ত্বকের সুস্থতায় এসেনশিয়াল অয়েল



ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট/ লাইফস্টাইল
এসেনশিয়াল অয়েল।

এসেনশিয়াল অয়েল।

  • Font increase
  • Font Decrease

ভাবুন তো একবার, সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন মুখের কয়েক স্থানে বেশ কয়েকটি নতুন ব্রণের উঁকিঝুঁকি! তখন কেমন লাগবে আপনার? নিশ্চয় প্রচন্ড বিরক্ত হবেন। মন খারাপও হবে কিছুটা। কেউই চান না নিজের চেহারার মাঝে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন অতিথির আগমন। হুট করেই ব্রণের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া তেমনই এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

কীভাবে এই সমস্যার হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে? সমাধানটি কিন্তু খুবই সহজ। নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে এসেনশিয়াল অয়েল। ব্রণের সমস্যা ও ব্রণের বিরক্তিকর দাগ দূর করতে দারুন উপকারি এই উপাদানটির জুড়ি নেই।

কী এই এসেনশিয়াল অয়েল?

ব্রণের সমস্যা ও ব্রণের দাগ দূর করার ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত পণ্য হলো এসেনশিয়াল অয়েল। বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক লতা, গাছের পাতা, ফুল ও গাছের বাকলের রস থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে এই এসেনশিয়াল অয়েল। যার ফলে এই তেলকে অন্যতম বিশুদ্ধ পণ্য হিসেবে ধরা হয়। এসেনশিয়াল অয়েলে থাকা প্রদাহবিরোধী ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান সমূহ সকল ধরণের ত্বকের জন্য উপকারী। যা ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

আজকের ফিচার থেকে জেনে নিন ব্রণের সমস্যা কমাতে কার্যকরি ও ত্বকের জন্য উপকারী তিনটি এসেনশিয়াল অয়েলের নাম ও ব্যবহার।

টি ট্রি অয়েল

ব্রণের সমস্যায় টি ট্রি অয়েলকে অন্যতম ভালো এসেনশিয়াল অয়েল হিসেবে ধরা হয়। বেশ সহজলভ্য বলে অন্যান্য এসেনশিয়াল অয়েলের মাঝে টি ট্রি অয়েলের চাহিদাও বেশি। ব্যবহারের জন্য কটন বাড কিংবা তুলার প্যাডে অল্প পরিমানে টি ট্রি অয়েল নিয়ে আক্রান্ত স্থানে মাখিয়ে নিতে হবে। কয়েক ঘন্টা পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করলে ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমে যায় অনেকটা। তবে একদিনে একবারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না। এতে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।

ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল

টি ট্রি অয়েলের পর দ্বিতীয় জনপ্রিয় ও সহজলভ্য এসেনশিয়াল অয়েল হলো ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল। এই এসেনশিয়াল অয়েলে রয়েছে প্রশান্তিদায়ক উপাদান। যা ত্বকের লুকায়িত সমস্যা প্রতিরোধ করার পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তি আনতেও সাহায্য করে। তাই ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করতে হবে একটু ভিন্ন ভাবে।

ফুটন্ত গরম পানি একটি বড় পাত্রে নিয়ে তাতে ১০-১২ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে মেশাতে হবে। পানির পাত্রের উপর ঝুঁকে মাথার উপরে একটি ভারি তোয়ালে দিয়ে দিতে হবে। এসেনশিয়াল অয়েলযুক্ত গরম পানির বাস্প নিঃশ্বাসের সাথে গ্রহণ করতে হবে। মিনিট পনের পরে তোয়ালের সাহায্যে মুখ মুছে নিয়ে কাপড়ের সাহায্যে মুখে বরফ লাগাতে হবে।

ল্যাভেন্ডার অয়েলে থাকা অ্যান্টিব্যক্টেরিয়াল উপাদান সমূহ মুখে নতুন ব্রণ দেখা দেওয়ার উপদ্রব কমাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে দুইবার ল্যাভেন্ডার অয়েল ব্যবহার করাই যথেষ্ট।

