সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্র একজোট হয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত: ড. কামাল

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্র একজোট হয়ে বাংলাদেশ কার্যকর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে ড. কামাল হোসেন বলেন, নারী-পুরুষ, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে ভোটারগণ যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারে এবং পছন্দের মার্কায় ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরতে পারে তা নিশ্চিত করার মৌলিক দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং নির্বাচনকালীন সময়ের জন্য সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন সরকার জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ সকল রাষ্ট্রীয় সংস্থা নির্বাচন কমিশনের আইনানুগ নির্দেশ পালনে বাধ্য। ফলে নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ও সদিচ্ছা থাকলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব।

ড. কামাল হোসেন বলেন, তফসিল ঘোষণার পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করার কথা থাকলেও তা বন্ধ হয়নি। পুলিশের সাহায্যে নৌকার কর্মীরা ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নির্বাচনী মাঠে নামতে ও লিফলেট বিতরণ করতে দেয়নি।

তিনি পুলিশের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের ছত্রছায়ায় নৌকার কর্মীরা প্রতিরাতে কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হানা দেয় এবং শারীরিক নির্যাতন করে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আর্থিকভাবে স্বচ্ছলদের ছেড়ে দেয় এবং বাকিদের আটক করে নিয়ে যায়।

নির্বাচনের বাকি আর দুই দিন এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দৃশ্যমান হয়নি নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমেরিকাসহ বিদেশী পর্যবেক্ষকদের অনুমতি দিলেও ভিসা প্রদানের ক্ষেত্রে বিলম্ব কৌশল গ্রহণ করেছে সরকারি নীলনকশা বাস্তবায়নের কৌশল হিসেবে নির্বাচন কমিশন সাংবাদিকদের উপর যাতায়াতসহ বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে নির্বাচন কমিশন নির্লজ্জ পক্ষপাতিত্বের সুযোগ নিয়ে জনপ্রশাসন পুলিশ প্রশাসনসহ সমগ্র রাষ্ট্রযন্ত্র একজোট হয়ে বাংলাদেশ কার্যকর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার কাজে লিপ্ত।

সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা ছিল দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠে নামলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নত হবে। কিন্তু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সম্পূর্ণরূপে নির্বাচন কমিশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিলজ্জ পক্ষপাতমূলক আচরণের পর তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কার্যকর ভূমিকা আশা করা দুরূহ। তবু আমরা আশা করব, ৩০ ডিসেম্বর দেশের মালিক জনগণ যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে।