‘বিনোদন যে দিনশেষে আসলে একটা ব্যবসা না, এটা কে বুঝবে!’



মাহবুবুর রহমান সজীব

  • Font increase
  • Font Decrease

কেবল দশ-বারো বছর বয়স বাংলাদেশে এফএম রেডিওর। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারাও পাল্টে যাচ্ছে, রূপ বদলাচ্ছে অনুষ্ঠানের। শ্রোতা চাহিদার কথা মাথায় রেখে স্টেশনগুলো দিনকে দিন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে তাদের নিত্যকর্ম। ফেসবুকেও ইদানিং দেখা যায় বিভিন্ন এফএম রেডিওর নিয়মিত লাইভ অনুষ্ঠান। আগে যেটা কেবল কানে শোনা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলো।


এসব বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বার্তা২৪-এর মুখোমুখি রেডিও টুডে এফএম ৮৯.৬-এর সিনিয়র আরজে এবং হেড অফ প্রোগ্রাম ডেভেলপমেন্ট জহিরুল ইসলাম টুটুল, আরজে টুটুল বা এফএম মামা নামেই যিনি পরিচিত শ্রোতা মহলে।


/uploads/files/my2gjYSlCUtYBo5pw7p8rpvDRpgi76tbUH15zTpP.jpeg

আগে কেবল শোনা যেতো আপনাদের, এখন দেখাও যায়; ক্যামেরার সামনে চলে আসার এই প্রবণতার কারণ কী?

রেডিওর আরজেরা মিডিয়ার অন্য সব মাধ্যমের সুবিধা নিয়ে শ্রোতাদের সঙ্গে আরও বেশি কানেক্টেড হওয়ার চেষ্টা করছে; সেটা ফেসবুক লাইভ হোক, বা অন্য কোনো উপায়ে হোক। এটা তাদের দায়বদ্ধতা থেকেই করছে। তারা ভিডিওতে এসেও তাদের ওই কথাগুলোই বলছে, বিভিন্ন সামাজিক ব্যাপারগুলো তুলে ধরছে; যেগুলো রেডিওতে বলে। ফলে শ্রোতাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন আরও সহজতর হচ্ছে। শ্রোতাদের এখন আর অনেক টাকা খরচ করে টেক্সট পাঠাতে হচ্ছে না। যা বলার তা কমেন্টবক্সে লিখে দিলেই হচ্ছে।

এতোসব কিছুর সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে রেডিওগুলো কি তাদের স্বকিয়তা বা মৌলিকতা হারিয়েছে?

আমার মনে হয় না। রেডিও রেডিওর মতোই চলছে। কারণ, রেডিও স্টুডিও থেকেও যেই ফেসবুক লাইভটা হচ্ছে, সেটার জন্যও কিন্তু কিচ্ছু পাল্টাচ্ছে না, নতুন করে সেট করা হচ্ছে না টেলিভিশনের মতো। এমনকী ফেসবুক লাইভে পুরো শো’টাও দেখানো হচ্ছে না সাধারণত, একটা নির্দিষ্ট অংশ দেখানো হচ্ছে। বাকিটা ওই কান পেতেই শুনতে হচ্ছে সবাইকে।

/uploads/files/fv527cISotYfFHzTPZykTaAQceK4UImetbrduhqw.jpeg

শ্রোতাদের আগের সেই ক্রেজিনেসটা কি কমে গেছে?

মোটেও না। শুধু উপায় বদলেছে। আগে যেমন টেক্সট-এর পর টেক্সট করে যেতো তারা, পড়ার আগ পর্যন্ত। এখন কমেন্টের পর কমেন্ট করে যায়, যেহেতু প্রায় প্রত্যেকের হাতেই স্মার্টফোন আছে; যেটা পাঁচ-সাত বছর আগেও এতোটা এভেইলেবল ছিলো না। এখন বরং আরজেকে সরাসরি দেখে তারা আরও বেশি চাচ্ছে যে কমেন্টটা পড়া হোক বা যেটা বলতে চাচ্ছে সেটা শোনা হোক। এমনকী তারা কমেন্টে তাদের ফোন নাম্বার পর্যন্ত দিয়ে দিচ্ছে যেনো কল করা হয়।

আগে তো শ্রোতারা আপনাদেরকে অন্তত একবার দেখার জন্য পাগল হয়ে যেতো!

