বসন্ত বরণে রাঁধুন কিমা বিরিয়ানি
বিশেষ দিনে খাবারের আয়োজনেও থাকে বিশেষ কিছু।
পোলাও, খিচুরি কিংবা বিরিয়ানি রান্না করা হয় পরিবার ও মেহমানদের আপ্যায়নে। বিরিয়ানির মাঝে গরুর বা মুরগীর বিরিয়ানি, হাইদ্রাবাদী বিরিয়ানি, কাচ্চি কিংবা তেহারিও করা হয়। কিন্তু কিমা বিরিয়ানি কি রাঁধা হয়? একেবারেই নতুন ধাঁচের এই বিরিয়ানিটি এবারের বসন্তে রাতের খাবারের আয়োজনে রাখতেই পারেন। ভোজনরসিকের জন্য কিমা বিরিয়ানি হতে পারে পারফেক্ট পছন্দসই খাবার। চমৎকার বিরিয়ানি তৈরির রেসিপিটি দেখে নিন।
কিমা বিরিয়ানি তৈরিতে যা লাগবে
১. ২ কাপ বাসমতি চাল।
২. ২০০ গ্রাম গরু/ খাসির মাংসের কিমা।
বিজ্ঞাপন৩. ২-৩টি এলাচ।
৪. ১টি তেজপাতা।
৫. ৩-৪টি লবঙ্গ।
৬. ১ চা চামচ আদা কুঁচি।
৭. ১ চা চামচ রসুন কুঁচি।
৮. ২-৩টি বড় পেঁয়াজ কুঁচি।
৯. ১ টেবিল চামচ মরিচ গুঁড়া।
১০. ১/২ টেবিল চামচ ধনিয়া গুঁড়া।
১১. ১/২-১ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়া।
১২. ১/২ চা চামচ গরম মশলা।
১৩. ১/৪ কাপ ধনিয়া পাতা।
১৪. লবণ, তেল, ঘি ও পানি পরিমাণমতো।
১৫. পরিবেশনের জন্য কাজুবাদাম, কিসমিস।
কিমা বিরিয়ানি যেভাবে তৈরি করতে হবে
১. কড়াইতে ঘি গরম করে এতে অল্প পরিমাণ পেঁয়াজ কুঁচি, কাজুবাদাম ও কিসমিস দিয়ে বাদামী করে ভেজে পরবর্তী ব্যবহারের জন্য তুলে রাখতে হবে।
২. কড়াইতে পুনরায় তেল ও ঘি দিয়ে এতে এলাচ, তেজপাতা, লবঙ্গ দিয়ে হালকা করে ভাজতে হবে। গন্ধ ছাড়লে এতে রসুন, আদা ও কাঁচামরিচ দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিতে হবে। সবশেষে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বাদামী করে ভাজতে হবে।
৩. এখন এতে মাংসের কিমা দিয়ে দিতে হবে এবং মশলার সঙ্গে মাংসের কিমা ভালোভাবে মেশাতে হবে।
৪. মাংসে পুনরায় পেঁয়াজ কুঁচি, ধনিয়া পাতা কুঁচি, দিয়ে কষাতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত মাংস সম্পূর্ণ রান্না হয়ে যায়।
৫. এই মাংসে আগে থেকে পরিষ্কার করে রাখা বাসমতি চাল, পরিমাণমতো পানি ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে কড়াইয়ের মুখ ভালোভাবে ঢেকে দিতে হবে। মাঝারি-অল্প আঁচে ২০-২৫ মিনিট রেখে দেওয়ার পর কড়াইয়ের মুখ খুলে দেখতে হবে চাল সিদ্ধ হয়েছে কিনা। চাল সিদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে নিতে হবে।
পরিবেশনের সময় বিরিয়ানির উপরে ঘি ছড়িয়ে দিয়ে তার উপরে আগে থেকে ভেজে রাখা পেঁয়াজের বেরেস্তা, কাজুবাদাম, কিসমিস ও ফ্রেশ ধনিয়া পাতা ছড়িয়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: পাউরুটিতে তৈরি পারফেক্ট গোলাপজাম
আরও পড়ুন: লোভনীয় স্বাদের টক-ঝাল রসুনের আচার