গর্ভাবস্থায় এড়িয়ে চলুন এই কাজগুলো
খুব স্বাভাবিকভাবেই একজন নারীর জীবনের সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয় হলো গর্ভধারণ।
আনন্দ-আশঙ্কার মিশ্র অনুভূতিতে প্রতিটা দিন পার করতে হয় একজন হবু মাকে। গর্ভধারণের প্রথম দিন থেকেই নিজের প্রতি বাড়তি যত্ন নিতে হয় তাকে। নিত্যদিনের জীবনেও আসে বেশ কিছু পরিবর্তন। অন্যান্য সময় যে কাজগুলো করা যেত নিশ্চিন্তে, গর্ভাবস্থায় সে একই কাজ করার আগে ভাবতে হয় বেশ কয়েকবার। নিজের ও গর্ভস্থ শিশুর সুস্বাস্থ্যের জন্য এ সময়ে কিছু কাজ থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন।
বিশেষ কিছু খাদ্য না খাওয়া
অপাস্তুরিত জুস, দুধ ও দুগ্ধজাত যেকোন খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। এই সকল খাবারে লিস্টারিয়া সহ অন্যান্য কিছু ব্যাকটেরিয়া থাকে যা প্লাসেন্টা ও ফিটাসের জন্য হুমকি স্বরূপ। এছাড়া কাঁচা মাছ ও মাংসের খাবার যেমন: সুশি, কাঁচা ডিম ও আনারস খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে।
পরিমিত ক্যাফেইন গ্রহণ
চা বা কফি যতই পছন্দ হোক না কেন, গর্ভাবস্থায় ক্যাফেইন গ্রহণের মাত্রা পরিমিত রাখতে হবে অবশ্যই। গবেষণা মতে, গর্ভবতী নারী দিনে ৩০০ মিলিগ্রাম পরিমাণ ক্যাফেইন গ্রহণ করতে পারবেন। মাত্রা এর চাইতে বেশি হয়ে গেলে গর্ভাবস্থায় জটিলতা দেখা দিতে পারে এবং ভূমিষ্ঠ শিশু ওজনে কম হতে পারে।
খেলাধুলার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকা
দ্য আমেরিকান কলেজ অফ অবস্টেট্রিশিয়ান্স এন্ড গাইনোকলোজিস্ট সুপারিশ করে, অতিরিক্ত শারীরিক কার্যকলাপ যুক্ত যেকোন খেলাধুলা থেকে নিজেকে নিবৃত রাখার জন্য। যে সকল খেলায় শারীরিক পরিশ্রম বেশি করা প্রয়োজন হবে, সে সকল খেলা প্রি-ম্যাচিউর ফিটাস নষ্ট করে দিতে পারে।
পড়ে যাওয়ার সম্ভবনাযুক্ত কাজ
পড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে এমন কোন স্থানে যাওয়া ও এমন স্থানে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। বিশেষত পিচ্ছিল ও উঁচু স্থান এড়িয়ে যেতে হবে সম্পূর্ণভাবে।
ভারী কোন জিনিস উত্তোলন
আমেরিকান প্রেগন্যান্সি অ্যাসোসিয়েশন সুপারিশ করে, গর্ভবতী নারীদের কোনভাবেই ভারী কোন জিনিস উত্তোলন করা যাবে না। শরীরে ও পেটের উপর চাপ পড়ে এমন যেকোন কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে সর্বদা।
দীর্ঘ সময় বসে কিংবা দাঁড়িয়ে থাকা
গর্ভাবস্থায় দীর্ঘ সময় একই স্থানে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে থাকা থেকে বিরত থাকতে হবে। একই ভঙ্গীতে লম্বা সময় কাটিয়ে দেওয়ার ফলে স্বাস্থ্যগত নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে। যার মাঝে হাত ও পায়ে পানি আসা ও রগে সমস্যা তৈরি হওয়ার প্রবণতা বেশি থাকে। তাই চেষ্টা করতে হবে কিছুক্ষণ পরপর স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে।
হিল জুতা পরা
হিল জুতা যতই আকর্ষণীয় হোক না কেন, গর্ভাবস্থায় হিল জুতাকে বিদায় জানাতে হবে। হিল জুতা পরার ফলে পায়ের উপর যে চাপ পড়ে, তা নার্ভ ও পেটের উপরেও চাপ সৃষ্টি করে। এছাড়া হিল জুতা পরার ফলে পা মচকে যাওয়া কিংবা পিছলে যাবার সম্ভবনাও থাকে। যা থেকে ঘটতে পারে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।
আরও পড়ুন: পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে শরীরচর্চা করা যায় কি?
আরও পড়ুন: অস্বাস্থ্যকর এই ‘অভ্যাস’গুলো অসুস্থ করে তুলছে আপনাকে!