প্রিয় মানুষের উপহারটি হোক ভালোবাসায় মোড়া!
দেখতে দেখতেই বসন্তের প্রথম দিনটি শেষ হবার পথে চলে এসেছে।
বসন্তের দিনটি শেষ হওয়া মানেই ভালোবাসার দিনটি চলে আসা।
প্রতি বছরের মতো এই বছরের বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষেও অনেকের রয়েছে নানান রকম পরিকল্পনা ও আয়োজন। প্রিয় মানুষটার প্রতি ভালোবাসা তো সারা বছর জুড়েই থাকবে। কিন্তু বিশেষ একটি দিনে তার প্রতি ভালোবাসা একটু অন্যভাবে তুলে ধরে তাকে জানানো, তাকে স্পেশাল ফিল করানো- এজন্যেই তো পুরো বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় বিশ্ব ভালোবাসা দিবস!
প্রিয়জনের সঙ্গে ভালোবাসার দিনটি কাটানোর পরিকল্পনার পাশাপাশি তাকে উপহার দেওয়ার পরিকল্পনাও আছে নিশ্চয়! ভালোবাসার মানুষকে দেওয়া উপহারটি যে অনেক দামী হতেই হবে এমন কোন কথা নেই। বরঞ্চ তার প্রিয় জিনিসটি খুঁজে সেটা উপহার হিসেবে তার হাতে তুলে দিলে বহুগুণ বেশি আনন্দিত হবে আপনার প্রিয় মানুষটি।
ভালোবাসা দিবসে উপহার হিসেবে ফুল, কার্ড, চকলেট, চাবির রিং কিংবা টেডি বিয়ার নতুন কিছু নয়। নতুন না হলেও, এই সকল উপহারের আবেদন কমে না কখনোই। তাই শেষ মুহূর্তে ভালোবাসার প্রস্তুতি হিসেবে এমন কোন কিছু কিনে নিতেই পারেন তাঁর জন্যে।
তবে বিশেষ মানুষটির জন্যে বিশেষ কিছু দিতে চাইলে হ্যান্ডমেইড কোন উপহার হতে পারে সবচেয়ে দারুণ পছন্দ। হাতে তৈরি চিরকুটের বাক্স কিংবা নিজেদের ছবি সম্বলিত অ্যালবামের চাইতে ভালো কোন উপহার হতেই পারে না।
যদি হাতে তৈরি জিনিসের ঝামেলায় যেতে না চান তবে খোঁজ করুন ভালোবাসার মানুষটি কি পছন্দ করেন! অনেকেই চামড়ার বেল্ট পরতে ভালোবাসেন। অনেকের পারফিউম জমানোর শখ রয়েছে। এছাড়া হাতঘড়ি কিংবা গহনার প্রতি দুর্বলতা থাকাটাও বেশ কমন। বিশেষ দিনের উপহার হিসেবে এমন কিছু কিনে ফেলতে পারেন সাচ্ছন্দে।
এছাড়া বইমেলা তো চলছেই। প্রিয় মানুষটি যদি বইপড়ুয়া হয়ে থাকেন, তবে আর দুশ্চিন্তা কী! প্রিয় মানুষের হাত ধরে সোজা চলে যান বইমেলায়। উপহার দিন তার পছন্দের বই। পছন্দ ও কাঙ্ক্ষিত বইয়ের চাইতে ভালো কোন উপহার হতেই পারে না।
যত ধরণের যত উপহারের কথাই আলোচনা করা হোক না কেন, এই যান্ত্রিক সময়েও একটি উপহারের প্রতি মানুষের আকর্ষণ বিন্দুমাত্র কমেনি। বরং বলা যায় বেড়েছে অনেক গুণ। সেটা হলো হাতে লেখা চিঠি।
ইদানিং প্রায় সকল স্টেশনারি দোকানেই চমৎকার চিঠি লেখার প্যাড ও নোটবুক পাওয়া যায়। পছন্দসই নোটবুকে ভালোবাসার মানুষটির জন্য কয়েক পাতা চিঠি লেখা নিশ্চয় এমন কোন কঠিন বিষয় নয়। খুব কাব্যিক ভাষায় কিংবা বিশুদ্ধ বাংলায় চিঠি লেখার প্রয়োজন নেই। প্রিয় মানুষটির প্রতি আপনার আবেগ ও অনুভূতির প্রকাশ চিঠিতে ফুটিয়ে তোলাই যথেষ্ট।
ভালোবাসার মানুষের মুখে হাসি ফোটানো খুব কঠিন কিছু নয় একেবারেই। একটু খেয়াল রাখা, তাকে বোঝা এবং কোন জিনিসে প্রিয় মানুষটি খুশি হবে- এগুলো জানার চেষ্টা করা ও ইচ্ছা প্রকাশ করাও অনেক কিছু।