আদালত প্রাঙ্গণে কমছে না ভিড়, বাড়ছে করোনা ঝুঁকি

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
আদালত প্রাঙ্গণে মাস্ক পরিহিত লোকজন কম, ছবি: বার্তা২৪.কম

আদালত প্রাঙ্গণে মাস্ক পরিহিত লোকজন কম, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ ও সচেতনতা সৃষ্টিতে রংপুরে সব ধরনের বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু নগরীতে থেমে নেই লোকসমাগম। সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক-বীমা, রেজিস্ট্রি অফিসসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিশেষ করে জনসমাগম স্থলগুলোর অন্যতম একটি আদালত প্রাঙ্গণ। আইনি সেবা প্রত্যাশী হাজারো মানুষের ভিড় এখানকার প্রতিদিনের চিত্র। তবে করোনাভাইরাস আতঙ্কে সচেতন মানুষের উপস্থিতি কিছুটা কমলেও আদালত চত্বরে বন্ধ হয়নি মানুষের হিড়িক। এতে বাড়ছে করোনা সংক্রমণে আক্রান্তের ঝুঁকি।

সচেতন মহলের দাবি, উদ্ভূত পরিস্থিতি হওয়ার আগেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ রাখা উচিত। তা না হলে আক্রান্তের ঝুঁকি থাকছেই।

অন্যদিকে, আইনজীবীরাও বলেছেন, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করলেও জনমনে আতঙ্ক ও উদ্বেগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে সুরক্ষার স্বার্থে আদালত প্রাঙ্গণও বন্ধ ঘোষণা জরুরি।

রংপুর আদালত চত্বরে আইনজীবীদের বসার স্থানে উপচে পড়া ভিড়

সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, রংপুর আদালত প্রাঙ্গণে সহস্রাধিক মানুষের উপস্থিতি। যাদের বেশিরভাগই গ্রাম-গঞ্জ থেকে আসা। সেবা প্রত্যাশী এসব মানুষের ভিড়, আর ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকাটা নিরাপদ মনে করছে না কেউই। কিছু মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও হরহামেশাই ঘোরা ফেরা করছে হাঁচি, কাশি ও সর্দি আক্রান্ত অনেকে।

আদালত প্রাঙ্গণে থাকা চা-বিস্কুট ও পান-সিগারেটের দোকানগুলোতেও আছে উপচে পড়া ভিড়। পরিস্থিতি এমন যেন করোনা আতঙ্কমুক্ত এলাকা। অথচ সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এতো লোকের সমাগম কোনো মতেই নিরাপদ নয়।

আদালত প্রাঙ্গণে আইনি সেবা নিতে আসা বদরগঞ্জের আবুল মিয়ার সঙ্গে কথা হয়। তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আইজ কেসের ডেট পড়ছে। না আসি উপায় নাই। হামার মনোত করোনার চ্যায়া আইনের প্যাঁচের ভয় বেশি। আদালত বন্ধ ওইলে তো ভালোয় হয়। কিন্তু সরকার তো বন্ধ করে নাই। এই জনতে মাইনসের ভিড়ও কমে নাই।’

সুমাইয়া পারভীন নামে আরেক সেবা প্রত্যাশী বলেন, ‘আমি সচেতন। মাস্ক পড়ে বের হয়েছি। কিন্তু পুরো আদালত প্রাঙ্গণ দেখে তো মনে ভয় হচ্ছে। এখানে ভালোভাবে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা নেই। করোনাভাইরাস রোধে জনসমাগম এড়াতে কোনো নির্দেশনা নেই। এমন পরিস্থিতিতে ঝুঁকি থাকছেই।’

রংপুর আদালত চত্বরে বসে আছে আইনি সেবা প্রত্যাশী কিছু মানুষ

এ বিষয়ে শিক্ষানবিশ আইনজীবী ওসমান গণি শুভ্র বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আদালতে শুধু জরুরি মামলার জামিন শুনানি চলছে। আগের চেয়ে এখন তেমন উপস্থিতি নেই।’

অন্যদিকে আরেক আইনজীবী পলাশ কান্তি নাগ বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা আছে, কিন্তু আদালত প্রাঙ্গণে তো লোকজন কমছে না। দিন দিন করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় সবার মধ্যে একধরনের ঝুঁকি রয়েছে। তাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আপাতত আদালতের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা দেওয়াটা জরুরি।’

এ ব্যাপারে জানতে রংপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আইনজীবী আব্দুল মালেকের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।

   

