অস্বাস্থ্যকর এই ‘অভ্যাস’গুলো অসুস্থ করে তুলছে আপনাকে!



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
অনিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা।

অনিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা।

  • Font increase
  • Font Decrease

হুট করেই মুখে অতিরিক্ত ব্রণ দেখা দেওয়া অথবা পিঠে এলার্জির প্রভাব দেখা দেওয়ার কারণ খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি আমরা। কিন্তু বুঝতেই পারি না, আমাদের প্রতিদিনের কিছু ‘অভ্যাস’ এর কারণেই হুটহাট এই সকল অসুস্থতা দেখা দিচ্ছে।

দারুণ অস্বাস্থ্যকর এই সকল অভ্যাসগুলো আমাদের সকলের খুব পরিচিত। এমনকি লেখাটি পড়লেই বুঝতে পারবেন, আজকে সারাদিনেই বেশ কয়েকটি কাজ মিলে গেছে আপনার সাথে। কী এমন অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস, যা আমাদের অসুস্থ করে তোলে?

প্রাত্যহিক জীবনে এই সকল কাজকে খুব সাধারণ ও নিরীহ মনে হলেও আদতে এর মাঝেই লুকায়িত থাকে আমাদের অসুস্থতার মূলমন্ত্র। কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস হয়তো চমকেও দিতে পারে আপনাকে!

অনিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা

অযত্ন ও অনিয়মিত দাঁত ব্রাশ করার ফলেই দাঁতের ক্ষয়রোগ (ক্যাভিটিস), মাড়ি ফুলে যাওয়া, মাড়ি থেকে রক্তপাত হওয়া, মুখে দুর্গন্ধ তৈরি হওয়ার মতো সমস্যাগুলো দেখা দেয়। ক্যালিফোর্নিয়া ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নাতাশা লী জানান, দাঁতের ক্ষয়রোগ গুরুত্বর আকার ধারণ করলে নার্ভ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। যার ফলে রুট ক্যানেল করার প্রয়োজন দেখা দেয়।

অনিয়মিত গোসল করা

স্কিন কেয়ার স্পেশালিষ্ট জেনিন ফ্রান্সের মতে, গোসল শরীরের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য নয়, শারীরিক সুস্থতার জন্য বেশি প্রয়োজনীয়। পানি ও সাবানের সাহয্যে ময়লার সাথে জীবাণুও পরিস্কার হয়। ত্বক পরিষ্কার থাকে বলে এলার্জি, র‍্যাশ, ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমে যায় অনেকটা।

তিনি জানান, ত্বকে মরা চামড়ার স্তর পড়ে গেলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রামণ হয়ে থাকে। যা থেকে বিভিন্ন ধরণের চর্মরোগ ও প্রদাহ তৈরি হয়। যে কারণে এই স্কিন কেয়ার স্পেশালিষ্ট পরামর্শ দেন নিয়মিত ও সঠিকভাবে গোসল করার।

ব্যবহারের আগে পানির বোতল না ধোয়া

সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন পর্যাপ্ত পানি পান খুবই জরুরি। তবে সুস্বাস্থ্যের জন্য পানি পান করতে গিয়ে যদি অসুস্থই হয়ে পড়তে হয়, তবে সেটা হয়ে যাবে হিতে-বিপরতি অবস্থা। তাইতো, প্রতিবার পানির বোতল পানিপূর্ণ করার আগে অবশ্যই ভালোভাবে বোতল পরিষ্কার করে নিতে হবে। কারণ, পূর্বের ব্যবহারের ফলে বোতলে সহজেই ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। নোংরা বোতলে পানি পানের ফলে ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিও দেখা দিয়ে থাকে।

/uploads/files/10nzbCcbp0hCGBwaB5IZwyfuQi5HoyS75GLnTAGM.jpeg

মেকআপ না তুলে ঘুমাতে যাওয়া

ব্যস্ত ও ক্লান্তিকর দিনের শেষে মেকআপ ভালোমতো তুলতে অলসতা কাজ করে। যে কারণে অনেকেই মুখে মেকআপ সমেত ঘুমিয়ে পড়েন। যা খুবই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এর ফলে মুখের ত্বকের রোমকূপ বন্ধ হয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে না। বন্ধ রোমকূপের কারনে ব্ল্যাক হেডস ও ব্রণের সমস্যা দেখা দেওয়া শুরু হয়। এমনকি ত্বক তার স্বাভাবিক রং ও ঔজ্জ্বল্যতাও হারায়।

একইসাথে চোখের মেকআপ তথা, আইলাইনার, কাজল, মাশকারা, আইশ্যাডো সারারাত চোখে থাকার ফলেও, চোখের ক্ষতি হবার সম্ভবনা থাকে।

বিছানার চাদর না বদলানো

কাপড় ধোয়া বেশ ঝামেলার ব্যাপার। আর সেটা যদি হয় বিশাল বড় বিছানার চাদর, তবে তো কথাই নেই। কিন্তু কাপড় ধোয়ার চাইতেও বড় ঝামেলার ব্যাপার হলো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের জন্য অসুস্থ হয়ে পড়া। একই বিছানার চাদর বেশিদিন ব্যবহারের ফলে এতে বিভিন্ন ধরণের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস ও ধুলার আস্তরণ পড়ে। যে কারণে স্কিন কেয়ার স্পেশালিষ্ট জেনিন ফ্রান্স পরামর্শ দেন প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর বদলানোর জন্য।