হা হা হা। অনেকেই অফিস পর্যন্ত চলে আসতো তখন। এখন আর সেটা হয় না। সময় পাল্টেছে। এখনকার ছেলেমেয়েরা অনেক দ্রুত স্মার্ট হচ্ছে। তারা সব বিষয়ে একটা পাগলাটে ব্যাপার করে ফেলবে, এটা আশা করা যায় না। এমনকী সম্পর্কের ক্ষেত্রেও তারা এখন বেশ পরিপক্ক। প্রেমময় গল্প-টল্প নিয়ে আগে যতো বেশি অনুষ্ঠান হতো রেডিওতে, এখন কিন্তু সেই ব্যাপারটায় ভাটা পড়েছে। বরং এখন ক্যারিয়ার সংশ্লিষ্ট অথবা আইটি বিষয়ক অনুষ্ঠানগুলো বেশি জমজমাট হচ্ছে। এখন এই টেক্সট পর্যন্ত চলে আসে যে, ভাই আমি কোন গাড়িটা কিনবো অথবা কোন মডেলের ক্যামেরাটা কিনলে ভালো হবে ইত্যাদি।

/uploads/files/pnz2byvRw04puQtIfR6Hf9tV4plxMBd2CJgMB6uV.jpeg

একটা স্টুডিও রুমে বসে একা একা কথা বলে যাওয়া, বিষয়টা কেমন?

এইজন্যই আরজেকে অনেক বেশি পড়াশোনা করতে হয়। মাথায় যদি কিছু না থাকে, বলবে কী সে তাহলে! কারেন্ট ইস্যু থেকে শুরু করে অন্যান্য সব বিষয়গুলোও তার জেনে রাখতে হয়। এমনকী একটা গান বাজানোর আগে ওই গানের সমস্ত তথ্যও তার শেয়ার করতে হয় শ্রোতাদের সঙ্গে।

উপস্থাপনার জন্য রেডিও থেকে অনেকেই টেলিভিশনে চলে আসে। কারণ কী এটার?

রেডিও খুব ভালো শেখার যায়গা। টেলিভিশনকে যেহেতু একটু ওয়াইড অ্যাংগেল থেকে চিন্তা করে মানুষ, সেখানে ইনভল্বমেন্টটাও বেশি, সম্মান এবং সম্মানিটাও বেশি; ফলে অনেকেই যায় সেখানে সুযোগ পেলেই। যারাই যায়, তারা যদি ফিরেও না আসে কখনও; রেডিওটাকেই কিন্তু ধারণ করে এবং মিস করে। নুসরাত ফারিয়া, নওশীন এদের উদাহরণ দিয়ে দেয়া যায় এখানে।

/uploads/files/ulAdLUoXudUqxlZ0YiLosRf7VJMXpbM5hZ5GShmn.jpeg

কোনটা বেশি চ্যালেঞ্জিং? ক্যামেরার সামনে উপস্থাপনা নাকি পেছনে উপস্থাপনা? আইমিন রেডিও নাকি টিভি?

পেছনে থেকে উপস্থাপনার চ্যালেঞ্জটা বেশি। কারণ, রেডিও আরজেদের সবসময় অভিনয়ের মধ্যেই থাকতে হয়। একজন আরজে একা একা বসে কথা বলছে, অথচ তাকে শুনলে মনে হয় যে তার সঙ্গে হাজারো মানুষ। এই অভিনয়টা অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। ফলে তারা যখন টিভিতে আসে উপস্থাপনার জন্য, বেশ সুবিধে হয়। শুধু কিছু টেকনিক্যাল বিষয় শিখে নিলেই হলো।

রেডিওগুলো যখন প্রথম শুরু করেছে, তখনকার অবস্থা আর এখনকার অবস্থার মধ্যে পার্থক্য কেমন?

বাজার বড় হয়েছে, এটা একটা বিষয়। প্রথম প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিলো বেশি। নতুন একটা ধারা, মানুষ নেবে কিনা! এসব বিষয় আর কী। শুরুতে রেডিও টুডে, রেডিও আমার, এবিসি রেডিও সহ যারা এসেছে; এই দেশে সামনে রাখার মতো কিন্তু তাদের কেউ ছিলো না। এই চ্যালেঞ্জে যখন তারা টিকে গেলো, অন্তত বিজ্ঞাপনের টাকা থেকে সবাইকে বেতন দিতে পারা শুরু করলো; বাড়তে থাকলো একটার পর একটা স্টেশন। এখন তো প্রায় বিশটার মতো রেডিও স্টেশন চলছে।

/uploads/files/z1j2tuaUPxwnZgWnVxjBSxfbGvFKVg9TSkX9lhBa.jpeg

সবার অবস্থাই কি ভালো?