/uploads/files/eguoKuJO5JpK2Ceez0BR285ZNQKJTH6VGs181d2C.jpeg

বাসিল এসেনশিয়াল অয়েল

বাসিল তথা তুলসী পাতার এসেনশিয়াল অয়েল ত্বকের সমস্যা প্রতিরোধে দারুন উপকারী। সাধারণত ত্বকের যেকোন সমস্যার ক্ষেত্রে তুলসী পাতা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে এই পাতা থেকে তৈরি এসেনশিয়াল অয়েলের গুণাগুণও অনেক। এক গবেষণা থেকে জানানো হয়, বাসিল এসেনশিয়াল অয়েল ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করে। যার ফলে কমে যায় ব্রণের প্রাদুর্ভাব।

বাসিল এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে হবে অ্যালোভেরা জেলের সাথে। দুই চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে দুই ফোঁটা বাসিল এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে পুরো মুখে ভালোভাবে মাখিয়ে নিতে হবে। কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার পর পরিস্কার পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

দ্রুত ও ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন একবার এই মিশ্রনটি ব্যবহার করতে হবে।

ত্বকের ধরণ অনুযায়ী একেকজনের ত্বকে ভিন্ন ভিন্ন এসেনশিয়াল অয়েল বেশি কার্যকরি হয়ে থাকে।

এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহারে অনেকের ক্ষেত্রে দ্রুত ফলাফল দেখা দিলেও, অন্যদের অপেক্ষা করার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। তবে নিয়ম মেনে ও নিয়মিত এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করলে, অবশ্যই ইতিবাচক ফলাফল দেখা দিবে।

   

রমজানে অপচয় করার অভ্যাস ত্যাগ করুন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
টাকার অপচয়

টাকার অপচয়

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে সবচেয়ে পবিত্র মাস। হযরত মোহম্মদ (সা.) এর নির্দেশনায় মুসল্লীগণ রোজা রাখার মাধ্যমে সংযম করেন। এই এক মাস সর্বাঙ্গে আরও ভালো একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার চর্চা করে তারা। অনেকে মনে করেন, রোজার অর্থ শুধু না খেয়ে থাকা। তবে রোজা মূলত সংযম শেখানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়। এই সংযম শুধু খাদ্যের নয়, মনুষ্যের সকল ধরনের নেতিবাচক দিকের।   

অনেকে না জেনেই এমন কিছু কাজ করেন যা রমজান মাসে একদমই করা উচিত নয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো অকারণে টাকা নষ্ট করা। রমজান মাসে পরিপূর্ণভাবে ঈমান রক্ষাকারী কাজই করা উচিত। অপচয় করার অভ্যাস একদমই ভালো নয়। রমজান মাসে অপচয় করা একেবারে কমিয়ে ফেলতে হবে।  

অনেককেই দেখা যায় ইফতারে অনেক বেশি পদের খাবার আয়োজন করার চেষ্টা করেন। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে এখন অনেকেই ইফতারে দামি খাবারের ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে নিজের প্রয়োজনকে সংযত করা আবশ্যক। অপ্রয়োজনে খাবারের পেছনে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করা এবং অতিরিক্ত খাবারের আয়োজন করে তা না খেয়ে নষ্ট করা- দুটোই অপচয় ঘটায়। তাছাড়া, বেশি খাবারের চাহিদার কারণে রান্নার কাজে যা ব্যয় থাকেন তাদের অতিরিক্ত পরিশ্রম হয়। এতে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

এছাড়া সবাই ঈদে সকলেই নতুন পোশাক কেনে। তবে কারো মধ্যে সাধ্যের বাইরে গিয়ে পোশাক কেনা প্রবণতাও দেখা যায়। অনেকে কেনাকাটা করার জন্য শপিংমলে অতিরিক্ত সময় কাটান। রমজান মাস ইবাদত করার মাস। এই সময় যত বেশি সম্ভব ধর্মীয় কাজে এবং মসজিদে সময় কাটানো উচিত।

