৫ম দিনে মমেকে ৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ল্যাব

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের ল্যাব

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের (মমেক) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে স্থাপিত পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্তে নতুন করে ৩৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

ল্যাবের কার্যক্রম শুরুর পঞ্চম দিনে পাওয়া এই নমুনাগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার ফল জানা যাবে সোমবার।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে মমেক হাসপাতালের অধ্যক্ষ ও প্রফেসর চিত্তরঞ্জন দেবনাথ বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, এদিন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোট ৩৩ জনের নমুনা এসেছে। ল্যাবে দায়িত্বরত চিকিৎসক ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টরা নমুনাগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছেন।

এনিয়ে পাঁচদিনে মমেকে মোট ১১৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চারদিনে ৮০ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পিসিআর ল্যাবের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে সবার রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া গেছে বলে জানান অধ্যক্ষ চিত্তরঞ্জন দেবনাথ।

   

গাইবান্ধায় অদম্য এক 'মা' মরিয়ম



মাসুম বিল্লাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
গাইবান্ধায় অদম্য এক 'মা' মরিয়ম

গাইবান্ধায় অদম্য এক 'মা' মরিয়ম

  • Font increase
  • Font Decrease

ছেলের বয়স যখন দুই বছর সাত মাস, তখন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় স্বামী। হঠাৎ আলোর সংসারে নেমে আসে অমাবস্যার ঘোর অন্ধকার। একদিকে অবুঝ শিশু সন্তান, অপরদিকে নিজের বয়স কেবল আঠারোতে পড়েছে। এমন সময় ঝড়ে দুমড়ে-মুচড়ে যান তিনি। ঘোর অন্ধকারে তখন তার জীবনের একপাশে কুপির মতো আলো দিতে থাকে বাবা।

শিশু সন্তানের সঙ্গী হয়ে জীবন সংসার পার করার প্রত্যয় নিয়ে পথ চলা শুরু করেন তিনি। কিন্তু কি নিয়তি! তিন বছরের মাথায় মারা যান সেই অবলম্বন বাবাও। তবে, সব হারিয়েও দমে যাননি তিনি। স্বামীর রেখে যাওয়া জমিতে নিজ হাতে করেছেন চাষাবাদ। দীর্ঘ ৫ কিমি পথ হেঁটে আয়ার কাজ করেছেন ক্লিনিকে। হারতে নারাজ তিনি, বরং নিয়তি, মন এবং বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ করে টিকে আছেন সমাজে। মানুষ করছেন সন্তানকেও। একাকী মায়ের প্রবল পরিশ্রম এবং প্রচণ্ড প্রচেষ্টায় সেই দুই বছর সাত মাসের বাবা হারা অবুঝ শিশু এখন সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট কুড়িগ্রামের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

এ গল্প মোছাম্মৎ মরিয়ম বেগম (৪১) ও তার সংগ্রামী জীবনের।


আজ এই মা দিবসে সকল মায়েদের প্রতি অতল শ্রদ্ধা জানিয়ে এমনি এক অদম্য মায়ের সংগ্রামী জীবনের গল্প তুলে এনেছেন বার্তা২৪.কমের গাইবান্ধার করেসপন্ডেন্ট।

মোছাম্মৎ মরিয়ম বেগম (৪১)। বাবা মরহুম করিম মুন্সি। বাবার বাড়ি গাইবান্ধার পৌর এলাকার তিনগাছ তলা নামক এলাকায়। আট ভাই-বোনের মধ্যে তৃতীয় মরিয়ম। অষ্টম শ্রেণিতে পড়াশোনা অবস্থায় একই জেলার সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের পশ্চিম হরিপুর গ্রামের মৃত সমেশ উদ্দিনের ছেলে নুরুজ্জামানের সাথে বিয়ে হয় মরিয়মের। বিয়ের দেড় বছরের দিকে ঘরে আসে এক পুত্র সন্তান। যার নাম রাখা হয় মনোয়ার হোসেন মিজান।