ওভারঅল আমাদের মিডিয়ার অবস্থাই তো ভালো না। এই ছোট্ট দেশে এতো বেশি মিডিয়া হাউজ হয়ে গেছে যে, ইনভেস্টররা কোন যায়গায় বা কয়টা যায়গায় ইনভেস্ট করবে! বড় বড় কম্পানিগুলো আবার নিজেরাই রেডিও, টেলিভিশন বা পত্রিকা খুলে বসে আছে। তাদের বড় ইনভেস্টটা কিন্তু নিজেদের যায়গায়ই করছে। অন্য লাইনের বিজনেস ম্যাগনেট যারা, দুয়েকজন ছাড়া; তারাও দেখি বিনোদন ব্যবসা খুলে বসে আছে। বিনোদন যে দিনশেষে আসলে একটা ব্যবসা না, অন্য জিনিস; এটা কে বুঝবে!

ব্যক্তিগত কাজকর্মের খবর..

কয়েকটা গানের মিউজিক ভিডিও করবো। এছাড়া আরও কিছু কাজ নিয়ে আগাচ্ছি।

আরও পড়ুনঃ

জ্যাম-এ ঋতুপর্ণা

এই রাখি অচেনা

মম গলবে না অনুরোধে!

জয়জিৎ এবার নতুন পরিচয়ে

   

এফডিসিতে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এফডিসিতে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা

এফডিসিতে সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) সাংবাদিকদের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শতাধিক সংবাদকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই ঘটনার সূত্রপাত।

কে বা কারা এ হামলা করেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছেন শিল্পী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর।

জানা যায়, এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬’র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে প্রথমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু শপথ পাঠ করান। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট, একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার।

;

‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’ গানে তোরসা



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শাহ আবদুল করিম ও হাসন রাজার ভাটির দেশ থেকে ইট-পাথরের ঢাকা, প্রেম-বিচ্ছেদের সুখ কিংবা বেদনা থেকে রাজপথের মিছিল—সবকিছুর মেলবন্ধন ঘটায় যে মানুষ, সেই মানুষের গান গাওয়ার সংকল্প তুহিন কান্তি দাসের। প্রথমবারের মতো এই সঙ্গীত শিল্পী নিয়ে এলেন একক অ্যালবাম। এর নাম রেখেছেন ‘সন্ধ্যা নামিলো শ্যাম’।

এতে রয়েছে মোট চারটি গান। এগুলো হলো ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’, ‘আসমানেরও চাঁদ’, ‘দরদিয়া’ ও ‘হারিয়ে টের পাই’। তার মধ্যে ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’ গানটি সম্প্রতি ভিডিও আকারে প্রকাশিত হয়েছে। এতে মডেল হয়েছেন ‘মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশ-২০১৯’ মুকুট জয়ী রাফাহ নানজিবা তোরসা। তার সঙ্গে ছিলেন খালিদ মাহমুদ সাদ। ফরিদপুরের বিভিন্ন নানন্দিক লোকেশনে ভিডিও নির্মাণ করেছেন সৈয়দা নীলিমা দোলা। এরই মধ্যে গান-ভিডিও শ্রোতামহলে সাড়া ফেলেছে।

এ প্রসঙ্গে মডেল তোরসা বলেন, মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার আগে বেশকিছু মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছিলাম। তারপর অনেক প্রস্তাব এসেছিল কিন্তু করিনি। ‘সন্ধ্যা নামিল শ্যাম’ গানের নির্মাণ পরিকল্পনা, গান সবকিছু বেশ ভালো লাগে তাই আগ্রহ নিয়ে কাজটি করেছি। গানটি প্রকাশের পর সবাই বেশ প্রশংসা করছে। আশা করছি, সব শ্রেণির মানুষের গান-ভিডিওটি ভালো লাগবে।

;

