আ.লীগের দ্বিতীয় দূর্গ কিশোরগঞ্জে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: কিশোরগঞ্জে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দ্বন্দ্ব চরম/ সংগৃহীত

ছবি: কিশোরগঞ্জে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দ্বন্দ্ব চরম/ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গোপালগঞ্জের পর আওয়ামী লীগের দ্বিতীয় দুর্গ বলে পরিচিত কিশোরগঞ্জে মনোনয়ন দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠেছে। এরই মধ্যে রক্তাক্ত সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করায় দলীয় ঐক্য ও শৃঙ্খলায় ফাটল দেখা দিয়েছে। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই আভ্যন্তরীণ কোন্দল বাড়ছে।

আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের একাধিক নেতা বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, 'যেভাবে দ্বন্দ্ব-সংঘাত-সংঘর্ষ বাড়ছে, তাতে পরিস্থিতি ক্রমেই নাজুক আকার ধারণ করছে। জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাংগঠনিক কমিটির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে সংঘাত না কমালে নির্বাচনে বিরাট বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে।'

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি নির্বাচনী আসনেই আওয়ামী লীগের একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে চলছে প্রকাশ্য দ্বন্দ্ব ও সংঘাত। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। সবাই সর্বশক্তি নিয়ে মনোনয়ন পাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন। কর্মী-সমর্থকরাও এলাকার নিয়ন্ত্রণ ও জনপ্রিয়তা প্রমাণের জন্য প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মারমুখী অবস্থান নিচ্ছে।

বুধবার (২১অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ-২ আসনে (পাকুন্দিয়া ও কটিয়াদি)  সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এর আগেও এ আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যকার অস্ত্রের মহড়ায় একাধিক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশের সাবেক আইজি নূর মোহাম্মদ এ আসনে মনোনয়ন পাচ্ছেন মর্মে প্রচার হওয়ার পর বর্তমান এমপি এডভোকেট সোহরাবউদ্দিনের সমর্থকদের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি পায়। একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বর্তমান এমপি জাতীয় পার্টির মজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী একাট্টা হয়েছেন। নৌকার বদলে মহাজোটের শরীক দলকে মনোনয়ন দেওয়া হলে যে কোনও মূল্যে তা প্রতিরোধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

সবচেয়ে নাজুক অবস্থা চলছে কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে। পাকিস্তানপন্থী গভর্নর আবদুল মোনেম খানের আদিবাড়ির এই আসনটি আওয়ামী বিরোধী দক্ষিণপন্থীদের ঘাঁটি বলে পরিচিত। অতীতের নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের ফলও আশানুরূপ নয়। এই আসনে বর্তমান এমপি আফজালের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের ছয়জন মনোনয়ন প্রত্যাশী জোটবদ্ধ হয়েছেন। সন্ত্রাস, স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতির অভিযোগ এনে বর্তমান এমপিকে মনোনয়ন না দিতে এলাকায় একাধিক সমাবেশ হয়েছে। তরুণ ও উদীয়মান নেতারা বর্তমান এমপির বদলে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে 'আফজাল হটাও' আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের নাজুক এ আসনে প্রার্থী নিয়ে দলীয় ঐকমত্য না হলে নির্বাচনে নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

কিশোরগঞ্জ-৪ ( ইটনা, মিটামইন, অষ্টগ্রাম) আসনেও প্রথমবারের মতো দ্বন্দ্ব ঘণীভূত হয়েছে। বর্তমান রাষ্ট্রপতির সাবেক আসনে তার পুত্র এমপি তৌফিকের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট কামরুল আহসান শাহজাহান দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করায় দলের নির্বাচন পরিস্থিতিতে জটিলতা দেখা দিয়েছে। 