আম-রেশমের দেশে জারুলের মায়াবী ছোঁয়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর আমের মিষ্টতা ও রেশমের মৃদু ছোঁয়া ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। সেখানে জারুল ফুল নতুন এক মায়াজাল রচনা করেছে। মুক্তাধারা খ্যাত এই শহরের বুকে এখন জারুলের নীলাভ আভা এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করেছে। পথে পথে, অলি-গলি জুড়ে, জারুলের ফুলের বিচিত্র নীল থেকে গাঢ় নীল রঙের খেলা রাজশাহীকে এক অন্যরকম সৌন্দর্যের আঁচলে মুড়ে দিয়েছে।

এই সৌন্দর্য কেবল চোখ ধাঁধানো নয়, মনের গভীরে এক স্নিগ্ধ আনন্দের স্পর্শ রেখে যায়। যেখানে আম ও রেশমের জন্য বিখ্যাত সেই রাজশাহী, এখন জারুলের নীলিমায় আচ্ছাদিত, এক নতুন আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

জারুল ফুল সৌন্দর্য ও সুগন্ধে মুগ্ধ করে রাখে প্রকৃতিপ্রেমীদের। বসন্তের শুরু থেকে গ্রীষ্মের প্রান্তে এই ফুল তার পূর্ণ যৌবনে পৌঁছায়।

রাজশাহীর বিভিন্ন পার্ক, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রাস্তার ধারে এবং বাড়ির আঙিনায় জারুলের ছোঁয়া এখন এক স্বাভাবিক দৃশ্য। শহরের মানুষেরা জানায়, জারুলের এই স্নিগ্ধ উপস্থিতি তাদের মনে এক শান্তির অনুভূতি জাগায়, যা দৈনন্দিন হাসপাশের কোলাহল থেকে এক মুক্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে।

পরিবেশবিদ ও উদ্যানতত্ত্ববিদেরা মনে করেন, জারুলের এই ব্যাপক বিস্তার শহরের জলবায়ু ও বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি বায়োডাইভার্সিটি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

রাজশাহী শহরের মানুষের জীবনে এক স্নিগ্ধ অধ্যায়ের সংযোজন করেছে জারুল ফুল

শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জারুলের অপরূপ দৃশ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক অধ্যায়ের এক নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। ফটোগ্রাফার ও পর্যটকদের কাছে এখন এটি এক আকর্ষণের কেন্দ্র। তারা জানায়, জারুলের এই অপূর্ব সৌন্দর্য তাদের ক্যামেরার লেন্সে ধরা দেয় এক ভিন্ন মাত্রা।

রাজশাহী শহরের মানুষের জীবনে এক স্নিগ্ধ অধ্যায়ের সংযোজন করেছে এ ফুল। জারুলের মোহময় ছোঁয়া এখানকার পথে পথে বেড়ে উঠা সৌন্দর্যকে আরো বিশেষ করে তুলেছে, যা রাজশাহীর মুখ চেনায় নতুন এক পরিচয়ে। এই সমৃদ্ধ ভূমি এবার নতুন এক আকর্ষণে মোড়ানো— জারুলের ফুলের মায়াবী ছোঁয়া।

জারুলের নীল আভায় মুগ্ধ হয়ে কবি আহসান হাবীব তার "স্বদেশ" কবিতায় জারুলের প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, মনের কোনায় খুশির আলো জ্বলে ওঠে, তখন এক অনন্য চিত্র আঁকি— এক পাশে বিশাল জারুল গাছ, তার ডালে দুটি হলুদ পাখি।

শুধু আহসান হাবীব নন, 'রূপসী বাংলার কবি' জীবনানন্দ দাশও তার কবিতায় জারুলের শিল্পময় রূপকে জীবন্ত করে তুলেছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দুপুর-চিল একা নদীটির পাশে, জারুল গাছের ডালে বসে বসে চেয়ে থাকে ওপারের দিকে।’ এই কবিতার বন্দনার মতোই জারুল ফুলের মায়াবী সৌন্দর্য রাজশাহীর পথে পথে, প্রান্তরে প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে, শহরটিকে এক নতুন রূপ দান করে।

নগরীর রেলগেট থেকে ঐতিহ্য চত্বর পর্যন্ত এবং বাইপাস সড়কের দ্বীপাংশে জারুল ফুলের শোভা চোখ ধাঁধানো। এ পথ দিয়ে যাতায়াতকারীরা এই মনোরম দৃশ্যের মোহে বিমোহিত, যা তাদের চোখে মুখে প্রকাশ পায়।

অফিস শেষে এই পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছেলেন আলফাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে আমি এক অনন্য সুখ অনুভব করি। অফিসের পরিশ্রম যেন এই পথের মায়াজালে মিলিয়ে যায়। জারুলের ফুলের সৌন্দর্য সত্যিই অনুপম। মনে হয়, এগুলো বাড়ি নিয়ে যাই।

