উদাসীন গ্রামের মানুষ, বিকেল হলেই গণজমায়েত-আড্ডা

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
বিকেল হলেই এভাবে জমায়েত হচ্ছেন গ্রামের মানুষজন, ছবি: বার্তা২৪.কম

বিকেল হলেই এভাবে জমায়েত হচ্ছেন গ্রামের মানুষজন, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তদের মিছিল দিন দিন বাড়ছে। পাশাপাশি মৃত্যুর হারও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ ঘরে রাখতে কঠোর ভূমিকাও নিচ্ছে প্রশাসন। মাইকিং করে হাত ধোয়া, মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস পরা, ঘরের বাইরে না যাওয়াসহ বিভিন্ন নির্দেশনা মানার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। শহরের গণ্ডিতে অনেকে এ নির্দেশনা মানলেও একেবারেই উল্টো চিত্র গ্রামগুলোতে। এসব ব্যাপারে পুরোপুরি উদাসীন গ্রামের মানুষেরা।

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার কয়েকটি এলাকা কয়েকদিন পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মানুষ ঘরমুখী কিংবা নিজস্ব কাজে ব্যস্ত থাকলেও বিকেল হলে আর ঘরে বসে থাকছেন না। প্রতিদিন বিকেল হলেই বাজারগুলোতে হচ্ছে গণজমায়েত। দোকানপাটের সামনে, রাস্তার মোড়ে কিংবা মাঠে দলবেঁধে আড্ডায় মেতে থাকে অনেক যুবক। ঈদের ছুটির মতো একে অপরের সঙ্গে মেলামেশা, হাত মেলানো, গল্পগুজব চলে আগের মতোই। যারা ঢাকাফেরত, তারাও দোকানপাটে এসে আড্ডা আর গল্প করে সময় কাটান।

চা-স্টল বন্ধের নির্দেশনা থাকলেও শাটার লাগিয়ে দোকানের ভেতর চলে চা আড্ডা। অন্যান্য দোকানপাট খোলা রাখার সময় নির্ধারণ করা হলেও সেই নিয়ম মানার কোনো নামগন্ধই নেই। পুলিশ আসার খবর পেয়ে কিছু সময় দোকান বন্ধ করে ভেতরে বসে থাকেন দোকানিরা। মনে হয় এ যেন চোর-পুলিশ খেলা।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের কান্দানিয়া বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন স্থানে জটলা পাকিয়ে গাদাগাদি করে কেনাকাটায় ব্যস্ত রয়েছে শতশত মানুষ। সড়কে ভ্যান, সিএনজি কিংবা অটোরিকশায় গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করা হচ্ছে। কিছু সংখ্যক মানুষের মুখে মাস্ক থাকলেও অধিকাংশের মুখেই তা নেই। আর যারা মাস্ক পড়েছেন তারা নাকি বাধ্য হয়ে পড়েছেন।

 করোনার ভয়াবহতা নিয়ে মাইকিং চলছে
করোনার ভয়াবহতা নিয়ে মাইকিং করা হলেও গ্রামের মানুষজন এগুলো মানতে নারাজ

আইনুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে মাস্ক পরার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাইক মাইরা কইছে মুখে মাস্ক পড়তে হইবো, তাইলে করোনা অইতনা, তাছাড়া পুলিশের ভয়ে বাজারে আসার সময় এইটা পইরা আহি।

হাট-বাজার বসা নিষিদ্ধ থাকলেও সেটিও মানছেন না কেউই। হাটে সবজি বিক্রি করতে আসা সুলতান মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, ‘আমাদের ক্ষেতে সবজির আবাদ করেছি সেগুলোই হাটের দিন শুধু নিয়ে আসি।’ এসময় করোনার বিষয়ে জিজ্ঞেস করতেই মুচকি হাসি দিয়ে তার কাছে আসা ক্রেতাদের কাছে বিকিকিনি চালিয়ে নেওয়া শুরু করলেন।

এরই মধ্যে দেখা গেল বাজারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে মাইক হাতে সচেতনতার বার্তা শুনাতে। বলতে লাগলেন, ‘আপনাদের বারবার বলা হলেও আপনারা নিয়ম মানছেন না, প্রশাসন যদি কোন ব্যবস্থা নেয় তাহলে আমার কিছু করার থাকবে না।’ কে শুনে কার কথা। তিনি তার মত বাজারের এ মাথা থেকে ও মাথা মাইকিং করে গেলেন আর ওদিকে বাজার যেমন চলছিল তেমনই চলতে লাগলো।

গ্রামে সার্বিক পরিস্থিতি ও মানুষের সচেতনতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় ভবানীপুর ইউপি চেয়ারম্যান শাহীনূর মল্লিক জীবনকে। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা সার্বক্ষণিক মানুষকে বোঝাচ্ছি। সামাজিক দূরত্ব ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কথা বলছি। গ্রামের মানুষের এসব বিষয়ে গুরুত্বই নাই। মানুষকে ঘরে থাকতে মাইকিংও করা হয়েছে, যা ৫ শতাংশ মানুষও মানেন না। আসলে তারা করোনাও বুঝে না, লকডাউনও বুঝে না এবং নিজের নিরাপত্তাও বুঝে না। তাদের কথা একটাই আল্লাহ-ই রক্ষা করবো।’ তবে উদাসীন গ্রামবাসীকে ঘরে রাখতে প্রশাসনের বাড়তি নজরদারি এবং পুলিশ-সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল প্রয়োজন বলে মনে করেন এ জনপ্রতিনিধি।