অনেক মানুষ আছে যারা প্রয়োজনীয় জিনিসও কিনতে পারে না। সম্ভব হলে তাদের সাহায্য করুন। এতে তাদের জীবনও ‍কিছুটা সহজ হবে, আপনারও মানসিক শান্তি মিলবে। 

তথ্যসূত্র: গ্রিণটেক

;

ঈদের ফ্যাশনে দেশীয় পোশাকের সমাহার নিয়ে এলো 'মিরা'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলছে মুসলিম ধর্মাবলম্বী অন্যতম ইবাদতের মাস পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে চলে এসেছে ঈদ উৎসবের আমেজ। প্রস্তুত হচ্ছে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজগুলো হাল ফ্যাশনের পণ্য সম্ভার নিয়ে। প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বাজার ছেয়ে যায় নানারকম বিদেশী পোশাকে। এর ভিড়েও দেশীয় পোশাককে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ও জনপ্রিয় করে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে গুটিকয়েক প্রতিষ্ঠান। তেমনি একটি দেশীয় লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড 'মিরা'।

দেশজ ও পরিবেশবান্ধব সব পণ্য নিয়ে ফ্যাশন হাউজ মিরা ইতোমধ্যেই নজরকাড়তে শুরু করেছে রুচিশীল ও ফ্যাশন সচেতন মানুষের। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে পান্থপথের মোড় কিংবা সাইন্স ল্যাবরেটরির মোড় যে কোন একদিক থেকে গেলেই গ্রিন রোডে কমফোর্ট হাসপাতালের পাশেই ১৬৭/এ নম্বর ভবনের তৃতীয় ফ্লোরে কাজ চলছে মিরা-র প্রথম নিজস্ব আউটলেট এর। সেখানেই কথা হয় মিরা ব্র্যান্ড এর কর্ণধারদের অন্যতম শুভ্রা কর এর সাথে।



শুভ্রা কর বলেন, এবার ঈদ এবং বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ প্রায় একই সময়ে। ঈদ এবং বর্ষবরণ দুটোই খুব বড় উৎসব। তাই এই উৎসবের সময়কে সামনে রেখে মিরা তার সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। কিন্তু এই উৎসবে আয়োজনে দেখা যায় আমাদের বাজার ছেয়ে যায় সব ভিনদেশী পণ্যে। নিজের দেশের তৈরি সুন্দর সব পোশাক, গহনা বা অন্যান্য পণ্য ছেড়ে আমরা বিদেশি পণ্য খুঁজি। অথচ তার চেয়ে মানসম্মত ও সুন্দর কিছু দেশেই পাওয়া যায়, আমরা জানিই না! বিদেশী পণ্যের ভিড়ে মিরা তাই নিয়ে এসেছে দেশীয় সব পণ্য ও ডিজাইনের সমাহার। আমাদের কাছে পাচ্ছেন সঠিক কাউন্টের অথেটিক জামদানি শাড়ি, আমাদের নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনে করা কাপল সেট বা ফ্যামিলি কম্বো। থাকছে হ্যান্ডপেইন্ট এর পাঞ্জাবি, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে তৈরী নিজস্ব ডিজাইনের গহনা, অলঙ্কার। এছাড়া ছোট বড় সবার জন্য টিশার্টও পাচ্ছেন।