এদিকে দেশসেরা রাজশাহী কলেজের সর্বত্র জারুল ফুলের আধিক্য দেখা যায়, যা শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের চোখ জুড়ায়।

রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ঐশি ইসলাম বলেন, রাজশাহী কলেজের ফুলের বাগানে জারুলের বিশেষ সমাহার অন্য এক প্রশান্তি এনে দেয়। বিশেষ করে নতুন লাগানো চারা গাছগুলোতে ফুটে ওঠা ফুল আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে।

রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, জারুল ফুলের এই সৌন্দর্য শুধু চোখ ধাঁধানো নয়, এর মাধ্যমে রাজশাহী শহরের পরিবেশগত মান ও বৈচিত্র্যময়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জারুল ফুল পরিবেশ বান্ধব একটি উদ্ভিদ এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নগরীর আবহাওয়া ও পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়াও, জারুল ফুল বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রজাপতিদের আকর্ষণ করে, যা পরিবেশগত বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পার্ক ও রাস্তাঘাটে জারুল ফুলের ব্যবহার শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় দ্বিগুণ ভূমিকা রাখছে। এটি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করছে।

ড. মো. রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, গ্রীষ্মের আগমনে জারুল ফুল তার বেগুনি রঙের প্রকোপ দেখায়, গ্রীষ্ম থেকে শরৎ পর্যন্ত তার সৌন্দর্য বিরাজ করে। এই মাঝারি উচ্চতার গাছের প্রতিটির বৈজ্ঞানিক নাম ও পরিচয় শিক্ষার্থীদের জানার সুযোগ করে দেয়। জারুলের বীজ, ছাল, এবং পাতা ডায়াবেটিস, জ্বর, অনিদ্রা, কাশি, ও অজীর্ণতায় কার্যকরী, যা একে শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং এক অমূল্য ঔষধি গাছে পরিণত করে।

 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

মে মাসের মাঝামাঝিতে চট্টগ্রাম পৌঁছাবে এমভি আবদুল্লাহ!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহ আগামী মাসের মধ্যেভাগে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে পারে। আরব আমিরাতে অবস্থান করা জাহাজটি হামরিয়া বন্দরে পণ্য খালাস করে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মিনা সাকার নামে আরেকটি বন্দরের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। সেখান থেকে নতুন করে পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওয়ানা হবে। দেশে পৌঁছতে সময় লাগতে পারে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ২৩ নাবিকই জাহাজে করে ফিরবেন। তবে চট্টগ্রামে ফিরতে তাঁদের মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিও সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মি করার ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে ২১ এপ্রিল বিকেলে। সেখানে কয়লা খালাস শেষে নতুন করে পণ্য নিতে মিনা সাকারে যাচ্ছে জাহাজটি। এরপরই অপেক্ষা ফুরাবে নাবিক ও তাঁদের পরিবারের। স্বদেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন নাবিকেরা।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

বনানীতে বাসে আগুন, আহত সেই মোটরসাইকেল চালক মারা গেছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাসের নিচে ঢুকে পরা মোটরসাইকেলটির চালক মারা গেছেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে শ্যামলির স্পেশালাইজড হাসপাতালে মারা যান তিনি।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাহান হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, নিহত মোটরসাইকেল চালকের নাম পরিচয় জানা যায়নি। থানা থেকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে স্পেশালাইজড হাসপাতালে।

শনিবার দুপুরে বনানী এলাকায় নৌ বাহিনীর সদর দপ্তরের সামনে বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসের নিচে চলন্ত মোটরসাইকেল ঢুকে পরায় আগুন ধরে যায় বাসটিতে। এ সময় আতহ চালককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয় পথচারীরা। তবে ঘটনার পর থেকে আহত মোটরসাইকেল চালকের সন্ধান পাচ্ছিল না পুলিশ।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর সাদ্দাম মার্কেটের সামনে বাসের ধাক্কায়  এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। নিহত মোহাম্মদ নোমান মোল্লা (৩৫) কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার একতা গ্রামের নুরুজ্জামান মোল্লার ছেলে। তিনি মাতুয়াইল মেডিকেল মহিলা মাদ্রাসার পাশে ভাড়া থাকতেন।

শনিবার (২৭এপ্রিল) রাত পৌনে এগারোটার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ

হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নোমান মোল্লাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী রাজু বলেছেন, আজ রাতের দিকে ওই যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় দ্রুত গতির একটি যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায় ওই আর বেঁচে নেই।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;