালন করা -আমরা গর্ব বলে মানি।  

দেশকে কিছু দিতে চাইলে পুলিশ হতে হবে
দেশ ও দেশের মানুষের সেবা করার অন্যতম সুযোগ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করতে পারা- বলে মানেন তেজগাঁও জোনের এ ডিসি।

তাই বিপ্লব কুমারের নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান, ‘যদি সমাজের সব শ্রেণীর মানুষের কাছে যেতে চাও, যদি তুমি দেশকে কিছু দিতে চাও, যদি সবার প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে চাও, তুমি পুলিশ হও। অন্য যে কোনো চাকরির চেয়ে পুলিশে পেশায় মানুষের সেবা করার অনেক সুযোগ রয়েছে। কারণ, আমি মনে করি এটি চাকরি না, এটা মানুষের সেবা করার মাধ্যম।

যারা পুলিশের সংস্পর্শে আসেনি তারা বলে পুলিশ খারাপ
যেসব মানুষ মনে করে পুলিশ খারাপ, তারা আসলে পুলিশের সংস্পর্শে কখনোই আসেনি।

বিপ্লব কুমার বলেন, এটা আমাদের পুরনো ধারণা যে, ‘পুলিশ ভাল না’। আমরা ঐতিহাসিক ভাবে জেনে থাকি পুলিশ খারাপ। তবে খোঁজ নিয়ে দেখবেন যারাই বলে  পুলিশ খারাপ, তারা কোনোদিন পুলিশের সংস্পর্শেই আসেনি।

তার আহ্বান, ‘আপনারা পুলিশের কাছে আসুন। পুলিশ সর্ম্পকে জানুন। দুর থেকে মন্তব্য করবেন না।’

আইন না মানায়, গর্বের কিছু নেই
সাধারণ মানুষ আইন না মানতে ভালবাসে। অনেক সময় দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশ সিগনাল দেয় আর মানুষ আইন না মেনে রাস্তা পার হয়। তারা মনে মনে গর্ব অনুভব করে। আমি মনে করি, ‘আইন না মানায় গর্বের কিছু নেই’।

এই পুলিশের এই সদস্যের ডাক, ‘আপনারা আইন মেনে চলুন, সমাজে একজন ভাল মানুষ হয়ে প্রতিষ্ঠিত হন। তরুণদেরকে বলবো, সবার আগে তোমরা ভাল মানুষ হও।’

শ্রেষ্ঠ ডিসি নির্বাচিত হওয়ার অনুভূতি
১৯ বার শ্রেষ্ঠ ডিসি নির্বাচিত হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বিপ্লব কুমার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া কর্তৃক নির্ধারিত কিছু সূচক রয়েছে যেমন, আমরা কি কি কাজ করবো। পরে বিষয়গুলো মাথায় রেখে গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ শেষ করি। তাছাড়া আমার বিভাগের প্রত্যেকটা পুলিশ অফিসার আন্তরিকভাবে কাজ করছে বা করেছে। যার ফলে আমি এই সম্মান পেয়েছি।