কৃষক পরিবারে সন্তান নুরুজ্জামান সব ধরনের কাজই করতেন। যা নিয়ে সুখেই কাটছিল নুরুজ্জামান-মরিয়ম দম্পতির জীবন। কিন্তু মাত্র চার বছরের সংসারই সয়নি মরিয়মের কপালে। হঠাৎ প্রবল ঝড়ে কিডনি, ফুসফুস নষ্ট হয়ে রংপুরের চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় চিকিৎসা করাতে নিয়েই যাওয়ার পথেই ২০০৩ সালে ১৭ অগ্রহায়ণ জেলার ঢোলভাঙ্গা নামক স্থানে গাড়িতেই মৃত্যু বরণ করে নুরুজ্জামান।


স্বামী নুরুজ্জামানের সাথে মাত্র চার বছরের সংসারের ইতি টানতে টানতেও যেন শেষ করতে পারেনি 'মা' মরিয়ম। একমাত্র সন্তান মিজানের মুখপানে চেয়ে বারবার ভেঙ্গেছে হৃদয়। অগণিত সময় পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে দু'চোখ। হাজারো সুযোগ আসলেও কেবল সন্তানের কারণেই ঘর পাল্টাতে পারেনি অবলা এই নারী।

মন্দ ভাগ্যে যুবতী বয়সেই 'বিধবা মরিয়ম':

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মরিয়মের বিয়ে হয় মাত্র ১৪ বছর বয়সে। সংসার জীবনের চার বছরের মাথায় রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় স্বামী। মাত্র ১৮ বছর বয়সে নামের সাথে যোগ হয় বিধবা শব্দটি। স্বামী হারিয়ে ১৮ বছর বয়সেই ভাগ্য দোষে যুবতী মরিয়ম থেকে হতে হয়েছে বিধবা মরিয়ম।

সন্তানকে নিয়ে একাকী জীবন সংগ্রামে মরিয়ম:

কিডনি-ফুসফুসসহ শরীরের বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত স্বামীর চিকিৎসা করাতে গিয়ে আবাদি জমি, গাছপালা ঘরের যতটুকু ধান ছিল সবই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু মৃত্যু নামক দানব ছেড়ে যায়নি স্বামী নুরুজ্জামানকে। তাকে তো নিয়ে গেছেই সাথে নিঃস্বও হতে হয়েছে মরিয়মকে। পরে কেবল স্বামীর স্মৃতি আর একমাত্র সন্তানকে সঙ্গী করে জীবন সংসার পারি দেওয়ার স্বপ্ন বোনে মরিয়ম। এসময় আসহায়-বিধবা মরিয়মের পাশে কুপির মতো আলো দিতে থাকে সোনালী ব্যাংকের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী বাবা। কিন্তু ‘অভাগা যেদিকে যায়, সাগরও শুকিয়ে যায়।’ এর তিন বছরের মাথায় মারা যায় শেষ অবলম্বন বাবাও।

এদিকে সন্তান মিজানের বয়স ছয় বছর ছুঁইছুঁই। বাবার মৃত্যুর আগেই কিনডার গার্ডেনে পড়ানোর ইচ্ছা ছিল মরিয়মের। কিন্তু অর্থাভাবে মিজানকে ভর্তি করে দেওয়া হয় রামচন্দ্রপুর ব্র্যাক স্কুলে।

স্বামীর পর বাবার মৃত্যুতে চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে বিধবা মরিয়ম। এবার ঘুরে দাঁড়াতে চান তিনি। কেননা, হারলে মরিয়মদের চলে না। দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় সন্তানকে মানুষ করতে ঘর থেকে বের হন বাহিরে। স্বামীর রেখে যাওয়া ১২ শতাংশ জমিতে ফসল ফলান নিজ হাতে। পালন করেন হাঁস-মুরগি। এরপরে গাইবান্ধার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে আয়ার কাজও নেন তিনি।