অন্তর্বাস নিয়মিত পরিষ্কার না করা

অবহেলা, অলসতা ও অসচেতনতার কারণে অনেকেই নিয়মিত নিজের অন্তর্বাস পরিষ্কার করেন না। যার নেতিবাচক প্রভাব ভয়ানক। এর ফলে ইস্ট ইনফেকশন, মূত্রনালীতে ইনফেকশনসহ দেখা দিতে পারে গুরুত্বর অসুস্থতা। তাইতো প্রতিদিনের পরিধেয় পোশাকের সাথে অন্তর্বাস পরিষ্কার করার অভ্যাসও গড়ে তোলা খুবই জরুরি।

নিজের ব্যবহৃত জিনিস অন্যকে দেওয়া

নিজের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাঝে মাঝে স্বার্থপর হওয়া প্রয়োজন। নিজের ব্যবহৃত তোয়ালে, চিরুনি, হেয়ারব্রাশ রেজর ও ইয়ারফোন কোনভাবেই অন্য কারোর সাথে শেয়ার করা উচিৎ নয়। নিজের ব্যবহৃত জিনিস অন্য কেউ ব্যবহার করলে, তাদের শরীরে বসবাসরত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সহজেই ছড়িয়ে পড়ে ও সংক্রমিত হয়। ফলাফল স্বরূপ হেপাটাইটিসের মতো প্রাণঘাতী রোগের সম্ভবনাও দেখা দিতে পারে।

একই তোয়ালে বারবার ব্যবহার করা

একই তোয়ালে শুকিয়ে বারবার ব্যবহার করা খুবই স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হিসেবে মনে করি আমরা। আদৌ কী সেটা ঠিক? স্কিন কেয়ার স্পেশালিষ্ট জেনিন ফ্রান্স জানান, কয়েকবার ব্যবহারের পর সেই তোয়ালে আর ব্যবহার করা উচিৎ নয়। সেই তোয়ালে গরম পানিতে ভালোভাবে ধুয়ে এরপরেই ব্যবহার করা উচিৎ। নয়তো ব্যবহৃত তোয়ালেতে ত্বকের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। তিনি আরো জানান, অপরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহারে মেনিনজাইটিস, হেটাটাইটিস ও যৌনরোগ ক্ল্যামিডিয়া হবার সম্ভবনা তৈরি হতে পারে।

   

তাপপ্রবাহের কারণে হওয়া সাধারণ কিছু সমস্যা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে দেশ। আমাদের দেশে মূলত নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া থাকে। তবে ক্রমাগত পরিবর্তনশীল জলবায়ুর কারণে গত কয়েক বছরে আবহাওয়ায় বেশ পরিবর্তন এসেছে। এখন গরমে তাপমাত্রা বেশ বাড়তি থাকে। তাই গরমে এখন অসুস্থ হওয়ার ঘটনা বেড়ে গেছে। গরমের কারণে হওয়া সমস্যাগুলোকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন ঠান্ডা পানি পান করলেই সমাধান হবে। তবে গরমে অসুস্থ হওয়াকে অবহেলা করলে মৃত্যু ঝুঁকিও তৈরি হতে পারে। তাই উপসর্গ দেখার পরই সাবধান হতে হবে।

চিকিৎসক থমাস ওয়াটার্স এই নিয়ে সাবধান হওয়ার জন্য জোর দিয়েছেন। গরমে যে সব সমস্যা বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে দেখা যায়, সেগুলো হলো-

১। ফুসকুঁড়ি বা হিট র‍্যাশ

গরমে ঘাম হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তাপ অতিরিক্ত বেশি হওয়ার কারণে গরমে ঘাম এবং ঘাম জমেও বেশি। কনুই, হাঁটুর পেছনের অংশ, ঘাড় ইত্যাদি স্থানে ঘাম জমে লাল ছোট ছোট ঘামাচি ও ফুসকুঁড়ি দেখা যায়।


২। হিট ক্র্যাম্পস

গরম আবহাওয়ায় অনেকেই ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন। গরমের মধ্যে পেশিতে চাপ পড়ার কারণে অনেক সময় ব্যথা হতে পারে। একে হিট ক্র্যাম্প হতে পারে। কারণ এমনিতেই গরমে ঘাম বেশি হয়। এরপর যারা অতিরিক্ত পরিশ্রম করেন তাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত লবণ এবং তরল বের হয়ে যায়।

৩। ক্লান্তি বা হিট এক্সহসশন

প্রাকৃতিকভাবে মানুষের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখার কিছু কর্মকাণ্ড ঘটে থাকে। গরমের সময় শরীরের ভেতর থেকে ঘাম বের করে দেয়। এতে অভ্যন্তরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকে। তবে অতিরিক্ত গরমে শরীর ঘাম বের করা বন্ধ করে দেয়। কারণ শরীররের রক্তনালী সংকুচিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীর ঠান্ডা হতে পারেনা।


৪। হিট স্ট্রোক

অতিরিক্ত গরমে শরীরে তাপমাত্রা সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেড়ে যায়। হঠাৎ এই পরিবর্তন শরীর নিতে পারে না। ১০৩-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রা হলেই হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। হিট স্ট্রোক অনেক গুরুতর হতে পারে। এমনকি এই কারণে মৃত্যুও হতে পারে।

দিন দিন তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টিহীন একটানা খা খা রোদের কারণে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তাই জরুরি কাজ ছাড়া সকালে ১ টা থেকে বিকাল ৩টার মধ্যে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।

তথ্যসূত্রঃ ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক

;

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;