আর নয় জ্যামে বসে সময় নষ্ট!
জ্যামের শহর ঢাকা।
একদম ভোরবেলা ও নিঝুম রাত ছাড়া জ্যামের হাত থেকে নিস্তার নেই কারোর। জ্যামের কারণে আধা ঘন্টার রাস্তা পাড়ি দিতে হয় দুই ঘন্টায়। নিরুপায় হয়েই জ্যাম ঠেলে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে পৌঁছাতে হয় সবাইকে।
তার উপরে যদি বৃষ্টির আনাগোনা দেখা দেয়, তাহলে তো কথাই নেই। জ্যামের মাত্রা বেড়ে অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়। নিজস্ব গাড়ি, মোটরসাইকেল কিংবা সাইকেল খুব কম মানুষের থাকে। ফলে পাবলিক বাস, লেগুনা ও রিকশাই ভরসা।
গাদাগাদি বাসের ভিড়ের ভেতর দমবদ্ধ পরিবেশে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নষ্ট হওয়ার ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক। যেখানে প্রতিটা মুহূর্ত অমূল্য, সেখানে জ্যামে বসে এতোগুলো সময় নষ্ট করাটা হবে বোকামি। জ্যামে বসে কীভাবে সময়কে কাজে লাগানো সম্ভব সেটা জানাতেই তৈরি করা হয়েছে আজকের ফিচারটি।
আরও পড়ুন: শহুরে জীবনে শখের বাগান!
জ্যামে বসে থাকার সময় প্রথমেই মাথায় আসবে গান শোনার কথা। এই কাজটিই বেশিরভাগ মানুষ করে থাকেন। গান শোনার জন্য সাময়িক ভালো লাগা কাজ করলেও একটা সময় পর বিরক্তিবোধ কাজ করে।
সেক্ষেত্রে গল্পের বই কিংবা পড়ার বই পড়া শুরু করতে পারেন। অনেকেই জ্যামে বসে থেকে একটি সম্পূর্ণ গল্পের বই পড়ে শেষ করে ফেলেন। এই অভ্যাসটি কিন্তু দারুণ উপকারী।
গান শোনা ও বই পড়া খুব সাধারণ কার্যাবলীর মধ্যে পড়ে যায়। ব্যতিক্রম কি হতে পারে! জ্যামে বসে একটু ভিন্ন কিছু করার ক্ষেত্রে মোবাইলের বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যাপের সাহায্যে ভিনদেশী ভাষা শেখা শুরু করা যেতে পারে। ইংলিশ, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, জার্মান, ইটালিয়ান, কোরিয়ান, জাপানিজ, চায়নিজ ভাষা শেখার জন্য দারুণ অ্যাপস পাওয়া যাবে প্লে স্টোরেই।
আরও পড়ুন: জীবাণু দ্বারা প্রভাবিত হয় আমাদের আবেগ ও আচরণ!
পাশাপাশি ব্রেইনের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়ক বিভিন্ন ধরণের পাজল গেমও পাওয়া যায় প্লে স্টোরে। ক্যান্ডি ক্রাশের মতো বাচ্চাদের গেম নয়, রিয়েল পাজল গেমের কথা বলা হচ্ছে এখানে। ম্যাথ পাজল, মেইজ পাজল, ওয়ার্ড পাজল, জিগস পাজল, ব্লক পাজল, লাইন পাজলের মতো ব্রেইন গেমগুলো খুবই চমৎকার।
গেম যদি আকর্ষণ না করে তবে জ্যামে বসে দেখতে পারেন কিছু প্রয়োজনীয়, তথ্যনির্ভর ভিডিও। ইন্টারনেটের এই যুগে ইউটিউব এখন সহজলভ্য। ইউটিউবের বেশ কিছু মানসম্মত চ্যানেল উপকারী টিউটোরিয়াল বানিয়ে থাকে। নিজের আগ্রহ অনুযায়ী এমন উপকারী কিছু ভিডিও দেখলে জ্যামে বসে থাকার সময়টা নষ্ট হবে না।
আরও পড়ুন: শিশুর নিরাপত্তায় আপনি কতটা সতর্ক
মোবাইল ব্যবহারে যদি আগ্রহ না থাকে অথবা মোবাইলে যদি চার্জ বেশি না থাকে, তবে জ্যামে বসে থাকার সময়ে পরিকল্পনা করতে পারেন । কিসের পরিকল্পনা? নিজের ক্লাস, টিউশনি, পড়ার সময়, অফিস, মিটিং, অফিসে কাজ, ঘরের কাজ, প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার লিস্ট প্রভৃতি। এতে করে সময়টা কাজে লাগবে।
আর সবকিছুর শেষে যা করতে পারেন, কোন আত্মীয় বা বন্ধুকে ফোন দিয়ে কথা বলতে পারেন। সারাদিন পর বাসায় ফিরে ক্লান্তিতে মোবাইল ফোনে কথা বলতে একেবারেই ইচ্ছা হয় না। জ্যামে অহেতুক বসে না থেকে এমন কাউকে ফোনকল দিন যার সাথে কথা হয়নি অনেকদিন। এতে যোগাযোগটা অটুট থাকবে, সময়টাও যথাযথভাবে ব্যবহৃত হবে।