'মিরা'র নিজস্ব হ্যান্ডব্লক ডিজাইনের দেশীয় শাড়ি

তিনি বলেন, আমাদের অনেক পণ্য দেখে অনেকে অবাক হন এবং প্রশ্ন করেন যে এগুলো দেশে তৈরি কিনা, কারণ দেশে এত সুন্দর বা ভালো পণ্য তৈরি হয় তাদের ধারণা ছিল না। মিরা-র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের এই নিজস্ব ঐতিহ্য ও শিল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া ও জনপ্রিয় করে তোলা। একইসাথে ফ্যাশনকে যথাসম্ভব পরিবেশবান্ধব রাখা। আমাদের সব পণ্য আমাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধায়নে কারিগর দ্বারা প্রস্তুত করা এবং সেখান থেকেই সংগ্রহ করা এবং মানের দিক থেকে আমরা কোন আপোষ করি না। আমি আশা করবো এদেশের মানুষ আরো বেশি দেশীয় পণ্য ক্রয়ে আগ্রহী হবে এবং উৎসবে আয়োজনে আমাদের নিজস্ব শিল্পকে গর্ব করে সবার কাছে তুলে ধরবে।

মিরা-র যেকোনো পোশাক কিনতে ভিজিট করতে পারেন তাদের ফেসবুক পেজ www.facebook.com/mirabrandbd অথবা ইন্সটাগ্রাম আইডি www.instagram.com/mirabrandbd/-এ। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনে শীঘ্রই মিরা-র প্রথম আউটলেট শুরু হতে যাচ্ছে ঢাকার গ্রিন রোডে।

;

ইস্টার উৎসব ডিম দিয়ে কেন পালিত হয়?



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খ্রিস্টানদের গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ইস্টার। এই উৎসব মৃত্যুপুরীর মধ্য থেকে যিশু খ্রিস্টের পুনরুত্থান উদযাপন করে। গুড ফ্রাইডের পরে তৃতীয় রোববার পালিত হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে যিশু খ্রিস্টের পুনর্জন্ম হয়েছিল এবং তিনি আবার তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ৪০ দিনের জন্য, তারপরে তিনি চিরতরে স্বর্গে চলে গিয়েছিলেন। এ কারণেই ইস্টারকে পুনরুত্থান দিবস বা পুনরুত্থান রোববারও বলা হয়।

ইস্টার উদযাপন

খ্রিস্টান সম্প্রদায় জুড়ে ইস্টারের ঐতিহ্য ব্যাপক। কেউ কেউ এই দিনে যিশুকে অভিনন্দন জানাতে ইস্টারের দিনে ডিম সাজিয়ে থাকেন। কেউ কেউ আবার ইস্টার প্যারেডগুলিতেও অংশগ্রহণ করে থাকেন। আসলে ইস্টারের বেশিরভাগই ছুটি থাকে। কিন্তু যেখানে ছুটি নেই সেখানে তিন ঘণ্টা কাজ বন্ধ থাকে কারণ যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল ৩টার সময়। এছাড়াও ইস্টার সানডে উদযাপনের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষের রাতে গির্জায় জড়ো হয়ে মোমবাতি জ্বালিয়ে রাতভর যিশু খ্রিস্টের নাম এবং তাঁর দেওয়া বাণীকে স্মরণ করেন।

ইস্টারে ডিমের ব্যাপক ভূমিকা

ইস্টার উদযাপনের প্রধান প্রতীক হল ডিম। ইস্টার নবায়ন, উদযাপন, পুনরুজ্জীবন, পৃথিবীতে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের জন্য অগ্রগতির প্রতীক। এই দিনে ডিম সজ্জিত করে একে অপরকে উপহার দেওয়া হয় যা একটি শুভ চিহ্নর ইঙ্গিত দেয়। তাই রঙিন ডিম ছাড়া ইস্টারের মজা নেই। ঐতিহ্যগতভাবে এই ডিম বাবা-মায়েরা লুকিয়ে রাখেন এবং বাচ্চাদের খুঁজে বের করতে হয়। খ্রিস্টধর্মে, ডিম পুনরুত্থানের প্রতীক। এটি বসন্তের সঙ্গে জড়িত।

