প্রতিদিনের পরিচর্যায় অ্যালোভেরার অভিনব ব্যবহার
সৌন্দর্যচর্চার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক উপাদানের মাঝে অ্যালোভেরা পাতার জেলের ব্যবহার সবচেয়ে উপকারী। চুল ও ত্বকের জন্য সমানভাবে উপকারিতা বহনকারী এই উপাদানটি প্রয়োজন মাফিক ব্যবহার করা যায় নানাভাবে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা
মুখের ত্বক নিষ্প্রাণ ও শুষ্ক হয়ে ওঠার সমস্যাটি বেশি দেখা দেয় আবহাওয়া পরিবর্তনের দরুন। ত্বকে প্রাণ ফিরিয়ে আনতে কেমিক্যালযুক্ত কোন উপাদান ব্যবহারের পরিবর্তে ব্যবহার করুন অ্যালোভেরা পাতার জেল।
মুখের ত্বকে ব্যবহারের জন্য অ্যালোভেরা পাতা তিন ইঞ্চি লম্বা ও দুই ইঞ্চি চওড়া করে কয়েক টুকরা কেটে নিতে হবে। এই টুকরাগুলো চালের গুঁড়াতে ভালোভাবে গড়িয়ে নিতে হবে। আলোভেরা পাতার জেলের অংশটির দিক দিয়ে মুখে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। মিনিট পাঁচেক ম্যাসাজ করে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
হাত-পায়ের শুষ্কতা দূর করতে অ্যালোভেরা
আবহাওয়াজনিত কারণে মুখের সাথে হাত-পায়ের ত্বকও শুষ্ক হয়ে ওঠে। সাধারণ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহারে বেশিরভাগ সময়ই এই শুষ্কভাব দূর হতে চায় না। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে অ্যালোভেরা জেল ও মধু।
প্রাকৃতিক অ্যালোভেরা পাতার খোসাসহ জেল ৩ টেবিল চামচ ও বিশুদ্ধ মধু ২ টেবিল চামচ একসাথে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করতে হবে। এই পেস্টটি হাত ও পায়ের ত্বকে ম্যাসাজ করে ৩০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে হাত ও পা ধুয়ে নিতে হবে।
চুলের খুশকি দূর করতে অ্যালোভেরা
ত্বকের শুষ্কভাবের প্রভাব দেখা দেয় চুলের উপরেও। শুষ্ক ত্বক থেকেই উৎপত্তি হয় বিরক্তিকর খুশকির। খুশকির সমস্যাটি দূর করতে অ্যালোভেরা পাতার জেল ব্যবহারে দ্রুত উপকার পাওয়া সম্ভব হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে ১ চা চামচ কন্ডিশনার, ২ চা চামচ অলিভ অয়েল, ১ চা চামচ নারিকেল তেল ও ৩ চা চামচ অ্যালোভেরা পাতার জেল। প্রতিটি উপাদান একসাথে মিশিয়ে তৈরিকৃত পেস্টটি সম্পূর্ণ মাথার ত্বকে ভালোভাবে ঘষে ম্যাসাজ করতে হবে। ১৫ মিনিট পরে হারবাল শ্যাম্পুর সাহায্যে চুল ধুয়ে নিতে হবে। সপ্তাহে অন্তত ২ বার এইভাবে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুন: চুলের যত্নে ব্যবহার করুন ঘরে তৈরি তেল
আরও পড়ুন: দুই উপাদানেই প্রাণবন্ত ত্বক