ভালো হয়নি পরীক্ষার ফল!

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আশানুরূপ ফল না হলে ভেঙে পড়া যাবে না, ছবি: সুমন শেখ

আশানুরূপ ফল না হলে ভেঙে পড়া যাবে না, ছবি: সুমন শেখ

পরীক্ষা, পরীক্ষার ফল, সিজিপিএ- এই শব্দগুলো সবসময়ই মনের উপর বাড়তি চাপ তৈরি করে।

প্রস্তুতি যতই ভালো থাকুক না কেন, ঠিকই মনের মধ্যে খুঁতখুঁত করে, অশান্তি বোধ হয়। ব্যাপারটাই এমন অশান্তিদায়ক যে!

কিন্তু যতই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হোক না কেন, নিয়মমাফিক ঠিক সময়ে পরীক্ষাও হবে, পরীক্ষার ফলাফলও বের হবে। নিজেকে শুধু পরীক্ষার জন্যে নয়, ফলাফল গ্রহণের জন্যেও প্রস্তুত করা প্রয়োজন। বলা যেতে পারে, এটাও পড়ালেখা ও পরীক্ষার মতো অনেক বড় একটি চ্যালেঞ্জের বিষয়।

বিজ্ঞাপন

ভালো ফলাফল সবার কাম্য হলেও ব্যতিক্রম ঘটনাও থাকে। আশানুরূপ ফল যতটা ভালোলাগা ও আনন্দ নিয়ে আসে, আশানুরূপ ফল না হলে তার চেয়ে বেশি হতাশা ও মনঃকষ্ট তৈরি করে। কিন্তু সবার আগে একটা বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন, এই ফলাফলেই সবকিছু থেমে যাবে না।

ফলাফল যদি আশানুরূপ না হয় সেক্ষেত্রে ভেঙে পড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই বাজে সময়টাতে কিছু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন ভবিষ্যৎ সময়ে উঠে দাঁড়ানোর জন্য।

বিজ্ঞাপন

নিজেকে শান্ত রাখা

ফলাফল যেমনই বা যতটাই খারাপ হোক না কেন, নিজেকে শান্ত রাখতে হবে অবশ্যই। স্বাভাবিকভাবে এ সময়ে একসাথে অনেক ধরনের অনুভূতি কাজ করবে, অশান্তি ও অস্থিরতা চরমে থাকবে। কিন্তু কোন কিছুই তাৎক্ষণিকভাবে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই ফলাফল গ্রহণের পর নিজেকে শান্ত রাখাই হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের মতো কাজ।

অন্যের ফলের সাথে তুলনা থেকে বিরত থাকা

ভুলেও এই কাজটি করা যাবে না। অন্ততপক্ষে ফলাফল গ্রহণের পর থেকে বেশ কিছুদিনের জন্য। এতে করে শুধু মানসিক চাপই বৃদ্ধি পাবে। সহপাঠীদের সাথে ফলাফল তুলনা ও বিশ্লেষণ করা খুবই সাধারণ একটি কাজ। কিন্তু নিজের মনমতো ফলাফল না হলে সেক্ষেত্রে এ কাজটি থেকে বিরত থাকাই ভালো হবে।

কারো সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করা

পরীক্ষা, পরীক্ষার ফলাফল, নিজের প্রত্যাশা- সবকিছু নিয়ে খোলাখুলিভাবে কারোর সাথে আলোচনা করতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। সেটা হতে পারে সহপাঠী, বন্ধু, বড় ভাই-বোন অথবা পরিবারের কেউ। তবে এমন কারো সাথে আলোচনা করতে হবে, যে অহেতুক ব্যঙ্গ না করে আপনার মানসিক অবস্থা বুঝে আপনাকে ভালো ও কার্যকর পরামর্শ দিতে পারবে।

নিজেকে নিজের সময় দেওয়া

ফলাফল প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলে বিষাদগ্রস্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। এ সময়ে যদি কারোর সঙ্গ ভালো না লাগে তবে একেবারে নিজের মতো করে সময় কাটালে উপকার হবে। প্রয়োজনে সামাজিক মাধ্যমগুলো থেকেও সাময়িক সময়ের জন্য দূরে থাকতে হবে। একান্তে নিজের মতো কিছু সময় কাটাতে পারলে নিজের সার্বিক পরিস্থিতি ভালোভাবে বোঝা যাবে।

পরবর্তী করণীয় নিয়ে পরিকল্পনা

একান্তে নিজের মতো সময় কাটানোর মাঝে মনের মাঝে ছক কেটে ফেলা যায় কি করা যেতে পারে পরবর্তী সময়ে। কারণ এই ফলাফলেই সবকিছুর শেষ নয়। বরং এখান থেকেই শুরু হবে বড় ধরনের যুদ্ধ ও প্রস্ততি।

বাবা-মায়ের সাথে আলোচনা করা

অপ্রত্যাশিত ফলাফলে শুধু নিজের নয়, সাথে বাবা-মায়েরও মন খারাপ হয়। তাদের সাথে সরাসরি এ বিষয় নিয়ে কথা বললে, আলোচনা করলে ইতিবাচক কোন দিক পাওয়া যাবে। অবশ্যই তাদের অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারি। তাই তাদের পরামর্শ গ্রহণ করলেও উপকার পাওয়া যাবে।

তবে সব কিছুর শেষে একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, নিজেকে শক্ত রাখতে পারলেই উত্তরণ করা যাবে এই পরিস্থিতি থেকে।

আরও পড়ুন: মন ভালো হবে মুহূর্তেই!