একমাত্র ছেলেকে ঘিরেই যত স্বপ্ন, সংগ্রাম:

একমাত্র সন্তানকে কেজি স্কুলে (কিনডার গার্ডেন) পড়ানোর স্বপ্ন থাকলেও টাকার অভাবে ফরম তুলেও স্কুলে ভর্তি করাতে পারেনি। কিন্তু ছেলেকে কেজি স্কুলে পড়ানোর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। গাইবান্ধার একটি ক্লিনিকে ৩ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নিয়ে ২০১৪ সালে ছেলেকে জেলার উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত 'কল্পলতা স্কুল এন্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করে দেন মরিয়ম। স্বপ্ন দেখেন ছেলে একদিন অনেক বড় চাকরি করবে, দুঃখ ঘুচাবে মায়ের। কিন্তু সেখানে ভর্তি করে দেওয়ার পর আর্থিক খরচ দ্বিগুণ হয়। যা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। তবে দমে যাননি তিনি।

সন্তানের জন্য খেয়ে-না খেয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করে তার পড়া লেখায় কোনো ঘাটতি হওয়ার সুযোগ দেয়নি বিধবা মরিয়ম। এই টানা পোড়েনের মাঝেই গাইবান্ধার একটি প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এসকেএস স্কুল এন্ড কলেজে আয়া পদে ৮ হাজার টাকা বেতনে চাকরি পায় মরিয়ম। তখন সন্তানের পড়ালেখার খরচের খানিকটা চিন্তামুক্ত হন তিনি। পরে মিজান একই প্রতিষ্ঠান থেকে জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) পাশ করে গাইবান্ধার সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২০১৯ সালে এসএসসি, একই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালে এইচএসসি পাশ করে। পরে ২০২৩ সালে মেধাতালিকায়র কুড়িগ্রাম সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তির সুযোগ পায়।

মরিয়মের দিন বদলের স্বপ্নে অঙ্কুর গজিয়েছে কেবল:

বাবা হারা মিজান যেদিন সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তির সুযোগ পায়, সেদিন মরিয়মের মতো সুখী বুঝি পৃথিবীতে কেউ ছিল না। স্বপ্ন পূরণের পথে একধাপ এগিয়েছে তার ছেলে। এখন ভরসা হচ্ছে ছেলে একদিন বড় হবেই, মায়ের কষ্ট ঘুচাবে। এ যেন মরিয়মের দিন বদলের স্বপ্নে অঙ্কুর গজিয়েছে কেবল। এর থেকেই একদিন ফুল হবে, হবে ফলও। সেই প্রত্যাশায় দিন গুনছেন তিনি।

বার্তা২৪.কম-কে একান্ত সাক্ষাৎকারে মরিয়ম বলেন, 'জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। ছোট্ট ছেলেটাকে জমির আইলে বসিয়ে রেখে ধানের বেছন (চারা) তুলেছি। ধান কেটেছি, মাড়াই করেছি। ছেলেটা কাঁদতে কাঁদতে অস্থির হয়েছিল, ভাত পাইনি। এসময় হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন মরিয়ম। এসময় কান্নায় বেশ কিছুক্ষণ স্বাভাবিক হতে পারেননি তিনি।

পরে স্মৃতিচারণ করে কান্না জড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ওকে (ছেলেকে) কেজি স্কুলের ভর্তি ফরম নিয়ে আসার পরেও এক হাজার টাকার জন্য ভর্তি করতে পারিনি। বাবার কাছে টাকা চেয়েছিলাম, পাইনি। বাধ্য হয়ে ব্র্যাকে পড়িয়েছি।

পাঁচ কিলোমিটার রাস্তা হেঁটে ক্লিনিকে চাকরি করে ভাল স্কুলে পড়িয়েছি। এখনও কষ্ট করছি। এখন এসকেএস এনজিও'র স্কুলে ৮ হাজার টাকা বেতনে আয়া পদে চাকরি করছি। চাকরির বয়স সাত বছর হয়ে গেল। এই টাকায় অন্য কিছুই করতে পারি না। সবই ছেলেটার পিছনে খরচ হয়। হোক, তবুও আমি হারবো না, আসলে মায়েরা হারতে জানে না।