সমাজ সচেতনরা বলছেন, গ্রামীণ জনপদে নিয়মিত এমন জনসমাগম এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে এর ফলাফল হবে ভয়ঙ্কর। তাই প্রশাসনকে তৃণমূল পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ রোধে আরও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে এবং প্রয়োজনে কঠোরও হতে হবে৷

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ও মসজিদ কমিটির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরাও নিয়মিত এলাকাগুলোতে যাচ্ছে। আমরা সব মাধ্যমেই চেষ্টা চালাচ্ছি। তবে প্রশাসনের দ্বারা সব কিছু সম্ভব না, এজন্য সবাইকে নিজ নিজ জায়গা থেকে কাজ করতে হবে।’

   

'সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে'

'সমাজ পরিবর্তনে পোশাক শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে'

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সরকার পোশাক শিল্পকে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সব থেকে বড় ক্ষেত্র হিসেবে দেখছে না, সমাজ পরিবর্তনেও এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সোমবার (১৩ মে) সচিবালয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনেও এ খাত মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এখাতে প্রায় ৪২ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শ্রমিক নারী। এই শিল্পের কল্যাণে নারীর ক্ষমতায়ন ফিরে এসেছে। নারীরা স্বপ্ন দেখতে শিখেছে। কাজেই সেই শিল্পকে আমাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

এসময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, বস্ত্র অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নুরুজ্জামান এবং বিজিএমইএ’র নবনির্বাচিত সভাপতি এস এম মান্নান কচির নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে সহ-সভাপতিবৃন্দ এবং পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

নড়াইলের লোহাগড়ায় ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশায় ছুরিকাঘাতে ফয়সাল মুন্সী (১৫) নামে এক কিশোর নিহত হয়েছে। 

সোমবার (১৩ মে) রাতে লক্ষীপাশা এলাকার মারকাজুল মাদরাসার উত্তরপাশের সড়ক থেকে পিঠে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত ফয়সাল লোহাগড়া ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের আহমেদ মুন্সীর ছেলে। সে পেশায় ইজিভ্যান চালক। তবে ঘটনার সময় ফয়সাল ভ্যান চালাচ্ছিল কিনা বিষয়টি তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার পথে স্থানীয়রা পিঠে ছুরিবিদ্ধ অবস্থায় কিশোরের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তার পরিচয় উদঘাটন করে পুলিশ। তবে কী কারণে কে বা কারা ফয়সাল মুন্সীকে হত্যা করেছে তা প্রাথমিক পর্যায়ে জানা যায়নি।

এবিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

'স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতায় সহযোগিতা করতে চায় ফ্রান্স'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
'স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতায় সহযোগিতা করতে চায় ফ্রান্স'

'স্যাটেলাইট প্রযুক্তিতে শিক্ষার্থীদের দক্ষতায় সহযোগিতা করতে চায় ফ্রান্স'

  • Font increase
  • Font Decrease

স্যাটেলাইট প্রযুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দক্ষতা অর্জনে ফ্রান্স সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশের ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি ম্যাসদুপুই সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

সাক্ষাৎকালে ফ্রান্সের স্যাটেলাইট প্রতিষ্ঠান এয়ারবাস কর্তৃক বাংলাদেশি তরুণদের প্রশিক্ষণ প্রদানের বিষয়টি উঠে আসে। সাক্ষাৎকালে, তারা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষ করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও অগ্রগতি সম্পর্কে মতবিনিময় করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও ফ্রান্স বন্ধু-প্রতীম দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক তুলে ধরে বলেন, ফ্রান্স বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার এবং অকৃত্রিম বন্ধু।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সফর ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে আরো এগিয়ে যাবে।

চলতি মাসে ফ্রান্সের প্রযুক্তি উৎসব মেলায় বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মেলায় বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা তুলে ধরা হবে। মেলায় ফ্রান্সের ১২০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে তিনি জানান।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

আদালতে এসে ঢলে পড়লেন বাবুল আক্তার, হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম আদালতে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে এসে আসামির কাঠগড়ায় বেঞ্চে বসা অবস্থাতেই অসুস্থায় ঢলে পড়েন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে। কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। কারাগারে ফেরার জন্য তিনি প্রিজন ভ্যানে উঠতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অবশ্য তাকে প্রিজন ভ্যানেই ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়। এদিন মিতু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা আর হয়নি।

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বাবুল আক্তারকে সকাল ১০টার দিকে ফেনী কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামির কাঠগড়ায় তিনি যে বেঞ্চে বসা ছিলেন, সেখানে ঢলে পড়েন। সেখানে পুলিশ ও স্বজনেরা তাকে প্রাথমিক সেবা দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি সুস্থ বোধ করেন। বাবুল আক্তার কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন বলে জানান।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহমেদ জানান, সাক্ষী হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত আগামী বুধবার শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় তাকে যখন কারাগারে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পুলিশ, তিনি প্রিজন ভ্যানে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি মাইক্রোবাসে করে তাকে কারাগারে নেয়ার দাবি করেন। পরে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে ফেনী কারাগারে নেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, বাবুল আক্তার হঠাৎ আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বলে জেনেছি। অসুস্থ হওয়ার পর তিনি নাপা খেতে চেয়েছিলেন। পরে আমরা বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে সুস্থ বোধ করায় তাকে আবার ফেনী কারাগারে নেওয়া হয়।

বাবুল ক্তারের আইনজীবী মামুনুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, জ্বর থাকায় বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে না নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার আবেদন করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;