কিশোরগঞ্জ-১ (সদর ও হোসেনপুর) আসনে সৈয়দ আশরাফ ছাড়াও তার তিন ভাই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে চান। রাষ্ট্রপতির মেজো পুত্র রাসেল আহমেদ তুহিনসহ এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এক ডজন। সকলেই মাঠে ময়দানে নিজেকে যোগ্যতর প্রমাণের জন্য কাজ করছেন।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব ও কুলিয়ারচর) আসনে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পুত্র, বর্তমান এমপি নাজমুল হাসান পাপনের বিরুদ্ধেও দলের একাধিক নেতা মনোনয়ন প্রত্যাশী।

জেলা আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'অতীতে দলীয় ফোরামের মতামত নিয়ে প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার ফ্রি স্টাইলে বহুজন প্রার্থী হয়েছেন। এলাকায় টাকা-পয়সা খরচ করে তারা কিছুটা জনপ্রিয়তা ও শক্তি অর্জন করেছেন। নির্বাচনে এরা যদি নেতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে তাহলে দলের দ্বিতীয় দূর্গে ফলাফল বিপর্যয় হতে বাধ্য।'

সংগঠনের নেতা-কর্মীদের আস্থাভাজন একক প্রার্থী ঠিক করে দ্বন্দ্ব,  সংঘাত ও অনৈক্য দূরীকরণের জন্য কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন কিশোরগঞ্জ আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। তাদের আশঙ্কা, অতি দ্রুত দ্বন্দ্ব  নিরসন না করা হলে উত্তাপ ও উত্তেজনায় দলের বিরাট ক্ষতি হতে পারে।

   

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী



নিউজ ডেস্ক
সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট এর আমন্ত্রণে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে ১৮ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ যুব মৈত্রী।

সংগঠনের সভাপতি তৌহিদুর রহমান ও ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মানোয়ার হোসেন ১৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে ভেনিজুয়েলার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন।

পৃথিবীর প্রায় ৭০টি দেশের রাজনৈতিক, সামাজিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। সাম্রাজ্যবাদ পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মদদে ফিলিস্তিনসহ পৃথিবীর নানা প্রান্তে মানবতা বিরোধী কার্যক্রম চালাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে পৃথিবীর শান্তিকামী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানায় এ সম্মেলন।

সিমন বলিভার ইন্সটিটিউট, আলবা (বলিভারিয়ান এলায়েন্স) ও ইন্টারন্যাশনাল পিপল্স এ্যাসেম্বলির যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে ১৯ এপ্রিল উপস্থিত থেকে বিশে^র যুব শক্তিসহ সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান ভেনিজুয়েলার রাষ্ট্রপতি নিকোলাস মাদুরো, বলিভিয়ার সাবেক রাষ্ট্রপতি ইভো মোরালেস ও হুন্ডরাসের সাবেক রাষ্ট্রপতি ম্যানুয়েল জেলায়া।

এছাড়াও সম্মেলনে ল্যাটিন আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল ও কমিউনিস্ট আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ‘বিকল্প সামাজিক পৃথিবী’ শিরোনামে যুদ্ধবিহীন এক মানবিক ও সমতাভিত্তিক নতুন বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।

৪ দিন ব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন পর্বে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব শক্তি, বিকল্প সামাজিক ব্যবস্থা, মানবতার উপর হুমকি ও ঝুঁকিসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদকে পরাস্ত করে সমাজতন্ত্রকে এগিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।

নিয়মিত সভার পাশাপাশি বাংলাদেশ যুব মৈত্রী নেতৃবৃন্দ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের প্রগতিশীল যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের সাথে একধিক বৈঠক করে এই অঞ্চলে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী যুব সংগঠন সমূহের সমন্বয়ে একটি ঐক্যবদ্ধ প্ল্যাটর্ফম গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। 

;

ভিডিও ভাইরাল, সেই নারী কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের নারী কাউন্সিলর সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলীকে দলীয় ইমেজ নষ্ট ও গঠনতন্ত্র ভঙ্গের অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ একটি সুসংগঠিত ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির গঠনতন্ত্রের ৪৭(৯) ধারা মোতাবেক ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য সৈয়দা রোকসানা ইসলাম চামেলী-কে সংগঠনের শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকান্ডের কারণে পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন।