আমার সব স্বপ্ন ওকে নিয়েই। চোখ ভরা পানি নিয়ে তিনি বলেন, মাত্র ১৮ বছর বয়সে স্বামীকে হারিয়েছি, তখন থেকেই বিধবা। মন্দভাগ্য যুবতী বয়সেই বিধবা হলাম। ছেলেটার বয়স তখন দুই বছর সাত মাস। জীবনে অনেক প্রস্তাব এসেছিল কিন্তু ছেলেটার দিকে তাকিয়ে অন্য কিছুই ভাবতে পারিনি।

মায়ের মতই ছেলের ভাবনাও:

যাকে ঘিরে মরিয়মের এত স্বপ্ন সেই সন্তানের ভাবনায় কী? তা জানতে ছেলে মিজান বলেন, তার ভাবনাও ঠিক মা মরিয়মের মতই।


ম্যাসেঞ্জারে এক প্রশ্নের উত্তরে মিজান লিখে পাঠান- প্রত্যেকটি পরিবারে রোজগার করে বাবারা, কিন্তু আমার ক্ষেত্রে পুরাই ছিল ভিন্ন। ছোটবেলায় বাবা মারা যায় তখন থেকে মা রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দিনরাত এক করে দু'মুঠো ভাত তুলে দিতো আমার মুখে।

মাই আমার সব, বাবাও আমার মাই। মা আমাকে কখনো বাবার অভাব বুঝতে দেয়নি। মা আমার আগামী দিনের পথ চলার আলোকবর্তিকা। মা আমার অন্ধকারের আলো। মাকে নিয়ে আমি খুব গর্ব করি। মাকে নিয়ে আমি স্বপ্ন দেখি। একদিন বড় হবো, চাকরি করবো। মায়ের সকল দুঃখ মুছে যাবে। মায়ের স্বপ্নইতো আমার স্বপ্ন। আল্লাহ যেন আমার মাকে হাজার বছর বেঁচে রাখেন।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য কামাল হোসেন বলেন, অল্প বয়সে বিধবা হয়ে শিশু সন্তানকে মানুষ করতে ওই নারী অনেক সংগ্রাম করেছেন, আজও করছেন। তার এই সংগ্রাম দেশে উদাহরণ হতে পারে। আমি আজ মা দিবসে তাকে একজন সংগ্রামী মা হিসেবে স্যালুট জানাই।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

রানওয়ের বৈদ্যুতিক লাইনে শর্ট সার্কিট, সৈয়দপুরে বিমান উঠানামা বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে রানওয়েতে বৈদ্যুতিক তারে শর্ট সার্কিটের কারনে প্রায় চার ঘন্টা ধরে উড়োজাহাজ উঠানামা বন্ধ রয়েছে। ৬টার পর থেকে উড়োজাহাজ উঠানামা বন্ধ রয়েছে।

রোববার (১২ মে) রাত ১০টা ২০ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ।

তিনি বলেন, রানওয়ের বৈদ্যুতিক লাইনে শর্ট সার্কিটের কারণ সন্ধ্যার পর থেকে বিমান চলাচল বন্ধ হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া ফ্লাইট গুলার মধ্যে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংল ও নভোএয়ারের একটি করে ফ্লাইট রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত বিমান চলাচল স্বাভাবিক করার।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

আরকান আর্মির গুলিতে প্রাণ গেল বাংলাদেশি যুবকের



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবান জেলার নাইক্ষ‌্যংছড়িতে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির গুলিতে আবুল কালাম (২৮) নামে এক বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নিহত আবুল কালাম (২৮) নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ড বামহাতির ছড়া গ্রামের মৃত বদিউজ্জামানের ছেলে।