ইস্টারে ডিমের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে কারণ পাখি প্রথম যেভাবে তার নীড়ে ডিম দেয়। এর পরে, এটি থেকে ছানা বেরিয়ে আসে। এই কারণেই, ডিমকে একটি শুভ স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং ইস্টারের সময় এটি বিশেষ সম্মানের সঙ্গে ব্যবহার করা হয়। কোথাও পেইন্টিং করে, কোথাও অন্যভাবে সাজিয়ে একে অপরকে উপহার হিসেবেও তাই ডিম দেওয়া হয়। রাশিয়া এবং পোল্যান্ডের মতো দেশে, ইস্টার ডিম একটি নতুন জীবনের প্রতীক।

ইস্টারের তারিখ প্রতি বছর পরিবর্তিত হয়। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে ৩১ মার্চ পালিত হবে ইস্টার।

;

যেসব খাবার খেয়ে রোজা ভাঙাবেন



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
স্বাস্থ্যকর ইফতার

স্বাস্থ্যকর ইফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রমজান মাস মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র সময়। সংযমের মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ।

টানা একমাস রোজা রাখার কারণে, শরীর ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করে। তাই সারাদিন রোজা থাকার পর এমন খাবার খাওয়া উচিত, যা সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষেই দূর করে দিতে পারে। জেনে নিন, রোজা ভাঙার সময় যেসব খাবার বেশি উপকারী হতে পারে-

ফল: রোজা ভাঙার সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যা সহজেই হজম করা যাবে। এজন্য ফল একটি ভালো উপকরণ হতে পারে। সারাদিন নির্জলা উপবাসের কারণে শরীরে পানির ঘাটতিও হয়। তাই তরমুজ, আঙ্গুর, আপেল, নাশপাতির মতো ফল খেতে পারেন। এসব ফলে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। তবে টকজাতীয় ফল এড়িয়ে চলাই ভালো।  

ডিম: রোজা রাখার কারণে যে পেশিক্ষয় হয়, সেই ক্ষতিপূরণ করার জন্য ডিম খেতে পারেন। ডিম যেমন প্রোটিনের একটি উত্তম মাধ্য, তেমন খাওয়ার জন্য রান্না করতেও সময় কম লাগে। ডিম অমলেট, মামলেট বা সিদ্ধ যেভাবেই খেতে চান, প্রস্তুত করতে মাত্র কয়েক মিনিট ব্যয় করলেই হয়।

মাছ: মাছে প্রোটিন ছাড়া আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ‘ভিটামিন ডি’ থাকে। তাছাড়া বেশিরভাগ মাছেই পর্যাপ্ত চর্বি থাকে। খাবার তেলের থেকে মাছের থেকে পাওয়া তেল অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হয়। সারাদিন রোজা রাখার পর প্রোটিনের উৎস হিসেবে, মাংসের চেয়ে মাছ উত্তম। বিশেষ করে রেডমিট (গরু, খাসি) খেয়ে একদমই রোজা ভাঙা উচিত নয়। কারণ, এসব হজম করা বেশ কঠিন।

প্রোবায়োটিকস: সারাদিন রোজা রাখার কারণে খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম হয়। তাই অন্ত্রে অস্বাভাবিকা দেখা দিতে পারে। হজমে সমস্যা ছাড়াও অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ইফতারে প্রোবায়োটিকস সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। যেমন- দই, কম্বুচা ইত্যাদি।  

অ্যাভোকাডো: অ্যাভোকাডো একপ্রকার বিদেশী ফল। এটি অনেক নরম হয়, তাই সহজেই হজমযোগ্য। একটু খাওয়ার নারকেল তেল বা জলপাই তেলের সাথে এই ফল খাওয়া যেতে পারে।

সবজি: রোজা রেখে ফল এবং সবজি খাওয়া অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে ফুলকপি, ব্রকলির মতো ফল রোজার পর অধিক কার্যকরী হতে পারে।   

তথ্যসূত্র: ফেয়ারপ্রাইস

;