এর আগে একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের এই নেত্রী আবাসিক হোটেলের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি কক্ষে একজন পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় রয়েছেন। তার সঙ্গী ওই পুরুষটি চামেলীর ইচ্ছাতেই অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করছেন। যা পরে ছড়িয়ে পরে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচন

মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান আওয়ামী লীগের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীদের ফরম সংগ্রহের আহ্বান জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় সংসদের ৮১ ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ২৭ এপ্রিল (শনিবার) থেকে ২৯ এপ্রিল (সোমবার) প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

এতে আরো বলা হয়, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আগ্রহীরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, এমপি'র ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় (বাড়ি-৫১/এ, সড়ক-৩/এ, ধানমণ্ডি আ/এ, ধানমণ্ডি, ঢাকা) থেকে দলীয় মনোনয়নের আবেদনপত্র সংগ্রহ এবং জমা প্রদান করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা নিজে অথবা প্রার্থীর একজন যোগ্য প্রতিনিধির মাধ্যমে আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন।

আবেদনপত্র সংগ্রহের সময় অবশ্যই প্রার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি সঙ্গে আনতে হবে এবং আগামী ২৯ এপ্রিল (সোমবার) বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে হবে।

;

উপজেলা নির্বাচন

যারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপির স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি, তাদের বিরুদ্ধে সময় মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে না আসেন। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে।

আমরা বিষয়টি আরো আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও প্রত্যাহার কেউ কেউ করেছেন। কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা, তারপরেও ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবেন। কাজেই, এই বিষয়টি চূড়ান্ত বলে মনে করা যাবে না।

দলীয় নির্দেশনা অমান্য করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময় মতো এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই গ্রহণ করা হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছেন, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে, নির্বাচনের পরে এসেছেন, অনেকেই এমপি হননি। অনেকেই মন্ত্রী হননি। এখানেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবেন না, সময় মতো দল ব্যবস্থা নেবে।

সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকরা তার কাছে জানতে চান, বিএনপি বা বিরোধীদলের কোনো কর্মসূচি থাকলে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থাকে। ২৬ তারিখের একটা কর্মসূচি ছিল। লোকজন বলছেন, এটা পাল্টাপাল্টি। যদি পাল্টাপাল্টি হয়ে থাকে, তাহলে আপনারা কি বিএনপিকে চাপে রাখার জন্য দিচ্ছেন, না কি সরকারের মধ্যে অজানা আশঙ্কা কাজ করছে যে, বিএনপি মাঠ দখল করে সরকারকে ফেলে দিতে পারে।

এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেখুন, এখন নির্বাচন হয়ে গেছে। নির্বাচন যারা বয়কট করেছে, তারা নির্বাচন করতে দেবে না, সে স্বপ্ন মাঠে মারা গেছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারবে না, ৫ দিনের মাথায় পড়ে যাবে। এমন দুঃস্বপ্ন তারা দেখেছিল।

তিনি বলেন, আজকে হ্যাঁ, আমরা এটা মনেই করতে পারি, বিএনপি এক তরফা কোনো সমাবেশ করতে গেলে, তারা অগ্নিসন্ত্রাস করে। জণগনের জানমালের নিশ্চয়তা, সম্পদ রক্ষা সেখানে আমাদেরও সরকারি দল হিসেবে একটা দায়িত্ব আছে। আমরা মাঠে থাকলে তারা অগ্নিসন্ত্রাস করার বিষয়ে একটা মানসিক বাধা তারা পাবে, সে কারণে আমরা এটা করি। আমরা শান্তি সমাবেশ করছি। তারা গণহত্যা বিক্ষোভ অনেক কিছু করছে। 

 শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রাখছি মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ঢাকায় কি কখনো পাল্টাপাল্টি দুই দলের মধ্যে কোনো সংঘাত হয়েছে! এত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আমরা শান্তি সমাবেশে শান্তি বজায় রেখেছি।

 সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;