রোববার (১২ মে) সকালে ৯টায় নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ৪৮ নম্বর সীমান্ত পিলারের ওপারে মিয়ানমারের ছেলির ঢালা নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শামশুল আলম। তিনি বলেন, আমার ওয়ার্ডের বামহাতির ছড়া এলাকার একব্যক্তিকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জেনেছি। তার লাশ দেশে ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।

স্থানীয়রা জানান, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তপথে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে গরু এনে ব্যবসা করতেন আবুল কালাম। অন্যান্য সময়ের মতো এবারও গরু আনতে সীমান্তের ৪৮ নম্বর পিলারের প্রায় দুই কিলোমিটার ভেতরে মিয়ানমারের ছেলির ঢালা নামক এলাকায় যান তিনি।

সেখানে মিয়ানমারের স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে কোনো বিষয়ে বনিবনা না হওয়ায় কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে বাংলাদেশি যুবকের মাথায় গুলি করে বিদ্রোহী সংগঠনের একজন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাংলাদেশি যুবক আবুল কালামের। লাশটি সীমান্তের ওপারেই পড়ে আছে এখনো।

এ প্রসঙ্গে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মরিয়ম আক্তার জানান, সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশী যুবকের মৃত্যুর কোনো অভিযোগ এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যদের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

মা-মেয়ে একত্রে এসএসসি পাশ, এলাকায় উৎসব



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মা-মেয়ে একত্রে এসএসসি পাশ

মা-মেয়ে একত্রে এসএসসি পাশ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় মা ও মেয়ে একসাথে এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছে। ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে দুজনই কৃতিত্ব অর্জন করেন। এনিয়ে এলাকায় চলছে উৎসবের আমেজ।

ঘটনাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের। এই গৃহবধূর নাম নূরুন্নাহার বেগম। তিনি নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের কাঠাঁলকান্দি গ্রামের মো. ফরিদ মিয়ার মেয়ে। তিনি ২০২৪ সালে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট পেয়ে কৃতকার্য হয়েছে।

অপর দিকে তার মেয়ে চাতলপাড় ওয়াজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মানবিক বিভাগে ২ দশমিক ৬৭ পয়েন্ট নিয়ে কৃতকার্য হয়েছেন। এনিয়ে এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

নুরুন্নাহার বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ছোট বেলায় খুব ইচ্ছে ছিল পড়ালেখা করে মানুষের মতো মানুষ হবো। কিন্তু ছোট বেলায় বিয়ে হয়ে যায় আমার। বিয়ের পর দুই ছেলে-মেয়ে আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় নিজের পড়ালেখার কথা ভুলে যাই। কিন্তু মন থেকে পড়ালেখার ইচ্ছে শক্তি বাদ দিতে পারিনি। পরে নিজের একান্ত ইচ্ছে আর স্বামী সন্তানের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় চাতলপাড় কারিগরি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হই।

তিনি আরও বলেন, যে সকল নারীরা পরিবারের সংসারের অসচ্ছলতার কারণে পড়ালেখা করতে চায় না, তাদের প্রতি অনুরোধ, সরকার বিনা টাকায় পড়ালেখা চালিয়ে যেতে সুযোগ করে দিয়েছে। পরিবার থেকে অল্প বয়সে বিয়ের চাপ দিলে প্রতিবাদ করতে হবে।

চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিক মিয়া জানান, তার এই সাফল্যে আমরা গর্বিত। নতুন প্রজন্মের কাছে তিনি একজন আদর্শ।

নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন, পড়াশুনা করতে চাইলে যে কোনো বয়সেই করা সম্ভব, মানুষের অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে সকল কিছুই অর্জন করা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য নুরুন্নাহার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। বিশেষ করে নারীদের কাছে উজ্জ্বল নক্ষত্র। আমার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সম্মানিত করা হবে। মা নুরুন্নাহার ও মেয়ে নাসরিন আক্তারের সাফল্য কামনা করেন তিনি।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;