শাকিবের ‘তুফান’-এ বিশেষ চরিত্রে চঞ্চল চৌধুরী



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের শেষের দিকে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেয়া হয় বছরের অন্যতম আলোচিত সিনেমা ‘তুফান’র। অভিনেতা শাকিব খান ও নির্মাতা রায়হান রাফি জুটির এই সিনেমা আসন্ন ঈদে মুক্তি প্রস্তুতি চলছে। মাঝে ঘোষণা দেয়া হয় এ সিনেমায় শাকিব খানের বিপরীতে আছেন কলকাতার নায়িকা মিমি চক্রবর্তী ও বাংলাদেশের নাবিলা।

এবার তুফান’র আরেকটি তথ্য নিয়ে হচ্ছে আলোচনা। কেননা তুফান সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী।

এই সিনেমায় নিজের উপস্থিতি নিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘তুফান সিনেমায় আমাকে বিশেষ একটা চরিত্রে দেখা যাবে। রায়হান রাফী এই সময়ের প্রতিভাবান একজন পরিচালক। সেই সাথে শাকিব-এর সাথে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা একদম অন্যরকম। তাদের সাথে এক সঙ্গে কাজ করতে পারলে ভালো লাগবে। আর এতো বড় তিনটা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এক হয়েছে অবশ্যই ভালো কিছুই হবে।’

‘তুফান’ সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এসভিএফ বাংলাদেশ, আলফা আই ও চরকি। এই তিন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘তুফান’ এর আগে আরেকটি বড় সিনেমার ঘোষণা দেয়। সিনেমাটির নাম ‘দম’। আর পরিচালনা করবেন রেদওয়ান রনি। ‘দম’ সিনেমার মূল ভূমিকায় দেখা যাবে চঞ্চল চৌধুরীকে।

পরিচালক রায়হান রাফীর এখন সময় যাচ্ছে সিনেমার শুটিং-এর শেষ সময়ের প্রস্তুতি নিয়ে। রাফী বলেন, ‘চঞ্চল ভাই আমাদের দেশের শক্তিমান অভিনেতা। তুফান-এ শাকিব ভাইয়ের সাথে সাথে উনাকে পাওয়াটা আমার জন্য আনন্দের।’

এসভিএফ-এর ডিরেক্টর ও কো-ফাউন্ডার মহেন্দ্র সোনি বলেন, ‘চঞ্চল চৌধুরীর সঙ্গে এর আগে ওটিটি কনটেন্টে কাজ হয়েছে। অনেকদিন ধরে তাকে নিয়ে বড় পর্দায় কাজ করার পরিকল্পনা ছিল। আমি নিশ্চিত তিনি তুফান-কে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে যাবেন।’

আলফা-আই স্টুডিওজ লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘তুফানে শাকিব খান অন্যরকম, সম্পূর্ণ ভিন্নরপে ধরা দিবে দর্শকদের সামনে। এমন একটি শক্তিশালী চরিত্রের বিপরীতে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করতে পারে এমন একজন শক্তিমান অভিনেতা দরকার ছিল আমাদের। আমি মনে করি, চঞ্চল ভাইয়ের কারণে চরিত্রটির প্রতি জাস্টিস হবে তাই তুফানে উনার সম্পৃক্ততা।’

চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি, ‘চঞ্চল ভাইকে নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তিনি আমাদের জন্য গর্ব। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাইরেও তার কাজের সুখ্যাতি রয়েছে। তার সঙ্গে আমার বেশ কিছু কাজের অভিজ্ঞতা হয়েছে। তুফান সিনেমায় তার এই উপস্থিতি অন্যরকম মাত্রা যোগ করবে বলে আমি মনে করি।’

;

'ডেডপুল বনাম উলভারিন' সিনেমার ট্রেইলার প্রকাশ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রকাশ পেয়েছে রায়ান রেনল্ডস এবং হিউ জ্যাকম্যান অভিনীত ডেডপুল বনাম উলভারিন সিনেমার প্রথম অফিশিয়াল ট্রেইলার। মার্ভেল এন্টারটেইনমেন্ট এর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে সোমবার (২২ এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭ টায় ট্রেইলারটি প্রকাশ করা হয়েছে। দুইটি ভিন্ন ইউনিভার্সের গল্প কিভাবে চলবে তা নিয়ে ভক্তদের দুশ্চিন্তা দূর করবে এই সিনেমা-তারই ঝলক মিললো ট্রেইলারে।

টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স বিক্রি হওয়ার মাধ্যমেই এক্সম্যানের সিনেমাগুলোর উপর তাদের রাইটের সমাপ্তি ঘটে। তবে সিনেমায় চলাকালীন গল্পে ফক্স ইউনিভার্সের চরিত্রগুলোকে কিভাবে মার্ভেলের চরিত্রের সাথে একবদ্ধ করে কাজ করানো হবে- তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ভক্তরা। ডেডপুল বনাম উলভারিন সিনেমার ট্রেইলারে এটা স্পষ্ট করা হয় যে, সিনেমার গল্পেও ফক্স ইউনিভার্স ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এই বিধ্বংসের সকল দায়ভার চাপানো হয়েছে উলভারিন, তথা লোগান চরিত্রের উপর।

ট্রেইলারে ডেডপুলের চরিত্র উলভারিনের চরিত্রের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করতে যায়। উলভারিনের নিজের ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, তাই সে যেন ডেডপুলের ব্রহ্মাণ্ড ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করতে তাকে সাহায্য করে। মিস্টার প্যারাডক্স ডেডপুলকে জানান, উলভারিন নিজেই তার ইউনিভার্স ধ্বংসের কারণ৷ তবে এই উলভারিন কোন ইউনিভার্সের তা এখনো স্পষ্ট নয়।

এছাড়াও প্রধান খল চরিত্র ক্যাসেন্ড্রা নোভার প্রথম ঝলকও দেখা যায় ট্রেইলারে। তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এক্সম্যানের সবচেয়ে শক্তিশালী চরিত্র উলভারিনেরও নাজেহাল অবস্থা। কিভাবে নোভাকে পরাজিত করবে ডেডপুল এবং উলভারিন, জানা যাবে চলতি বছর ২৬ জুলাই। এর আগে এক্সম্যেন অরিজিনস:উলভারিন সিনেমায় একত্রে পর্দায় এসেছিলেন রায়ান এবং হিউ। তবে সেই সিনেমায় মুখোমুখি ছিল ডেডপুল এবং উলভারিন চরিত্র। আসন্ন সিনেমায় একত্র হয়ে লড়বেন দুই সুপারহিরো। ডেডপুল বনাম উলভারিন সিনেমাটি ২০২৪ সালে মার্ভেল সিনেমেটিক ইউনিভার্সের প্রকাশ করা একমাত্র সিনেমা।

বহুল পরিচিত চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিষ্ঠান টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্সকে কয়েক বছর আগেই কিনে ফেলেছিল প্রযোজনা সংস্থা ডিজনি। মার্ভেল আগে থেকেই ডিজনির অধীনস্থ হওয়ায় মার্ভেল তাদের কমিকসের সব চরিত্রের অধিকার আবার ফিরে পায়। ফক্সের কাছে মার্ভেলের সকল মিউট্যান্ট চরিত্রের রাইট ছিল৷ ফক্সের তৈরি করা সকল এক্সম্যেন সিরিজের ইতি ঘটে এর মাধ্যমেই। ঘোষণা হয়, এসব চরিত্রে তারপর থেকে যত সিনেমা আসবে সবটাই ডিজনি এবং মার্ভেলের অধীনেই থাকবে। তবে ভক্তদের মধ্যে চিন্তার ঢেউ খেলে এই ভেবে যে, দুটো ভিন্ন ইউনিভার্সের কাহিনী কিভাবে একত্র করা হবে!

হিউ মাইকেল জ্যাকম্যান হলিউডের একজন অস্ট্রেলিয়ান বংশোদ্ভূত অভিনেতা এবং সঙ্গীতশিল্পী। অভিনয় জীবনে দ্য প্রেস্টিজ, অস্ট্রেলিয়া, দ্য গ্রেটেস্ট শোম্যান, প্রিজনার্সের মতো অনেক জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি, পেয়েছেন একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মাননা। তবে ভক্তদের কাছে তিনি লোগান বা উলভারিন নামেই বেশি পরিচিত। বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় প্রযোজনা সংস্থা টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্সের অধীনে মার্ভেলের জনপ্রিয় এই চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হিউ। একবিংশ শতাব্দীর শুরু থেকে ভক্তদের পছন্দের এই চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। এমনকি উলভারিন চরিত্রেই মাধ্যমেই বর্তমানে হলিউডে একই চরিত্রে দীর্ঘতম সময় অভিনয় করার রেকর্ড রয়েছে হিউ জ্যাকম্যানের নামেই।

;